কি অদ্ভূত লাগে আমার তোমাকে –
তোমার এই নির্মোক নিস্পৃহ চলে যাওয়া,
কোথাকার ক্লান্তি কোন জলে ডুবিয়েছ
কেমন করে নিমিষেই অতিক্রম করে ফেলো
নিকট বর্তমান, দুর ভবিষ্যৎ ; অনতিক্রম্য অতীত
কেমন করে খুলে ফেলো কাঁপনলাগা ডানা?
কেমন অদ্ভূত লাগে ভাবতেই –
কেমন করে অতিক্রম করলে, নিজের ছায়া
এতো রাগ, ঘেন্না কোথায় রাখো বলতো –
বুকে বুক মিলিয়েও হয়নি তা জানা।
আজ তবে জানিয়েই দেই,
হৃদপিঞ্জর শুন্য পরে আছে বাসনারা মৃত
এর নাম বেচেঁ থাকা ; এর নাম বয়ে নিয়ে চলা
সেইপথ ধরে, রাঙা ধুলোর যে পথে তুমি গিয়েছ তেপান্তর।
সত্যিই ছেড়ে গেলে ; যাও তবে,
আমি এবার পুর্ন পানপাত্র উচিয়ে বৃষ্টিদিনে
চিরন্তন বিরহের সাস্থ্য পান করে,
দিগ্বিজয়ে বেরিয়ে পরবো।
যেদিন গৃহত্যাগী জোছনায় ভেসে যাবে চরাচর।
কি অদ্ভূত লাগে আমার তোমাকে –
কিযে অদ্ভূত লাগে আমার আমাকেই।
৪৯টি মন্তব্য
বন্য
প্রথমেই বলি শুনো বাতাসেরও সমর্পণ পাইনি কখনো,
শুনেছি সকলেই পেয়েছে এই শহরের,
ত্বকে যাদের শুয়ে থাকে বিষধর সাপ
বাতাসও ছুয়েছে তাদের আকালিক ভোরে,
যেদিন প্রথম এসেছিলাম কোথাও মানুষ দেখিনি,
দেখেছি শ্বাপদের আঁচড়ে রক্তাক্ত ঘুমন্ত শহর,
হঠাৎ সেদিন দেখেছি এক মানুষ, নিরহংকার
শেষে একমাত্র তাকেই কাঁদতে দেখেছি এই শহরে।
কোথায় আর যাবো, কোন হেমন্তের গ্রামে!
সব কবিতাই যে আজ কবির ধর্ম মানে।
উপরের লাইনগুলো লিখলাম এজন্য যে, এই আসা যাওয়ার ক্ষেত্রটাকে আমি একটা শহরই মনে করি, আর সব শহরেই নাকি নত অথবা বিশ্বাস দ্বারা চলতে গেলে সেই বালকের মতো একটা সময় শেষে এসে কাঁদতে হয়। যদি নিজে কাঁদাই তাহলে তাহলে অনুশুচনা হয় আর যদি অন্যে কাঁদায় তখন বলি ভালো থাকিস ক্ষমা করে দিলাম। খুব বড় মহৎ হয়ে যাই এই শহরে তাই তো নিঃস্বার্থ কেঁদে যাই!
শিকারীর হাতের বন্দুকের নল অজান্তেই যে চলে যায় নিরীহ পাখির দিকে তা আমরা সবাই জানি, তাই কখনো কখনো অন্যের ক্লান্তিগুলো আমাদের নিজের করেই নিতে হয়, ছুড়ে ফেলতে চাননি তাই বুকে গেথে রেখেছেন তাইতো কাঁপনলাগা ডানা খুলে দেয় ছাড়িয়ে নেয় সানন্দে।
প্রথম ও দ্বিতীয় স্তবক একই সুরে চিত্রায়ণ, বাজিয়েছেন ব্যথার সুর নাকি ব্যর্থতার? বুকে বুক মিলিয়েও যখন বুঝা যায় না ছলার কৌশল তখন তাকেই ব্যর্থতাই বলি। তৃতীয় স্তবকে সেই ছলার প্রভাব কেমন আছি কেমন আছে! সবই যেন সজীব ভুলেনি কিছুই সেদিনের কোনো ঘোর। চেনা শহর ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের হুইসেলও। ভেবেছিলাম ভাইয়া এখানেই হয়তো শেষ তবে……………….
