’মা দিবস’
‘মা’ ‘মাতৃত্ব’ ’মায়ের সন্মান’কে কোন দিবস বা দিনক্ষণ দিয়ে হিসাব চলে না। অনেকে বলেন ’মা দিবস’, ‘বাবা দিবস’ সবই বানিজ্যিক ব্যাপার। হ্যাঁ, হয়তো তাই। কিন্তু সত্যিকার অর্থে ‘মা’ এর মহিমাকে কখনোই দিবসকেন্দ্রিক করা যায় না। তবে দিবসকে কেন্দ্র করে আনন্দ-উচ্ছাস যদি তাঁদের পুলকিত করে মন্দ কি?

এটা ঠিক, আগে ’মা দিবস’ বলে আমাদের কাছে আলাদা কিছু ছিলো না। এখনো আলাদা কিছু নেই। হয়তো অনলাইন জগতে বিচরণের কারনেই আমরা এই দিবসকে কেন্দ্র করে নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করি। এমনতো নয় যে, সেজন্য মায়ের প্রতি ভালোবাসা দিবস কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। বরং এই দিনটিকে কেন্দ্র করে মায়েদের মধ্যে এক ধরনের পুলকিত ভাব জাগে এটাই আমার কাছে আনন্দের ব্যাপার।
আমি একবার ’মা দিবস’কে সামনে রেখে বাড়ী যাবো, তো বেইলি রোড দিয়ে হাঁটছি; হঠাৎ সাদাকালো’তে ঢুঁ মেরে দেখি ওরা ’মা দিবস’ উপলক্ষ্যে সুন্দর সুন্দর কিছু মগ তুলেছে। ভালো লাগলো। মা এবং শ্বাশুড়ি মায়ের জন্য নিয়ে নিলাম দুটো মগ। বাড়ী যাওয়ার পর দিলাম তাঁদের হাতে। মা খুশি হলেন কিন্তু অভিব্যক্তি স্বাভাবিক। মুলতঃ আমার মায়ের অন্তরের অনুভুতির মুখে প্রকাশ কম। বাইরে খেকে রাসভারী মনে হলেও ভেতরটা তাঁর অনেক নরম, আমরা তা বুঝতাম। আর শ্বাশুড়ি মা’কে দিতেই সে কি ভীষন উচ্ছাস তাঁর। অন্য এক ধরনের পুলকিত ভাব জেগে উঠেছিলো তাঁর চেহারায়।
তাই আমি মনে করি, দিবসটা কেবল উচ্ছাস প্রকাশের উছিলা মাত্র। যেমন করে ঈদ বা পুঁজোকে কেন্দ্র করে আমরা সকলে মিলে আনন্দ প্রকাশ করি, একজন আরেকজনকে উপহার দেই; অনেকটা সেরকমই মনে হয় আমার কাছে।

মাকে কি আমরা বুঝে উঠতে পারি?
’মা’ রক্ত-জঠরে গড়ে তোলা এক পাত্রের নাম!
শরীর ছেঁকে পান করানো এক অস্তিত্বের নাম!
নির্ঘুম রাতের নাম!
বিচলিত হৃদয়ের নাম!
ছায়া দেওয়া এক বৃক্ষের নাম!
সর্বংসহা মৃত্তিকার নাম!

বিধাতার ইচ্ছা!
আজ থেকে প্রায় ৮/১০ বছর আগের কথা। ঘটনাক্রমে এক চরম দুর্বিষহ মুর্হুত এসে সামনে দাঁড়িয়েছিল আমার, সীমাহীন কষ্ট পেয়েছিলাম। সেই কষ্ট থেকেই কেনো জানি মনেমনে কামনা করেছিলাম যেনো মা আর শ্বাশুড়িমার শেষ দিনগুলোতে আমি তাঁদের সেবা দিতে পারি। কায়মনোবাক্যে প্রার্থনাও করতাম সেজন্য।
শিশুদের মতো বয়োবৃদ্ধ কালেও মানুষজন অসহায় হয়ে পড়ে। সে সময়টাতে তাঁরা বাচ্চাদের মতো অবুঝ না হওয়ার কারনে একটু সেনসেটিভ থাকেন অথচ চলার শক্তি হারিয়ে ফেলার কারনে আবার কারো না কারো উপড় তাঁদের ডিপেন্ড করতেই হয়। এই সময়টাই বোধ হয় মানব জীবনের সবচাইতে কঠিন সময়।
অনেকের মনেই প্রশ্ন দেখা দিতে পারে মা-শ্বাশুড়ি মাকে সেবা দিতে গেলে কি আবার প্রার্থনা করতে হয়? হ্যাঁ, আমার ক্ষেত্রে করতে হয়েছে। আমার কাছাকাছি যারা থাকে বিশেষ করে আমার কলিগরা, যাঁদের সাথে আমি প্রায় সারাটি দিনই কাটাই, তাঁরা মোটামুটি আমার অনেক বিষয়ই জানে এবং আমার এ আকাঙ্খার কথাও তাঁদের জানা।
যাহোক, আমি কেনো প্রার্থনা করতাম?
তার কারন হচ্ছে আমি নিজে চাইলেই তো আর হবে না, তাঁদেরও সে ইচ্ছা থাকতে হবে। আর দ্বিতীয় কারন হচ্ছে আমার ফুলটাইম জব। প্রথম কারনটি বিশ্লেষণ করলেই বুঝা যাবে কি কারনে আমার ইচ্ছা থাকা সত্বেও কখনো মনে হয়নি যে শেষজীবনে তাঁদের কিছুদিনের জন্য হলেও আমার কাছেই রাখতে পারবো বা তাঁরা আমার কাছে থাকবেন।

