কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর গ্রামের বাসিন্দা। সবার আগে দেশ- এই আপ্তবাক্য বুকে ধারণ করে ১৯৭১ সালে স্ত্রী ও ছোট্ট সন্তানকে রেখে চলে গিয়েছিলেন দেশ স্বাধীন করতে। কোরমা বাগানে শত্রুদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে হারিয়েছিলেন বন্ধু মুক্তিযোদ্ধা গনিকে। ৩৬টি হ্যান্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে টানা সাতদিন ব্লক করে রেখেছিলেন পাকিস্তানী সৈন্যদের। আরও কত সেই লোমহর্ষক অভিজ্ঞতাগুলো! দেশ স্বাধীন করে ঘরে ফিরে দেখলেন, ঘর বলতে কিছু নেই। সব জ্বলে-পুড়ে শেষ। সহায় সম্পত্তি বলতে কিছুই ছিল না, তাই পেট চালানোর জন্য সফর আলী নামের এই ‘মুক্তিযোদ্ধা’ শুরু করলেন রিক্সা চালানো! এভাবেই শুরু হলো তাঁর জীবন সংগ্রাম। যত দিন শরীরে শক্তি ছিল কাজ করে নিজের, স্ত্রীর- দুজনের খাবারের টাকা যোগাতেন। এখন ডান হাতে ইনফেকশন হওয়ায় কিছুই করতে পারেন না। ডান হাতের অবস্থা এতটাই বীভৎস, দেখলে শিউরে ওঠবে যে কেউই!

তাঁর কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে স্বদেশের বাতাস। তাঁর চাওয়া- একটুখানি চিকিৎসা নিজের জন্য, স্ত্রীর জন্য। আর একটা মুদির দোকান, একজন মুক্তিযোদ্ধার হাত পাততে কি ভালো লাগে? হাতের ইনফেকশনে মৃতপ্রায় এক পরাজিত সৈনিক! কিন্তু পরাজয় এতো সহজ!! সেই রুদ্র প্রাণের মুক্তিযোদ্ধার? আমরা Lighter, তাঁকে একটি মুদির দোকান করে দেব। তাঁর হাতের চিকিৎসা, স্ত্রীর চোখের- সব কিছুর খরচ আমরা দেব। আমরা তাঁকে কথা দিয়ে এসেছি, আপনারা এগিয়ে আসবেন তো? বিস্তারিত: মিশন ১৯৭১: দেশের সূর্যসন্তানদের তরে আমরা, ২০১৪
৫০২জন ৫০২জন

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