শেষে এসে আবার উদ্দীপনায় নড়ে উঠলাম খানিকটা যেখানেই ছিলাম প্রথম থেকে। কিছু কিছু দুঃখকি তাহলে সত্যি খুব জরুরী? যদি দুঃখের পরে দ্বিগ্বিজয়ের স্বপ্ন বোনা যায় তাহলে ভালো বৈ মন্দ নয়। তবে নির্দ্বিধায় বলতে পারি সঠিক সিদ্ধান্তের শিখরে বুঝি আপনিই পেরেছেন পৌঁছাতে! আমিও এভাবেই বলতে চাই…….
যাবো না আর ফিরে শুন্যঘরে,
খোলা থাকুক শ্যাওলা পরা দরজাগুলো,
তার চেয়ে বরং আজ ঐ দিগন্ত ছুঁয়ে দিবো
পাহাড় পেড়িয়ে গা হেলাবো সবুজের সমতলে অথবা
চিতার ধোঁয়ায় নিষ্পাপ হবো,
আজ আবার আমি শিশু হবো।
নিজেকে ধন্য মনে করছি প্রিয় সাইদ ভাই আপনার এই উপহার পেয়ে, রেখে দিবো সযত্নে কথা দিচ্ছি ধুলো পড়বে না, আর হ্যা এমন একটি কবিতাই উপহার হিসেবে পেয়েছি যা কি না সত্যি এক অসাধারণ কবিতা, খুশিতো হবোই। মনে থাকবে অনেক থেকে অনেক দিন এই ভালবাসার কথা। সম্মান সহ ভালবাসা জানবেন!
বক বক করতে করতে মন্তব্য করতে গিয়ে পোষ্ট লিখে ফেলছি অঢেল সময়ের উপাদানে, কষ্ট করে একটু পড়ে নিবেন। ভালো থাকুন প্রিয় সাইদ ভাই। -{@
সাইদ মিলটন
ব্যর্থতার সুর বাজে বন্য ,বেসুরে 🙂
কিছু কিছু দুঃখকি তাহলে সত্যি খুব জরুরী? যদি দুঃখের পরে দ্বিগ্বিজয়ের স্বপ্ন বোনা যায় তাহলে ভালো বৈ মন্দ নয়। হ্যাঁ ডিয়ার কিছু দুঃখ আসলেই jজরুরী, নিজেকে চেনার জন্য, নিজের আকাশের সীমানা নির্ধারণের জন্য।
অসম্ভব চমৎকার মন্তব্যের জন্য এত্তগুলো ভালোবাসা বন্য। কেন যেন মনে হয় আপনি হারিয়ে যাবেন 🙁 হারায়েন না ,প্লিজ
বন্য
হা হা প্রিয় সাইদ ভাই, কি যে বলেন আপনি? শুধু আমি না সবাইতো হারাবে। আমি হয়তো একটু আগেই হারাবো এই যা। এই পর্যন্ত দুবার শুনলাম হারানোর কথা, জানি না কেন মনে হচ্ছে তবে ভাইয়া আছি আরো কয়েকটি দিন তা নিশ্চিত ভাইয়া। আপনার লেখার ভক্ত হয়ে পড়েছি তাও নিশ্চিত।
সাইদ মিলটন
🙂
বোকা মানুষ
যেমন দুর্দান্ত লেখা, তেমন অসাধারন তার জবাব!
