অনেক কিছুর মত এই কিছুটাও জমা থাক . . .
জমা থাক একলা রাতে,
জমা থাক চায়ের কাপে,
জমে থাক ঝরে পড়া পাতার সংগোপনে,
জমে থাক রাত জাগা নীল জোনাকির বুকে ।
জমে থাক মায়াবী চাঁদের স্নিগ্ধতায়,
জমে থাক স্বপ্নের অপরিপূর্ণ রঙ্গে ,
জমে থাক ধুসর আঁধারে ,
জমে থাক সচ্ছ ধ্রুবতারায় ।
জমে থাক একাকিত্বের ছোয়ায়,
জমে থাক শূণ্যতার বুকে ।
জমে থাক মরুভূমির বালুচরে ,
জমে থাক অসচ্ছ আয়নায় ।
জমে থাক অশরীরীর ছায়ায়,জমে থাক মেঘের মায়ায় !
জমে থাক দৃষ্টির নিরালায়,
জমে থাক সাদা আকাশে !!
জমে থাক দ্বীর্ঘশ্বাসে ,
জমে থাক নির্ঘুম ক্লান্ত চোখে,
জমে থাক কপালের টিপে, জমে থাক সিথীর সিদুরে,
জমে থাক বিষের উন্মুক্ত পাত্রে ।
অনেক কিছুর মত এই কিছুটাও জমিয়ে রেখো যত্ন করে আগলে রেখে ,,,,,
আমি একদিন …..
কোন একদিন ফেরত নিতে আসব ,,
শুধু ততোধিন তোমার কাছে জমা থাক আমার সমস্ত কিছু ।
সকল অভিমান . . . .
২২টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
আপনার পোস্ট দুবার করে আসে কেমন করে? যাদু জানেন নাকি? 🙂
কবিতা সুন্দর হয়েছে। অন্যের অভিমান জমা রাখবার মতো জায়গার বড়ই অভাব। নিজের কাছেই তা যত্নে রাখুন। মানুষ যতোই স্বার্থপর হোক, নিজের কাছেই সে সবচেয়ে অবহেলিত।
কৃষ্ণমানব
আরে না , যাদু জানি না ।
যাদু জানলে বেজায়
মজা হত ।
টাইপ হয়ত দুবার পড়ছে ।
দেখি রিমোভ করার সিষ্টেম আছে কিনা ।
লীলাবতী
দুঃখ জমা রাখার এত জায়গা? ভালো লিখেছেন বৃষ্টি বালক 🙂
কৃষ্ণমানব
আকাশ থেকে যখন অজর ধারায় বৃষ্টি ঝরতে থাকে , তখন সে কিন্তু সবাইকে সিক্ত করে ! :v
ধরিত্রীর সর্বাঙ্গে তার শীতলতা ছড়িয়ে দেয় ।
জমা রাখার জায়গার অভাব নেই ।
লীলাবতী আপু 🙂
জিসান শা ইকরাম
সুন্দর
খেয়ালী মেয়ে
অনেক কিছুর মত এই কিছুটাও জমিয়ে রেখো যত্ন করে আগলে রেখে ,,,,,
দারুন লিখেছেন (y)
কৃষ্ণমানব
এক জোড়া ধন্যেপাতা :p .. . .
খেয়ালী মেয়ে
ব্লগার সজীব
আপনি তো বেশ ভালো লেখেন 🙂
কৃষ্ণমানব
স্বাগতম 😀 ।
ঐ আর কি , ,
টুকিটাকি !
ধীরে ধীরে শুধরে যাবে । 🙂 সজীব ভাইয়া
বন্য
বিন্দু বিন্দু করুনার মত সকল স্তরেই যদি জমা করে রাখেন তাহলে ম্লান হবে না এই ক্ষুদ্র অভিযাত্রা? দ্বিতীয় বার আসা যাবে এমন কোন চুক্তি হয়েছে কি আদৌ?
কৃষ্ণমানব
প্রথমবারের স্পর্শেই ভয়াবহে ভাবে আলোড়িত করেছে ।
না জানি দ্বিতীয়বারে মৃত্যুর সুধা পান করায় 🙂 ।
তখন যে করুনার গ্লানি বেশী দুর বয়ে বেড়াতে পারবোনা ।
বন্য ভাইয়া
বন্য
এক জীবনে হাজারো মৃত্যু আসে প্রতিদিনই আসে খেয়ালে বেখায়ালে কিন্তু আবার আসা যাবেতো দ্বিতীয়বার এই বৃত্তে? এভাবে জমা রেখে ভরিয়ে রাখার কি দরকার? ভাসানো যায় না?
কৃষ্ণমানব
হুম । যায় হয়তবা ।
কে নেয় কার খোজ ?
মৃত্যু হিমশীতলতা প্রত্যেকের হৃদয়কে স্পর্শ করে 🙂 !
এক শূণ্য থেকে শুরু হয়
অতঃপর মহাশূণ্যেই বিলীন হয় ।
ভাসিয়ে না হয় দিলাম ।
হাওয়ার সংপর্শে না হয় এগিয়ে গেল !
কিন্তু কে অপর প্রান্তের অপেক্ষায় থাকবে ?
কেউ না !
কেউ না ।
কারো জন্যে কারো জীবন থেমে থাকেণা ।
কখনোই না ।
হয়ত জীবনের রঙ্গে সাময়িক পরিবর্তনের ছোয়া লাগে ।
বন্য
এই পরিবর্তনটাই কি জরুরী নয়? অপরপ্রান্তে কেউ যদিও নাও থাকে দিকভ্রান্ত বাতাসও কিন্তু বয়ে নিয়ে যাতে পারে এই ভার। কিন্তু এই বাতাসকে বন্ধু ভাবার মতোও কেউ নেই, নিঃশ্বাসের জড়তা নাকের নোলক করে যে বাতাস তার খবরই বা কে রাখে? দ্বিপদের কেউ আর কারো খোজ রাখে না তা মানি।
ছাইরাছ হেলাল
বেশি জমা হয়ে গেলে যক্ষের ধন হয়ে যেতে পারে।
দেখবেন, রাতের অন্ধকারে ‘জমাটি’ আবার পালিয়ে না যায়।
হৃদয়ের স্পন্দন
দুঃখ রাখার জায়গা ছিলোনা আমার, হয়তো দুঃখ জমিয়ে রাখার জায়গা খুজে পেলাম
মোঃ মজিবর রহমান
রাখলাম
জমা।
ভাল লিখেছেন।
কৃষ্ণমানব
হুম . . . ধন্যবাদ
মোঃ মজিবর রহমান
হুম।
বনলতা সেন
জমার নীচে চাপা পড়ে যাবেন মনে হচ্ছে।
কৃষ্ণমানব
হয়ত , হয়তবা !
দ্বীর্ঘশ্বাসের অতলে চাপা পড়ছে !
অন্ধকার ঘোরে হারিয়ে গেলেও খোজার কেউ থাকবে না ।
অলিভার
জমতে থাকুক ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতির অভিমান গুলি। তবে অনেক বেশি যাতে জমা না হয়ে যায়। তখন এইসব অভিমানের ভেতরেই ভালোবাসাটাকে খুঁজে নিতে কষ্ট হবে। কিছু অভিমান সময়ের সাথেই হারিয়ে যাক দিগন্তে।
শুভকামনা রইলো 🙂