এক –
ভেঙ্গে ভেঙ্গে একেক শাসক আসে,
জীবনের নিয়ম-নীতিকে আয়ত্তাধীন করতে।
সবকিছুকে ফুলিয়ে-ফাপিয়ে,
এলোমেলোভাবে(অন্যভাবে বলা যায় সবকিছুকে বদলে দিয়ে) অচেনা-অজানাকে ছাপিয়ে দিয়ে
আমায় দেখায়
ভাষার সূক্ষ্ম কারচুপিতে কথার আঁচলে ফুটে ওঠে জারদৌসি অক্ষর।
দুই –
কী তীব্রগম্ভীরতর দিনাতিপাত!
তারিখের গায়ে কোনো শোক নয়,
লেগে থাকে পোষাকী উৎসব।
একেক মাসের,
একেক দিনের,
একেক ঘন্টার সেল্ফিতে বর্ণিত হয় আভিজাত্যপূর্ণ সঞ্চালন
বর্ণমালা সারা গায়ে লেগে থাকে,
কিন্তু আমি বাংলা জানিনা।
হ্যামিল্টন, কানাডা
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ইং।
৩০টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
বান্দা হাজির
নীলাঞ্জনা নীলা
স্বাগতম 🙏
ইঞ্জা
দুর্দান্ত, অনবদ্য লিখণ, মন্ত্রমুগ্ধ হলাম প্রিয় আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া কোথায় থাকেন আজকাল?
লিখা দিন।
ইঞ্জা
আপু আছি তো আপনাদের আশে পাশেই, যাবো আর কই? 😆
নীলাঞ্জনা নীলা
চেষ্টা করবেন নিয়মিত লেখার। যদিও আমি নিজেই অনিয়মিত ভাইয়া।
মাহমুদ আল মেহেদী
নিয়ম পরিবর্তণ হতে পারে কিন্তু নীতির পরিবর্তন হলে, পরিবর্তন হয় সব। আসলেই আপু গল্পের বেলায় আমরা অনেক কিছুই জানি কাজের বেলায় কিছুই না। আর সেলফিতেই আমরা অনেক অভিজাত।
নীলাঞ্জনা নীলা
মন্তব্যের মাধ্যমে কী চমৎকারভাবে প্রতিটি লাইন ভেঙ্গে ভেঙ্গে বুঝিয়ে দিয়েছেন!
অশেষ ধন্যবাদ। অনেক ভালো থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
বেনারসি শাড়ির আচল কিন্তু খারাপ না,
ঠিক বলেছেন, তারিখের গায়ে কিছু লেখা থাকে না। তারিখ ধুয়ে খেলে কিছুই হয় না।
দেশের প্রতি মমতা আর ভাষা-প্রেম তারিখ দিয়ে করা যায় না, হয় ও না।
নীলাঞ্জনা নীলা
বেনারসি আমার মোটেও পছন্দ নয় যে! আমার ভালো লাগে জামদানী, তাঁতের শাড়ী। একটা সাদা জামদানী গিফট পেলে মন্দ হয়না। 😁
ভালোবাসা অন্তরে ধারণ করতে হয়। সেটাই তো করিনা আমরা। শুধু পোষাকের মাধ্যমে জাতীয় দিবসের প্রতি ভালোবাসা দেখাই।
ছাইরাছ হেলাল
শুধু জামদানী!! আরও কত কী দেয়ার জন্য কেউ কেউ ওৎ পেতে আছে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
তাই নাকি? আপনি নামীদামী কবি। এটা তো স্বাভাবিক।
তৌহিদ
শুধু ভাষার ক্ষেত্রে নয় অন্যান্য তারিখ দেখে শাড়ি পরার প্রচলনটা হঠাৎ করেই কেমন উগ্রতা নিয়ে ছড়িয়ে পরছে।☺
সাদা কালো, লালসবুজ না পরলে কি শ্রদ্ধা জানানো যায়না?
নীলাঞ্জনা নীলা
শুধু কি শাড়ী?
শ্রদ্ধাই তো নেই আমাদের। তাইতো দেখিয়েই দেশপ্রেমিকের ভাব ধরি।
তৌহিদ
একদম ঠিক, আমাদের দেশপ্রেমই নেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
সহমতের জন্য কৃতজ্ঞতা।
শুন্য শুন্যালয়
জারদৌসি শব্দের অর্থ কী?
সারা গায়ে বাংলা অক্ষর নিয়েও আমি বাংলা জানিনা। দিনগুলো আজকাল পোষাকী ছাড়া আর কোনভাবেই বেঁচে আছে বলে মনেহয়না। গিনিজ বুকে মানচিত্র বানিয়ে রেকর্ড করলেই যদি দেশপ্রেমিক হওয়া যেতো!