সাইদ মিলটন
বন্য অসাধারন লেখে ভাউ 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
যেদিন গৃহত্যাগী জোছনায় ভেসে যাবে চরাচর।
বেশ মনে লাগল লাইনটি।
সাইদ মিলটন
থ্যাংকস মনির ভাই (3
জিসান শা ইকরাম
অর্ধ শতকের জন্য অভিনন্দন -{@
সেঞ্চুরীর অপেক্ষায় আছি।
সাইদ মিলটন
😮 পঞ্চাশ হইয়া গেছে ;? চিন্তার বিষয় ,কেম্নে হইল ? মিষ্টি খাওয়ান দাদা :p
ধন্যবাদ দাদা (3
জিসান শা ইকরাম
দেশে আসেন, এত্ত গুলান মিষ্টি খাওয়ামু, খামু 🙂
সাইদ মিলটন
আইচ্ছা আইচ্ছা 😀
মামুন
আমি এবার পুর্ন পানপাত্র উচিয়ে বৃষ্টিদিনে
চিরন্তন বিরহের সাস্থ্য পান করে,
দিগ্বিজয়ে বেরিয়ে পরবো।
যেদিন গৃহত্যাগী জোছনায় ভেসে যাবে চরাচর। – অসাধারণ পংক্তিমালা! অনুপমেয় ভাল লাগায় মুগ্ধ হলাম!
সাইদ মিলটন
থ্যাঙ্কু মামুন ভাই 🙂
জিসান শা ইকরাম
এমন অসাধারন কবিতার প্রশংসা করার মত শব্দ আমার ভান্ডারে নেই সাঈদ ভাই।
পড়ার পর থেকে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে আমাকে।
সাইদ মিলটন
লজ্জা পাই দাদা
ছাইরাছ হেলাল
কবিতার কথা পরে ,আগে বলুন আপনি কি নার্সিসিস্ট ?
সাইদ মিলটন
অল্প হলেও নার্সিসিজমে ভোগে না এমন কেউ আছে নাকি ?
ছাইরাছ হেলাল
পাল্টা প্রশ্ন করে লাভ নেই, যা বোঝার তা বুঝে নিলাম।
প্রবল ভালোবাসা দেখতে পাচ্ছি,তাতে আপনার সমস্যা নেই ,ঠিক আছে।
আশে-পাশে যে নাদান পাবলিক আছে তাদের দিকে তো চোখ পড়ার আর উপায় থাকল না।
ছাইরাছ হেলাল
লেখাটি পড়ে এই ‘কিযে অদ্ভূত লাগে আমার আমাকেই’ এই শব্দ গুলকেই
সব থেকে বেশি উজ্জ্বল মনে হয়েছে ( যদি আমার বোঝায় ভুল না হয়ে থাকে)।
আপনি ভালো লেখেন , কিন্তু বেশি বেশি ভাল হয়ে যাচ্ছে , এর আগের লেখাটি সহ।
পাঠক হিসাবে এটি আমাদের আনন্দের অবশ্যই।
চালু থাকুক, এ ও চাই ই।
সাইদ মিলটন
আমি আসলেই অদ্ভুত মানুষ হেলাল ভাই 🙂
আপনাদের ভালোবাসাই আমাকে বাঁচিয়ে রাখে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে পছন্দ করি তা আপনি জানেন,
বিশেষ অংশটুকু বাদে, যা আপনার সাথে যায় না।
সাইদ মিলটন
কাউকে না কাউকে তো জঞ্জাল সাফ করতেই হবে 🙂
আর ঝাড়ু দিতে গেলে গায়ে ময়লা লাগবেই দাদা ,তাও ঐটা কেবলমাত্র পাকিপন্থীদের জন্য 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মিশনে আমার আপত্তি নেই। ঠিক মেলে না ,তাই এমন করে বলা,
অন্য কিছু না।
সাইদ মিলটন
দাদা,
শিব তান্ডব নৃত্য করে
আবার শিবই হচ্ছে নিলকন্ঠ , সদাশিব ভোলা
আই থিংক ইউ গট মি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
সবই বুঝি।পছন্দ যখন করেই বসেছি…………………………………
সাইদ মিলটন
😀
সাইদ মিলটন
একটা কথা বলেন তো নার্সিসিস্টরা কি আত্মহত্যা প্রবন হয় নাকি ?