আমার শ্বাশুড়িমা!
ভীষনরকম প্রতাপশালী ছিলেন। উনি একটা কিছু বললে কারো সাধ্য নাই তা অমান্য করার। প্রচন্ড ব্যক্তিস্বাধীনতা বোধ ছিলো তাঁর। কারো উপর ডিপেন্ড করা, এটা উনি ভাবতেই পারতেন না বরং সবাই উনার উপর ডিপেন্ড করুক, উনি তাই চাইতেন। এমতাবস্থায় উনি নিজের বাড়িঘর ছেড়ে এসে ছেলের কাছে থাকবেন এটা উনার বেলায় ভাবাই যেতো না।
চাকুরী সুত্রে আমাদের ঢাকায় থাকতে হয়। প্রয়োজনীয় কাজে শ্বাশুড়ীমা আসতেন ঠিক কিন্তু আমাদের কাছে কখনো থাকবেন এটা উনার জন্য ছিলো কল্পনাতীত। শুধু আমি নয়, বাড়ির অন্য ছেলের বাসায়ও শ্বাশুড়িমা নিজের সংসার ছেড়ে থাকার কথা ভাবতেন না।
যাহোক, ২০১০ সালে পারিবারিক সমস্ত কাজকর্ম, দায়দায়িত্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত হয় তিনি হজ্বে যাবেন। তখনও তাঁর উপর বয়সের ভার এসে পড়েনি, বয়স তখন তাঁর প্রায় ৬৫, তবুও শারিরীকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালীই ছিলেন। হজ্ব থেকে ফিরে আসার তিনমাসের মাথায় দাঁতে সাদা ফাংগাস টাইপ কিছু একটা দেখা দিলে তিনি নিজেই ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হন, যেকোন ব্যাপারে তিনি অনেক বেশি সচেতনও ছিলেন। ডাক্তার তাঁকে ঢাকা রেফার করে। চলে আসেন আমাদের কাছে। তাঁকে নিয়ে বেশ কয়েক জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করে আমরা নিশ্চিত হই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। কিন্তু বাংলাদেশের ডাক্তার! কি বলতে কি বলেছে! ছেলেরা যেনো বিশ্বাস করতে চাইলো না তাঁর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কথা। সিদ্ধান্ত হলো বোম্বের টাটা মেমোরিয়ালে নিয়ে যাওয়ার। দেশের বাইরে নিতে হবে, সবার পক্ষে তো আর তাল সামলানো সম্ভব নয়; যে কয়জন নিয়ে যেতে পারবে তাঁদের আবার সময় থাকা চাই। আমরা দুজনও চাকুরীজীবি। তথাপি সিদ্ধান্ত হলো প্রথম দফা আমরাই নিয়ে যাবো।
২০১১ সালের প্রথমদিকে আমরা ছুটি নিয়ে তাঁকে টাটা মেমোরিয়ালে নিযে গেলাম। পরেরবার গিযেছিলো তাঁর মেজো ছেলে। তাঁর চিকিৎসার মুল আর্থিক সাপোর্টটা কিন্তু দিয়েছিলো এই মেজো ছেলেই। কি না করতে চেয়েছে সে এই মায়ের জন্য।
যাহোক, পরিস্থিতি বিবেচনায় দেখা গেলো কদিন পরপর বয়স্কমানুষকে টানাহেচড়া করে নিযে যাওয়াও সম্ভব নয়। সিদ্ধান্ত হয় দেশেই চিকিৎসা চলবে। নিয়ে যাওয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালে ডাঃ কামরুজ্জামানের কাছে। শুরু হয় কেমোথেরাপী। টানা তিনমাস সপ্তাহে পাঁচদিন চলতে থাকে কেমোথেরাপী। এরপর কিছুদিন বিরতি দিয়ে দিয়ে চলতে থাকে টানা দুই বৎসর। কেমোথেরাপী শুরু করার পর থেকে খাদ্যনালী সরু হয়ে যাওয়ার কারনে তিনি লিকুইড ছাড়া অন্য কিছু খেতে পারতেন না। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ছিলো স্ম্যাসকরা খিচুড়ী, মুরগীর সুপ, আর তাজা ফলের জুস। শেষের ২৪ দিন তাঁকে আইসিইউতে রাখতে হয়েছিলো।
