আমার পড়া পৃথিবীর সব চেয়ে রোমান্টিক ইতিহাস।পৃথিবীর রোমান্টিক ইতিহাসে ট্রয় নগরী ধ্বংস হয়েছিলো প্রেমিকা হেলেন এর কারনে,ইউসুফ-জুলেখা,লাইলা-মজনু,শিরি-ফরহাদ,শাহজাহান-মমতাজ প্রমুখ আরো অনেক ইতিহাসখ্যাত নাম আমরা সাধারত মুখে মুখে শুনি বা জানি কিন্তু বিশ্বে আরো এক জুটির প্রেমের ইতিহাস হয়তো আমরা অনেকেই জানি না।জানলেও হিরোর নামটি জানি একজন বিশ্বখ্যাত ঘৃণিত ব্যাক্তি হলেও তার প্রথম প্রেম,প্রথম হিরোইন এর নামটি আমরা অনেকেই জানি না।তেমনি এক জগৎ বিখ্যাত রোমান্টিক জুটির ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত কাহিনী তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
১৯০৬ সালের কথা।ভিয়েনা শহরে এক ধনাঢ্য ব্যাবসায়ীর অপূর্ব রূপবতী ১৬ বছরের এক কন্যার নাম “স্টেফানি ইসাক”।শহরে যাতায়াতের পথে ফুটপাতের আকিঁয়ে এক চিত্রশিল্পীকে বিভিন্ন পোর্ট্রেট আকঁতে দেখে তিনিও তার পোর্ট্রেট একেঁ দেয়ার শখ জানালে শিল্পী তার ছবিটি একেঁ দিলেন।কিন্তু শিল্পী মেয়েটির রূপ দেখে মুগ্ধ হয়ে মেয়েটির প্রেমে পড়ে গেলেন।শিল্পীর মন বেশ রোমান্টিক ও আবেগী হওয়ায় মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে মেয়েটি হ্যা বা না কিছুই বলল না কিন্তু শিল্পীর চোখ ফাকি দেয়া সহজ নয়,সেদিন মেয়েটি মুখে কিছু না বললেও তার চোখ মুখের ভাষা পজিটিভ বুঝতে তার একটুও সময় লাগল না।
তারপর শিল্পী মেয়েটির বিশার ঊচু দেয়ালের প্রাসাদের নীচে মেয়েটিকে এক পলক দেখতে রোজ দাড়িয়ে থাকতেন।যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে শিল্পী তার মায়ের দেয়া শেষ উপহার বিশ্বস্ত এক কুকুরকে বেছে নিলেন।যে মায়ের সাথে আর কখনো শিল্পীর দেখা হয়নি তার আগেই তারঁ মা পরলোকগত হন।তার এই কুকুরটি এক সময় বিশ্বে বেশ স্বরণীয় হয়ে যায়। কুকুরটির উইকি পেইজ বিশ্বে বহু জনপ্রিয় ব্যাক্তিদের পেইজ এ সংখ্যায় ছাড়িয়ে যায়।
সেই আনুগত্য কুকুরটির মুখে গুজে দিতেন মেয়েটির জন্য প্রেমপত্র। প্রভু ভক্ত কুকুরটি সেই চিঠি নিয়ে মেয়েটিকে দিয়ে উত্তর নিয়ে আসত।এ ভাবেই চলছিলো তাদের প্রেমকাহিনী।কিন্তু এক সময় তা মেয়েটির পরিবার জানতে পারেন। ছেলেটির সম্পর্কে খোজঁ খবর নিয়ে জানতে পারলেন প্রেমিক শিল্পীর জগতে চাল চুলো বলে কিছুই নেই অনেটা অনাথ।শুধু শহরে রাস্তার পাশে ছবিঁ একেঁ বেড়ান।মাঝে মাঝে দুচার পয়সা নিয়ে সেই টাকায় কোন মতে জীবন চালায়।যদিও তার ইচ্ছে ছিলো সেই শহরে ফাইন আর্টস স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হবেন কিন্তু যে কোন কারনেই তা আর হয়ে উঠেনি।মেয়ের সূখের কথা চিন্তা করে মেয়েটির বাবা মা তাদের প্রেমে বাধাঁ হয়ে দাড়ায়।প্রেমে বাধা দেয়ার আরেকটি অন্যতম কারন হল মেয়ের পরিবার ইহুদী হওয়া।
কোন একদিন শিল্পীর প্রভু ভক্ত কুকুরটিকে প্রেম পত্র দিয়ে মেয়েটির বাড়ীতে প্রবেশ করালে তা আর ফিরে আসেনি।সেদিন সে সারা রাত্র মেয়েটির বাড়ীর পাশেই কুকুরটির আসার অপেক্ষায় জেগে রাত কাটালেন। পরদিন সকালে বাড়ীর বাহিরে কুকুরটিকে মৃত অবস্থায় পড়ে দেখতে পায়।নির্মম ভাবে কুকুরটিকে মারেন।দৌড়ে কুকুরটিকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে শিল্পী।সেদিন সেই যে সেখান হতে প্রেমে ব্যার্থতা আর প্রিয় কুকুরটির মৃত্যুর শোক বহন করে ফিরে গেলেন যেই পথ হতে আর কখনো সে ফিরে আসেননি।
এতোক্ষণ যে অমর প্রেমের ইতিহাস বলে গেলাম সে আর কেউ নয় জগৎ বিখ্যাত যে যে ভাবেই ভাবুক সে হলেন
এডলফ হিটলার।সম্ভবত বা অনেকে মনে করেন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় হিটলর যে ৬৩ লাখ ইহুদী হত্যা করেছিলো ব্যার্থ প্রেম আর কুকুরটিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসাবে।
তথ্য ও ছবি.
