তোমার চোখের দিকে তাকালে মনে হয়,
আরও একটা রং আছে রংধনুর অস্তিত্বে।
“মায়া রং”
যে রং, অগোছালো হৃদয়কে কাছে টানে চুম্বকীয়তায়,
নিবন্ধিত করে রাখে দৃষ্টি,
সমান্তরালে, সরল রেখায়।
মধুর আবেশে, শান্তির পরশ বুলায়,
অজানা সীমাবদ্ধতায়।
মসলিন সে রংয়ের পর্দা, নৃশংসভাবে খুন করে,
আমার প্রশ্নভরা চাহনী- ।
তবুও নেই উত্তর, নেই ইশারা।
নিঃশব্দ দেয়ালে আবারও ইচ্ছেরা তুলে প্রতিধ্বনী-
মায়া রংয়ের হাজারটা পর্দা ভেদ করতে পারে না কৌতুহল-
নির্বাসিত ইচ্ছেরা বারংবার ফিরে আসে,
দীর্ঘশ্বাসে ভেজা বালুতটে- প্রতিধ্বনী মতো।
এক জাহাজ ভরা রংধনু পাঠালাম নিরুদ্দেশ,
তবুও যদি রঙিলা আকর্ষনে তোমার দৃষ্টি খানিক পূর্বমুখী হয়।
কে গো তুমি ?
মায়া রংয়ে; কোন সে পথের আল্পনা এঁকেছ চোখের তাঁরায়?
আমি দিশা খুঁজে হয়রান দিগন্তের শুরু থেকে শেষে!!
ক্ষণে ক্ষণে হটাৎ বিজলীর ঢংয়ে আঁকা মেঠোপথ,
লাখো চৌরাস্তার ভীরে-
প্রশ্নগুলি যুগান্তরে পরিশ্রান্ত।
আজও অনুভব হয় না উত্তরের তাগিত ?
তবে বল দেখি-
কেন বান ডাকে ফাল্গুনের আকাশে ?
কোন সে তাড়নায়, চৈত্রের খড়তা উড়িয়ে দেয় বর্ষন ?
কুয়াশার চাদর ফোঁড়ে, কেন তির্যক দৃষ্টি মেলে সোনা রোদ ?
কম্পিত ঠোঁটের জোয়ারে যদি শৃঙ্খলিত থাকে প্রত্যাশার হুঙ্কার
তবে আজও কেন “মায়া রংয়ের অস্তিত্ব তোমার চোখে-
কেন অনুতাপের শিশির বিন্দু নাকের ডগায় ঝিলিক মারে ?
তোমার নিঃশ্বাসের উষ্ণতা পেলে মনে হয়,
আরও একটা ঋতূ আছে বসন্তের শেষে।
নামহীন শুভ্র ঋতূ।
চার পক্ষকাল ধরে কোকিলের কুহুতানে,
পরাগায়িত বাসন্তি গোলাপ কলি যদি উড়িয়ে নেবে কালবৈশাখী-
তবে আরও একটা ঋতূ চাই সুস্থির-
প্রশান্তের বুকে ভাসমান কোন পর্বতমালার পাদদেশে,
একমুঠি খড়কুটু দাউ দাউ করে জ্বলুক।
একটা চন্দ্রিমা রাতে হউক না জোছনার মালাবদল।
কোন এক রাত্রি দ্বি-প্রহরে, খানিক ঝড়ো বর্ষনে-
আঁধার কেটে ডানা মেলে দিক একজোড়া কপোতিনী;
অজানায়, অ-দেখায়।
কেউ শুনবে না ডানা ঝাপটানির কোলাহল,
কেউ শুনবে না পালক ছিটকে পড়ার শব্দ।
যে ঋতূর মধাকর্ষনে পৃথিবী ঘুমায় নিহারিকার কোলে,
হিমালয় ফেরত কনকনে পবনের ধাক্কায়,
যদি হাওয়া লাগে ইচ্ছে তরীর পালে;
তবে চৈত্রের খড়তায় শেষে, কালবৈশাখীর সূচনার পূর্বে-
সে ঋতূর নামটা তুমিই রেখে যেও।
-০-
২রা জানুয়ারী/২০২০
৩০টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভীন
তোমার নিঃশ্বাসের উষ্ণতা পেলে মনে হয়,
আরও একটা ঋতূ আছে বসন্তের শেষে।
নামহীন শুভ্র ঋতূ।
বিশ্বের সমস্ত প্রেমিক/প্রেমিকার কাছে এটাই মনে হয়।
চমৎকার লিখেছেন ভাইয়া
এস.জেড বাবু
বাহ
এতো এতো প্রেমিক প্রেমিকার একই অনুভুতি
বেশ তো
আন্তরিক ধন্যবাদ আপু
জিসান শা ইকরাম
বাস্তবতা হচ্ছে এই যে মায়া রং এর চোখের নারীদের থেকে দুরে থাকতে হবে 🙂
এদের নিয়ে কবিতা লেখা যায়, কাছে যাওয়া যায় না।
কবিতা ভাল হয়েছে।
এস.জেড বাবু
কেউ কি পারে দুরে থাকতে ?
