এই তো এখানে দাঁড়িয়ে ছিল সবুজ ঝলমলে
এক খণ্ড বনভূমি উঁচু নিচুর ঢাল বেয়ে উপত্যকা জুড়ে,
উজ্জ্বল প্রোজ্জ্বলে উচ্ছল প্রাণ উৎসবের সবুজ-শ্যামলে;
ঝিকিমিকি খর চৈত্র-দুপুর
জলভরাতুর ভারী মেঘ বৃষ্টি ভরা বান-জলে
ঠায়-থিতু হয়েই ছিল প্রবল ঘূর্ণি-বাতাসে;
সুরে সুরে গুনগুনিয়েছিল কত কত নাম না-জানা
পাখ-পাখালি, ভ্রমর, প্রজাপতি, মৌমাছি আর হরিয়াল;
বৃষ্টি-ধোয়া সবুজে দেহের বাঁকে বাঁকে
ভালোবাসা-বাসির প্রণয় নিঃশ্বাসের গোপন/প্রকাশ্য সুবাস।
এক হীন-গোধূলি-বেলায় বুনো বিস্ময়ের অসীম শূন্যতায়
অনুভব করি, উধাও হয়েছে সাধের বনাঞ্চলটি,
অর্থহীন বিপুল অনুনয় বিনয় পেছনে ফেলে;
এসিড বৃষ্টি/সিডোর/ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প/ আম্ফান/বন্যা!!
নাকি কোন দানোর হুঙ্কারে চূর্ণ-বিচূর্ণ!
কেউ জানেনা;
শুধু ফেলে রেখে গেছে কিছু বিশীর্ণ-বিশুষ্ক লাল-হলুদ পাতা।
ছবি নেটের।
১৮টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
ওয়াও ! ধোয়াশা মেশানো হতাশার চিত্র খানি
প্রাঞ্জল ভাষায় তুলে ধরলেন মহারাজ
আবার উঠুক ভরে সোনালী তাজ।
খুব ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
হতাশা আছে ঠিকই,
তবে ছবির পাতার ভাব-বিন্যাস দেখে কিন্তু হতাশার মধ্যেও অন্য-ভাব দেখা যাচ্ছে!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হুম সত্যি এটাই সবুজ, ঝলমলে বনভূমি উজাড় হয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মানুষের লোভের কোপে পড়ে। মাথা গোঁজার ঠাঁই, বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য সবকিছু মিটানো হচ্ছে এসব বনভূমির উজাড় করে। প্রকৃতি বেঁচে থাক, বনভূমি নতুন পত্রে সজ্জিত হোক আমাদের কল্যাণের জন্য। প্রকৃতি বাঁচলে প্রানীকুল বাঁচবে। শুভ কামনা রইলো। শুভ রাত্রি
ছাইরাছ হেলাল
সবই তো আপনি বলে দিয়েছেন, এত গুছিয়ে সুন্দর করে বলে দিলে
আর উত্তর দেয়ার কিছু থাকে না। বনভূমি উজাড় করে দিলে প্রকৃতি এর প্রতিশোধ নেয়।
আপনি নিরাপদে থাকবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া
ছাইরাছ হেলাল
শুভেচ্ছা আপনাকে।
আলমগীর সরকার লিটন
আসলেই প্রকৃতির প্রেম দেখে প্রেমে পরতে ইচ্ছা হয় কিন্তু প্রকৃতি আবার কথায় বাধ বেঁধেছে
চমৎকার লাগল কবি দা—————-
ছাইরাছ হেলাল
বাঁচতে হলে তো প্রকৃতিকে ভালবাসতেই হবে,
অনেক ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
প্রকৃতি আমাদের খেয়াল রাখে। শুধু আমরা রাখিনা। যেমন সুন্দরবন। ওর ছাল চামড়া কুড়েকুড়ে খাচ্ছি। আর অনবরত ও মাথা উঁচিয়ে আমাদের রক্ষা করছে, কতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে। আমরা মর্ম বুঝছি না।
প্রকৃতি আপন মহিমায় সজীব থাক।
ছাইরাছ হেলাল
হেন অত্যাচার নেই যা আমরা প্রকৃতির উপর চড়াই না। মুখ বোজা প্রকৃতি
ঠিক ই প্রতিশোধ নেয় , আমরা তখন খুব ই অসহায় আত্মসমর্পন করি।
অনেক ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
এখন তো কিছু সাধু-অসাধু ব্যক্তিবর্গ বনাঞ্চল কেটে-কুটে ছাপা করার ধান্দায়ই বেশি থাকে, কবি মহারাজ। তাই আপনার মতো কবিরা বৃক্ষছায়া খুঁজে পায় না, ওইরকম কবিতাও তাঁদের আর লেখা হয় না।
প্রকৃতির প্রাকৃতি নিয়ে আপনার কবিতা পড়ে কে না মুগ্ধ না হয়ে পারবে?
শুভেচ্ছা -সহ শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি মহারাজ।
ছাইরাছ হেলাল
প্রকৃতি আমার ভালোবাসা প্রকৃতি আমার প্রেম,
তাই প্রকৃতির প্রতি হীনতা আমকে ব্যথিত করে,
অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
সবকিছুই উজাড় হয়ে যাচ্ছে — “এক হীন-গোধূলি-বেলায় বুনো বিস্ময়ের অসীম শূন্যতায়
অনুভব করি, উধাও হয়েছে সাধের বনাঞ্চলটি,
অর্থহীন বিপুল অনুনয় বিনয় পেছনে ফেলে;” — সাময়িক বিষয় নিয়ে দারুণ লেখা।
ভালো থাকবেন ভাই। শুভেচ্ছা অফুরান।
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মিত পড়ার জন্য ধন্যবাদ,
প্রকৃতিকে লালন করা আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়।
তৌহিদ
পাতার ছবিটি কিন্তু অসাধারণ! লেখায় মনুষ্য সৃষ্ট কারনে বন উজার হলেও ছবিটির সুনিপুণ পত্র বিন্যাস মনে আশার সঞ্চার করে। আবার পত্রপল্লবে সুশোভিত হবে প্রকৃতি এ যেন তারই আভাস দিয়ে যাচ্ছে।
শুভকামনা ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
যদি ভিন্ন ভাবে বলি, এই ছবিটিও আমাকে লেখায় উদ্বুদ্ধ করেছে এক ভাবে।
প্রাকৃতিক বিপর্যের মাঝেও বাঁচার আশা জাগিয়ে রাখে।
ভাল থাকবেন সবাইকে নিয়ে।
সাবিনা ইয়াসমিন
বনাঞ্চলের হঠাৎ বিলুপ্তি নেই। তাকে ফিরতে হয় নব-নবরুপে। অঙ্কুরেই থাকে তার পূনরুজ্জীবন। স্মৃতি হবার আগেই সে ফিরে আসে মৃত্তিকার প্রীতি আলিঙ্গনে।
এমন লেখা বারেবারে আসবে না জানি,
পোস্ট প্রিয়তে নিলাম 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এমন করে আমরা সত্যই আশাবাদী হতে চাই, হই ও, তবুও কী যেন একটি/একটু পিছুটান থেকেই যায়।
এ আপনার মহানুভব বদান্যতা !! লেখক তো এমনি এমনি ই লেখা নিজের খেয়ালে।
ইদের শুভেচ্ছা আপনাকে।