অনলাইন
৩৫টি মন্তব্য
কামাল উদ্দিন
বলেন কি! নিজের প্রেম আর কুকুর হত্যার প্রতিশোধ নইতে এতোগুলো মানুষ হত্যা??
তবে তার প্রেম কাহিনী সত্যিই মনে দাগ কাটার মতো………..ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম মমি ভাই।
মনির হোসেন মমি
জি ভাইজান।বিষজ্ঞদের অনেকের ধারণা এমনটিই।ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
আপনাকেও ধন্যবাদ।
বন্যা লিপি
জানার আছে বহুত কিছু। প্রেম এবং প্রিয় প্রভূভক্ত কুকুরের বিরহে প্রতিহিংসা হিসেবে যে বিশ্বসেরা ঘৃনিত কাজের স্বাক্ষর রেখে যেতে পারেন….. এক কথায় তাঁন নাম উচ্চারন, এডলফ হিটলার! খুবই ভালো তথ্যবহুল পোস্ট। ভালো লাগা।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপু।
রেজওয়ান
প্রেম সব সময়ই অমর❤ভালবাসার জন্য জীবন নিতেও পারে আবার দিতেও পারে এটাই তার প্রমাণ😇ভালবাসা নিবেন ভাইজান🤘
মনির হোসেন মমি
ভাল থাকবেন দুজনেই।শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
কি কারনে মেরেছেন ইহুদি আমার জানা নাই। বাট হিটলার বলেছেন যে কিছু ইহুদি রেখে গেলাম ভবিতশত প্রজন্ম জানবে ইহুদি কত খারাপ। আমরা তাও দেখছি। তবে প্রেমের জন্য সব হই এটা ও হতে পারে।
মনির হোসেন মমি
তাহলে বুঝতেই পারছেন কতটা প্রেম পাগল ছিলেন হিটলার। ধন্যবাদ ভাইজান।
মোঃ মজিবর রহমান
এই প্রেমের কাহিনী বিশ্বে হাজার হাজার আছে গল্প বা মৌখিক। এই ভালবাসায় ডুবেছে অনেকে। করেছে ও অনেকে ভাল কিংবা মন্দ।
সঞ্জয় মালাকার
নিজের প্রেম আর কুকুর হত্যার প্রতিশোধ নইতে এতোগুলো মানুষ হত্যা??
প্রেম অমর,
ভালবাসার জন্য জীবন নিতেও পারে আবার দিতেও পারে এটাই তার প্রমাণ।শ্রদ্ধে ভাইজান ভালোবাসা নিবেন।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ দাদা।
অনন্য অর্ণব
গল্পটা ফেসবুকে আগেও পড়েছি। এডলফ হিটলারের জীবনীতে এ রকম পড়েছি বলে মনে পড়ে না। তবে যদি এমন কিছু ঘটেই থাকে তবুও হিটলারের প্রতি আমার ভালবাসা কমবে না। কারণ সে আমার আইডল। আই লাভ হিম সো মাচ।
মনির হোসেন মমি
নিন দেখে নিন https://newsinside24.com/%E0%A6%8F%E0%A6%A1%E0%A6%B2%E0%A6%AB-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AE/
এ ছাড়াও নেপোলিয়নের ট্রয় নগরীর ধ্বংসের ইতিহাসতো জানেনই।প্রেমের জন্য মানুষ কি না করতে পারেন।হিটলারে বয়স যখন ১৮/১৯ তখনকার ঘটনা এটি। ধন্যবাদ।
তৌহিদ
হিটলারের প্রেম কাহিনী বিষদভাবে জানলাম। লেখার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইজান।
রেজিনা আহমেদ
ভালোবাসা এবং যুদ্ধে সব কিছু করা জায়েজ এটা সব সময় প্রমাণিত হয়েছে,,
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপু।
শিরিন হক
যুগে যুগে হয়েছে যত অনাসৃষ্টি তার পেছনে প্রেমের রয়েছে গোপোন কাহিনী।প্রেম অমর হয়ে থাক।
ভালোথাকবেন
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপু।ভাল থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
এ মর্মান্তিক কাহিনীটি জানা ছিল না।
এবারে জানলাম।
আপনি কৈ কৈ থাকেন! আমাদের ফেলে!
