– ”এদের (ধার্মিকদের) বিরুদ্ধে নতুন ব্লগার প্রজন্মকে তথা নাস্তিকদেরকেই সর্বাধিক ভূমিকা রাখতে হবে।”
– ”নাস্তিক ব্লগারদের কবল হতে ইসলামকে বাঁচাতেই হবে”

আসুন আলোচনা করি এই দুই লাইন নিয়েঃ
প্রথম লাইন একজন ধর্মে অবিশ্বাসী আমরা যাদেরকে নাস্তিক বলি,তেমন একজনের কথা।
দ্বিতীয় লাইন ইসলামকে যারা হেফাজত করেন তাদের কথা।
দুই লাইনের মিল হচ্ছে, ব্লগাররা নাস্তিক। ইসলামে অন্ধ ব্যক্তিদের কথাকে নাস্তিকদের স্বীকৃতি দান। দুই দলের ট্যাগিং এক এবং অভিন্ন।

এই দুই দলকেই অত্যন্ত বলিষ্ট ভাবে বলতে চাই, ব্লগার হতে হলে নাস্তিকতা আবশ্যক নয়।সব ব্লগার নাস্তিক নয়।খুব সামান্য পরিমান ব্লগার আছেন যারা নাস্তিক।আপনারা দুই দল মিলে একই কথা প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন,যার সাথে অধিকাংশ ব্লগারের সংশ্রব নেই।

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের মত আমিও একজন আস্তিক।এদেশের ৫২ এর মহান ভাষা আন্দোলন,৬৯ এর গন আন্দোলন,৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে মুসলমান,হিন্দু,বৌদ্ধ,খৃষ্টান এক হয়ে আন্দোলন,যুদ্ধ করেছেন।কোন ধর্মীয় ভেদাভেদ ছিলনা এসব আন্দোলনে.১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকার গোষ্ঠি মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতের চর,হিন্দু,ইসলামের শত্রু বলে প্রচার করতো।তাদের সে প্রচারে বাঙ্গালী বিভ্রান্ত হয়নি।তাদেরকে পরাজিত করেই বাঙ্গালী যুদ্ধ জয় করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন।

মুলত ৭১ এর পরাজিত শত্রু সমুহ রাজাকারদের বিচার যারা চাচ্ছেন,তাদেরকে ইসলাম ধর্মের প্রতিপক্ষ বানাতে মরিয়া হয়ে থেকেছে সব সময়। তারা মুক্তিযুদ্ধ,মুক্তিযোদ্ধা,মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে ইসলাম বিরোধী প্রমান করার চেষ্টা চালিয়ে এসেছে সেই ৭১ থেকেি।তাদের সেই সুযোগটা আসে শাহাবাগ গনজাগরনের সময়।শাহাবাগে আগত কয়েকজন নাস্তিকের কারনে,তারা সমস্ত ব্লগারগনকে নাস্তিক হিসেবে গন্য করে এবং প্রচারনা চালায়। সামান্য কয়েকজন ব্লগারের কারনে সমস্ত ব্লগারগন নাস্তিক কেন হবেন?
আর এই প্রচারে ইন্দন যোগায় নাস্তিক নামে অভিহিত কিছু ব্লগার।ধর্মীয় উন্মাদনা যাতে আরো বৃদ্ধি পায় একারনে বিভিন্ন ব্লগে ইসলাম বিরোধী প্রচার আরো বেগমান করে। আগুনে ঘি দিলে আগুন আরো বৃদ্ধি পাবেই।এটি দু পক্ষই জানতো এবং দু পক্ষ যেন এক হয়েই তাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌছে যায়।

এসব কথা লিখছি ব্লগার আশিকুর রহমান বাবুর মৃত্যু পরবর্তি প্রতিক্রিয়া থেকে। দেশের নাস্তিকগনের একটি অংশ একটি ইভেন্ট তৈরি করেন মহানবীকে অপমান করার জন্য। যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

যারা অন লাইনে নাস্তিকতা প্রচার করেন,তারা এটিও প্রচার করবেন ” ব্লগার থাবা বাবার মৃত্যুর পরে জানাজা হয়েছিল। ব্লগার ওয়াশিকুর বাবু গ্রামে নিজেদের বাড়িতে গেলে মসজিদে নামাজ পড়তেন এবং তাঁর দাফন ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী হয়েছে।”

উগ্র ধর্মান্ধতা যেমন ক্ষতিকর।
উগ্র নাস্তিকতাও সমান ক্ষতিকর। আর দুটোই একের অপরের সহায়ক।

