(১৬ই ডিসেম্বর, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে লিখা)
————————————————
(একঃ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭১)
————————————————————————————
নতুন চাকরীর মাইনে পকেটে ভরে আবীর রিকশা নিয়ে ছুটছে ওয়ারীর দিকে। খুশীতে তার চোখ গুলো আজ চকমক করছে। কতদিন পরে আজ জমানো টাকায় নীলাকে সে গয়না কিনে দেবে! বিয়ের চার বছর হয়ে গেলো, কিছুই কিনে দিতে পারেনি। প্রতি মাসে সে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়েছে।
ওয়ারীর ‘রহমান জুয়েলারি’র স্বর্ণকার আজ কেন যেন ঘিটি মিটি করছে দাম নিয়ে। আবীরের অনেকদিন থেকেই ইচ্ছা ছিল নীলাকে ভারী স্বর্ণের বালা কিনে দেবে।নীলার হাত গুলো খালি খালি দেখলে কেন জানি তার মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়।
দুইঃ
—————————————————————————————————–
রহমান জুয়েলারীর স্বর্ণকার আব্দুল খালেক সকাল থেকে বসে আছেন। কোনও খদ্দের আসছেনা আজকাল। তিনি এই ব্যবসায় ঘাগু লোক। চশমা পরা আনাড়ি এই খদ্দের দেখেই খালেক নড়েচড়ে বসলেন। ব্যাটাকে আচ্ছা মত সিল দেওয়া যাবে। ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থা ভাল যাচ্ছেনা। কি যে হচ্ছে আজকাল, তার কিছুই মাথায় ঢুকছেনা। একবার শুনছেন শেখের সাথে ইয়াহিয়ার কথা হবে, আরেকবার শুনছেন কিছুই হবেনা। চারিদিকে লোকজন বলাবলি করছে কিছু একটা নাকি হবে।
তিনঃ
———————————————————————————————————
আবীরের হাতে স্বর্ণের বালা দুটো দেখে নীলার মনটা কেমন জানি চুপসে গেলো। বেচারা এমনিতেই নতুন সংসারে এসে হিমশিম খাচ্ছে। ঢাকা ভার্সিটি থেকে চার বছর আগে পাশ করেছে আবীর।এই কিছুদিন হল একটি ব্যাঙ্কে জুনিওর অফিসার পদে চাকরী পেয়েছে। প্রেম করে তাদের বিয়ে।বিয়েতে আবীরদের কেউই রাজী ছিলেন না। অনেক কষ্ট করে তাদের এই সংসার। শাহজাহানপুরের এক ঘুপচি গলির মুখে দুই রুমের বাসায় তারা উঠেছে তাদের এক বছরের ছোট্ট পুতুল, লাবন্য কে নিয়ে । বাসা ভাড়া ১৯০ টাকা প্রতি মাসে। আবীরের মাইনে মাত্র ৫৫০ টাকা। মাইনের প্রায় অর্ধেকই তো বাড়ি ভাড়া! এর মধ্যে কেন শুধু শুধু বালা নিয়ে আসল? এত টাকাই বা জমাল কি ভাবে?
আয়নাতে বালা গুলো দেখেই নীলার বিদ্রোহী মনটা কেমন যেন ফিক করে হেসে ফেলল, ভারী সুন্দর লাগছে বালা দুটো।এক কাপ চা নিয়ে আবীরের রুমে ঢুকল নীলা ।
চারঃ
———————————————————————————————————————–
এক গাদা পানের পিক থুক করে ফেলতেই আমিনুদ্দি দেখে নাস্তা হাতে জরিনা দাড়িয়ে আছে এই সাত সকালে। গামছা দিয়ে মুখ হাল্কা ভাবে মুছে নিয়ে বললঃ “বুঝলা বউ, ছওয়াব। এই ছওয়াব হইল আসল জিনিস। এই টা তোমার কপালে আমি লেইখা দিয়া কবরে যামু”
আড় চোখে তাকিয়ে জরিনার বুক টুকু তে একটু হাল্কা চোখ বুলিয়ে নিল আমিনুদ্দি। দুই বউয়ের ঝগড়ার জন্য গত রাতে ঘুমাতে পারেনি আমিনুদ্দি তার আদরের ছোট বউ জরিনার সাথে। সারা পাড়ায় গত কাল তেলেস্মাতি কাণ্ড ঘটেছে তার দু বউয়ের এই ঝগড়ায়। আল্লাহর কত কসম খেয়ে হারামি দুটুকে বুঝানোর চেষ্টা করেছে ঝগড়া বন্ধ করতে। কত করে বলেছে নবী আর রাসুলদের দেখে তোরা শিখ, কোন আদব লেহাজ নেই ! থাকবেই বা কেন? চারিদিকে এই শেখের পুত আইয়ামে জাহিলিয়ার যুগ শুরু করেছে। আরে ব্যটা, আছে তোর বুকের পাটা? অই খাঁটি আল্লার তাকদ বান্দা ইয়াহিয়া খানের মতো? দেশ ভাগ করবি তোরা? হারামির পুত, খাবি কত্থেকে, দেশ চালাবি কি দিয়ে?
