মুগ্ধতার জলছবি

আগুন রঙের শিমুল ৬ মে ২০১৪, মঙ্গলবার, ০৬:৩৭:৪৬অপরাহ্ন বিবিধ ২৪ মন্তব্য

কবি ভাবছিলো আজ লিখে দেবে সে, শ্রেষ্ঠতম প্রেমের কবিতাটি। কিন্ত তার ভাগ্যনির্ধারক নক্ষত্রের মনে ছিলো অন্যকিছুই। যার নিয়তি লিখেছে তাকে করে তুলবে যাদুকর, সে কি করে কবিতা লিখবে? তাই সে হঠাৎ করে মুগ্ধ চোখে দেখে ফেলে পানকৌড়ি কে। কবির বসবাস ধুলোয়, কাদামাটির ধরাধামে। আর পানকৌড়ি উড়াল মেঘেদের সঙ্গী। কবি উতল চাতক, অপেক্ষায় ধারাজলের।

 

যেহেতু কবি ম্যাজিশিয়ান হচ্ছে, সেহেতু যাদুবাস্তবতায় পানকৌড়ি ও এসে যায় নিশ্বাসের দুরত্বে।

কবি কহেন, আসেন আপনাকে একটা ম্যাজিক দেখাই, একটা মাত্র বাক্যে আমি দুনিয়া বদলে দিতে পারি

– তাই, সবকিছু বদলে যাবে?

– সুগভীর প্রত্যয়ে কবি কহেন, হ্যাঁ সব কিছুই

– অতীত?

– যেনো ছিলোনা কখনোই, আপনি এই মুহুর্তের আগে কোথাও ছিলেন না।

– বর্তমান?

– বর্তমান বলে কিছু নেই, মুহুর্তেই সে অতীত হয়ে যায়।

– ভবিষ্যৎ?

– যাদুবাস্তবতায় গড়ে দেবো সোনালী প্রভাত।

– আচ্ছা, তবে শুনি সেই বীজমন্ত্র

– আমি আপনাকে ভালোবাসি।

অমোঘ এই উচ্চারের সাথে সাথেই, পার্কের প্রতিটি ল্যাম্পপোস্ট হয়ে ওঠে ত্রুবাদুর, মলিন মুর্তিগুলোর চোখে ঝা চকচকে আলো। প্রতিটি  ঘুর্ণিতে উড়তে থাকা ঝড়াপাতার দল মুহুর্তের জন্য থমকায়। কোত্থেকে উড়ে আসে কোমল সৌরভ।

পানকৌড়ি এক দুবার ডানা ঝাপটায় উড়াল প্রস্তুতি তে, তার চোখে খেলা করে ভয়। অজানিত শঙ্কা, বিশ্বাস ভঙ্গের।

 

কবি তাকায় ভবিতব্যের পানে…….  শুন্যতায় খেলা করে শুন্যতার রঙে আকা ছবি। আনমনে বলে সে

প্রিয় পানকৌড়ি,

একটা টলটলে স্বচছ জলের বিল হয়ে রই, তার চারিপাশে ফোটাই মায়াবী জারুল। যে পথে আসবে তুমি সে পথ ঢেকে রাখি লেবুফুলের নরম সৌরভে। মুঠোয় জোনাক নিয়ে বসে আছি তোমাকে তারার ম্যাজিক দেখাবো বলে, এসো……

 

 

৫১০জন ৫১১জন
0 Shares

২৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