রাজনীতি কখনোই আমার আগ্রহের বিষয় নয়। আমি সচেতনভাবে এবং ঘৃণাভরে রাজনীতি ও রাজনীতি সংশ্লিষ্ট মানুষদের থেকে দূরে থাকি। আমি সংগ্রামী মানুষ। জীবিকার জন্যে আমাকে ঘাম ঝরাতে হয়। রাজনীতি নিয়ে সময় নষ্ট করার মতো বিলাসিতা আমার মানায় না।
একজন মানুষ যখন সদর্পে ঘোষণা করেন, আমি অমুক দলের সমর্থক; চট করে সেই মানুষটা সম্পর্কে, তাঁর চিন্তাধারা সম্পর্কে একটা নেতিবাচক ধারণা চলে আসে। দেশের রাজনীতির যে অবস্থা, তাতে কেউ যখন নিজেকে একটা নির্দিষ্ট দলের অনুসারী বলেন, তখন তাঁর বিবেকবোধ নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক বৈকি। সেটা আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপি, জামাত থেকে হেফাজত – সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
বলা-ই বাহুল্য, বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলো অন্তঃসারশূন্য। রাজনৈতিক আদর্শ বলে যে একটা কথা ছিল, সেটা এখন কাজির গরু – কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই।
আমার এক পরিচিতজন, যিনি একটা রাজনৈতিক দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতা, তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, একজন মানুষ অন্য দল না করে আপনাদের দল কেন করবে? অন্যদের সাথে আপনাদের পার্থক্য কী? তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। শুধু বললেন, আমাদের আদর্শের জন্যে! খুবই হাস্যকর উত্তর। কোনো দলের আদর্শই চুরি করতে বা খারাপ কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে না।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, কোনো রাজনীতিবিদই আমার এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না।
আচ্ছা, মূর্তি-ভাস্কর্য নিয়ে আলোচনা করতে এসে রাজনীতির প্যাঁচাল কেন শুরু করলাম!? করলাম, কারণ এ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক যে উত্তেজনা, সেটা যতোটা না ধর্মীয়, তারচেয়ে বহুগুণ বেশি রাজনৈতিক। ব্যাখ্যা করছি।
যাঁরা বলছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বানানো যাবে না, ভাস্কর্য বানানো ধর্মে নিষিদ্ধ; তাঁরা কি কখনো মাজার নিয়ে কথা বলেছেন? কখনো পীর-ভন্ডদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন? দেননি। এমনকি দেশে যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির শতশত ভাস্কর্য আছে, সেগুলো নিয়েও তো বলতে দেখলাম না! তাহলে বঙ্গবন্ধু ইস্যুতে তাঁরা এতো উত্তেজিত কেন? কারণ, যেকোনো উপায়ে আওয়ামীলীগ সরকারের বিরোধিতা করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব।
আবার যাঁরা বলছেন, ভাস্কর্য বানানো যাবে, তাঁরা কি ধর্মের বিধিনিষেধ জেনে তারপর বলছেন? দুই লাইন কুরআন-হাদিস পড়েছেন? এঁদের অধিকাংশই কোনো হাদিস গ্রন্থ চোখেই দেখেননি। তাহলে কেন বলছেন? কারণ, হুজুররা ভালো-মন্দ যা-ই বলবে সেটার বিরোধিতা করাই হচ্ছে সেক্যুলারিজম, স্মার্টনেস। এটাও রাজনৈতিক স্বার্থের বিষয়।
ইসলামে মূর্তি বানানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে -খুব সম্ভবত এ ব্যাপারে কারও দ্বিমত নেই। দ্বিমত হচ্ছে, মূর্তি বনাম ভাস্কর্য নিয়ে। ভাস্কর্য বানানো যাবে কিনা, আরও সূক্ষ্ম করে বললে- ভাস্কর্য আর মূর্তি একই বিষয় কিনা?