অর্ধেক নাস্তা খেয়ে তাড়াতাড়ি করে পাঞ্জাবিটা গায়ে চড়িয়ে আমিনুদ্দি বেরিয়ে পরল। আজ তার মিটিং আছে মুসলিম লীগের অফিসে। মনে মনে দোয়া পড়তে পড়তে বের হল আমিনুদ্দিঃ “আল্লহ ওয়ালা মানুষদের তুই রহম কর মউলা, দেশ ভাগ বন্ধ কর”।
পাচঃ(মার্চ ২৫, ১৯৭১)
—————————————————————————————————————————-
লাবন্যের খুব জ্বর, গা টা পোড়ে যাচ্ছে একেবারে। পাশে কাপড়ের ন্যাকড়া নিয়ে বসে আছে নীলা । বার বার কপাল আর মুখ মুছিয়ে দিচ্ছে । আবীরের খুব অস্থির অস্থির লাগছে। লাবন্য কিছু খেতে পারছেনা। আবীর মুখ খুললঃ “আহা মেয়েটার এত জ্বর, দাড়াও ডাক্তার নিয়ে আসি”। নীলা কথায় সায় না দিয়ে কপালে ন্যাকড়া ধরা অবস্থায় ই বললঃ “ এত চিন্তা করোনা, এই ত কাল সকালেই জ্বর সেরে যাবে”।
তারপর একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস বুকে চেপে রাখল। কি ই বা করার আছে নীলার? মাসের শেষ, তার সংসারে টাকা –পয়সা ও বেশী হাতে নেই।
আবীর উঠে দাঁড়াল “দাড়াও, মল্লিক ডাক্তারকে নিয়ে আসি”।
নীলাঃ এত রাতে যাওয়ার দরকার নেই। শুধু শুধু মল্লিক বাবুকে তুমি ঘুম থেকে তুলবে এত রাতে?
আবীর দরজা ঠেলে বের হয়ে গেল।
বের হতেই বারান্দায় ধাক্কা খেল আমিনুদ্দির সাথে।‘বাই সাব আমার ভাড়া টা কইলাম এক তারিখেই দিতে অইব”।
আমিনুদ্দিকে এত রাতে বারান্দায় দেখে অবাক হওয়ার বদলে কেন জানি বিরক্ত ই হল আবীর। আমিনুদ্দি উকি-ঝুকি মারার চেষ্টা করতেই দরজা বন্ধ করে বললঃ “ভাড়া সময় মতই পাবেন, এখন বিদেয় হন”
ছয়ঃ(মার্চ ২৫, ১৯৭১)
———————————————————————————————————————————-
চারিদিকে গুলাগুলির প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল লাবন্যের । নীলা লাবণ্যকে জড়িয়ে ধরে কলেমা পরতে লাগলো । আবীর এখন ও আসছেনা। বারান্দায় যেতেই জরিনা দৌড়ে আসল।
“ আফা গ জুদ্দ লাগছে, মিলিটারি বুমা ফালায় তাছে “
“কি বলছ এসব জরিনা “
” ঠিকই কইতাসি”
“জরিনা, তুমি একটু লাবন্য কে ধরবে? আমি আবীরকে নিয়ে আসি মল্লিক বাবুর বাসা থেকে”
“আফা এত রাইতে জাইবেন? বাইয়া আয়া ফরব”
নীলা দৌড়ে বের হয়ে গেল।
সাত(মার্চ ২৬, ১৯৭১)
———————————————————————————————————————————–