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চমৎকার আবেগময়ী একটা কবিতা উপহার দিলেন। চোখে রংধনুর রংয়ে আরো একটি রং পাওয়া যায়, নিঃশ্বাসের উষ্ণতায় আরো একটি ঋতু। অদ্ভুত সুন্দর প্রকাশ। শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
এস.জেড বাবু
প্রচন্ড অনুপ্রেরনা দেয় আপনার প্রতিটি মন্তব্য।
অনেক মুগ্ধ হই।
লাখো কৃতজ্ঞতা আপু
অনেক ভালো থাকবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন
ছাইরাছ হেলাল
একদম হাতে গরম লেখা, এমন লেখায় মন্তব্য হয় না লেখা হয়!
কিন্তু তা তো জলবৎ নয়!
এ ছবিতে মায়া রঙ কৈ! এ তো আস্ত না চিবিয়ে গিলে খাওয়ার রঙ ধরে আছে।
এর পড়েও কেউ ঋতু-মুখি হতে চাইলে তাকে অ-সাহসী বলি কি করে!
শুভেচ্ছা জানালে এ কবিতায় কিছুই বলা হয় না।
তবে ধন্যবাদ অবশ্যই।
এস.জেড বাবু
আমি যে চোখের ডাক্তার নই, রং বুঝিনা।
আপনি বুঝিয়ে দিলেন, মেনে নিলাম। এই চোখের ধারালো হিংস্র দাঁত আছে।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাইজান।
কৃতজ্ঞতা
সুপায়ন বড়ুয়া
“যদি হাওয়া লাগে ইচ্ছে তরীর পালে;
তবে চৈত্রের খড়তায় শেষে, কালবৈশাখীর সূচনার পূর্বে-
সে ঋতূর নামটা তুমিই রেখে যেও। “
কেউ কি আছেন সাড়া দেবেন
সে ঋতুর নামটা বলে যাবেন ?