আর বাংলা লেপ্টে নিলেই যদি বাঙালী হওয়া যেতো! সবকিছুই ফ্যাশান এখন।
অল্প কথায় দুটো লেখাতেই সত্য স্পষ্ট করে তুলে দিলে। তুমি ছাড়া কে আর এমন পারে!
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু জারদৌসি হলো কাপড়ে সোনা দিয়ে সূচিকর্মের একটা ধরণ। অবশ্য এখন তো আর সেইভাবে জারদৌসি তৈরী হয়না। এখানে জারদৌসি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আচ্ছা লেখোনা কেন? তোমার লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকি, এটা আর কতোবার বলতে হবে?
নিতাই বাবু
দেশের সব উৎসবই এখন বাহারি পোষাকের উৎসব দাদা। আসছে পহেলা বৈশাখ! এই বৈশাখী মেলায় পোশাক পড়ে কে কার চাইতে বেশি চমক দেখাতে পারবো, সেই প্রতিযোগিতা গত কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে। জয় হোক মানবতার।
নীলাঞ্জনা নীলা
মানবতার জয় কি আর হয় দাদা? যে পরিমাণ টাকা ঢালা হয় পোষাকে, দেশকে ভালোবাসার জন্য যদি সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকতো, তাহলে আমাদের দেশ উন্নত হতো।
ভালো থাকবেন দাদা।
জিসান শা ইকরাম
তারিখের গায়ে কোন শোক নেই,
সব হয়ে গিয়েছে উৎসবের দিন।
ভালো লেগেছে কবিতা দ্বয়,
লেখায় ফিরেছো দেখে আরো ভালো লাগছে।
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা তোমার উৎসাহ দেয়ার ধরণে আমি আপ্লুত হই। তাই তো চেষ্টায় থাকি লিখতে।
অনেক ভালো থেকো।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমরা এখন সব কিছুতেই উৎসব খুঁজে বেড়াই। উৎসব চলে এসেছে আমাদের হাতের মুঠোয়, গায়ে–মনে, কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে। নিত্তনৈমিত্তিক উৎসবের আয়োজনে অনভ্যস্ত উৎসবেরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সেল্ফি–কুলফির আড়ালে। আমরা তাও টের পাই, তাই সেল্ফির ক্যাপশনে লটকিয়ে রাখি তারিখ– দিবসের শোক।
ভালোবাসা নীলাঞ্জনা নীলমন ❤❤
নীলাঞ্জনা নীলা
নীলমন!!! ওই ডাকটা শুধু আমার বাপি ডাকতো। আমি বরং নীলাঞ্জনাই থাকি। 🙂
আপনার নাম আজ থেকে মন্তব্যকন্যা। মন ভরিয়ে দিতে জানেন।🌺🌺
প্রহেলিকা
শুন্য আপু আমার মন্তব্য করে ফেলেছে আমার আগে এসে। বলতে গেলে কপি পেস্ট হয়ে যাবে। ব্যাঙ্গাত্মক কবিতার শ্লেষ খুব সুন্দর করেই ফুটিয়ে তুলেছেন।
“কথার আঁচলে ফুটে ওঠে জারদৌসি অক্ষর।” অদ্ভুত সুন্দর লাইন। মেদহীন শব্দে সত্য সুন্দর করে তুলে ধরলেন। আপনি ছাড়া আর কে পারে এমন করে! (বলেছিলাম শুন্য আপুর মন্তব্য কপি পেস্ট হয়ে যাবে)।
তীব্রগম্ভীরতর??
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো প্রশংসা প্রাপ্য কি আমার? শুন্য আপু আমাকে খুব বেশি ভালোবাসে। তাই যা কিছুই লিখি উৎসাহিত করেই যায়। এখন দেখছি আপনিও ভাইয়া!
হুম তীব্রগম্ভীরতর!! কেন হয়না? না হলে ঠিক করে দিন।
রিমি রুম্মান
নীলা’দি, তোমার ছোট ছোট লেখাগুলো এতো ভালো লাগে ! দু’বার করে পড়ি। ভালোবাসা।
নীলাঞ্জনা নীলা
রিমি আপু আসলে ছোট লেখা খুব কঠিন লাগে আমার। তাই বড়ো হয়ে যায়। এখন থেকে চেষ্টা করবো ছোট লিখতে। কেমন?
অনেক ভালো থেকো।
অপার্থিব
পোষাকী সমাজে তিলে তিলে বাস করা পোষাকী আমাদের গায়ে গায়ে লেগে থাকা বর্ণমালা গুলোও হয়তো কোন পোষাকী উদ্দেশ্য নিয়ে বেঁচে আছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো মনকাড়া মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রেরণা জাগায় লিখতে। 🙏🙏