একটা খুব প্রচলিত প্রবাদ আছে- খাবারের চাহিদা পেলে মানুষ চুরি করে আর জৈবিক চাহিদার জন্য করে খুন। এখানেই সম্ভবত আমাদের সাংস্কৃতিক দৈন্যদশা করুণভাবে ফুটে ওঠে।
মানুষের ইতিহাস যেদিন থেকে, ঠিক সেদিন থেকেই মানুষ মৌলিক দুটি বৈশিষ্ট্য ধারণ করে আছে। এর কোনো ভিন্নতা নেই, ব্যতিক্রম নেই। এ-দুটো বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আদিম ও অকৃত্রিম। এ-দুটো বৈশিষ্ট্যই মানব জাতিকে টিকিয়ে রেখেছে। এ দুটি বৈশিষ্ট্যের একটিও যদি মানুষ হারিয়ে ফেলে তাহলে মানব প্রজাতিও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এর একটি হলো মানুষের খাবারের চাহিদা, আর অপরটি হলো জৈবিক চাহিদা। মানুষ সামষ্টিকভাবে খাবারের চাহিদা নিয়ে যতটা আলোচনা করে জৈবিক চাহিদা নিয়ে ততটা করেনা। অন্তত এ কালে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এ-কথা খুবই সত্য।
আজ কেন জানিনা এই বিষয়ে লিখতে খুব ইচ্ছে করছে। কতটুকু পারবো জানিনা!
আমি নিজে যেদিন মা হলাম ঠিক সেদিন থেকেই প্রতিটা মায়ের সন্তানকে মনে মনে নিজের সন্তান বলে ভাবি। আমার এই ভাবনাটিকে কেউ কেউ বাহুল্য ভাবনা ভেবে উড়িয়ে দিলেও কিচ্ছুটি ক্ষতি নেই তাতে। কারণ আমার ভাবনা একান্তই আমার। কারো কোন দায় নেই এতে। নেই দায়িত্বও।
আজকালকার যুগে কোন ছেলে নিজের যৌনক্ষুধা নিবারনের জন্য আড়ালে আবডালে যাকে তাকে ধর্ষণ না করে যদি সে পতিতালয়ে যেয়ে যৌনসুখ উপভোগ করে; আমি কিন্তু তাকে খারাপ ছেলে হিসেবে আখ্যা দেবোনা কিছুতেই। তবে তাকে দেখে সমাজের অনেকেই আড়চোখে তাকাবে। নষ্ট ছেলে হিসেবে আখ্যায়িত করে অন্যদেরকে আঙ্গুল তুলে দেখাবে এটা নিশ্চিত। অথচ তাদের নিজেদেরই কিন্তু চরিত্রের কোন ঠিক ঠিকানা নাই। “সর্বাংশে স্খলিত চরিত্র”র অধিকারীরা কিন্তু এখন আর একটা নির্দিষ্ট সমাজ বা পেশাজীবীর মাঝে সীমাবদ্ধ নয়। সমাজের প্রতিটা স্তরে প্রতিটি শ্রেণীপেশার “অনেকের” মাঝেই এখন এই যৌনক্ষুধা রোগটি চাউর দিয়া উঠছে!
যদি কোন ছেলে বা মেয়ে ভিন্ন ধর্মের কাউকে ভালোবেসে বিয়ে করে কিংবা নিজেদের চেয়ে বয়সে বড় কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেয় সেটাকে আমি অন্তত মন্দ চোখে দেখিনা। একাধিক সন্তানের জনক বা জননী হলেও আমি তাদের শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখি। আমি ঘৃণা করি সেইসব ছেলেমেয়েদের যারা নিজেদের কালচার বেমালুম ভুলে মনের বদলে শুধু দেহ নিয়ে খেলে। ভালোবাসার অভিনয় করে সর্বস্ব লুটে নিয়ে যায় পালিয়ে।
সমাজসেবার নাম করে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের সুবিধা আদায়ের নামে হাটে, মাঠে,ঘাটে, বনবাদাড়ে দৌড়ায়ে দৌড়ায়ে ভালোবাসার নাম করে অনেকেই অন্যের কাছ থেকে নিজের শারীরিক সুবিধা আদায় করে নেয়। কিছুদিন পর ভালোবাসার মানুষটিকে নিঃস্ব ও রিক্ত করে সেই মানুষটিকেও বঞ্চিতদের তালিকায় আবদ্ধ করে নতুন ঠিকানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় অন্যত্র! এখনো সময় আছে সেই সুযোগ সন্ধানী লুইচ্চাদের কাছ থেকে সাবধান হও তোমরা। শুধু যে ছেলেরাই এমন ভণ্ডামি করে আমি তা বলছিনা কিন্তু। অনেক মেয়েরাও অহরহ এমনটি করছে। অতএব ছেলেরাও হও হুঁশিয়ার, হও সাবধান।
আমি মনে করি প্রতিটা মানুষের কর্মক্ষেত্র একটা পবিত্র স্থান। একটা স্বর্গীয় উদ্যান। দিনশেষে প্রতিটা সংসারই একটা স্বর্গ সুখের ঠিকানা। সেক্স একটা পরম সুখের বিষয়। একটা স্বর্গীয় ও পবিত্র ব্যাপার। অতএব এর পবিত্রতা নষ্ট নয়; রক্ষা করাই প্রতিটা মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। মনে রাখা ভালো যে, প্রতিটা সুস্থ ও সুন্দর সম্পর্কই কিন্তু জীবনে সুখ ও পরিপূর্ণতা আনে। জীবন একটাই। সুন্দরভাবে বাঁচো। পুরোটা দিন উপভোগ করো পরম তৃপ্তি নিয়ে। হয়তো এখান থেকেই উঠে আসবে চমৎকার কিছু মুহূর্ত, অসম্ভব ভালো লাগার কিছু স্মৃতি। এই স্মৃতিময় কথাগুলো দিয়েই সুগন্ধি ফুলের সুশোভিত মালা গেঁথে তুলে দিও তোমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে। কে জানে, এই গল্পগাঁথা মালা থেকেই হয়তো হয়ে যেতে পারে নিটোল প্রেমের কোন কালজয়ী উপন্যাস!! যা যুগ যুগ ধরে বেঁচে রইবে মানুষের মনের মণিকোঠায়।
৬টি মন্তব্য
ইঞ্জা
খুব ভালো পোস্ট আপু।
আলপনা করিম
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ইঞ্জা
শুভকামনা আপু
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর করে লিখছেন আপনি। স্বাগতম। -{@
মায়াবতী
দারুণ লিখেছেন আপু * এমন লেখা আরো চাই -{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
যৌন ক্ষুধা থাকবেই আর তা মিটাতে স্রষ্টা সে পদ্ধতি বা সিষ্টেমও করে দিয়েছেন তা হলো বিবাহ বন্ধন।এর বাহিরে যারাই ঐসব ক্ষুধা মেটাতে অভ্যাস্ত হয়ে পড়ে তা তাদের নৈতীক চরিত্রের অধপতন এবার তিনি যদি পতিতালয়ে গিয়েও মেটান তাতেও সে একজন অপরাধী তার মন নোংরার দিকে পরিবর্তন হয়।সে জন্য বয়সের নিদিষ্ট একটা টাইমে ইসলাম বা রাষ্ট্র বিবাহ বন্ধনের টাইম বেধে দেয়।লেখাটি ভাল লাগল।