আহ, বাসায় আর ভালো লাগছে না। যাই মতিন মিয়ার সাথে একটু কথা বলে আসি। ওইতো মতিন মিয়া বসে আছে। মুখ দেখে মনে হচ্ছে কিছু একটা খাচ্ছে। যাই ওনার কাছে যাই। কি ব্যাপার মতিন মিয়া কেমন আছেন? এইতো সাজু ভাই ভালোই আছি, আপনি? জ্বি,ভালো। তো কি খাচ্ছেন আপনি মতিন মিয়া। কই কিছুনা তো, কেন? আপনার মুখ তো অবিরত নরছে,তাই বললাম কি খাচ্ছেন। কেন না খাইলে কি মুখ নরানো যায় না? না খাইলে তো কেউ মুখ নোরায় না মতিন মিয়া। তাহলে কথা বলার সময় মুখ নরাচ্ছেন কেন আপনি?
—
জানিনা এই মানুষের মনে সবাসময় কি চলে। যাই হোক, আচ্ছা মতিন মিয়া আপনি বিয়ে কেন করলেন না? কে বলছে আমি বিয়ে করিনি? তাহলে আপনার বউ কই? আমার বউ কোথায় সেটা কি আপনাকে বলতে হবে সাজু ভাই? না,আপনাকে তো কোনদিন মেয়ের সাথে দেখি নি তাই বললাম আর কি। আরে ভাই বিয়ে করছি আমি,তাহলে মেয়ের সাথে থাকবো কেন? না নিয়ে আসেন না কেন? আমরাও একটু ভাবিকে দেখবো। কেন, আপনারা দেখলে কি আমার কোন লাভ হবে?
—
আমি মনে মনে বলছি (এই মানুষটা এমন করে কথা বলে কেন। এই জন্য মনে হয় বউ থাকেনা।) সাজু ভাই,আমার বউ আপনি যা ভাবছেন সে জন্য চলে যায়নি। আমি চমকে উঠলাম। মতিন মিয়া কিভাবে বুজলো আমি এই কথা ভাবছি। আপনি কিভাবে বুজলেন আমি এই কথা ভাবতেছি? আপনি কিভাবে বুজলেন তাহলে সাজু ভাই আমার বউ এই কারনে চলে গেছে।
—
আবার মনে মনে (কি মানুষরে ভাই,সব কথায় রহস্য।) আচ্ছা মতিন মিয়া তুমি সবসময় কি ভাবো? কে বলছে আমি সবসময় ভাবি? আমি বলছি। কই আমি তো একদমই ভাবিনা। তাহলে সারাদিন কি করেন আপনি বসে থেকে? কেন কেউ বসে থাকলে বুঝি সে শুধু ভাবে? না তা না,আসলে আপনাকে দেখলে তা মনে হয়। আমারও মনে হয় সাজু ভাই। কি মনে হয় আপনার? এই যে আপনারা আমাকে নিয়ে এটা ভাবেন। তাহলে বলেন এখন কেন বসে থাকেন সবসময়। যে কোন একটা প্রশ্ন করেন সাজু ভাই। কই,আমি তো একটাই প্রশ্ন করলাম মতিন মিয়া। না আপনি দুইটা প্রশ্ন করছেন,প্রথমত বলছেন আমি কি ভাবি, এরপর বলছেন আমি কেন বসে থাকি।
—
আচ্ছা আপনি কি ভাবেন? এটার উত্তর দিছি আমি। কই দেন নি। সাজু ভাই আপনার মাথার স্ক্রু ঢিলা আছে নাকি। ( এবার আমার মাথা গরম হয়ে গেল) মানে? কি বলতে চাচ্ছেন আপনি? কেন আমি একটু আগেই বললাম না আমি কিছু ভাবিনা, তাও বলছেন আপনি যে আমি কি ভাবি। ( এবার সত্যি একটু লজ্জা পাইলাম,কি অদ্ভুত মানুষ মাইরি)
—
আচ্ছা মতিন মিয়া আপনি এতো জটিল করে কথা বলেন কেন? কই নাতো, কে বলছে আমি জটিল করে কথা বলি? আমার তো তাই মনে হয়। আচ্ছা সাজু ভাই আপনি এতো কৌতুহলী কেন? কে বলছে আমি কৌতুহলী? তাহলে সব কথায় কেন খোজেন কেন?
