ভদ্রলোক কিছুক্ষন আগেই প্রথম পর্ব চা খাওয়ার সময়ই জানান দিলেন,
ভাই রে চা দিবেন দুধ চিনি ছাড়া । মিষ্টি যতো কম খাওয়া যায়,
সেই চেস্টাই চালাইতেছি ।
গল্প করতে করতে দুপুরে লাঞ্চের সময় হয়ে এলো।
আমি অনুরোধ জানালাম, ভাই এখানেই লাঞ্চটা না হয় সেরে যান,
আমাদের এই গরীব খানায় ।
উনি রাজী হলেন ।
অফিস ডাইনিং এ গিয়ে বুঝলাম, আজ অর্ধমাসিক ‘ফিসট’ এর দিন।
একটু বেশিই ভালোমন্দের দিন । যাক, মেহমান নিয়ে আসলাম ইজ্জতটা
চওড়া হইল আর একটু – গ্রাহক বলতে কথা ।
বলা বাহুল্য,খাওয়া দাওয়ার মেনু প্রায় সবটাই একটু ‘রিচ’ই বলতে হবে
কিন্তু সুখের কথা এই যে, আমার মেহমান বেজায় খুশী। সেটা বুঝলাম তার তৃপ্তি
সহকারে খাওয়ার এক্সপ্রেসন দেখে ।
খাওয়া শেষে দই – মিষ্টি – কোল্ড ড্রিকংস পর্বও চলল মহা সমারোহে ।
মেহমানও খুশি আমিও খুশি !
খাওয়া শেষে রুমে এসে বসলাম ।
চেয়ারে বসার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম কথাঃ
ব্রাদার, ভালোই খাইলাম-দাইলাম। যেমন রোস্ট পোলাও, তেমন গরু ভুনা ! সত্যি, আপনাদের বাবুর্চির রান্নার হাত চমৎকার ! আর কি বলবো,
ভাগ্যকুলের দই মিষ্টির তো তুলনা নাই !
যাক, এখন দুধ চিনি বাদে এক কাপ চা খাওয়ান ভাইজান ।
মিষ্টি যতো কম খাওয়া যায়… বোঝেনই তো …………….
২০টি মন্তব্য
মেহেরী তাজ
আর কি বলবো,
ভাগ্যকুলের দই মিষ্টির তো তুলনা নাই !
যাক, এখন দুধ চিনি বাদে এক কাপ চা খাওয়ান ভাইজান ।
মিষ্টি যতো কম খাওয়া যায়… বোঝেনই তো ……………. হাসি আর আটকে রাখতে পারলামনা ভাইয়া।
কবীর হুমায়ুন
ঘটনা কিন্তু বাস্তব ! আপনাকে ধন্যবাদ ।
হৃদয়ের স্পন্দন
ভাইয়া আমার চরিত্র নিয়ে লেখলেন কেন? আমি মিষ্টি এক বসায় দুই কেজি খেতে পারি, যদিও চা মানেই চিনি ছাড়া 🙁 ব্যাপার না, আমার মত উজবুক টাইপ একটা ব্যাক্তির দেখা পেলাম আপনার পোষ্টে
শুভ কামনা রইলো
কবীর হুমায়ুন
ভাইরে, সেদিন কি আপনিই আমার অফিসে আসছিলেন নাকি !! হা হা আহ আহ ।। :p :p
তবে আমার ধারণা আমরা সবাই মনের অজান্তেই কম বেশি এই কাজ করে থাকি ।
ছাইরাছ হেলাল
যাক, এখন বেশি দুধ চিনি দিয়ে এক কাপ চা খাওয়ান ভাইজান ।
তবে চা যতো কম খাওয়া যায়… বোঝেনই তো …………….
আমরা এভাবেও পড়তে পারি, ইচ্ছে করলে।
কবীর হুমায়ুন
না, চা না খাইয়া পারুম না ! একটু দুধ না হইলে তো চলেই নাহ , তবে চিনি না থাকলে পাশের বাসা দিয়া আইনা খামু !!!! হা হা হা আহ ।। ধন্যবাদ ছাইরাছ হেলাল ভাই ।
মোঃ মজিবর রহমান
মন ভোজন না পেট ভোজন।
চা পর্ব জম জমাট।
ওয়াও!
কবীর হুমায়ুন
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো ।
শিশির কনা
ঠিকই তো, মিষ্টি দই খেলে সমস্যা নেই। এতে আর চিনি কতটুকু থাকে? সব চিনি থাকে চা এর মধ্যে :p
কবীর হুমায়ুন
দই, মিষ্টি আর মিষ্টি দই – বেশ ফারাক ! হা হা হা হা …। আপনি হাত দিছেন আসল জায়গায় ।
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা হা , হাসতে হাসতে শ্যাষ 🙂
আমাদের পৌরসভার একজন চেয়ারম্যান ছিলেন,
উনি সকালে মিষ্টি দিয়ে পরাটা খেয়ে চিনি ছাড়া চা খেতেন 🙂
কবীর হুমায়ুন
হা হা হা হা …এখন কি খাইতেছেন বিধাতা জানেন !
বনলতা সেন
সাধারণ ঘটনার সাধারণ উপস্থাপনা।
বনলতা সেন
সাধারণ ঘটনার অসাধারণ উপস্থাপনা পড়তে হবে।
লীলাবতী
খুব মজা পেলাম ভাইয়া।
শুন্য শুন্যালয়
ডায়াবেটিস হইলে সবাইরে দেখি আগে চা নিয়া বিপাকে পরে। স্যাকারিন খোঁজে। দুনিয়ার সব চিনি চা এ 🙂
খুব মজা করে লিখেছে ভাইয়া।
অলিভার
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
বন্ধুর পরিবর্তে বন্ধু পাওয়া যায় দুনিয়াতে, একজন মায়ের পরিবর্তে একজন মা কখনোই পাওয়া সম্ভব না।
আল্লাহ উনার মা’কে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন, পাশাপাশি পরিবারকে শোক কাটিয়ে উঠার তৌফিক দান করুন (আমিন)
অলিভার
দুঃখিত, ভুল মন্তব্য দেবার জন্যে। এটি মুলত অন্য একটি পোষ্টে দেবার চেষ্টা করছিলাম।
অলিভার
ডায়াবেটিক রোগে আক্রান্ত রোগীরা এই কাজটা বেশি করে থাকে। সবসময় মুখে মুখে বলতে থাকে মিষ্টি খাবে না, ছোবে না… এই টাইপের কথা। কিন্তু সুযোগ পেলে ঠিকই অল্প হলেও একটু জিভে ছুঁয়ে দেখবে :p
মাঝে মাঝে এমন কারো চুরি করে মিষ্টি খাবার কথা শুনলে আফসোস লাগে। পছন্দের জিনিষটা খেতে পারছে না হতচ্ছাড়া এক রোগের জন্যে।
ঘটনায় বর্ণিত লোকটিও সম্ভবত ডায়াবেটিকসে আক্রান্ত, ডাক্তার চায়ের সাথে চিনি কম খেতে বলেছে বিধায় চায়ের সাথে খাচ্ছে না। বাকি দুধ-দই-মিষ্টি তো একটু আধটু খাওয়া চলেই :p
সঞ্জয় কুমার
মজার পোষ্ট ।