৫৫৬জন ৫৫৬জন
0 Shares

৩৯টি মন্তব্য

  • মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)

    আমি গর্ব করেই বলব আমি মুসলমান।আর আমি আস্তিক নাস্তিক বুঝি না, আমি বুঝি আমি কেবল মানুষ।ধর্ম আমার জীবন চলার পথ প্রদর্শক।হযরত মোহাম্মদ সঃ আমার আদর্শ তাকে যারা মিথ্যে অপবাদ দেন কিংবা সমালোচনা করেন অবশ্যই এর তীব্র নিন্দা জানাই প্রয়োজনে লড়াই করবো।যারা ধর্ম বিরোধী লিখেন তাদের আমি ঘৃণা করি।
    সুন্দর একটি পোষ্ট দিয়েছেন গুটি কয়েক নাস্তিক ব্লগারের জন্য সব ব্লগাররা নাস্তিক তা ঠিক নয়।

  • আগুন রঙের শিমুল

    ব্লগার ওয়াশিকুর বাবু গ্রামে নিজেদের বাড়িতে গেলে মসজিদে নামাজ পড়তেন এই লাইনটা পইড়া হাসুম না কান্দুম কনফিউজড হৈয়া গেছি দাদা , ফেসবুকে নবী পুন্দন সপ্তাহের উদ্যোক্তা মসজিদে যাইয়া নামাজ পরতাছে ভাবলেই হাসি পাচ্ছে

  • খসড়া

    সবচেয়ে দুঃখজনক বেশিরভাগ মানুষ ব্লগ কি জানে না। তারা যদি দুই একটা পোস্ট পড়েও তবে যে সেও ব্লগার হয়ে গেল এই বোধটাই নেই। মানুষ ভাবে ব্লগার হল অভিনেতা অভিনেত্রী /রাজনীতিবীদ/সাংবাদিক /ডাক্তার /ইঞ্জিনিয়ার এই টাইপ একটা গোষ্ঠী। আসলে যেকোন শিক্ষিত লোকই ডাইরী লেখে। সেই ডাইরীটাই অন্তর্জালে লেখাই ব্লগ তা তারা বোঝে না।
    একজন ফেবুতে লিখেছে ব্লগার এন্টিব্লগার এই শব্দদুটি পড়ে স্ট্যাটাস দাতা যে কত মূর্খ তা তাকে জানাবার ইচ্ছেটাই ফিকে হয়ে যায়।

    • জিসান শা ইকরাম

      ব্লগার শব্দের সাথে মানুষের পরিচয় শাহাবাগ আন্দোলন শুরু হবার সাথে সাথে।
      প্রথমদিকে এটি গর্বের সাথে সবাই উচ্চারন করলেই
      ব্লগার রাজিব এর হত্যা পরবর্তি সময়ে তাঁর লেখার কথা যখন মানুষ জানতে পারে
      তখনই অবস্থাটি পাল্টে যায়
      ব্লগাররা নাস্তিক এটি ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হতে থাকে
      এবং প্রায় প্রতিষ্টিত হয়ে যায়।

      সামান্য কয়েকজন নাস্তিক ব্লগারের কারনে এই ট্যাগিং সম্পুর্নই ভুল।

  • সঞ্জয় কুমার

    উগ্র ধর্মান্ধতা যেমন ক্ষতিকর।
    উগ্র নাস্তিকতাও সমান ক্ষতিকর। আর দুটোই একের অপরের সহায়ক। । । । সম্পূর্ণ সহমত

  • শুন্য শুন্যালয়

    নেগেটিভ কথা যতো সহজে প্রচার আর বিশ্বাসযোগ্যতা পাবে, পজিটিভ তার বিপরীত। জোর করে কারো বিশ্বাস টলানো যাবেনা। উগ্র ধর্মান্ধতা আর নাস্তিকতা দুটাই ভয়ংকর হলেও ধর্মান্ধদের খুন হতে হচ্ছেনা, আর এটাই তাদের প্রচারে সহায়ক হচ্ছে।

  • স্বপ্ন নীলা

    অসাধারণ একটি স্ট্যাটাস যেন আমার মনের কথাটাই বলে দিয়েছে। সব নাস্তিক ব্লগার নন, সব নাস্তিক আবার খারাপও নয়, কিছু নাস্তিক উস্কানীমূলক কথা লিখে শুধুমাত্র ইসলামের বিরুদ্ধে–যেন ওদের জন্মই হয়েছে ইসলামের বিরুদ্ধাচরণ করার জন্য- এদের প্রতি তীব্র ঘৃনা ও করুনা হয় —
    সব ব্লগার নাস্তিক নয় —

