না কোন আন্ধার রাত্রিতে নয়,নয় কোন ঠাটা পড়া জ্যোৎস্নায়,প্রকাশ্য দিবালোকে খাঁখাঁ করা রোদ্দুরে ; আম্রকানন,কুঞ্জবন বা কদম্ব তলে ও নয়,জনমানব হীন জিরো পয়েন্টে মাইর শুরু হইছে।হ্যান্ড টু হ্যান্ড, মাউথ টু মাউথ,লেগ টু লেগ,হেড টু হেড এবং চুল টু চুল,ম্যারাথন মাইর । কষ বেয়ে রক্ত রেখা হাল্কা থেকে গাঢ় হচ্ছে,গোটা কয়েক দন্ত ছিটকে পড়তে দেখলাম।কয়েক গাছি চুল এলোমেলো বাতাসে উড়ে যাচ্ছে,পায়ের শক্ত হাড় ভাঙ্গার শব্দও হচ্ছে।তবে সুখের কথা হল কেউ মারা যাবে না এটি নিশ্চিত করা আছে। মাইর ও ককানো চালু থাকুক।
আসুন আমরা আসল -নকল গল্প করি।মাথার খুলি ফাটার শব্দ হলে উকি দিয়ে দেখব মগজ কতটা কার মাথা থেকে ছিটকে বের হল।এখন কথা হল কী নিয়ে এই তুমুল মারামারি ?তেমন কিছু না,নয় কোন দিগ্বধূ বা দিগন্ত দখল বা অন্য কিছু।
দুরারোহ কোন পীঠস্থান দখলের লড়াই ও নয়,শুধু…………..
রাত্রি হিসাব চায় দিনের কাছে,দিন হিসাব চায় রাত্রির কাছে।
জীবন হিসাব চায় মৃত্যুর কাছে,মৃত্যু হিসাব চায় জীবনের কাছে।
কিন্তু হিসাব কেউ-ই কাউকে দিতে রাজী হচ্ছে না। দিলেও কেউ কারোরটি মেনে নিচ্ছে না কিছুতেই।
সূচ্যগ্র মেদিনী ছেড়ে দেয়ার চান্স কেউ-ই নিছে না নেবেও না।আমি এখন সদা-প্রভুর ভূমিকায়।থুক্কু,ভানুর কৌতুকের সেই ‘দেখি না কী হয়’ ভূমিকায়।এই মাইরের বিষয় বিস্তারিত আর একদিন বলব।ঘটনা হল,লিখতে বসেছিলাম ‘কয়েক অপদার্থের সার্কাস দর্শনের’ গল্প।কিন্তু এই মাইরের মধ্যে পড়ে লেখা-লেখি চাঙ্গে উঠে গেছে।দাঁড়ান দাঁড়ান………..
মাথা খুলি ফাটার শব্দ পেলাম,একটু উঁকি-ঝুঁকি দিয়ে আসি। যদি আসতে দেরি হয় তা হলে আপনারা যে যার সুবিধা মত নিজ নিজ খোঁয়াড়ে (প্রাসাদে) গিয়ে নাকে তেল সহযোগে ভাত-ঘুমের চেষ্টা চালিয়ে দেখতে পারেন। মাইরের ময়দানে আমাকে একমাত্র দর্শক হিসাবে তো বটেই এমনকি রেফারির ভূমিকায় ও দেখতে পেতে পারেন এ নিশ্চয়তার শতভাগ আপনাদের দিচ্ছি।
৩১টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
আরে বাপরে মারামারি এতো গদ্যময়, এতো ছন্দময় হয়, জানা তো ছিল না।।
রাত্রি হিসাব চায় দিনের কাছে,দিন হিসাব চায় রাত্রির কাছে ।
জীবন হিসাব চায় মৃত্যুর কাছে,মৃত্যু হিসাব চায় জীবনের কাছে ।
এ ঝগড়াঝাঁটি, মারামারি যে কোনদিন থামার নয়, আপনি দর্শক কিংবা রেফারী হয়েই থাকুন, এ সুবর্ণ সুযোগে আমিও কয়েক ঘা দিয়ে আসি, এ হিসাব আমার চাই-ই চাই ।।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার তো বেশ সাহস দেখছি । খুলি ফাটার শব্দ ও মগজ বেরিয়ে পড়া দেখেও
একদমই ভয় পাচ্ছেন না ।
আর একবার কিন্তু পড়তে হবে একটু মন দিয়ে ।
শুরুতেই আপনার মন্তব্য পেলাম ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ,