ভালো লাগার মতো কবিতা
শুভ কামনা রইলো দাদা।
এস.জেড বাবু
হাহাহা
কেউ একজন হয়ত থাকবে,
হয়ত ঠান্ডায় গলা বসে আছে।
চমৎকার মন্তব্যে মুগ্ধতা ভাইজান।
অশেষ কৃতজ্ঞতা
আরজু মুক্তা
শরৎ হোক। রোদ ও থাক। ঠাণ্ডাও থাক।
তবে ভবের মায়ার সাথে ভালোবাসা থাক।
এস.জেড বাবু
চমৎকার বলেছেন
যা কিছু থাক- তবে ভালোবাসাটা থাক।
ভালোবাসার উষ্ণতায় ভরে থাক আপনার প্রতিটি মূহুর্ত।
শুভকামনা আপু
কামাল উদ্দিন
রংধনুর সাতরঙ এর পরে যে মায়া রং সে শুধু প্রেমিক প্রেমিকাদের চোখেই হয়তো থাকে। এক জাহাজ রংধনু রং থেকেও যার উজ্বল্য হয়তো বেশীই হয়……….কতোটা অর্থ বুঝতে পারছি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না, তবু শুভ কামনা সব সময়।
এস.জেড বাবু
অতটা গভীরে আমিও বুঝিনা কামাল ভাই। আমিও আপনার মতো কবিতায় নির্বোধ।
তবে এইবার কিন্তু আপনি অনেক গভীরতায় বুঝে ফেলেছেন। আমিও বুঝতে শিখবো আপনার পিছু পিছু।
কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাইজান।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ বাবু ভাই, ভালো থাকুন সব সময়।
রুমন আশরাফ
দারুণ কবিতা। ২ বার পড়লাম। শুভ কামনা রইলো।
এস.জেড বাবু
অশেষ কৃতজ্ঞতা রুমন ভাই,
সত্যি অনুপ্রাণীত হলাম ।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন সবসময়।
তৌহিদ
এই যে বাবু ভাই কবিতায় যেরকম বর্ণনা দিলেন বাস্তবে এরকমটা হয় কিনা আমার জানা নেই। তবে সতর্ক থাকাই উত্তম। যুগ জামানা ভালো না কিন্তু, কি বলেন ?লেখা ভালো লেগেছে ভাই।
এস.জেড বাবু
প্রেমে যদি পড়ে মন
ভয় ঢর আর কতজ্ক্ষণ !!
হাহাহা-
জামানা যাই হউক- হৃদয় তার আপন গতিতে চলবেই।
কৃতজ্ঞতা রইলো ভাইজান।
অনেক মিস করি আপনাদের।
সঞ্জয় মালাকার
তোমার নিঃশ্বাসের উষ্ণতা পেলে মনে হয়,
আরও একটা ঋতূ আছে বসন্তের শেষে।
নামহীন শুভ্র ঋতূ।
চমৎকার লিখেছেন বাবু ভাই,।
এস.জেড বাবু
নববর্ষের শুভেচ্ছা সঞ্চয় দা
চমৎকার অংশটুকু তুলে দিলেন।
কৃতজ্ঞতা রইলো
ফয়জুল মহী
অপরূপ এক ভালো লাগলো। মনোমুগ্ধকর কবিতা ।
এস.জেড বাবু
লাখো শুকরীয়া প্রিয় ভাইজান
কৃতজ্ঞতা অশেষ
কামরুল ইসলাম
মায়া রং
সুন্দর লিখেছেন
এস.জেড বাবু
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান
কৃতজ্ঞতা
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রথম প্রেমে পরলে এমন হয়,
সব কিছু মায়াবী-মায়াময় লাগে। চারদিকটা মায়া মায়া আচ্ছন্নতায় ভরে উঠে। কেমন একটা ঘোরের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ মনে হয়….
মায়াময় কবিতা দারুণ হয়েছে 🌹🌹
এস.জেড বাবু
কি জানি !
যদি সত্যি হয় তবে জানার জন্য হলেও একবার প্রেমে পড়তে হবে।
অশেষ কৃতজ্ঞতা আপু
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রেমে না পরেই এই কবিতা লিখেছেন!!
সাংঘাতিক ব্যপার!!
প্রেমে পরলেতো আপনি আমাদেরও মায়ার সাগরে ডুবিয়ে মারবেন বাবু ভাই! 😜😜
এস.জেড বাবু
আমার লিখাগুলি যে কবিতা হয়, তা আমার এক আপু আমাকে বলেছিলো।
আমি সেদিন অবাক হয়ে ভাবছিলাম-
ছন্দমিল নেই
অন্তমিল নেই আবার কেমন করে কবিতা হয়।
আপু বললেন, সবটা লিখার মধ্য থেকে একটা মূল শব্দ অথবা সম-ভাবার্থ নিয়ে উপরে শিরোনাম টাঙ্গিয়ে দাও- কবিতা হবে।
সেই থেকে ট্রাই করতেছি কবিতা লিখতে- আজও সময় পেলে তাই করি।
আপনাদের মহানভবতায় আর মন্তব্যে প্রতিটি লিখা প্রাণ পেয়ে যায়।
মায়ার সাগরে জল অনেক ঠান্ডা।
আন্তরিক ধন্যবাদ সাবিনা আপু-