  • লীলাবতী

    কাউকে নিশ্চিত না হয়ে নাস্তিক বলা উচিত না,এতে যিনি বলবেন তিনি নাস্তিক হয়ে যাবেন,হাদিসে আছে। আমি আস্তিক, নাস্তিক নয়।

  • ইমন

    খুব ভাল একটা লেখা ছিল এটা .সময় উপযোগী পদক্ষেপ .
    আমি সব সময় যেটা বলি সেটা হছে, মত প্রকাশ করবেন সবাই ঠিক আছে ,কিন্তু পরিমিতিবোধ এবং শালিনতা বজায় রেখে করুণ।
    আমাদের এই দুই ধারনার মানুষদের মাঝে পরিমিতিবোধ এবং শালীনতার ভীষন অভাব . যার কারণে একজনের বক্তব্যের উপস্থাপন ভঙ্গি অন্যজনকে খেপিয়ে তুলতেছে। ফলাফল সংঘাত।
    দুই পক্ষকেই পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হবে। কিভাবে তাদের মতামত মানুষকে আঘাত না দিয়ে প্রকাশ করা যায়।

  • স্বদেশী যোদ্ধা

    ” আমি একজন ব্লগার “- এখন কাউকে ভয়ে একটি কথা বলতে ইচ্ছে করে না । কারণ , বললেই কখন জানি অন্য কেউ বলে বসবে ” আপনি ব্লগার !!!ও আপনি তাহলে ব্লগে লিখেন ? নাস্তিক কোথাকার ,যান এখান থেকে “। আর অমনি ভেবে বসবে আমি নাস্তিক । মূর্খ গাধারা এই প্রশ্ন করলে মেনে নেওয়া যায় ,কিন্তু যদি কোন শিক্ষিত গাধারা এই প্রশ্ন করে তখন কেমন লাগে বলুন ।
    এই শিক্ষিত গাধাগুলোকে কি করে বোঝাবো আমি ব্লগে লিখি তা ঠিক তবে আমি নাস্তিক নই, আমি আস্তিকই বটে । যে সত্যিকারের নিদ্রা জ্ঞাপন করে তাকে জাগানো যায় তবে জেগে থেকে নিদ্রা জ্ঞাপন করে তাদেরকে জাগানো কষ্টসাধ্য । আর এই শিক্ষিত গাধারাই জেগে থেকে নিদ্রা যায় । এদেরকে কি করে বোঝাই বলুন যে আমি নাস্তিক নই আমি আস্তিক ?

  • অনিকেত নন্দিনী

    বছর দুয়েক আগে ফেসবুক বন্ধু তালিকার একজন ইনবক্সে বলেছিল, “আপু আপনাকে কবি বলবো না ব্লগার?”
    এই নিয়ে সামুতে একটা পোস্ট ও দিয়েছিলাম।
    আসলে এরা ঠিকমতন জানেই না ব্লগ কি জিনিস। টিভিতে বা খবরের কাগজে ব্লগার হত্যার খবর দেখে আর লোকমুখে ব্লগ সম্পর্কে আবছা আলাপচারিতা শুনে তাদের বদ্ধমূল ধারণা জন্মে যায় ব্লগ মানেই নাস্তিকতার কারখানা আর ব্লগার মানেই নাস্তিক।

  • সীমান্ত উন্মাদ

    আপনার সাথে একমত জানিয়ে গেলাম।
    আপনার উপস্থাপনাটা সব দিক থেকে যুক্তিযুক্ত হয়েছে।
    আমি কিছু যোগ করি আপনার সাথে, আসলে মামা বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রান, তাই তারা আল্লাহ ডাক শুনলেই সজাগ হয়ে শুনে আল্লাহর নামে কে কি বলছে, কি উদ্দ্যেশ্যে বলছে সেটা না ভেবেই। আর এ কারনেই সাঈদির মত একটা ধর্ষক রাজাকার আমাদের দেশে আল্লামা সাঈদী নাম পায় আর একারনেই সাধারন মানুষকে বুঝানও সহজ হয়েছে ব্লগার মানেই নাস্তিক। যেহেতু উল্টোটা প্রচার করার কেউ নাই।