মূর্তি শব্দটির উৎস হচ্ছে- মূর্ত (√ মূর্ছ + ত)। খুবই পরিচিত শব্দ। মূর্ত অর্থ প্রত্যক্ষ বা স্পষ্ট হওয়া। কাছাকাছি আরেকটি অর্থ হচ্ছে, আকার ধারণ করা যেটাকে ইংরেজিতে বলা হয়েছে embody (এমবডি)। আপনারা “মূর্ত প্রতীক” কথাটা অবশ্যই শুনে থাকবেন।
আর মূর্তি হল সেই বস্তু, যা মূর্ত হয়েছে বা মূর্ত করা হয়েছে। মূর্তি শব্দের অর্থ- আকৃতি, দেহ, চেহারা, আকার, প্রতিমা। (শেষের অর্থটা খেয়াল করুন, এখানেই গোলমালটা লেগেছে!) ইংরেজিতে- Shape, form, figure, body, image, idol.
তবে প্রচলিত ক্ষেত্রে মূর্তি দ্বারা মানুষের (বা কোনো প্রাণীর) মূর্তিই বুঝানো হয়ে থাকে। হিন্দুরীতিতে দেব-দেবী বা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মূর্তিগুলো এর উদাহরণ।
উইকিপিডিয়ার মতে-
ত্রি-মাত্রিক শিল্পকর্মকে ভাস্কর্য বলে। অর্থাৎ, জ্যামিতিশাস্ত্রের ন্যায় ভাস্কর্যকে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং গভীরতা সহ ত্রি-মাত্রিক হতে হবে। … পুতুল, মুখোশ, মাটির জিনিসপত্র ভাস্কর্যের উদাহরণ।
মূল কথা হচ্ছে, ত্রি-মাত্রা বা 3D হল ভাস্কর্যের বৈশিষ্ট্য। আপনি যখন কাগজে কারও ছবি আঁকবেন, সেটা ভাস্কর্য হবে না। যদি কাদামাটি দিয়ে অবয়ব তৈরি করেন, সেটা হবে ভাস্কর্য।
জ্বি, একই জিনিস। শাব্দিক অর্থের কিছুটা পার্থক্য থাকলেও প্রায়োগিক ক্ষেত্রে মূর্তি আর ভাস্কর্য একই বস্তু।
আপনি যখন কোনো মানুষের ভাস্কর্য বানাবেন, সেটা হবে মূর্তি। যদি গাছের ভাস্কর্য বানান, সেটাকে অভিধানমতে মূর্তি বলা গেলেও, পারিভাষিক দৃষ্টিকোণ থেকে মূর্তি বলা হয় না।
গোলমালটা লেগেছে এখানে। হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা প্রতিমার পূজা করে থাকেন। (এখানেও একটা মিসকনসেপশন আছে। হিন্দুরা আসলে প্রতিমাকে রূপক-মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে ভগবানের পূজা করেন।) আর যেহেতু প্রচলিতভাবে প্রতিমাকে মূর্তি বলা হয়, আমাদের বুদ্ধিজীবী সমাজ এবার ঘাবড়ে গেছেন। কীভাবে সামাল দেওয়া যায় উপায় বের করতে না পেরে মূর্তি আর ভাস্কর্যের মধ্যে পার্থক্য করে দেওয়ার একটা মিথ্যা চেষ্টা করলেন। আর আমাদের মহাশিক্ষিত হুজুররা গেলেন ক্ষেপে!
