বেড়
সিদ্ধ তোমার ঘ্রাণ শরীর
তুমি কাঁচ বিন্দুতে দেখো তোমার বুকের বেদন।
বৃক্ষ যদি পুরুষ নারী হবে লতা
নিবিড় বেড় যদি তোমার কামনা
তবু দিবারাত্রির একই বৃত্ত বলয়– কখনো তো মন উড়ু
ঝড়ো হাওয়ায় পিছে ফেলা দিনগুলি উঁকি দিয়ে যায়
যত হোক ঝরা পাতার শুকনো বাকল শরীর,
সোনালী স্পর্শ ঘের স্বর্ণ লতার বাহুডোর,
আবার আলিঙ্গন কাম্য–
যত হোক তোমার প্রহরা,
ছিঁড়ে যেতে চাওয়া তোমার শিকল বেড়।
যখন
যখন চৈত্রের রোদ্দুরে
মাটি ফেটে চৌচির,তৃষ্ণার্ত বুক
উদাম শুয়ে আছে হুতাশ বাতাস,
তোমায় ডাক দিই আষাঢ়।
শ্রাবণের ধারা ঝড়,ঝর ঝর প্লাবনের নেশা
নদীর মাতন,তখন ভাদ্র তোমায় ডেকে নিই।
সোনালী রোদের ঝাঁকে শিউলির প্রাণ,
আকাশের শারদ মেঘ এতি উতি ধেয়ে যায়
কাশফুলের দোদুল দোলনে মিশে গেছে আকাশ,
শরৎ শিশিরে ভেজা সবুজ ঘাস,মখমল হেঁটে চলা আনন্দ,
তখনই কানে আসে মৃদুল সে ধ্বনি–আগমনী স্বর!
৮টি মন্তব্য
খসড়া
দুটি কবিতা ঈ চমতকার।
তাপসকিরণ রায়
অনেক ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক দিন পর পর দাদার চমৎকার কবিতা পড়ার সুযোগ পাই.
অনেক ধন্যবাদ.
তাপসকিরণ রায়
চমৎকার,শব্দ শুনে খুব ভাল লাগল–অনেক ধন্যবাদ রইল।
মশাই
দুটি কাব্যেই শব্দ চয়ন এবং আবহ অসাধারণ হয়েছে। শুভেচ্ছা জানবেন -{@
তাপসকিরণ রায়
অসাধারণ,শুনলে কার না ভাল লাগে ! আন্তরিক ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
জোড়া কবিতায় অনেক ভালোলাগা।
তাপসকিরণ রায়
অনেক ধন্যবাদ রইল,ভাই !