বালি ইন্দোনেশিয়ার একটা বৃহৎ দ্বীপ এবং ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ক্ষুদ্রতম প্রদেশ, যার আয়তন মাত্র ৫ হাজার ৭৮০ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ৪২.২ লাখ। বালির রাজধানী হলো ডেনপাসার। এখানে রয়েছে কয়েক হাজার বছরের পুরনো অনেক হিন্দু মন্দির। তিন দশক আগেও বালি পুরোপুরি কৃষিনির্ভর ছিল। কিন্তু বর্তমানে বালির মোট অর্থনীতির ৮০ শতাংশ পর্যটন শিল্পের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে এবং একে ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম ধনী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুসলিম বসবাসকারী দেশ ইন্দোনেশিয়া হলেও বালির চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। বালিতে বসবাসকারীদের মধ্যে ৮৩.৫% শতাংশই হিন্দু এবং মন্দিরের আধিক্যের কারণে বালিকে বলা হয় দেবতাদের দ্বীপ, শান্তির দ্বীপ। এখানে হিন্দু (৮৩.৫%), মুসলিম (১৩.৪%), খ্রিস্টান (২.৫%), বৌদ্ধ (০.৫%)। রাজধানী জাকার্তা থেকে এর দূরত্ব ১১৪৭ কিলোমিটার। তানজুং বেনুয়া বীচটা মূলত একটা হৃদের মতোই শান্ত জলের সাগর। এই বীচে কোন কারণে অনবরত আছড়ে পড়া সাগরের ঢেউগুলো সরাসরি না পড়ার কারণে এখানটার পানি একেবারে শান্ত ও স্বচ্ছ। বালির দানাগুলো অত্যন্ত মোটা বলে পানির সাথে বালিগুলো গুলিয়ে যায় নাএবং পানির তলার সব কিছুই ঝকঝকে কাঁচের মতো স্বচ্ছ দেখায়। আর এজন্যই ওখানটায় জল ক্রীড়া কার্যক্রমের বিশাল পসার। এক বেলায় আমার দেখা তানজুং বেনুয়াটা আসেন দেখে নেই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে।
(২) সাগরের একটা অংশ দ্বীপের বেশ ভেতরে ঢুকে গিয়াছে, সেখানেই নির্মিত হয়েছে এই বিশাল ব্রীজ, যা ধরে তানজুং বেনুয়া দ্বীপে যেতে হয়। বিকল্প রাস্তাও অবশ্য আছে ওখানে যাওয়ার।
(৩/৪) বিমানের জানালায় দ্বীপের কিছু অংশ।
(৫) এর ভেতর দিয়া ঢুকলে ওপাশেই তানজুং বেনুয়া বীচ।
(৬/৭) স্পীড বোডের টানে বেলুন নিয়া আকাশে চরার মজার খেলা। পর্যটকরা এটায় চড়ে বেশ মজা পায়।
(৮) স্পীড বোডের টানে আকাশে উড়ে আবার ক্ষণে ক্ষণে পানিতে আছড়ে পড়ে বেশ এ্যডভেঞ্চার আছে এই টিউবে।
(৯) এর নাম ব্যানানা বোট, এটাও স্পীড বোডের টানেই চলে, খুব মজা হয়।
(১০) এখানের ঘরগুলোর চালাতে ব্যবহৃত হয় মাটির টালি, যার কারণে পুরো এলাকাটা অত্যন্ত চমৎকার দেখতে লাগে।
(১১) বলের ভেতর মানুষ, ছুটে চলেছে স্পীড বোটের টানে।
(১২) কখনো মনে হবে বেলুনগুলো বুঝি বিমানের চাইতেও উপরে চলে গেছে, আসলে পাশেই এয়ারপোর্ট থাকায় এখানে যখন বিমান উঠানামা করে তখন নিচে নামতেই হয়।
(১৩) ঐ তো আরেকটা বিমান এয়ারপোর্ট থেকে উড়াল দিল।
(১৪/১৫) এই বোডগুলোও দুর্দান্ত, খুবই গতি আছে এদের, নিচ দিয়া গ্লাস লাগানো রয়েছে বোডগুলোতে। সাগরের তলা এবং মাছ দেখা যায় সেখান দিয়ে।
(১৬) বালি দ্বীপকে কাঠ গোলাপের রাজ্যও বলা যায়, এখানে এতো বেশী কাঠ গোলাপ গাছ রয়েছে যে, আমার মনে হয় অন্য সব গাছের সাথে তুলনা করলে সংখায় ওরাই হবে প্রায় অর্ধেক।
(১৭) রয়েছে এমন সব পানির রাইড।
(১৮) সব বেলুনে একজন না, কোন কোন বেলুনে দুইজনও চড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
(১৯) তানজুং বেনুয়া বীচ দেখার একটা চমৎকার পয়েন্ট।
(২০) এই ছবিটা তুলেছিলাম বালি দ্বীপ থেকে ফিরে আসার বিমানে বসে।
৩৩টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
দুধের সাধ ঘোলেই মেটাচ্ছি। সেটাই বা কম কী!