শেষবার বাড়ি যাওয়ার ঠিক এক সপ্তাহ পর তিনি হঠাৎই একদিন ভীষনরকম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে স্থানীয় সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তারা তাঁকে ঢাকায় তাঁর নিয়মিত কনসালটেন্টের আওতায় পাঠিয়ে দেয়। আর এখানে নিয়ে আসার সাথেসাথে তাঁকে সরাসরি আইসিইউতে ভর্তি করে। আইসিইউতে রাখার ১৫ দিনের মাথায় ডাক্তার তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু সন্তানরা যেনো কিছুতেই মাতৃত্বের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারছিলো না। অবশেষে ২৪ দিনের মাথায় তাঁরা আইসিইউ থেকে মাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কঠিন সেই সিদ্ধান্তটি গ্রহন করে। ভোরে দুজনে মিলে হাসপাতাল চলে যাই। সকলপ্রকার ফরমালিটিস কমপ্লিট করে বেলা ১১.৩০ এর মধ্যে এম্বুলেন্স করে রওয়ানা হওয়ার ঘন্টাখানেকের মধ্যে ২০১২ সালের ৬ আগস্ট (১৭ই রমজান) তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। হাসপাতাল থেকে বের করা কালীন সময়ে তিনি শুধু একবার চোখ মেলে তাকিয়ে আমাকে আর তাঁর ছেলেকে দেখে নিযেছিলেন। তাঁর সে চাহনী ছিলো ভীষন অন্যরকম। আমি তা বিশ্লেষণ করতে পারবো না।
অনেক বেশি সৌখিন ছিলেন তিনি, বাচাঁর অনেক স্বপ্ন ছিলো! তিনি স্বপ্ন দেখতেন আবার ভালো হয়ে যাবেন। আমরা জানতাম তিনি ভেতরে ভেতরে শেষ হতে চলেছেন কিন্তু তারপরও তাঁর স্বপ্নকে আশা দিয়ে বাচিঁয়ে রাখতাম। ডাক্তার যখন বিভিন্ন বিষয়ে ডিসকাস করতো তখন তিনি আড়াল থেকে বুঝার চেষ্টা করতেন ডাক্তার ঠিক কি বলছে। মানসিক শক্তি অনেক ছিলো কিন্তু দুরারোগ্য ক্যান্সার তাঁকে বাঁচতে দেয়নি।
শেষবার যখন আমাদের এখান থেকে বাড়ি ফিরেন, ডাক্তারকে রীতিমতো হাতে ধরে অনুরোধ করেছিলেন, তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে (কেমোথেরাপী দিয়ে) যাতে সন্ধ্যার আগেই বাড়ি পৌছাতে পারেন কারন ওই রাত ছিলো ’শবে-বরাত’ এর রাত। কোনকিছুতেই তাঁকে ওই রাতটা আটকে রাখতে পারিনি, নতুন বাড়ি বানিয়েছেন; সে বাড়িতে শবে-বরাত করবেন। যাওয়ার সময় ছেলের সাথে খুশিতে না হলেও ৫/৬ বার হ্যান্ডসেক করে বিদায় নিয়েছেন, আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন, আমারও কেনো জানি মনে হয়েছিলো আজ যেহেতু শবে-বরাত; তাই পা ধরে সালাম করার সময় মাফ চেয়ে নিয়েছিলাম আর দোয়া করতে বলেছিলাম কিন্তু তখনও কি আমরা জানতাম এ যাওয়াই ছিলো তাঁর শেষ যাওয়া। ঘটনাক্রমে চিকিৎসাকালীন সেই দুই বৎসর শ্বাশুড়ীমা তাঁর জীবনের দুঃসময়ের শেষ দিনগুলির বেশিরভাগ সময় আমার কাছেই ছিলেন।
হয়তো তাই ছিলো বিধাতার ইচ্ছা!

