প্রকৃতির নিয়মে ভূ-অভ্যন্তরে সৃষ্ট ভূআলোড়নের কারণে ভূ-পৃষ্ঠের কোনো কোনো অংশ হঠাৎ কেঁপে উঠলে তাকে আমরা বলি ভূমিকম্প৷ এধরনের কম্পন প্রচন্ড,মাঝারি বা মৃদু হতে পারে৷ পৃথিবীতে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৬ হাজার ভূমিকম্প হয়৷ কিন্তু এর বেশিরভাগই মৃদু ভূমিকম্প বলে সাধারণত আমরা অনুভব করি না৷ পৃথিবীর ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে বাংলাদেশ অবস্থিত বলে এদেশে মাঝে মাঝে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়৷আবার অনেক সময়ই সমুদ্রের তলদেশে ভূকম্পন সংঘটিত হয় যাকে সুনামি বলা হয়৷ যদিও বেশিরভাগ সময় স্থলভাগে এর প্রভাব অনুভূত হয় না৷ কিন্তু অনেকসময় সুনামির কারণে প্রচন্ড জলোচ্ছ্বাস হয়।
ভূমিকম্প পরিমাপঃ
যে স্থান বা জায়গায় ভূমিকম্পের উত্পত্তি হয় তাকে এর কেন্দ্র বলে এবং কেন্দ্র থেকে তা ঢেউ বা তরঙ্গের মতো চারদিকে প্রসারিত হয়৷ এধরনের তরঙ্গ সিসমোগ্রাফ (Seismograph) বা ভূকম্পন লিখনযন্ত্রের সাহায্যে মাপা হয়৷ সাধারণত অনেক ভূমিকম্প আমরা অনুভব করি না৷ ভূকম্পন যখন মাত্রাধিক হয় এবং ঘরবাড়ি, দালানকোঠা,গাছপালা ইত্যাদি যখন নড়তে থাকে তখন আমরা অনুভব করি৷
ভূমিকম্পের মাত্রা দু’ভাবে পরিমাপ করা হয়-
১। তীব্রতা (Magnitude)
২।প্রচন্ডতা বা ব্যাপকতা (Intensity)
ভূমিকম্পের তীব্রতা সাধারণত রিখটার স্কেলে মাপা হয়৷ আর রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ এর উপরে উঠলে যথেষ্ট বিপদের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হয়৷
রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা/ তীব্রতা
৫ এর বেশি বিপদের সম্ভবনা
৬ – ৬.ঌ ব্যাপক
৭ – ৭.ঌ ভয়াবহ
৮ বা এর বেশি অত্যন্ত ভয়াবহ।
রিখটার স্কেলের মাত্রা ১ বৃদ্ধি পেলেই ভূকম্পনের মাত্রা ১০ থেকে ৩০ গুণ বেড়ে যায়৷
প্রচন্ডতা বা ব্যাপকতাঃ
ভূমিকম্প হওয়ার পর এর ক্ষয়ক্ষতির মধ্যদিয়ে ব্যপকতাকে মাপা হয়৷ প্রচণ্ডতার দিক দিয়ে একে ভয়াবহ (violent), প্রচন্ড (severe), মাঝারি (moderate), মৃদু (mild) ইত্যাদি ভাগে ভাগ করা হয়৷
বাংলাদেশের ভূমিকম্পপ্রবন এলাকাঃ
বাংলাদেশে ১ঌঌ৩ সালে ভূমিকম্প বলয় মানচিত্র তৈরি হয়েছে৷ সিসমিক রিস্ক জোন হিসাবে বাংলাদেশকে প্রধান তিনটি বলয়ে ভাগ করা হয়েছে৷ বলয়গুলো হলো :
* প্রথম বলয় (প্রলয়ন্কারী ভূমিকম্প) : বান্দরবান, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও রংপুর এই বলয়ে অবস্থিত এবং এই বলয়ে ভূমিকম্পের সম্ভাব্য মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ ধরা হয়েছে৷
* দ্বিতীয় বলয় (বিপদজনক ভূমিকম্প) : ঢাকা, টাঙ্গাইল, বগুড়া, দিনাজপুর, কুমিল্লা ও রাঙ্গামাটি এতে অবস্থিত এবং এখানে ভূমিকম্পের সম্ভাব্য মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ ধরা হয়েছে৷
* তৃতীয় বলয় (লঘু অঞ্চল) : উপরোক্ত এলাকাগুলো ছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকাগুলো যা মোটামুটি নিরাপদ সেগুলো এবলয়ে অবস্থিত৷ এসব অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাব্য মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ এর নিচে ধরা হয়েছে৷
ভূমিকম্প হলে আমাদের যেসব ক্ষতি হতে পারেঃ
