রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে মদিনায় এসে সর্ব প্রথম কুলসুম ইবনুল হিদমের আতিথ্য গ্রহণ করেন। সেখানে তিনি ১৪ দিন অবস্থান করেন। বিশ্বনবি কুলসুম ইবনুল হিদম রাদিয়াল্লাহু আনহুর খেজুর শুকানোর জায়গায় একটি মসজিদ তৈরি করেন। এটি ইসলামের ইতিহাসে মুসলমানদের প্রথম স্থাপনা। যা কুবায় স্থাপিত হয়। এটি ঐতিহাসিক মসজিদে কুবা।
মসজিদে কুবা উম্মতে মুহাম্মাদির সর্ব প্রথম মসজিদ। সম্মান ও মর্যাদার দিক থেকে মসজিদে হারাম, মসজিদে নববি এবং মসসিদে আকসার পরই মসজিদে কুবার স্থান।
অনেক পুরনো ও জীর্ণ হয়ে যাওয়ায় সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে মসজিদটির পুনর্নির্মাণ করা হয়। এই মসজিদ পুনর্নিমাণে পুরো মসজিদে এক ধরনের উন্নতমানের সাদা পাথর ব্যবহার করা হয়।
বর্তমানের যে কুবা মসজিদের স্থাপনা রয়েছে, তা অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। মসজিদটির চার কোনে রয়েছে সুদৃশ্য ৪টি মিনার ও দুই তলা বিশিষ্ট মসজিদে কুবার ছাদে রয়েছে ১টি বড় গম্বুজসহ অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট ৫টি গম্বুজ রয়েছে। তাছাড়া ছাদের অন্য অংশে আছে গম্বুজের মতো ছোটো ছোটো অনেক অবয়ব। চারপাশের খেজুরের বাগান ও বনায়ন মসজিদটির সৌন্দর্য্য কে করে তুলেছে অতুলনীয়
(২/৩) নানা প্রান্ত থেকে মসজিদে কুবায় আগত মুসুল্লীদের গাড়ি এভাবেই মসজিদের আশেপাশে অবস্থান নেয়।
(৪) রাস্তার ওপাশে সবুজ বাগান তারপর মসজিদে কুবা।
(৫) ফুটপাতের পসার।
(৬/৭) মসজিদের মূল প্রবেশ পথ।
(৮) প্রবেশ পথের ডান পাশে ওজু খানা।
(৯) দোতলায় উঠার সিড়ি।
(১০/১১) ভেতরে মুসুল্লীরা নামাজ আদায় করছে।
(১২) অনেকে আবার স্মৃতি ধরে রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত।
(১৩) এই স্থাপনাটার কাছে যাওয়া হয়নি, মনে হচ্ছে পরিচ্ছন্নতার জন্য কিছু বেসিন বসানো রয়েছে এখানে।
(১৪) পিরামিড আকৃতির সবুজ গাছগুলোর পাতা কেটে কিছু একটা লিখা আছে, যা আমি বুঝতে পারিনি।
(১৫/১৬ পিরামিড বনে মুসল্লীদের দেওয়া খাবারের জন্য ঝাঁকে ঝাঁকে জ্বালালী কবুতর উড়ে আসে।
(১৭) আবার কবুতরগুলো সব যখন এক সাথে উড়াল দেয় তখন সেখানে হয়ে উঠে অন্য রকম সৌন্দর্য্য।
(১৮) আশে পাশের এমন সৌন্দর্য্য বেশ চমৎকার।
(১৯/২০) চলে আসার আগে আরো কিছু ক্লিক।
২১টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
এই মসজিদ সম্পর্কে জানা ছিল না,
আপনার মাধ্যমে জানলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ইকরাম ভাই
ছাইরাছ হেলাল
এ মসজিদ নিয়ে জানাশোনা আছে,
ছবি দেখা ভাল লাগল।
কামাল উদ্দিন
শুভেচ্ছা নেবেন হেলাল ভাই
মোঃ মজিবর রহমান