আমার মা!
রাসভারী কিন্তু নরম প্রকৃতির। প্রচন্ড সেনসেটিভ, ব্যক্তিত্ববোধও প্রখর। মেয়েদের বিয়ে দেয়ার পর তাদের পারিবারিক ব্যাপারে যেমন নাক গলাতে পছন্দ করতেন না তেমনি মেয়ের সংসারে এলে নিজেকে অতিথি হিসাবেই দেখতেন। একদিন দুদিন থাকলেই তাঁর নাভিশ্বাস উঠতো। বিব্রতবোধ করতেন। ঘটনাক্রমে আমরা দুবোন, কখনো কখনো তিনবোন ঢাকা থাকলেও নেহায়েত জরুরী প্রয়োজনে ঢাকা আসতে হলে আসতেন আবার কাজ শেষেই দৌড়াতেন।

এই যখন অবস্থা, তখন তিনি থাকবেন আমার বাসায়? কতো বুঝিয়েছি যে, যেহেতু আমি নিজে জব করি কাজেই তাঁর তো বিব্রতবোধ করার কিছু নেই। এমনকি আমার বরও তাঁকে বহুবার বহুভাবে কনভিন্স করে ২/৪ দিন বেশি যাতে থাকেন সে চেষ্টা করেছে কিন্তু কিসের কি! একেবারেই স্বাচ্ছন্দবোধ করতেন না। প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হলেই যাওয়ার জন্য উসখুস করতেন, ছেলের সাথে কথা বলে নিতেন নিয়ে যাওয়ার জন্য। যেই বলা সেই কাজ, ছেলেও এসে হাজির হয়ে যেতো মাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
কিন্তু ঘটনাক্রমে গত অক্ঠোবর ‘২০১৪ তে এমনই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, ঢাকা এনে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। ভালো হয়ে বাসায় ফিরতে না ফিরতেই আবার হাসপাতাল। অবস্থা এমন হয়েছে যে, তাঁকে এখন আর ঢাকার বাইরে রাখার কথা চিন্তাও করা সম্ভব নয় আবার অন্যদিকে মাও এখন আর আগের মতো অনুভুতিপ্রবণ নেই যে মেয়ের বাসায় থাকতে বিব্রতবোধ করবেন। অসুস্থ অবস্থায় বিছানাতেই তাঁর সারাদিন কাটতো, উঠে দাঁড়ানোর জো থাকতো না। এমনকি ওয়াসরুমেও নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না, বিছানাতেই সবকিছু করতে হতো। যতক্ষন বাসায় ততক্ষন নিজের হাতেই করতাম তাঁর যাবতীয় কাজ, শুধু বাসায় না থাকাকালীণ সময় অন্যের উপড় ভরসা করতে হতো। আমি বুঝতাম, এতে মায়ের মনে একধরনের তৃপ্তি কাজ করতো। তারপরও মাঝেমধ্যে যখন খুব ভালো থাকেন তখন জানতে চান, আর কতোদিন পরে ডাক্তার তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দিবে? আমরাও তাঁকে বাচ্চাদেরকে বুঝানোর মতো করে বলি খাওয়াদাওয়া করে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠলেই ডাক্তার ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিবে। মা আশ্বস্থ হন কিন্তু আমি জানি তাঁকে আর স্থায়ীভাবে বাড়ি যেতে দেয়া যাবে না, শরীর আর অসুখের যা অবস্থা যতোদিন বেঁচে আছেন তাঁকে আমার এখানেই রেখে দিতে হবে। লিভার ঠিকমতো কাজ করছে না, যখন তখন আবার হসপিটালাইজড করতে হতে পারে। সেবা আর মনস্তাত্বিক সাপোর্ট দিয়ে যতদিন ধরে রাখা যায়। শুধু এটুকু প্রার্থনা যতদিন আল্লাহ হায়াত দিয়ে রেখেছেন ততদিন যেনো ভালো থাকেন।
আর মনেমনে বলি এও হয়তো বিধাতারই ইচ্ছা!

তবে মা এখন অনেক ভালো আছেন। গত ছয়মাস আগেও যখন তাঁর বেঁচে থাকার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম, আজ তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। ডাক্তার বলে দিয়েছিলো “নিয়ে যান বাসায়, এখানে রেখে আর কি করবেন। যতোদিন সেবা-সুস্রষা করে ভালো রাখা যায় আর কি।” লিভারের পেশেন্ট বলে কঠোর অবজারভেশনের মধ্যে রাখতে হয়। শরীরের ধরন বুঝে খাবার দিতে হয়, ঔষধ দিতে হয়। বয়সকালে সেবা, ভালবাসা আর নিয়মতান্ত্রিক পরিচর্যাই মা-বাবাকে সুস্থ এবং প্রফুল্ল রাখে।
সবার মা-বাবা ভালো থাকুন।

৪৫৪জন ৪৫৪জন
0 Shares

২৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