এই বিষয়টা খুবই স্পষ্ট। বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। যে মূর্তির উপাসনা করা হবে, সেটাই প্রচলিত অর্থে প্রতিমা।
নাম আলাদা করে ফেললেই জিনিস আলাদা হয়ে যায় না। আমি যেটাকে ভাত বলি, এলিট শ্রেণি রেস্টুরেন্টে গেলে সেটাকে বলে রাইস। তেমনি আলাদা হয় না উদ্দেশ্যের ভিন্নতা থাকলেও। যেটা দিয়ে আপনি পশু জবাই করেন, সেটাও ছুরি। ছিনতাইকারী যেটা পেটে ঢুকিয়ে দেয়, সেটাও ছুরি।
এই সাম্প্রতিক কালে এসে ভাস্কর্য আর মূর্তি আলাদা হয়ে গেছে। কিছুদিন আগেও বুদ্ধিজীবীরা এই দুইটা শব্দ দিয়ে একই জিনিস বুঝাতেন। আগে বিভিন্ন বিশিষ্টজনদের যে মূর্তিগুলো তৈরি হতো, সেগুলোকে মূর্তিই বলা হতো।
কিছু জ্বলন্ত উদাহরণ দেই-
অন্যদেরটা ‘মূর্তি’ই থাকল আর বঙ্গবন্ধুরটা ‘ভাস্কর্য’ হয়ে গেল কেন, কে জানে! বঙ্গবন্ধুর মতো একজন অবিস্মরণীয়, অসামান্য মানুষকে নিয়ে আর কতো রাজনীতি করতে হবে?!
আর এরকম একটা বিষয়কে ইসলামাইজ কেন করতে হবে সেটাও বুঝি না! ভাস্কর্য ইসলামে নিষিদ্ধ প্রমাণ হলে কি সরকার বঙ্গবন্ধুর ‘ভাস্কর্য’ বানাবে না? দেশে আর কোনো ভাস্কর্য তৈরি হবে না? এদেশে কি ইসলামের বাইরে কিছু হয় না?
২২টি মন্তব্য
তৌহিদ
এসব বিষয় নিয়ে আর তর্ক করতে ভালো লাগেনা তাই কথাও বলিনা ভাই। যে যার মত যা করছে করুক। অন্যান্য মুসলিম দেশে ভাস্কর্য আছে এদেশে হলেই বা সমস্যা কি। পুজার মত প্রার্থনা না হলেই হলো।
আবার যারা বিরোধিতা করছে তাদেরও শুধু বঙ্গবন্ধু ইস্যুতে এসব করতে হবে কেন? এদেশে আরও হাজারও ভাস্কর্য আছে দীর্ঘদিন থেকে। কই সেসব নিয়ে তারা কথা বলেনা কেন?
মুল সমস্যা আসলে সবাই রাজনীতিগত দিক থেকে এসব ভাবছেন। বলাৎকার, ধর্ষন এসব নিয়ে খুব একটা কথা হয়না।
আমার কথা আমি ইসলাম মানি, আমার মত করে নামাজ কালাম পড়ি। কে কি করলো এসব নিয়ে চিন্তা করলে আয়রোজগার কে করে দেবে? তারা?
অনলাইনে আসাই বন্ধ ককরে দিয়েছি নানাবিধ সমস্যায়। ভালো থাকুন ভাই।
নাজমুল আহসান
ঠিক-বেঠিক, হালাল-হারাম আলোচনা করা আমার উদ্দেশ্য নয়। ধর্ম বা রাজনীতি দুটোই মানুষের নিজের ইচ্ছার ব্যাপার।
আমি শুধু মূর্তি আর ভাস্কর্য নিয়ে যে কনফিউশন, সেটা দূর করার চেষ্টা করলাম।
ভালো থাকবেন।
তৌহিদ
চমৎকারভাবেই বোঝাতে পেরেছেন ভাই।
ফয়জুল মহী
লাউ আর কদু একই জিনিস যাহা শীতের দিনের পুষ্টিকর সবজি। ভাস্কর্য ও মূর্তি নিয়ে পক্ষ বিপক্ষে এত গণ্ডগোলের ভিতর বাঘা যতিনের ভাস্কর্য ভাঙ্গার জন্য যুবলীগ কেন গেলো। অন্য কোনো সমস্যা থাকলেও এই সময় কেন ভাঙ্গতে হবে।
নাজমুল আহসান
… বললে চাকরি থাকবে না 😀
ফয়জুল মহী
লেখক বলেছেন বললে চাকরী থাকবে না। একদম সত্য তার আগে আছে স্বৈর আইন ৫৭। কিন্তু এদের ক্ষমতা গেলে এরাই থাকবে না। তখন রাস্তায় ঘেউ ঘেউ করবে। যেমন এখন অন্যরা করে।
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর উপস্থাপন আহসান ভাই।