ও হ্যাঁ ,আমাকে শেখানোর ব্যাপারটি যদি একটু মাথায় নেন ।
শুন্য শুন্যালয়
পড়েছি, কিন্তু কিছু কি বাদ পড়ে গেলো? বড়ই গোবর মাথা… এমন কতো প্রশ্ন বোকাসোকা নিরীহ মানুষকেও সাহসী আর নিষ্ঠুর করে দেয় বৈকি …
ছাইরাছ হেলাল
তাহলে দেখছি কিছু গোবর ধার নিতেই হয় ।
না ,বাদ পরবে কেন ? আপনি কালকে আবার একবার কষ্ট করে
সব মন্তব্য সহ আর একবার পড়লে আমাদের জন্য ভাল হবে ।
অবশ্যই বাস্তবতা আমাদের অনেক ভাবেই নিষ্ঠুর ও সাহসী করেই দেয় ।
অবশ্য যারা নিত্য এমন দেখে তারা একটু বেশি সাহসী বৈকি ।
শুন্য শুন্যালয়
পড়লাম এবং পড়লাম, মস্তিস্কে প্রশ্নযুদ্ধ ঠিক যেনো খুলি ভেদ করে বের হয়ে যায়…
নাহ অপেক্ষা করতেই হচ্ছে…
মোঃ মজিবর রহমান
রাত্রি হিসাব চায় দিনের কাছে,দিন হিসাব চায় রাত্রির কাছে।
জীবন হিসাব চায় মৃত্যুর কাছে,মৃত্যু হিসাব চায় জীবনের কাছে।
আসলেই তাই
সুভেচ্ছা অবিরত
ছাইরাছ হেলাল
অনেক দিন পরে আপনাকে এখানে দেখে ভাল লাগল ।
ধন্যবাদ ।
খসড়া
মাইর নয়। তাতে আরও অশান্তি বাড়বে শুধু। চাই শান্তি। শুভ হোক সকাল।
বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বাণী।
ছাইরাছ হেলাল
আমরা অবশ্যই শান্তি চাই সব সময়ে সবার জন্য ।
গানটি শুনতে হবে এই বরিষ ধারার মাঝেই ।
ব্লগার সজীব
এখানে হিসেব না দেয়ার ব্যাপার আছে। তাই মারামারি। কিন্তু আমরা এমনি এমনি মাইর খাই ও দেই। মাইরের দৃশ্য দেখে চমকিত। বাতাসে উড়ছে চুল। আহা, কেমন মাইর!!
মাইর চলুক।
ছাইরাছ হেলাল
এ মাইর চলবেই ,তবে কোকানোর শব্দে একটু অসুবিধা হচ্ছে এই যা ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ অবশ্যই ।
বনলতা সেন
অনেক কঠিন একটি বিষয় সহজ করে হাল্কা চালে লিখে দিলেন।শুধু একটি অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার করে ,দিগ্বধূ ।
কঠিন সুন্দর অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার না করে ভেক ধরেছেন । হা বা না বলবেন ।
আপনার হৃদয় বলে কী কিছু আছে ? মারামারি করে মাথার খুলি ফাটিয়ে ঘিলু ছড়িয়ে যাবে , আপনি বলেন , মাইর আর কোকানো চলুক ! দর্শক বা রেফারী হবেন ! মানুষের সাহায্য করলে অসুবিধা কোথায়?
স্পষ্ট করে বুঝিয়ে বলবেন আশাকরি ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সত্যিই যাচ্ছেতাই ।
হ্যাঁ,ভেক ধরেছি ,এবার শান্তি হয়েছে ?
যাক , উত্তম পুরুষে একটি গল্প বলি ।
পুতুল নাচ হচ্ছে ,বসে মন দিয়ে দেখছি ,দেখছি । নানা রকম অসংগতি চোখে পড়ছে । মেজাজ বিলা হচ্ছে প্রচণ্ড।
ভাবছি এত বাজে একটি শো কী করে পরিচালনা হচ্ছে , পরিচালকই বা কী করছে ? এত এত ভুল ,এখানে এমন হতে পারত ,ওখানে ওমন কেন ? এটা কিছু হল ? এভাবে চলতে পারে ?