সুরাইয়া পারভিন
সত্যিই এ যেনো দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা
কামাল উদ্দিন
ঘোল কিন্তু খারাপ জিনিস না ভাই বোনেরা 😀
ইঞ্জা
ভাই সুন্দর ভ্রমণ কাহিনী দিলেন, আমি অনুরোধ করছি আরও বিস্তারিত লেখার জন্য, যেমন ধরুণঃ কিভাবে গেলেন, কোন হোটেলে থাকলেন, কোথায় বেড়ালেন, শপিং, খাওয়া বা রেস্টুরেন্টের অবস্থা, তাদের ডেলিকেসি ইত্যাদি দিয়ে লিখলে লেখাটি সয়ং সম্পূর্ণ হবে, আশা করি আগামীবার থেকে আরও ভ্রমণ কাহিনী পাবো, ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
আমি সাধারণত প্যাকেজ প্রোগ্রামে যাই, যার কারণে সব কিছুতেই অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকি এবং নিজে কোনও হিসাব রাখিনা। আর লেখনির দূর্বলতার কথাটা নাইবা বললাম। তবে যেকোন জায়গায় যাওয়ার জন্য গুগুল সার্চ দিলে অনেকের যাতায়াতের সব হিসেব নিকেশই পাওয়া দূরুহ কোনও বিষয় নয়………..ধন্যবাদ ইঞ্জিনিয়ার ভাই, ভবিষ্যতে কিছুটা হলেও লেখার চেষ্টা করবো।
ইঞ্জা
ভাই আমি অনুরোধ করছি আমার ভ্রমণ কাহিনী গুলো একবার দেখার জন্য, তাহলে আইডিয়া পাবেন কি ধরণের লেখা দিলে বেশি সংখ্যক পাঠক প্রিয়তা পাবেন, আপনার জানার জন্য বলছি, এই ব্লগে প্রচুর মানুষ ভ্রমণ কাহিনী পড়তে চান, জানতে চান দেশ বিদেশ সম্পর্কে, বুঝতেই পারছেন আমি কি বুঝাতে চাইছি, ধন্যবাদ ভাই।
সুরাইয়া পারভিন
চমৎকার সব ছবি। দুর্দান্ত ফটোগ্রাফী ভাইয়া
আহা,,, দারুণ
কামাল উদ্দিন
বালি দ্বীপটা সত্যিই অনেক সুন্দর, আমার কাছে মনে হয়েছে এটা যেন হাজার বছরের পুরোনো কোনও দ্বীপ।
ইসিয়াক
খুব ই সুন্দর।
কামাল উদ্দিন
শুভেচ্ছা জানবেন ইসিয়াক ভাই
সুপর্ণা ফাল্গুনী
খুবই সুন্দর। ধন্যবাদ ভাইয়া
কামাল উদ্দিন
শুভেচ্ছা জানবেন ফাল্গুনী আপু
নূর নাহার রাহিমা
ফটোগুলা খুব সুন্দর হইছে। মনে হচ্ছিল আমিও সেখানে আছি
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ নাহার আপু, ভালো থাকুন, সব সময়।
সুপায়ন বড়ুয়া
ওয়াও ! অনেক সুন্দর
খুব ভালো
শুভ কামনা
কামাল উদ্দিন
আপনার জন্যও রইল অনেক অনেক শুভ কামনা দাদা।
সৈকত দে
ছবি গুলো অসাধারণ
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ দাদা, ভালো থাকুন, সব সময়।
জিসান শা ইকরাম
দেখেছি এই সী বিচ, আপনার সাথে আর একবার দেখলাম।
কোনো রাইডে চড়িনি অবশ্য।
খুব পরিচ্ছন্ন একটি দ্বীপ বালি। পর্যটন শিল্পে অনেক উন্নত এই বালি।
শুভ কামনা ভাই।
কামাল উদ্দিন
হুমম, সত্যিই এই দ্বীপটা অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন……..শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।
নিতাই বাবু
যা কখনো দেখিনি বা আর কখনো দেখা হবে না, তা আপনার মধ্যেই জেনে নিতে পারছি বলে নিজেকে ধন্য মনে করে; আপনাকেও জানাচ্ছি অজস্র ধন্যবাদ। সাথে শুভকামনা সবসময়।
কামাল উদ্দিন
কখনো দেখা হবেনা এমনটা ভাবার কোনও কারণ নাই দাদা, কখন কার কি হয়ে যায় কে জানে? ………..শুভ কামনা সব সময়।
নুরহোসেন
বালিতে যাবোই যাবো
খুব ইচ্ছা হচ্ছে যাবার।
কামাল উদ্দিন
হুমম, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়………শুভেচ্ছা জানবেন নুর হোসেন ভাই।
নুরহোসেন
ভালবাসা নিবেন।
কামাল উদ্দিন
শুভেচ্ছা
নুরহোসেন
স্বাগতম!
কামাল উদ্দিন
😀
সাবিনা ইয়াসমিন
ভালোই হয়েছে, স্বশরীরে বালিতে না গিয়ে। নিজের ঘরে কম্বলের নীচে শুয়ে শুয়ে আস্ত একটা বিচে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। ভাগ্যিস কাঠ গোলাপের ছবিটা দিয়েছেন। নয়তো পানি আর পানি দেখে আমার শীত কম্বলও ঠেকিয়ে রাখতে পারতো না। 😀😀
দারুণ পোস্ট।
শুভ কামনা এডভেঞ্চার ভাই 🌹🌹
কামাল উদ্দিন
নিত্য এমন চমৎকার নাম পেতে ভালোই লাগে আপু
শাহরিন
অসাধারণ ছবি। অবশ্যই বাস্তবে দেখতে আরো সুন্দর। লেখনীতে আপনার টিকিট, ভিসা, হোটেল এর বিষয়ে জানতে পারলে আরো উপকৃত হতাম। অনেক ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
এসবই একটা ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে হয়েছিল ভাই, তাই এসবের খুব একটা ভালো ধারণা নাই আমার, ধন্যবাদ।
মাহবুবুল আলম
সুন্দর ভ্রমন কাহিনী। অনেক কিছু জানা হলো।