অঝোর-বৃষ্টিকে এবার বিদায় বলার কথা ভাবি,
ভাবতে ভাবতে বলেই ফেলি, বৃষ্টিও আমাকে;
এ ও কে বলি, ও ও আমাকে বলে,
বলাবলি চালু থাকে।
ও একটু বেশি-বেশিই বলে,
আমি বলি-না।
শুধুই ডাকি, বিদায়ের ডাক।
বলা-বলি, কওয়া-কওয়ির শেষের পাশ-সীমান্তে দাঁড়িয়ে
শৈশবি বাতাসে কিসের যেন গন্ধ খুঁজে পাই
বুকের গভীরে অনেকটা জায়গা জুড়ে;
গড়িয়ে পড়া ভেজা-কাঁচের ওপাশ থেকে
বৃষ্টিকে ঘরে তুলে আনি আলতো করে,
নমিত উচ্চারণে, অন্ধকারের বাতি নিভিয়ে
আধো আলোতে;
আমরা ভিজতে থাকি, অবিরাম ভিজি,
কাতার-বন্দি হয়ে ভিজতেই থাকি;
চেনা-চেনা চেনা-জানা শরীরে, শরীরী চিৎকারে;
২০টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
দারুন অভিরুচি। মনের কথা গুলি লিখে ফেললেন অবলিলায়।
শৈশবি বাতাসে কিসের যেন গন্ধ খুঁজে পাই
বুকের গভীরে অনেকটা জায়গা জুড়ে;
ভাললাগা রেখে গেলাম।
ছাইরাছ হেলাল
হুম, মনের কথাই তো লিখতে চাই,
পারছি কৈ!!
ভাল থাকুন।
মোঃ মজিবর রহমান
লিখুন ভাই পড়ি সময়ে সময়ে। ভালো থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
পড়বেন বলেই তো লিখি, ভাই।
আপনিও ভাল থাকবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
শিশিরের শব্দের মতো নিশ্চুপ জীবন কাটিয়ে দেয়ার ইচ্ছে নেই আমার।
বৃষ্টি হতে চাই।—লিখেছিলাম। মন্তব্যে দিয়ে দিলাম। কবিতার সাথে না গেলেও কিছু করার নেই। বড়ো কঠিন মন্তব্য দেয়া।
ছাইরাছ হেলাল
না যাওনের কিচ্ছু নেই,
কৈ সে লেখা! দেখতে চাই।
আপনার স্বর্নহস্তে কোন কিছুই কঠিন না।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি কি জানি কই সে লেখা? মনে হয় কৈ মাছে খাইয়া গেছে। :ড \|/
ছাইরাছ হেলাল
এ ভাবে আমাদের ঠকানো চলিবেক না;
মৌনতা রিতু
বৃষ্টির স্নান শেষে সুপারি ফুল তার সুরভি ছড়িয়ে দেয়।জানলার গ্লাস ভেদ করে সে সুরভি আমার সারা ঘর জুড়ে। এ যেনো কি এক মায়া! সুপারি ফুল। ভেবেছি কোনো কবিতার নাম দিব সুপারি ফুল।
দেখুন তো শৈশবের সে ঘ্রাণ সুপারি ফুলের কিনা?
কবিতা কিন্তু আমায় দিয়ে দিলো। আজ দময়ন্তীর সাথে তবে হোক সুপারি ফুলের সখ্যতা।
ছাইরাছ হেলাল
অতি অতি দ্রুত সে সখ্যতার ভাগ আমাদের দিয়ে দিন;
আপনি যেখানেই হাত দেবেন সেটাই ফুল হয়ে ফুটবে।
জিসান শা ইকরাম
বৃষ্টি ভুতে পেয়েছে মনে হয় আপনাকে,
ভুত যদি সুন্দর সৃষ্টি করে তো বৃষ্টিই চলুক (y)
ছাইরাছ হেলাল
ভুত না বরং ডাইনী বলতে পারেন!
ভাল মন্দ জানিনে তবে কড়া কিছু আসিতেছে!!
জিসান শা ইকরাম
বেশী কড়া হইলে সহ্য করতে পারুমতো আমরা?
খেয়াল কৈরা
ছাইরাছ হেলাল
আইচ্ছা! ঠান্ডা ঠাণ্ডা হবে।
শুন্য শুন্যালয়
এটা কি বিদায়ী ভালোবাসা? নাকি বিদায় বলে কিছু নেই, সবটাই আসা, ফিরে ফিরে আসা?
অন্ধকারের বাতি বলে কিছু ছিল কিনা জানিনা, তবে এখন আছে দেখতে পাচ্ছি।
অনেক কথোকথার ভিড়ে বুকের ভেতরের হাহাকার ভালো ভাবেই লিখেছেন ভাউ।
এবার কি তবে বৃষ্টি ম্যাম? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, এই তো ঠিক বমালে ধরে ফেলেছেন।
ভালবাসায় বিদায় বলে কিচ্ছু নেই, শুধুই ফিরে ফিরে আসা।
আপনি তো দেখছি এক্সরে নিয়ে বসে আছেন। তাতে বুক-ফুক বাদ বান পর্যন্ত ফকফকা!!
ঐ হাহাকারটুকুই পুঁজি, ভাইয়া;
অবশ্যই বৃষ্টি ম্যামকে পাবেন! এবং আজই!!
আদেশ করেছেন মোর গুরুজন!!
শুন্য শুন্যালয়
এক্সরে তে সবকিছু ধরা পড়েনা। 🙂
এমআরআই লাগবে, বুঝছেন? ভেজাভেজি শেষ হলে সর্দিকাশি নিয়ে কিছু লিখে ফেলুন। আদা, লেবু চা, সাথে জিহ্বা পোড়ানো ঝালমুড়ি। এই কবিতাটা কিন্তু ভালো ছিলো। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
‘এই কবিতাটা কিন্তু ভালো ছিলো’
শান্তি-শান্তি লাগিল।
আপনার চৌক্ষের কাছে এক্সরে এমআরই সব ফেল।
লিখলাম, দেখুন কিছু হলো কীনা!!
খসড়া
সবে মাত্র আষাঢ় শেষ, শ্রাবণ নব যৌবনা, এরপর আসবে ভাদ্র আশ্বিনা তবেই না ছুটি।।
ছাইরাছ হেলাল
খসড়া ভাইয়া এক বৃষ্টিতেই কুপোকাত,
তারপর এত্তগুলো!! সৈবে তো!!
আপনাকে কিন্তু পাচ্ছি না, আমাদের সোনেলার জন্য সামান্য কিছু বরাদ্দ রাখুন।
অনেকদিন পর হলেও আনন্দিত হচ্ছি।