এই রাজনিতিই দেশটাকে ঘায়েল করতে করতে নষ্টের তলানিতে নিচ্ছে।
নাজমুল আহসান
ঠিক। আর এদেরই আবারই গলাবাজি বেশি 😀
বন্যা লিপি
এমন ক্ষুরধার একটা বিশ্লেষনিক লেখা পড়ার খুব ইচ্ছে ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে। সবটাই রাজনিতীর খেলা।কেউ বোঝে তো কেউ বুঝতেই চায়না।
নাজমুল আহসান
আশা করি বিভ্রান্তি দূর করতে সাহায্য করতে পেরেছি! ভালো থাকবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
রাজনীতির মারপ্যাচে সবকিছুই ঘটছে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য। খুব সুন্দর করে বললেন ভাইয়া মূর্তি ও ভাস্কর্যের পার্থক্যের বিষয়টি। একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
নাজমুল আহসান
ভালো থাকবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আগের গুলো এলোমেলো ভাবে পড়া হয়েছে। আপনার লেখাটি একেবারে খোলাশা হল। ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ অসাধারণ।
শুভ কামনা রইলো।
নাজমুল আহসান
আপনার জন্যেও শুভকামনা।
আরজু মুক্তা
ইসলাম আর রাজনীতি দুটা থেকে দূরে থাকাই ভালো।
কেউ বললে বলি, বুঝিনা।
নাজমুল আহসান
রাজনীতি থেকেও ইসলাম থেকেও?
মনির হোসেন মমি
এ বিষয়ে যার যার অভিমত তার তার কাছেই শ্রেষ্ঠ। সব কিছুই আল্লাহ মালুম।
নাজমুল আহসান
এ জন্যেই তো একজনের অভিমত অন্যদের সাথে শেয়ার করতে হবে। না হলে ভুল বোঝাবুঝি থেকেই যাবে।
আমি তো জায়েজ-নাজায়েজ নিয়ে কোনো অভিমত দেইনি। কোনটা মূর্তি, কোনটা ভাস্কর্য সেই তথ্য দিয়েছি শুধু। তথ্য ভুল থাকলে ধরিয়ে দিবেন, ঠিক করে দেব।
আর আপনার অভিমতটাও বলেন।
মনির হোসেন মমি
ইসলাম ধর্মের জ্ঞান সীমিত কী আর দেব ভাই ভাস্কর্য আর মূর্তীর পার্থক্য যদি আপনাকেও বুঝাতে হয় তাহলে আমার বুঝ দেয়ার সেই ক্ষমতা নেই।
মূর্তী রাখা বানানো এবং পুজা করা ইসলাম ধর্ম মতে হারাম কথা অস্বীকার করা যাবে না।মানি এবং মানবো-যদি তা তৈরীতে উদ্দ্যেশ্য হয় পুজা করা।
কিন্তু কিছু ইসলামী দেশগুলোতে আমরা এখনো ভাস্কর্য বা মুর্তি দেখতে পাই কিন্তু কেন?কী ভাবে তারা তা একটি ১০০% ইসলামীক দেশ হয়েও রাখতে পারছেন আর আমরা রাখলে বিতর্ক বা ধর্মের দোহাই কতটা যুক্তি যুক্ত যেহেতু বাংলাদেশ সাংবাধানিক ভাবে কোন ইসলামী কান্ট্রি নয় ।
যেই লাঊ সেই কদুর ক্ষেত্রে আমি বলব নিয়তের উপর বড় কিছুই নেই।আল্লাহ তার বান্দার কর্মের ধরনের চেয়ে তার নিয়তকে বেশী প্রধান্য দেন তাই হাদিসে কথিত আছে আল্লাহ একজন বেশ্যা নারীকেও জান্নাত দান করেন।
আরও একটি অবান্তর প্রশ্ন
কথায় আছে জগৎ যারে ভাল কয় আল্লাহও নাকি তারে ভাল কয়-তেমনি যেমন জগৎ বিখ্যাত আবিস্কারকরা মানব কল্যায়ণকারী যে সব আবিস্কার করে গেছন বা করছেন তারা বেশীর ভাগই বিধর্মী তাদের পাপ পূর্ণ্যর বিষয়ে ইসলাম কী বলে?