—
জানি না মতিন মিয়া কেমন মানুষ। সাধারণ কথা গুলোর এমন যুক্তি সে দেয় যার বিকল্প খুজাটাও বোকামি। আজ যাই। আরেকদিন মতিন মিয়ার রহস্য ভাঙ্গাতে আসবো।
চলবে—-
১৮টি মন্তব্য
🎖প্রহেলিকা🎖
বাহ বাহ! মতিন মিয়ার সিরিজ দেখি তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে! চলুক পাঠক হিসেবে সাথেই আছি। মতিন মিয়া চরিত্রটি বৈচিত্র্যময়।
রাফি আরাফাত
Khub vlo lagse😍
শুন্য শুন্যালয়
তুমি, আপনি গুলিয়ে ফেলেছেন। আপনিই মতি মিয়া নন তো? 😉
খুব মজার হচ্ছে পোস্ট। সব রহস্য ভাঙা ঠিকও নয়।
রাফি আরাফাত
😂thanks
ছাইরাছ হেলাল
আর একটু মন দিয়ে লিখুন,
মতিন মিয়া চরিত্রটি একটি নেগেটিভ মেন্টালিটি বহন করে,
যা এখনকার সময়ে আমাদের আশেপাশে হরহামেশাই দেখতে পাই।
রাফি আরাফাত
Dhonnobad
🎖প্রহেলিকা🎖
ব্লগ আসলে ফেইসবুক না, ব্লগীয় অনেক শিষ্টাচার থাকে। বাংলিশে লেখা মন্তব্য দেয়া বা মন্তব্যের জবাব দেয়া সেই শিষ্টাচারবহির্ভূত!
আপনি মন্তব্যের জবাব দেন সেটা খুব ভালো লাগে আমাদের সবারই, যদি বাংলিশে না দিয়ে বাংলায় দেন তাহলে আমাদের আরও বেশি ভালো লাগবে।
শুভ ব্লগিং।
রাফি আরাফাত
আসলে নতুন তো তাই এই বিষয়গুলো আমার অজানা। দয়া করে ক্ষমাসুলভ চোখে দেখেন
🎖প্রহেলিকা🎖
এই যে এখন দেখুন কত সুন্দর দেখাচ্ছে মন্তব্যের জবাবটা। আপনার গ্রহনযোগ্যতার ক্ষমতা একদিন আপনাকে বড় করে তুলবে।
আমরা একে অপরের জন্য। শুভকামনা আপনার জন্য।
রাফি আরাফাত
ধন্যবাদ ভাই। সবাই মিলে ভালো থাকি।
শুন্য শুন্যালয়
জিসান শা ইকরাম ভাইয়া, এই ব্লগের মডারেটর। শুধু তাইনা, মডারেটদের মডারেটর। উনি আপনাকে প্রথম পোস্টেই বলেছেন, চব্বিশ ঘন্টার আগে আপনি দ্বিতীয় পোস্ট দিতে পারবেন না এবং ব্লগের নীতিমালা পড়বার জন্যেও অনুরোধ করেছেন। আপনি তার মন্তব্যের উত্তর দ্যান নি এবং চব্বিশ ঘন্টার আগেই পরবর্তী পোস্ট দিচ্ছেন। এগুলো কী ভাই নতুন আর পুরাতন ব্লগারের ব্যাপার? সমস্যাটা কোথায় জানা দরকার আমাদের। আপনি কি আসলে বুঝতে পারছেন না?
রাফি আরাফাত
কিন্তু ভাই আমিতো ২৪ ঘন্টা পর পর পোস্ট করছি। প্রতিদিন রাত ১২ টার পর পোস্ট করি। এখানে অনিয়মের তো কিছু দেখছিনা??
শুন্য শুন্যালয়
প্রশ্নটা রাত বারোটার পরে নয় ভাইয়া, দুটা পোস্টের মাঝে ২৪ ঘন্টার ব্যবধান। ব্লগাররা যতো বেশী পোস্ট দিবে, ব্লগের জন্য ততোই ভালো, আমরাও আনন্দিত হই। আপনি তো এই ব্লগেরই অংশ হয়ে গেছেন। একটু শুধু নিয়মগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখি, তবেই একটি সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ব্লগ পাবো আমরা। শুভ ব্লগিং।
রাফি আরাফাত
২৪ ঘন্টা পর পরই আমি পোস্ট করি ভাই সত্যি। এইযে কাল ১২ টায় করছি,আজ ১২ টার পর করবো। আমি তো সব নিয়ম মানার চেষ্টা করছি।
তৌহিদ
মতিন মিয়ার চরিত্রটি সমাজে মিশে আছে রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ভালো লাগছে ধারাবাহিক লেখাটি।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
রাফি আরাফাত
ধন্যবাদ
সকাল স্বপ্ন
মতিন মিয়া কে আমার ভাল লেগেছে
ইচ্ছা করতে তার সাথে বসে তিন কাপ চা খাই,
কন কথা হবে না সুধু বসে বসে আকাস বাতাস
আশপাশের সুন্দরতা দেখব,
তারপর সে তার পথে আমি আমার,
লিখা— ভাল লাগা ছুয়ে ছুয়ে
রাফি আরাফাত
দেখি কি করে মতিন মিয়া অবশেষে!