আরাম বাগের পাশে মতিঝিল স্কুলের মাঠের নালা থেকে নড়েচড়ে উঠল আবীর। আরামবাগের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে গত রাতে গুলাগুলির শব্দে অন্যদের সাথে সে ও দৌড়ে এদিক টা তে চলে এসেছে।তার উপর গোটা বিশেক লোক ঝাপ দিয়ে পরায় কখন যে জ্ঞান হারিয়েছে কোন খেয়াল নেই। ঘুম থেকে উঠেই আশেপাশে ১০-১৫ জনের লাশ দেখে আঁতকে উঠলো আবীর। কোন মতে শরীর টাকে তেনে তুলল। নীলা আর লাবন্যের কথা মনে হতেই নিঃশ্বাস ভারী হতে শুরু করল। শাহযাহান পুরের দিকে ছুটতে থাকল আবীর।
আট(মার্চ ২৯, ১৯৭১)
——————————————————————————————————————————–
গত তিন দিন ধরে নীলাকে খুজতে কারফিউ এর মধ্যে পুরো ঢাকা শহর চষে বেড়িয়েছে আবীর, নীলার কোনও খোঁজ নেই। বার বার চোখ ভিজে আসছে আবীরের।
ঠিক করেছে লাবন্যকে কুমিল্লায় তার দাদুর বাসায় রেখে এসে আবার খুজবে।
রেল-লাইন- ট্রেন সব বন্ধ। আবীর শেষ রাতের একটি ভাঙ্গা বাসে কুমিল্লার পথে রওয়ানা হল।
নয়ঃ( ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭১)
————————————————————————————————————————-
ফোকলা দাতের মন্টু মিয়া মুখ বেজার করে বসে আছে চায়ের দোকানে । উস্তাদ বজলু মিয়া কে সে আজ কিছু দিতে পারেনি। রায়ের বাজারের জলা মাঠ থেকে লাশ গুলোর শরীরের শার্ট-প্যান্ট-পকেট থেকে যা পায়, তা ই প্রতিদিন নিয়ে আসে। এই মাসের প্রথম সপ্তাহটা তার রমরমা গেছে। মিলিটারি আর রাজাকারেরা রাতের বেলা ট্রাক ভরে মাল ফেলতে আসে। মাল তো আর কিছু না, খালি লাশ আর লাশ। ভোরের দিকে সে তার কাজ শুরু করে দেয়। দিনের বেলা কারফিউ থাকায় ভোরেই কাজ সাড়তে হয়।
তার উপর গত কাল সে বেরা-ছেরা করে ফেলেছে। কি সুন্দর একটা লাশ আসছিল কালকে! হাতে দুটি সোনার বালা।
একটি খুলে নেওয়ার পর কেন জানি আরেকটি খুলতে তার মন চায়নি। তার উপর ছিল জ্যোৎস্না রাত।
জ্যোৎস্না রাতে শাড়ি পড়া লাশটি পানিতে ভাসছিল।
“এত সুন্দর লাশ মাইনশের অয়না, জিনের অয়”- বির বির করে মনে মনে বলেছিল মন্টু মিয়া।
উস্তাদ বজলু তাকে বলেছে, বাকী বালাটি ও নিয়ে আসতে। আজ সে সকাল-সকাল বের হবে।
“শালার লাশের উপর মায়া রাইখ্যা লাভ নাই’-নিজের মনেই খিস্তি দিতে লাগল মন্টু মিয়া
দশঃ( ডিসেম্বর ১৭, ১৯৭১)
———————————————————————————————————————-
খোঁচা খোঁচা দাড়ির ৪-৫ জন লোক উবু হয়ে রায়ের বাজারের জলা তে কি জানি খুজছে। এদের একজন চিৎকার করে দূরের আরেকটি কিশোর কে ডাকছেঃ
“অই বেটা, পানিতে কি খুজস?”
“হেই টা জাইনা আফনা গ কাম কি? আমি আমার কাম করতাসি”
“এই হারামজাদা, এই লাশের এইখানে কি কাম করস?”
“আফনারে কউন লাগব?”