আমাদের মনে রাখা দরকার যে, অন্যান্য প্রাকৃতিক দুযোগ যেমন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা ইত্যাদির মতো ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়ার কোনো পদ্ধতি এখনও আবিষ্কৃত হয়নি৷ এটা অত্যন্ত আকস্মিকভাবে ঘটে এবং এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও তুলনামূলকভাবে বেশি৷ ভূমিকম্পের কারণে যেধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে তা হলো :
* বিভিন্ন পাকা ভবন ও ঘরবাড়ির নিচে চাপা পড়ে বহুসংখ্যক মানুষ মৃত্যু বরণ করে,
অনেকে আহত হয় ও পঙ্গু হয়ে যায়৷ ঘরবাড়ির নিচে বহু লোক আটকা পড়ে৷
* ঘরবাড়ি, ধনসম্পদ ও যাতায়াত ব্যবস্থা বিনষ্ট হয়৷
* চুলার আগুনে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হওয়ায়, পেট্রোল-কেরোসিন ইত্যাদি বা রাসায়নিক পদার্থসমূহের মিশ্রণে আগুন লেগে অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয় এবং তাতে বহুসংখ্যক মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়, এমনকি মারাও যায়৷
* গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগী ব্যাপকভাবে মৃত্যুবরণ করে এবং গাছপালা ও ক্ষেতের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়৷
* রাস্তা-ঘাটের ক্ষতি; ব্রিজ-কালভার্ট-সেতু ইত্যাদি ধ্বংস হয় এবং রাস্তা-ঘাটে গাছপালা, লাইটপোস্ট ইত্যাদি পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়৷
* বৈদ্যুতিক তার বিচ্ছিন্ন হয়ে, বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে বা ভেঙ্গে গিয়ে, টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে আলোর স্বল্পতা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার মারাত্মক ক্ষতি হয়৷
* হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে চিকিৎসা ও সেবা কাজ বিঘ্নিত হয় এবং পরিবহণ গাড়ি ও যন্ত্রাদি ধ্বংস হয়ে পরিবহণ ব্যবস্থার মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে৷
* অনেক সময় সমুদ্র উপকূল ও বড় নদী-তীরে জলোচ্ছ্বাস হয়৷
* অনেক সময় নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয় এবং পুকুর, নদী-নালা শুকিয়ে যায়৷
* অনেক সময় উঁচুভূমি ডেবে গিয়ে জলাশয়ে পরিণত হয় এবং মাঠে ফাটল সৃষ্টি হয়৷
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে কি করা যায়?
বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা ভূমিকম্প জোনে অবস্থিত তাই সর্বদা এদেশে ভূমিকম্পের আশন্কা রয়েছে৷ এজন্য আমাদের ভূমিকম্পের ব্যাপারে সচেতন হওয়া দরকার৷ আমরা ভূমিকম্পকে ঠেকাতে না পারলেও এর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারি৷ দুইভাবে এই প্রস্তুতি নেয়া যায়-
১) ব্যক্তিগত ও পারিবারিক পর্যায় এবং
২) সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় ৷
ভূমিকম্প মোকাবেলায় ব্যক্তিগত ও পারিবারিক পর্যায়ে করণীয় পূর্বপ্রস্তুতিসমূহ :
* ভূমিকম্প সম্পর্কে ধারণা করুন;
* আপনার ঘরবাড়ি শক্ত করে তৈরি করুন;
* পুরানো ঘরের খুঁটি ও ভিত মেরামত করুন;
* শক্ত মাটিতে ঘর বা ভবন নির্মাণ করুন৷
* কখনই গর্ত বা নরম মাটির উপর বাড়ি বা ভবন নির্মাণ করবেন না;
* পাকা ভবনের শক্ত ভিত দিন এবং প্রয়োজনে দালান বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীর পরামর্শ প্রহণ করুন৷
* ভবনের উচ্চতা ও লোডের হিসাব অনুযায়ী ভবনের ভিত্তি দিন৷ এমএস রড ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করুন ;
* অবকাঠামোতে রিইনফোর্সড কংক্রিট ব্যবহার করুন;
* আপনার বাড়ি বা ভবনটি পার্শ্ববর্তী বাড়ি বা ভবন থেকে নিরাপদ দূরত্বে নির্মাণ করুন;