কামাল ভাই আপনি বর্তমানে সোনেলার অন্যতম একজন ছবি ও ভ্রমণ কাহীনি পোস্ট দিয়ে সোনেলার অন্যতম ব্লগার। আপনাকে সালাম। আল্লাহ আপনাকে আরও সুন্দর সুন্দর ছবি ও ভ্রমণ একই সংগে দিয়ে সহযোগি ব্লগারদের জানার ও দেখার সুযোগ দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
মসজিদে কুবা সম্পরকে মাওলানাদের বক্তব্যে শুনেছি। আপনার পোস্টে দেখলাম। অশেষ ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
আপনাদের এমন শুভ কামনা আমার অনেক বেশি প্রয়োজন মজিবর ভাই, আন্তরিক শ্রদ্ধা রইল
মোঃ মজিবর রহমান
আল্লাহর বিশেস রহমত আপনার প্রতি ও আপনার ইচ্ছা আপনার চলার পথ আরো সুন্দর ও সফল হোক। আমিন।
এস.জেড বাবু
অনেক জানলাম-
ভালো লাগল অনেক-
চমৎকার সব ছবিতে আর কথায় শেষ হলো পোষ্ট ।
দারুন লাগে সত্যি।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ বাবু ভাই, আমার সব পোষ্টে আপনার সরব উপস্থিতি অনুপ্রেরণা দেয়।
এস.জেড বাবু
অনেক ভাল লাগে অদেখা দেখতে আর অজানা জানতে।
আপনি তেমন কিছু উপহার দেন নিয়মিত।
শুভেচ্ছা আপনাকেও
কামাল উদ্দিন
😀
নিতাই বাবু
মদিনার মসজিদে কুবা সম্পর্কে অনেককিছু জানা হলো। ছবি আর লেখনীতে একাকার!
শুভেচ্ছা জানবেন।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ দাদা, আপনার প্রতিও রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা
সুরাইয়া পারভিন
কী দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি হাত আপনার! চমৎকার উপস্থাপন
এই প্রথম জানলাম এই কুঁড়া মসজিদ সম্পর্কে।
আপনার কাছাকাছি থাকলে ফটোগ্রাফিটাও শিখে নিতাম
কামাল উদ্দিন
আমার কাছে ফটোগ্রাফি শিখতে আসলে একরাশ হতাশা নিয়েই ফিরতে হবে, ফটোগ্রাফির কোন শিক্ষাই আমার নাই। শুধু যেটুকু সুন্দর লাগে ঐটুকু ছবি তোলার চেষ্টাটাই আমি করি………শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
আকবর হোসেন রবিন
ছবি গুলো অনেক সুন্দর। বিশেষ করে ফুটফাতে পসার নিয়ে বসে থাকার ছবিটা। ইনশাআল্লাহ কখনও সুযোগ হলে এই জায়গায় যাবো।
ধন্যবাদ ভাই, এখানে এই লেখাটা ও ছবি গুলো শেয়ার করার জন্য।
কামাল উদ্দিন
ইচ্ছে থাকলে যাওয়া হয়ে যাবে, শুভ কামনা সব সময়।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ এই কুবা মসজিদ আমায় দেখার ও এখানে নামায পড়ার সুযোগ দিয়েছের। নিয়ম মেনে শনিবার মসজিদে নববি থেকে এখানে গিয়ে দুরাকাত নামাজ পড়লে একটি ওমরা হজের সওয়াব পাওয়া যায়।
আপনার লেখা ও ছবি ভালো লেগেছে। শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
আমারও সেই সুযোগ হয়েছিলো, ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন সব সময়।
মনির হোসেন মমি
এ সব ছবি দর্শনেও অনেক ছওয়াব আপনি সেই কাজটিই করলেন সাথে নিজেও ছওয়াব কামালেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ মমি ভাই, শুভ কামনা জানবেন।