দৃষ্টি আকর্ষণ করছি…
কে এই লুবনা চৌধুরী? ইনি আসলে কি বলতে চান?
গুলশানস্থ ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়াল’ স্কুল এর প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল লুবনা চৌধুরীর নামে স্কুল ক্যাম্পাসে নোটিশ ঝুলছে, “যদি কোন ছাত্রছাত্রী বাঙলা ক্লাস ছাড়া স্কুলে বাঙলায় কথা বলে তবে তাকে বহিষ্কার করা হবে।”
বাহ! বাহ! বাহ!
যে দেশের নাম বাংলাদেশ, যে দেশের মাতৃভাষা বাঙলা, সর্বোপরি যে জাতি মাতৃভাষা বাঙলা রক্ষার জন্য রক্ত দিয়েছে, কালের পরিক্রমায় সেই বাঙলা ভাষা ব্যবহারের উপরই নিষেধাজ্ঞা জারি হয় এই বাংলাদেশেরই একটি বিদ্যালয়ে! কি করে সম্ভব?
এরা আসলে কার হয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করছে? ইংরেজী শেখানোর নাম করে মুখ থেকে কৌশলে মাতৃভাষাকে কেড়ে নিচ্ছে কি? দিনের বেশিরভাগ সময় ইংরেজি ভাষা শিক্ষার নামে অন্য ভাষায় কথা বলিয়ে আস্তে আস্তে নিজের ভাষা বাঙলাটাকেই মুখ থেকে সরিয়ে নিতে চাইছে কি!
যে ভাষার জন্য জাতি রক্ত দিয়েছে, এদেশে সে ভাষায় কথা বলার ক্ষেত্রে যে স্কুল নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাদের রেজিস্ট্রেশন থাকাই উচিৎ নয়।
বিঃ দ্রঃ কিছুদিন আগে রাজধানীর ‘মাস্টারমাইন্ড’ স্কুল শহীদদিবসে ভাষাশহীদদের বদলে বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি টানিয়ে কোমলমতি কিশোরকিশোরীদের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো।
নিঃসন্দেহে আজকের আলোচ্য ঘটনাটিও দুরভিসন্ধিমূলক।
১৫টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
ধিক্কার এই লুবনা চৌধুরীকে , ধিক্কার জানাই তাঁর প্রতিস্টহাঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হোক।
তাঁর এত বড় সাহস কোথায় পায়।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অস্তিত্বের মূলে আঘাতকারী। সকলকে একাট্টা হতে হবে। অস্তিত্বের প্রশ্নে কোন আপোষ নয়।
মোঃ মজিবর রহমান
ঠিক বলেছেন। কিন্তু নীলা আপুর মন্তব্যে সরকারী উচ্চমহল তাঁর হাতে আছে বঝা যাচ্ছে। তবুও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলার বিকল্প নাই।
মৌনতা রিতু
এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা উচিৎ আসলে।
কিন্তু দেখবে কে এগুলো।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অস্তিত্বের মূলে আঘাতকারীদের বিরুদ্ধে সকলকে একাট্টা হতে হবে।
সঞ্জয় কুমার
এসব দেখার কি আসলেই কেউ নেই ?
মারজানা ফেরদৌস রুবা
যিনি দায়িত্বে আছেন তাঁর হাত ধরেই তো শিক্ষা ব্যবস্থায় ধস নামছে বলবো। ইনার হাতে কিছু হওয়ার আমি কোন সম্ভবনা দেখছি না।
ইঞ্জা
আপনার সাথে সহমত আপু, ওরা তো সেইরকম তামাশা শুরু করছে দেখছি, শিক্ষামন্ত্রীরর কি চোখ নাই, নাকি এইসব স্কুল শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আন্ডারে লাইসেন্স নেয়নি, সরকারের আশু পদক্ষেপ চাই।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অস্তিত্বের মূলে আঘাতকারীদের বিরুদ্ধে সকলকে একাট্টা হতে হবে নতুবা একদিন দেখবো অস্তিত্বটাই বিলীন হয়ে গেছে!
ইঞ্জা
আপু সহমত পোষণ করছি কিন্তু আমরা হলাম ম্যাংগো পিপলস, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধার মানুষ কই?
নীলাঞ্জনা নীলা
এই স্কুলে তরুণ শিক্ষকতা করেছিলো, মাষ্টার্সের পর। এই লুবনা চৌধুরীর সাথে তার বেশ লেগেছিলো এই বাংলায় কথা বলা নিয়ে। তারপর তরুণ চাকরী ছেড়ে দেয়। কয়েকমাসের মধ্যে সে সিলেট শাবিপ্রবিতে গণিত বিভাগে জয়েন করে। আমাকে বলেছিলো ওই মহিলার নাকি এতো ক্ষমতা, তার বিরুদ্ধে কিছু বলেও কাজ হয়না। একেবারে উঁচু মহল পর্যন্ত তার লিঙ্ক আছে।
রুবা’পু দেখো কিছু করা যায় কিনা!
মারজানা ফেরদৌস রুবা
এদের কারণেই দেশটা আজ উচ্ছনে যাচ্ছে।
আগুন রঙের শিমুল
বাংলাদেশের ভাষা ” বাঙলা ” হলো কবে থেকে?!! সংবিধান স্বীকৃত একটা বানান বিকৃত না করলে হয়না?
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সংবিধান স্বীকৃত শব্দ ‘বাংলা’ বটে তবে ব্যাকরণগতভাবে ‘বাঙলা’ বানানটাই শুদ্ধ। সেজন্য অফিসিয়াল কোন কার্যক্রমে বানানটা ‘বাংলা’ এভাবে লিখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও লিখালিখিতে ব্যাকরণগতভাবে শুদ্ধটা লিখাকেই যৌক্তিক বিবেচনায় নিয়ে লিখেছি।
বিকৃত করেছি বলে তো মনে হয় না ভাই।
নীহারিকা
এদেশের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোতে একটি অলিখিত নিয়ম আছে যে বাংলা ক্লাস ছাড়া ক্যাম্পাসে বাংলা কথা বলা যাবে না। এর উদ্দেশ্য আমারা যারা বাংলাদেশি তারা বাংলায় কথা বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি তাই স্কুলেও ক্লাসের বাইরে বাংলায় কথা বলতে চাই। এতে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ফ্লুয়েন্সী আসে না, ইংরেজি বলার লজ্জা কাটে না। এতে যে উদ্দেশ্যে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল চালানো হয় যেমন বাচ্চার ইংরেজি বেসিক বা ফ্লুয়েন্সী ডেভেলপ করা তা ব্যাহত হয়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো যতক্ষণ আমরা প্রেসার না পাই বলতেই হবে ততক্ষণ সুযোগ পেলেই বাংলায় কথোপকথন করি। এটা শুধুমাত্রই ইংরেজি ভালোভাবে শেখানোর জন্যই। বাংলাকে অবমাননা করার জন্য নয়। তবে এতটা স্ট্রিক্ট কোনো স্কুলই নয় যে বাংলা বললেই সাসপেন্ড করতে হবে। এটা অন্যায়।