* বাড়িতে বৈদ্যুতিক লাইন ও গ্যাস লাইন অত্যন্ত নিরাপদ ও সতর্কভাবে লাগান;
* গ্যাসের চুলা ব্যবহারের পর নিভিয়ে ফেলুন এবং ভূমিকম্পের সময় গ্যাসের চুলা বন্ধ রাখুন কেননা ভূমিকম্পের সময় চুলা উল্টে আগুন ধরে যেতে পারে।
* বাড়িতে সদস্যের সংখ্যানুযায়ী মাথার হেলমেট কিনে রাখুন যাতে ভূমিকম্পের সময় ব্যবহার করা যায়;
* খাট, টেবিল ইত্যাদি শক্ত করে তৈরি করুন যাতে বিপদের সময় তার নিচে আশ্রয় নেওয়া যায়;
* ঘর বা পাকা ভবনের একাধিক দরজা রাখুন যাতে বিপদের সময় দ্রুত বের হওয়া যায়;
* ব্যাটারিচালিত রেডিও, টর্চলাইট ও প্রাথমিক চিকিত্সার সরঞ্জাম হাতের কাছে রাখুন;
* পরিবারের সবাইকে বিদ্যুতের মেইন সুইচ,গ্যাসের চুলা,বাল্ব ইত্যাদি বন্ধ করা শেখান;
* টিনের ঘর হলে চারের টুঁই – এর সাথে কয়েকটি লম্বা ও শক্ত দড়ি বেঁধে রাখুন যাতে প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন;
* ভারী কোনো জিনিস উপরে তুলে না রেখে মেঝের কাছাকাছি রাখুন;
* পরিবারের সকল সদস্যকে ভূমিকম্পের ঝুঁকি ও করণীয় সম্পর্কে অবহিত রাখুন।
* সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে ভূমিকম্প সম্পর্কিত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করুন এবং অপরকেও অংশগ্রহণ করতে বলুন।
ভুমিকম্প হলে যা যা করনীয়ঃ
ঘর হতে যদি বের হতে পারেন-
১. হুড়ো-হুড়ি না করে… সতর্কতার সাথে বের হোন…
২. খোলা স্থানে অবস্থান নিন…
৩. গ্যাস-এর লাইন… ইলেকট্রিসিটি-র লাইন… এ-সব থেকে দূরে থাকুন…
৪. জানালা হতে দূরে থাকুন…
৫. দেয়াল হতে দূরে অবস্থান নিন…
যদি বের না হতে পারেনঃ
১. হুড়ো-হুড়ি করবেন না…
২. ঘরের দরজা খুলে… ঠিক দরজা-র নীচ বরাবর অবস্থান করূন…
৩. গ্যাস-এর চুলা এবং ইলেকট্রিসিটি বন্ধ করে দিন…
৪. জানালা হতে দূরে থাকুন…
৫. কাচঁ-এর জিনিস… যেমনঃ ফুল-দানি / শো-কেস / ড্রেসিং-টেবিল… এ-সব থেকে দূরে থাকুন…
৬. ঘরের যে-কোনো ভারী দ্রব্য… যেমনঃ টেবিল-এর নীচ বরাবর অবস্থান নিতে পারেন…
তথ্য সুত্রঃ বিভিন্ন সাইট এবং ব্লগ।
এসম্পর্কে সোনেলায় প্রকাশিত ব্লগার সঞ্জয় কুমার এর পোষ্ট পড়ুনঃ আপনার ভবনটি কি ভূমিকম্প থেকে নিরাপদ ?
৩২টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
যখন ভূমিকম্প হবে, তখন কি এর একটা কিছুও মনে থাকবে!! 🙁
যে শত শত বাড়ি নড়বড়ে জমিতে তৈরি হয়েই আছে, তাকে আর শক্ত করা যাবেনা রে ভাইয়া। দিনের পর দিন আইন না মেনেই একটার পর একটা বিল্ডিং হচ্ছে, আমরা দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছি। কিছুই হবেনা রে ভাই, এখন শুধুই অপেক্ষার পালা।
বেশ সময়োপযোগী এবং প্রয়োজনীয় পোস্ট দিলেন। অনেক ধন্যবাদ কস্ট করবার জন্য।
ব্লগার সজীব
যে সমস্ত বাড়ি নির্মান করা হয়েছে,তা যদি শক্ত ভাবে নির্মান করা হয়,তাহলে ভয়ের মাত্রা কম।তবে বালি ভরাট করে যে সব হাউজিং করা হয়েছে,তার প্রতিটি বাড়ি ঝুকি পুর্ন।আজ টিভিতে দেখলাম, চিটাগং শহরেই দুই লক্ষ বাড়ি ঝুকি পুর্ন।
আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।
ইমন
ধন্যবাদ। সময়ুপযুগি পোস্টের জন্য। 🙂
ব্লগার সজীব
আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।
খেয়ালী মেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, সবার জানা উচিত ভূমিকম্প/ভূমিকম্পের করণীয়/ভূমিকম্পের ভয়াবহতা/ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি/ভূমিকম্পের সচেতনতা সম্পর্কে….