    এখন আসি ট্যাগিং এর ব্যাপারটা নিয়েঃ মামা ধর্মের নামে যাদের মারা হচ্ছে, তারা আসলে কারা? তারা ব্লগার তাইতো, এখন একটু বিশ্লেষন করলে বুঝা যায় যে যাদের নাস্তিক ট্যাগ দিয়ে মারা হচ্ছে তারা আসলে তাদের ব্লগিং জীবনে কোননা কোন সময় কিংবা সবসময় জামায়াত ও রাজাকার, শিবির, হেফাজত, হুজি, হিজবুত তাহরির এবং অন্যান্য জঙ্গী গুষ্ঠির বিরুদ্ধে এবং মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষে লিখতেন, আবার তাদের লিখায় ধর্ম আর বিজ্ঞান বিষয়ে লিখাও উঠে এসেছে, এটা সত্যি যে তাদের কারো কারো লিখায় ধর্ম নিয়ে উগ্রতাও উঠে এসেছে, যেটা একটা বিশাল অপরাধ হিসেবে গন্য হয় অসাপ্রদায়ীক রাষ্ট্রে, এখন কথা হল রাষ্ট্র শাসন ব্যাবস্থায় এই অপরাধের শাস্তির বিধান আছে, অনেকে শাস্তিও পেয়েছে, কিন্তু সেই অপরাধের জন্য চাপাতির কোপ কেন? যখন এই প্রশ্ন মনে আসে তখন উত্তরটাও সহজ ভাবে চলে আসে আর তা হল রাজাকার এবং তাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে লিখাই তাদের চাপাতির কোপ খাওয়ার এক মাত্র কারন। আসেন আরেকটু গভির চিন্তায় যাই, মামা আমি যেমন জানি আপনিও জানেন যে এমন অনেকেই আছেন যারা ধর্ম নিয়ে এবং ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে অনেক কিছুই লিখেন, যা হত্যার লিষ্টের ব্লগারদের চেয়েও জঘন্য, কিন্তু মজার হল তাদের জন্য চাপাতির কোপ প্রযোজ্য না, কারন তারা এই রাজাকার এবং জঙ্গী গুষ্ঠির জোটের শরীক দলের অনলাইন কর্মী। তাই তাদের কোপের বরাদ্ধ বাতিল।
    ব্লগারদের টেগ দেওয়া কেন সহজঃ প্রথমত বাংলাদেশের এখনও বিশাল একটা অংশের মানুষের অনলাইন সর্বাপরি ব্লগ সম্পর্কে ধারনা নাই। তাই এদের ধর্মের নামে টেগ দিয়ে মারলে বুঝানও সহজ যে আল্লাহকে নিয়ে ধর্মএর বিরুদ্ধে লিখালিখি করে তাই মারা হয়েছে, এতে তাদের আসল উদ্দ্যেশ্য সফল হচ্ছে সহজে।

    মামা আপনার মনে থাকার কথা প্রথম ছাগু ট্যাগ কাকে দেওয়া হয়, হাঁ ত্রিভুজ আলমকে, তখন অনেকেই বুঝেছিল কি কালসাপের সাথে বসবাস ছিল মুক্তির সব-পক্ষের ব্লগারদের কিন্তু কেউ তেমন আমলে নেয় নি, সেদিন ৭১ এর সমিকরনে রুপা আপা দেখিয়ে দিলেন কি পাবলিক এই ব্যাটা। এরকম হাজারো ত্রিভূজ তৈরী করে রেখেছে রাজাকাররা, আজ এতো বছর পর আপনি আমি, আমরা টের পেলাম আমরা ছাগু ট্যাগ যাদের দিয়েছিলাম বিভিন্ন সময়ে আমরা ঠিক ছিলাম। এবং আজো ঠিক আছিই।

    এবার মামা চলেন একটা সুত্র মিলাই(আমি ভুল করলে ঠিক করে দিবেন) ব্লগারদের হত্যাকারী আন্সারুল্লাহ প্রসঙ্গে। এদের আক্রমনের অস্ত্র কি? উত্তর হল চাপাতি, এখন মামা আমরা জানি যে বাংলাদেশে মেজর জিয়া যখন জামায়াতকে এবং তার ছাত্র সংগঠন শিবিরকে পূর্ণবাসন করলো বাংলাদেশে তখন থেকে এখন পর্যন্ত চাপাতি কাদের প্রিয় অস্ত্র? আমার থেকে আপনি আরো ভালো জানবেন উত্তরটা কারন এদের তান্ডব আমার থেকে আপিনি বেশি দেখেছেন বলে। উত্তরটা অনেক সোজা ছাত্র শিবিরের প্রিয় অস্ত্র এই চাপাতি। আন্সারুল্লাহ বাংলা নামটা হল আই ওয়াশ মাত্র। এটা হল হুজির কিলিং টিমের নাম যার প্রমান ফারাবী যে হুজির সক্রিয় সদস্য হিসেবে অনলাইনে হুমকি দানকারী হিসেবে এবারের আগে আরো একবার গ্রেফতার হয়েছিল পুলিশের কাছে। আর অতিতে জেএমবির মত হুজিকে বাংলাদেশে মদদ এবং স্থাপন করছে জামায়াত বিএনপি জোট। এবং শিবির হল এদের পরিচালনা কারী। আর এটা জানা এবং বুঝতে পারার ক্ষমতাটাই ব্লগারদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে আর ব্লগারদের বিরুদ্ধে জারী হচ্ছে একের পর এক মৃত্যু পরয়ানা। আরো অনেক সুত্র আছে যা অন্য আরেকদিন সুযোগ পেলে মতামত আকারে জানাবো।