আমি হলে এ গুলো সব ঠিক করে নিখুঁত ভাবে চালাতাম। অনেক সুন্দর হোত সবকিছু । হঠাৎ দেখি বায়বীয় ভাবে আমার সামনে পরিচালক এসে উপস্থিত।হেসে বললেন” আমার সাথে আসুন”। হাল্কা লজ্জা ও ভয়ে ভয়ে পিছু নিয়ে তাঁর পরিচালন কক্ষে গিয়ে উপস্থিত হলাম ।
তাঁর চেয়ারটিতে আমায় বসিয়ে মাথায় হেড গিয়ারটি পড়িয়ে দিয়ে বললেন ” এবারে আপনি আপনার মনের মত করে শো টি পরিচালনা করুণ , পূর্ন স্বাধীনতা আপনার” । আমি বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে নানা রকম ছুইচ টিপে-টুপে অনুষ্ঠান চালাতে শুরু করলাম মহা আনন্দে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে লক্ষ্য করলাম , দর্শক সারিতে বসে যে ভাবনা গুলো সঠিক মনে হয়েছিল তা এই হট ছিটে বসে ঠিক মনে হচ্ছে না। বরং মনে হচ্ছে যেভাবে যেমন চলছিল সেটিই শতশত ভাগ সঠিক ছিল। আমি ফিরে এলাম ।
এই অভাগা এর থেকে আর বেশি কিছুই জানে না ।
আমার আছে ছোট্ট একটি শিশু হৃদয় ।
শুন্য শুন্যালয়
গল্পটি কিন্তু বেশ. দর্শক আর খেলোয়াড়? ভেবে দেখুন এখন কি হতে চান.মানুষ দুইজন, ভাবনা দুটি, সঠিকের সংজ্ঞাও দুই.
মশাই
যাক অবশেষে দেখা পেলাম অন্ধকারের ঘোর কাটিয়ে। এই পথেই যাচ্ছিলাম অন্ধকারের সাথে বন্ধুত্বটা গভীর করে হঠাৎ করে খানিকটা আলো (বেশিনা অতি অল্প তবে আলো) চোখে লাগলো মুহুর্তেই দেখে নিলাম পুরো আকাশটাকে এক ঝলকে। সেই বিজলীর আলোতে আকাশ দেখার পর ধন্যবাদ দিতে গিয়ে বাধলো যত বিপত্তি। সে আমাকে জানালো আমার আকাশের জন্য নাকি সে আলো ছড়ায়নি, ছড়িয়েছিল অন্য কারো আকাশ আলো করার উপলক্ষে, যাইহোক আলো খানিকটা তো দেখে নিলাম ধন্যবাদ কিন্তু তাকে আমি দিবই নাইবা হোক তার আলো ছড়ানোর উদ্দেশ্য আমার জন্য।
শুভ সন্ধ্যা শ্রদ্ধেয় হেলাল ভাই। শেষ পর্যন্ত মাইর নিয়ে আসছেন আমাদের জন্য??? পড়েছি ভাইয়া। মন্তব্য আসছে।….
ছাইরাছ হেলাল
আলো দেখছেন এটাই বড় কথা , উদ্দেশ্য যাই হোক ,
আপনি যেহেতু পেয়েছেন তাই ধন্যবাদ ও যাবে ।
এ মাইর তো নূতন কিছু না । আদি ও অনন্তকাল পর্যন্ত চলা একটি প্রক্রিয়া মাত্র ।
মশাই
যেই মাইরের কাহিনী শুনালেন তাতো কিছুটা ভয় করছেই নিজের। তবে ভয় করে যে কোনো লাভ না তা কিন্তু বুঝতে পারি। অহোরাত্রিতে চলমান এই কলহ চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। সবাই যখন উচ্চশিরে বাচতে চায় তখন এটা ঘটা কি স্বাভাবিক নয়? আপনি কি শুধুই দর্শক নাকি নিরব দর্শক? তবে রেফার ভূমিকায় যখন নিজে অবতীর্ণ হয় তখনিই মনে হয় একটু দ্বিধান্নিত হতে হয়।
লীলাবতী
আপনারা একটি শব্দে শিরোনাম লিখে ফেলেন 🙂 মারামারি ভালো না । ওম শান্তি ওম :p
ছাইরাছ হেলাল
আপনি একটি অক্ষরেও লিখতে পারবেন ।
হুম ,মারামারি ভাল না । শান্তি ও শান্তি ।
পিঠে পড়লে কোকানো ও চলিবেক না ।
আপনার ফেবু আইডিটি আমাদের জানিয়েন ।
লীলাবতী
আইডি কিভাবে করবো?