ছাইরাছ হেলাল
সাধারণত না। তবে চুড়ান্ত পর্যায়ে হলে নিজেকে ভালোবেসে মরে যাওয়ার প্রবণতা
জন্ম নিতে পারে।নিতান্ত ই আমার ধারনা থেকে বলা কিন্তু।
সাইদ মিলটন
তাইলে আমি নার্সিসিস্ট নাহ 😀
ছাইরাছ হেলাল
ধরা পরেই আছেন।
সাইদ মিলটন
:p ;(
বোকা মানুষ
ভাউ, ফৌজি কায়দায় একটা স্যালুট দুর্দান্ত এই লেখাটার জন্য!
সাইদ মিলটন
আর দেশী কায়দায় মাথা নিচু কইরা কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা ভাউ (3
বোকা মানুষ
🙂
মোঃ মজিবর রহমান
সাইদ ভাই, অয়াসাধারন
-{@
সাইদ মিলটন
ধন্যবাদ ভাই (3
সঞ্জয় কুমার
সুন্দর কবিতা । ।
সাইদ মিলটন
থ্যাংকস সঞ্জয় ভাই 🙂
শুন্য শুন্যালয়
এভাবে নিজেকে খুঁড়ে বেড়াবার সময় পেতেন কোথায়? সব সময় তো তার জন্য বরাদ্দ হতো। এখন কত্তো সময় আপনার !!!!
সৃষ্টি দেখেই তো আনন্দ আমাদের, হাসি কাঁদি। সৃষ্টির ইতিহাসে, লেখার কাগজে, ক ফোঁটা চোখের পানি পরেছে কে দেখবে বলুন, চোখের পানির কতোটা সুবাস ছড়াতে পেরেছেন, তার জন্য তারকা হাতে অপেক্ষা করেই আছি।
আপনার আশেপাশে কাউকে দেখতে পাচ্ছিনা, বোধ হয় নিজেই নিজেকে হারাতে চলেছেন।
সাইদ মিলটন
এখন কত্তো সময় আমার 🙂
ভালোবাসার পাশেই একটা অসুখ শুয়ে আছে।
তোমায় আমি আদর করি, পায়ের কাছে লুটোই
সিংহাসনে বসিয়ে দিয়ে আগুন নিয়ে খেলি
তবু নিজের বুক পুড়ে যায়, বুক পুড়ে যায়
বুক পুড়ে যায় কেউ তা বোঝে না
ভালোবাসার পাশেই একটা অসুখ শুয়ে আছে।
– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
আবিদ রোজীনা
ভালো লেগেছে ভাইয়া।
সাইদ মিলটন
থ্যাংকস আপু 🙂
অরণ্য
অসাধারণ লাগলো। যখন কোন কবিতা একবার পড়েই ভাল লেগে যায় তখন আমি একটু রিসাইট করে আরেকবার পড়ি। আপনার শেষ লাইনটাতে বেশ শক্ত অনুভূতি পেলাম – কিযে অদ্ভূত লাগে আমার আমাকেই। (y)
সাইদ মিলটন
🙂
কি করব বলেন, আমার চারপাশে অদ্ভূত সব ঘটনা ঘটে যে
ধন্যবাদ
নওশিন মিশু
“কি অদ্ভূত লাগে আমার তোমাকে –
তোমার এই নির্মোক নিস্পৃহ চলে যাওয়া,
কোথাকার ক্লান্তি কোন জলে ডুবিয়েছ
কেমন করে নিমিষেই অতিক্রম করে ফেলো
নিকট বর্তমান, দুর ভবিষ্যৎ ; অনতিক্রম্য অতীত
কেমন করে খুলে ফেলো কাঁপনলাগা ডানা?”
এত চমৎকার কথা কিভাবে বলতে পারেন !!??? 🙂
সাইদ মিলটন
আপনি পড়েছেন চমৎকার করে 🙂
শুভকামনা 🙂
নওশিন মিশু
চমৎকার করে পড়া যায় বুঝি !!!???
ধন্যবাদ…. 🙂
সাইদ মিলটন
হ্যাঁ
যায়তো 🙂