কি এমন ক্ষতি হতো একটা কাক অথবা শালিক
কিংবা শ্যামা দোয়েল, নিদেন একটা চড়াইয়ের জীবন হলে
নাহয় হতো একটা বিরহী বুকের ডাহুকের জীবন।
একটা জোনাক হতাম নাহয় –
অনাবধানে ঢুকে পরা তোমার সাজঘরে, গহিন নিশিথে।
নিজস্ব পুরুষটিকে ডেকে বলতে, দেখো দেখো একটা জোনাক
বলতেই, আমি জানি।
অথচ, তুমিতো জানোনা –
তোমার নীরবতায় পুড়ে পুড়েই জ্বলছে জোনাক।
কিংবা হতেই পারতাম তুচ্ছ এক কাঁচপোকা,
শ্যামল মুখের আগুনে পুড়ে যেতাম দ্বিধাহীন।
তোমার অজান্তেই, সংগোপনে
অন্তত এই শীতল নীরবতার রোজকার মৃত্যু
নাগালে পেতোনা, প্রতিদিন।
২২টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
কত অদ্ভুত সুন্দর কোমল ইচ্ছে।
সে যে কোথায় আছে, কে জানে —-
আগুন রঙের শিমুল
আমি কোথায় পাবো তারে ……
হৃদয়ের স্পন্দন
বাহ বেশ লিখেছেন ++++++++++++
কি করে পারেন বুজের গভীরে এত প্রেম জমা রেখে জোনাক হওয়ার ইচ্ছা করতে
বড় জানতে ইচ্ছে করে
আগুন রঙের শিমুল
বুকের মইধ্যে একটা তেপান্তরের মাঠ ঢুইকা বইসা আছে স্পন্দন 🙂
প্রজন্ম ৭১
লেখার সাথে ছবিটা একদম মিলে গিয়েছে।লেখার পরে ছবি খুজেছেন,নাকি ছবি পাবার পরে লেখা লিখেছেন? 🙂
আগুন রঙের শিমুল
ছবি নেট্মারিং দাদা , পরে খুইজা বাইর করছি 🙂
নুসরাত মৌরিন
সত্যিই তাই…।
এর চেয়ে বরং শালিখ,ডাহুক কিংবা জোনাকি হলেই বেশ হতো…।একটা ইচ্ছে মতন জীবন হতো…।
সব হাহাকার শুধু মনে হয় মানবজীবনেই…।
আগুন রঙের শিমুল
মানবজীবন আহা মানবজীবন
খসড়া
কবিতার খাতা ভরা শুধু কবিতা
তাতে মিশে আছে কত কথা।
আগুন রঙের শিমুল
আর কিছু পারিনা তাই কবিতা লেখি 🙂
প্রহেলিকা
যদি সত্যি বলি তাহলে আপনি লিখলেও আপনার চেয়ে কয়েকবার বেশিই মনে হয় আমি পাঠ করেছি লেখাটিতে, আর বলতেও দ্বিধা নেই আমার প্রিয় লেখার মাঝে একটি স্থান দখল করে নিয়েছে। আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে কবিতাটি শুভেচ্ছা জানুন প্রিয় সাইদ ভাই।
গতকাল থেকেই কয়েকবার করে পড়েছি, তবে ভালো লাগার পাশাপাশি আরো একটি কথা যা মনে আসলো তাও বলি আপনাকে, আমার মনে হয় আপনি আপনার এই অতুল সৃষ্টিকে নিজেই (হয় তাড়াহুড়ো করে অথবা কিছুটা অবহেলা করে) একটু হালকা করে দিয়েছেন। আবার কিছু মনে করে বসবেন না যেন প্রিয় সাইদ ভাই, প্রিয় মানুষদের কাছে প্রত্যাশাও বেশি বেশি।
আগুন রঙের শিমুল
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় প্রহেলিকা 🙂
মনে করার কিছুই নাই ব্রাদার , আপনার বিশ্লেষণ আমি উপভোগ করি। আর লেখার কথায় আসি, আমি ভেবেচিন্তে কিছু লিখতে পারিনা । সত্যিকার অর্থে যে এইসব লেখে তারে আমি চিনিনা, অনেক সময় এমন হয় কিছু একটা লিখতে চাইতেছি – লিখি আর মুছি , লিখি আর মুছি কিছুতেই কিছু হয়না ।
লীলাবতী
‘ অথচ, তুমিতো জানোনা –
তোমার নীরবতায় পুড়ে পুড়েই জ্বলছে জোনাক। ‘ ^:^ এমন লেখার পরে সে আর নিরব থাকতেই পারবেনা ভাইয়া 🙂
আগুন রঙের শিমুল
সে নীরব থাকবে কিনা জানিনা , তবে আম্রার ভত্তাবতীর মুখে খৈ ফুটেছে বেশ 😀 সে অন্ধকারে মিশে গেছে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কবিতারা তাজা হচ্ছে ক্রমান্বয়ে,কে জল দেয় কে জানে!
আগুন রঙের শিমুল
আসলেই তো কে দিচ্ছে জল ;? 😀
খেয়ালী মেয়ে
ছবিটা দারুন হয়েছে (y) আর ইচ্ছেগুলোও চমৎকার 🙂
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ খেয়ালী মেয়ে 🙂
শিশির কনা
একটা কাক,শালিক,শ্যামা দোয়েল, চড়াই বা জোনাকের জীবন হলে আমাদের সমস্যা হতো।আমরা এমন ভালো কবিতা পড়তে পারতাম না। এরা কবিতা লিখেছে এমন কোন ইতিহাস নেই।আপনার কবিতা তখন এরাই শুধু বুঝতো,আমরা না :p (y) (y)
আগুন রঙের শিমুল
কি জানি সেই জোনাকের রাজ্যেও একটা জোনাকের নাম শিশিরকনা থাকত কিনা, সেই জোনাক জীবনের আক্ষেপের কবিতা হতো কি এমন ক্ষতি হতো একটা মানুষের জীবন হলে 😀 তখন সেখানে শিশিরকনা লিখত ভালো হয়েছে মানুষ না হয়ে :p
শুন্য শুন্যালয়
আমি যদি হতাম বনহংস, বনহংসী হতে যদি তুমি
……
আজকের জীবনের টুকরো টুকরো মৃত্যু আর থাকতো না
থাকতো না, টুকরো টুকরো সাধের ব্যর্থতা, অন্ধকার।
জীবনানন্দ লুকিয়ে আছে কোথাও না কোথাও।
আগুন রঙের শিমুল
হ্যাঁ জীবনানন্দ লুকিয়ে নেই – প্রকাশ্য তার সবটুকু প্রভাব নিয়েই 🙂