জিসান শা ইকরাম
মাইরের বর্ননা দেখে টাস্কিত হলাম ।
ছাইরাছ হেলাল
মাইর এ ভাবেই চলে , টাস্কিত হওয়ার কিছু নেই ।
মশাই
শ্রদ্ধেয় হেলাল ভাইয়া আপনার লিখে মন্তব্য করাটা কিন্তু দুসাধ্য একটা ব্যাপার আমার জন্য। তারপরও সাহস করে দু এক কথা লিখি এসে যদিও উর্ধ্ব থেকে আজও কোনো বর পেলাম না। কোথায় যেন একবার পড়েছিলাম ঠিক খেয়াল নেই আমার হয়তো আপনি জানবেন মানুষ তার জীবনকালে “আমি” শব্দটিই বেশি উচ্চারণ করে থাকে তাহলে সংঘাত তো নিশ্চিত বলেই আমি মনে করি। নিজেকে প্রকাশ করার জন্য যত্রতত্র বিচরণ করে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে অনেকে তারপর “আমি” শব্দটি ভুলে যেতে পারেনি। যখন “আমি” কে ভুলতেই পারবে না তখন কেউ কারোটি যে মেনে নিবে না সেটাই স্বাভাবিক বলে মনে হয় আমার নিজের কাছে। অনেক সময় নিজেই থাকি সেই রেফারির ভূমিকায় কিন্তু নিরব হয়ে সমানে সমানে পাল্লা দিয়ে যখন মাইর শুরু হয় তখন নিরব হয়ে থাকা ছাড়া আমার আর কিছুই করার থাকে না তবে আপনি পারবেন সেই বিশ্বাস রয়েছে আমার। আমি আবার অন্য আরেকটা জিনিস খেয়াল করি মাঝে মাঝে ভাইয়া দেখি তুমুল মারামারি যখন চলে তখন আমি বলধরের পক্ষেই অবস্থান করি আসলে সুযোগ সন্ধানী যাকে বলে আর কি। কারণ সত্যি বলতে আমার এখনো সেই শক্তি হয়ে উঠেনি যে দিন অথবা রাতের বিরুদ্ধে সত্য জেনেও কোনো প্রতিবাদ করবো তার চেয়ে বরং চুপ করে থাকি নিজের হাড় বাঁচাই। বুঝেনতো ভাইয়া আমিতো আমিই চিকেন হার্ট।
মশাই
গোল বৈঠক শেষ হতে আর কতক্ষণ লাগবে জানেন কিছু?
শুন্য শুন্যালয়
গোল বৈঠক ? 😮
ছাইরাছ হেলাল
গোল হতে যাবে কেন ? চৌকোনা ও হতে পাত্রে ।
মশাই
যাক তাহলে অবশেষে বৈঠক শেষ হল। সবচেয়ে ভাল হতো ভাইয়া যদি সরল রেখার মত টেবিল হত তাতে দু প্রান্তে শুধু দু’জন।
ছাইরাছ হেলাল
রেখার বুঝি দু’প্রান্ত থাকে ?
আগের দিনে তো চার প্রান্ত থাকত বলে শুনেছি ।
মশাই
আগের দিনে আমি ছিলাম নাকি আমি এসেছিতো এই সেদিন ডিজিটাল যুগে।
স্বপ্ন
দর্শক হিসেবে আমিও থাকবো ছাইরাছ হেলাল ভাই । খুলি ফাটার কথা বললেন , দূরে থাকাই উত্তম ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ , নিয়মিত পড়ছেন বলে ।
আচ্ছা আপনিও থাকবেন সাথে ।
সেই যে কবে লিখলেন আর লিখছেন না কেন ?
যা মনে আসে তাই-ই লিখুন ।
ধন্যবাদ দিলাম ।