কিন্তু কথা হলো আমি যে আজ পর্যন্ত ভূমিকম্প টেরই পেলাম না, সচেতন হবো ক্যামনে ;? আমার কি হবে :O
ব্লগার সজীব
জানা থাকুক পরী আপু,অন্যদের বলবেন।আপনি তো লাকি খুব,আজ পর্যন্ত ভূমিকম্প টের পেলেন না 🙂
খেয়ালী মেয়ে
হুমমমম একটু বেশিই লাকি, মৃত্যু এসে ঝাঁকা মারলেও টের পাবো না 🙁
ব্লগার সজীব
পরী আপু,মৃত্যুর কথা এভাবে বলবেন না প্লিজ।আপনাকে আল্লাহ সুস্থ্য সুন্দর দীর্ঘ্য জীবন দান করুন- আমীন
খেয়ালী মেয়ে
আমিন…
ব্লগার সজীব
আমিন……
জিসান শা ইকরাম
এসব জানা উচিৎ আমাদের সবার।
তৃতীয় (লঘু অঞ্চল) বলয়ে আছি 🙂
ভাগ্য অত্যন্ত ভালো যে ঢাকায় কোন বাড়ি করিনি………
ব্লগার সজীব
বরিশাল অঞ্চল প্রায় ঝুঁকি মুক্ত।ভাগ্যবান আপনি 🙂
কৃন্তনিকা
অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট…
ব্লগার সজীব
এসব জেনে রাখা ভালো আপু।
ছাইরাছ হেলাল
৩ নং এ আছি,অতএব শয়নং হট্ট মন্দির।
ব্লগার সজীব
আপনি এবং জিসান ভাইয়া একই জোনে,সৌভাগ্য আপনাদের 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
কোথায় যে থাকি ছন্নছহাড়া দল আমরা।
এখন পেটের সুবাদে ঢাকায়।
পোষ্টের জন্য সাদুবাদ রইল।
ব্লগার সজীব
ঢাকায় আছেন যখন ভুমিকম্প নিয়ে শতর্ক থাকুন ভাইয়া।
স্বপ্ন নীলা
উপকারী পোস্টরে ভাই, কাজে দিবে — অনেক অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
ব্লগার সজীব
নিজে জানুন,অন্যকে জানান আপু।
সীমান্ত উন্মাদ
এমন একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ সজীব ভাই। সৃষ্টিকর্তা সবার মঙ্গল করুন। আমদের যেন এই বিপদে পড়তে না হয়।
শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
ব্লগার সজীব
সৃষ্টিকর্তা সবার মঙ্গল করুন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হুম বিশেজ্ঞ সাহেব আপনার কথাগুলো মনে থাকবে তবে বাড়ী নির্মানে আপনার পরামর্শগুলো কেউ মেনে চলে বলে মনে হয় না।কারন আমরা সবাই বাংলা লিংক দরে সব পেতে করতে বেশ পটু।
ব্লগার সজীব
আমি ইঞ্জিনিয়ার না মনির ভাইয়া।নেট থেকে সব নিয়েছি।আমাদের সবার এমন সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ভুমিকম্পে তৎক্ষনাত করণীয় জানিয়ে লিখাটির জন্য ধন্যবাদ।
ভাবি একবার যদি নেপালের মতো ভুমিকম্প আমাদের এখানে ঘটে কি যে হবে!
ব্লগার সজীব
আমাদের দেশে এমন হলে মারাত্মক অবস্থা হবে আপু,চিন্তাই করা যায় না তা। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবার মঙ্গল করুন।
রিমি রুম্মান
সময়োপযোগী পোষ্ট। জেনে রাখা ভাল। তবে ভুমিকম্পের সময়টাতে মানুষের এসব মনে রাখার মত মানসিক অবস্থা থাকবে কিনা, সেটাই কথা। সৃষ্টিকর্তা সহায় হউন।
ব্লগার সজীব
তা অবশ্য ঠিক আপু,ঐ সময়ে এসব মনে রাখা কঠিন।তবে বাড়ী ১ রবং ২ বলয়ে না করাই ভালো।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাংলাদেশে এই ভূমিকম্প না আসুক।
ব্লগার সজীব
এমন দুর্যোগ হলে আমরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো না।
লীলাবতী
সজীব ভাইয়া এত সুন্দর একটা পোষ্টের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।কিন্তু ভূমিকম্পের সময়ে এসব কিছুই মনে থাকবে না।
ব্লগার সজীব
কার ভাইয়া দেখতে হবে না?সুন্দর পোষ্ট হতেই হবে 🙂 মনে রাখতে হবে আপু।