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইজান।
আছি ভাইজান
সোনেলায়ই চব্বিশ ঘন্টাই।শুধু দেখে যাই। মন মেজাজ ভাল থাকলে কমেন্টসে আসি। দোয়া করবেন ভাইজান।
এস.জেড বাবু
হিটলার রাস্তার পাশে পোট্রেট আঁকতেন আর শিল্পী ছিলেন তা জানতাম না-
ইহুদী নিধনের একমাত্র কারণ হয়ত বিরহ নয়।
সুন্দর পোষ্ট- মেয়েটির নাম জানা হয়নি।
মনির হোসেন মমি
আমার কাছে এর একটি ভিডিও কালেক্ট আছে তাছাড়া উপরে একটি লিংকও দিয়েছি । সমস্যা নেই আসলে আমরা যা জানি তা অজানার তুলনায় খুবই নগণ্য।হিটলারের এটি তার প্রথম প্রেম বয়স যখন মাত্র ১৮/১৯ । তার শখ ছিলো ছবিঁ আকাঁর। দারিদ্রতা এবং নিজের লেখা পড়ার খরচ চালাতে রাস্তায় পোর্ট্রেট আকঁতেন। ধন্যবাদ প্রিয় ভাইটি।
এস.জেড বাবু
দারুন তথ্য। ভিডিও টি দেখবো।
ইতালি এবং আশেপাশের দেশে হিটলারের আক্রমনের অনেক ধবংসাবশেষ ঘুরে ঘুরে দেখেছি। একটা শহরেরই মাথা থেকে ও মাথা বোমার আঘাতে খাল হয়ে পড়ে আছে। কি ভয়ানক আক্রোশে এমন করতে পারে একজন মানুষ ভেবে অবাক হয়েছি।
আসলেই জানার অনেক বাকি থাকে। এই পোষ্টে কতকিছু জানলাম।
ধন্যবাদ মমি ভাই।
সুরাইয়া পারভিন
এতে কথায় প্রমাণিত যে ভালোবাসা কেবল ভালবাসতে নয়, হিংস্র হতেও শেখায়।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপু।
নিতাই বাবু
আপনার পোস্ট পড়ে বুঝলাম, যত বেশি ভালোবাসা, তত বেশি কষ্ট পাওয়া। আমি নিজেও আজ কয়েকদিন ধরে খুবই কষ্ট পাচ্ছি। কারণ হলো, অবহেলিত প্রাণী ধলুকে বেশি ভালোবেসে ফেলেছি। তাই আজ দুইদিন যাবত ধলুকে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপাড়ে ফেলে রেখেছি। প্রিয় ধলুর জন্য বাসাও সকাল দুপুর কান্নাকাটি। আমি নিজে সকালে একবার, বিকালে একবার গিয়ে দেখে আসি।
মনির হোসেন মমি
হুম।আমি নিজেও দেখেছি আপনাকে,ধলুকে আপনি খুব ভালবাসতেন।ঐ পাড়ে দিলেন কেন?
নিতাই বাবু
শ্রদ্ধেয় মনির দাদা, ছিছিছি, রামরাম আর দুরদুর’র কাছে আমি হেরে গিয়েছি। তাই ধলুকে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড়ে রেখে এসেছি। আমার প্রিয় ধলুকে এখানে দেখুন!
মনির হোসেন মমি
হুম দুঃখজনক।
সাবিনা ইয়াসমিন
এডলফ হিটলারের জীবনিতে এই বিষয়ে তেমন কিছু পাইনি। তবে যিনি তার বৈচিত্রময় জীবনের জন্যে বিখ্যাত, তার জীবনে এমন ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়। পোষা প্রাণীর প্রতি যে ভালোবাসা আর আবেগ কাজ করে, অনেক সময় প্রিয় মানুষের প্রতিও তেমনটা কাজ করে না।
ভালো লাগলো লেখাটি পড়ে।
শুভ কামনা ছোট্ট ভাই। 🌹🌹
মনির হোসেন মমি
উপরে এক কমেন্টসসে সত্যতার লিংক দিয়েছি।আর আমার সংগ্রহে একটি ভিডিও আছে। ধন্যবাদ আফা।
জিসান শা ইকরাম
হিটলার এমন প্রেমিক ছিলেন! ভাবতেই অবাক লাগে,
ভালো লাগলো হিটলারের এমন প্রেম কাহিনী।
হিটলারের এক প্রেমিকা ইভা ব্রাউনের কথা জানি অবশ্য, সে প্রেম ছিলো হিটলার এর জীবনের শেষ সময়ে।
আপনাকে ব্লগে মিস করি খুব মনির ভাই,
লেখায় সাধারণ কিছু বানান ভুল আছে, এডিটে নিয়ে একবার পড়লেই বুঝবেন আপনি।
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
হুম ইভার সাথে তার প্রেম ও পরিণয় হয় বয়স যখন তার চল্লিশ।আর এ হিষ্টোরীর স্টেফানি ইসাক” নায়িকাকে সে ভালবেসেছিল বয়স যখন ১৮/১৯। এটা তার বাল্যপ্রেম ছিলো।উপরে লিংক এবং আমার কাছে একটি বিস্বস্ত অনলাইন মিডিয়ার একটি ভিডিও আছে। ধন্যবাদ ভাইজান।