    পরিশেষে এটাই বলতে চাই আস্তিক নাস্তিক এই তর্ক জামায়াত এবং শিবির লাগিয়েছে এই মূল জায়গায় এখন সবার কথা বলা উচিত। একটা কথা সবাইকে মনে রাখতে অনুরোধ করব, আস্তিক হোক আর নাস্তিক হোক যেই অপরাধ করুক ইসলাম বলে সকল আপরাধের শাস্তি আল্লাহ নিজে দিবেন যেমন ইহকালে ইসলামের বিধান অনুযায়ী যে কোন আপরাধের শাস্তি আল্লাহ দেন রাষ্ট্রের আইন ব্যাবস্থার মাধ্যমে আর পরকালের শাস্তির ব্যাবস্থা তিনি সরাসরি নিজে দিবেন। এখন আমার পরিশেষের শেষ প্রশ্নঃ জামায়াত শিবির, হুজি কিংবা আন্সারুল্লাহ এদের যে নামেই ডাকি না কেন একি রসুনের কোয়ারা কি রাষ্ট্র ব্যাবস্থার দায়িত্বে আছে যে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে শাস্তি দিচ্ছে?? একটু ভেবে দেখুনত এরা ইসলামের কথা বলে ধর্মের দোহাই দেয় কিন্তু নিজেরাই আল্লাহর আদেশ অমান্য করছে কেন? আসলে তাদের উদ্দ্যেশ্য ইসলামি খেলাফতের নামে বাংলাদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা মানে এদেশ কে আবার তাদের পেয়ারা পাকিস্তান বানানুর ধান্দা করে নিজেদের ফায়দা লুটার ব্যাবস্থা করছে।

    সরি মামা মন্তব্যে পুরা একটা পোষ্টই হয়ত লিখে ফেললাম এতো বড় মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

    আপনি অনেক অনেক ভালো থাকবেন। শুভকামনা নিরন্তর।

    • জিসান শা ইকরাম

      মন্তব্যটিই একটি পোষ্ট হতে পারতো।
      রাজাকার জামায়াত শিবির অত্যন্ত কৌশলে এটি ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছে যে,যুদ্ধাপরাধী বিচার দাবী এটা নাস্তিকতা। ব্লগাররা নাস্তিক,মুক্ত চিন্তার মানুষ সব নাস্তিক।মুক্তি যুদ্ধের সপক্ষ শক্তির প্রচার কৌশল দুর্বল এবং তারা সব অপরিপক্ক।এই সুযোগে রাজাকাররা হয়ে গিয়েছে সব ইসলামের সেবক।রাজাকারদের বিচার কৌশলে এরা ইসলামের বিরুদ্ধ একটি কাজ বলে প্রচার করতে সক্ষম হয়েছে।
      সামুতে যখন ছিলাম নাস্তিক ট্যাগ আমার কপালেও জুটেছিল 🙂

      • সীমান্ত উন্মাদ

        সেইটা আমি জানি খুব ভালো করে। যারা দিয়েছে তারা এখনো বেশ কিছু সক্রিয় আছে। তবে অনেকগুলো ধোপে না টিকে কটও খাইছে পরে। আর তাদের মাঝে মাঝের বান্ধুবী এখনো দু একটা দুষ্ট পালে হিট লুটের আশায় ইহা এখনও চলমান আছে। এখন আবার সাথে বাগী যুক্ত হইছে। কারন মামা আপনিতো জানেনই নতুন করে আর কি বলব, তবু বলিঃ সামাজিক ব্যাবসা একটা ভালো ব্যাবসা।:p

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