ইসলামে নিষিদ্ধ ছিলো টিভি দেখা ছবি তুলা ভিডিও করা যা বর্তমানে হুজুররা খুব আরামে উৎসাহের সাথে করছেন তা কতটা জায়েজ?
নাজমুল আহসান
অনেকেই বলছিলেন মূর্তি আর ভাস্কর্য আলাদা। আমি শুধু এই বিষয়টা ক্লিয়ার করলাম।
মনির হোসেন মমি
বিষয়টা ক্লিয়ার এক অর্থে হয়েছে আর তা হল যে কোন প্রানীর আকৃতিদানেই হারাম গুণাহ শিরক কিন্তু হযরত মোহাম্মদ সঃ এর মৃত্যুর পর দুনিয়ায় অনেক সমস্যাই এসেছে যার সমাধান হাদিসে স্পষ্ট ছিলো তা সহাবীরা মাজহাব করে সমাধানের পথ বের করেছেন তেমনি ভাবে হয়তো মুসলিম কান্ট্রির জ্ঞানীগুণিরা মিলিত হয়ে বিশ্ব মুসলিম দেশগুলোতে তৈরীকৃত ভাস্কর্যগুলোকে জয়েজ করেছেন নতুবা সৌদি যাদুঘরে এখনো পূর্বপূরুষদের রণক্ষেত্র সহ সিপাহী সৈ্ন্যের ভাস্কর্য থাকতে পারত না আরো থাকতে পারতো না উট প্রানীর ভাস্কর্য।
যাই হোক আপনার দৃষ্টিতে পোষ্টটি অনেকটাই রাইট তা হল এদেশকে নিয়ে ধর্ম বিত্তিক রাজনীতি না করলে হুজুরগো পেটের ভাত হজম হয়না।দেশটা যারা স্বাধীন করেছে তখন মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে কোন ধর্মের বিশেষ ভুমিকা ছিলো না বরং ইসলামের ডাকসাইডের নেতারা রাজাকারে লিপ্ত ছিলো আর এখন তারাই ভাবে এ দেশটা শুধুই তাদের।
কথায় কথা আসে তাই অনেক কথাই বলে ফেললাম।সরি ফর দ্যাট। ভাল থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।
নাজমুল আহসান
আপনি ঘুরে ফিরে একই প্রসঙ্গে যাচ্ছেন কেন বুঝলাম না!
আমি কি হারাম-হালাল নিয়ে কিছু বলেছি? মূর্তি বানানো যাবে নাকি যাবে না, সেটার সাপেক্ষে মতামত দিয়েছি? ইসলাম কোনটা বলেছে, সৌদি আরব কী করেছে সেটাও আমার আলোচনার বিষয় না।
অনেকে দাবি করছেন, মূর্তি আর ভাস্কর্য আলাদা। আমি শুধু বললাম, মূর্তি আর ভাস্কর্য একই বস্তু। এই বিষয়ে আপনার মতামত দেওয়ার থাকলে বা আমার তথ্য-উপাত্তে ভুল থাকলে ধরিয়ে দিবেন। কৃতার্থ থাকব।