বাবা.
কেংকা আছু তুই ,অনেকদিন কোন চিঠি পত্তর নাই।আজকা বোরভানি থেকে জিউ লোচছে,চিঠি পাবা মাত্রই ঝটিকা ধরে বায়িত আসিস।তোর বাপ ভালকীর বিলত থেকে কডা কানচ ,টেংগর আর মাগুর মাছ ধরে আনিছে, হামি তোর জন্য চ্যারাত করে জিয়ে থুছি,তুই আলে কুমোড় বড়ী দিয়ে ঝোল রান্না করমোহিনি।গাছত কডা শবরী আছিল,চ্যাংরাগে অত্যাচারে থুবা পারিনি।কুরবানির কথা কিছু ভাবিছু,তোর বাপ মন্ডলগে সাতে গরুত ভাগ দিবা চাছে। দক্ষিণ পাড়ার লাবুর মাও বিশদবার মচে বাবা,লাবুর সেকি কান্দন ।মিচচ্যানা পরপর দ্যাতি লাগে পরে জাছিলো।
আর এ্যডা কতা, মোর এ্যাডা কদুর তেলের শিশি আর বাসনা আলা সাবান আনিস বাবা।
ইতি
তোর মা.
( জয়পুরহাটের আন্চলিক ভাষা)
কেংকা- কেমন
জিউ লোচা- মন আনচান করা
ঝটিকা-খুলনা মেইল
বোরভানি-সকাল
কডা-কয়েকটা
কানচ-শিং
টেংগর-টেংরা
চ্যারা- বড় মাটির পাত্র
শবরী- পেয়ারা
চাংরাগের-পোলাপানের
বিশববার-বৃহস্পতিবার
মচে-মারা গেছে
মিচচ্যানা- কিছুক্ষন
দ্যাতি-অজ্ঞান
এ্যডা-একটা
বাসনা- সুগন্ধী
৬টি মন্তব্য
ত্রিস্তান
আঞ্চলিক ভাষার মাধুর্য সবসময়ই সুন্দর।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ শেষে ভাষাটা বুঝিয়ে দেবার জন্য। শুভ হোক অমর একুশে
ফয়জুল মহী
চমৎকার সৃষ্টি, পাঠে মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
সুপায়ন বড়ুয়া
বাহ্ !
আঞ্চলিক ভাষায় মায়ের চিঠি
পড়তে লাগে ভালো
ছেলের কাছে মায়ের কথা
স্বর্গীয় আলো।
শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
নতুন কিছু শব্দ শিখলাম
কামাল উদ্দিন
জটিল লাগছে ভাই, অনেকগুলো কথাই জানা ছিল না……ধন্যবাদ।