গামছার নীচ থেকে এলএমজি টা বের করল বাদশা। সবে মাত্র সেকটর-৩ থেকে আবীরের সাথে ঢাকায় ফিরেছে মুক্তিযোদ্ধাদের এই দল।
এলএমজি দেখে মন্টু মিয়া তার মাল-কোছ মারা লুঙ্গি তে পেচ্ছাব করে দিল। বাদশা তার হাত ধরে টান দিতেই লুঙ্গির গিট খুলে বেরিয়ে পড়ল সোনার বালা। সকালের রোদে তার গা থেকে ঠিকরে পরছে যেন হলুদ লাভা।
“স্বর্ণের বালা”- বাদশা চিৎকার করে উঠল
‘বালা’ শব্দটি যেন দূর অতীত থেকে আসা একটি জাহাজের মত আবীরকে ভীষণ ধাক্কা দিল। চোখের সামনে বালাটি তুলে ধরতেই আবীর মূর্ছা গেল।
এগারঃ( নভেম্বর ২১, ১৯৯৫)
———————————————————————————————————————————–
আজ লাবন্যের বিয়ে। ঘর ভর্তি মানুষ গিজ গিজ করছে। লাবন্যের শশুর বাড়ির লোকজন ভীষণ বড়লোক। মেয়ে পক্ষের গয়না গাটি দেখে ছেলের খালা-ফুফুরা রীতিমত নাক সিটকাচ্ছেন।পাত্র খুব ভদ্র আর লাজুক, বিলাত ফেরত ব্যারিস্টার। এই রূপবতী মেয়ে কে গাড়ীতে তুলে বাড়ি নেবার জন্য মনে মনে ছটফট করছে বেচারা।
পাত্র পক্ষ দেখল একটি লাঠি হাতে প্রায় বৃদ্ধ এক লোক বাড়ীর বাইরে হেঁটে আসছেন। তার হাতে দুটি ময়লা-ধরা পুরনো বালা। সোনার না ইমিটেশনের ঠিক বোঝা গেলনা। পাত্রপক্ষের লোকজনের কানাঘুষা শুরু হল। পাত্রের এক খালা, পাত্রের আরেক ফুফু কে বললেনঃ “দেখলেন বিয়াইন, হাল্কা গয়নাগাটি ভারী করার জন্য আমাদের পাত্রী-পক্ষ যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নকল ইমিটেশন ঢালছেন”-
তার এ কথায় হেসে উঠল পাত্র পক্ষের সাড়ে চারশ মানুষ।
এইসব হাসি আর আনন্দের অনেক দূরে, ক্ষয়ে যাওয়া শুক্লা-পক্ষের শেষ রাতের চাঁদের গা বেয়ে ঝরছে এক দুঃখিনী জ্যোৎস্না। আকাশের তারা গুলো যেন যোগ দিল অদ্ভুত এক কান্নায়- সোনার বালা পরা এক রূপবতী মেয়ে আর তাকে জড়িয়ে ধরা সময়ের ভারে ক্লান্ত এক বৃদ্ধ।
শুধু জ্যোৎস্নার কান্নার এই শিশির গুলো মুছে, উঠে ঘুরে দাঁড়াল স্বর্ণ-বালার মতই গোলাকার ঝক্মকে চাঁদ- ঠিক যেন বাংলাদেশের পতাকার জলন্ত সূর্য।
২৫টি মন্তব্য
অরণ্য
(y) শুধুই থাম্বস্ আপ। আর কিছু লেখার নেই আমার।
আহমেদ পরাগ
সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বেশ সুন্দর করেই উপস্হাপন করেছেন ৭১কে।বেশ আবেগে মন নড়ে উঠল। -{@
আহমেদ পরাগ
ফিডব্যাকের জন্য ধন্যবাদ ।
স্বপ্ন নীলা
ঝরঝরে বর্ণনা, সাবলীল লেখায় রাশি রাশি ++++++++++
আহমেদ পরাগ
ধন্যবাদ ।
শুন্য শুন্যালয়
আপনাকে স্বাগতম সোনেলায়। -{@
এতো সুন্দর একটা লেখা নিয়ে এলেন আমাদের জন্য, এজন্য কৃতজ্ঞ থাকলাম। অসাধারন একটি লেখা।
আহমেদ পরাগ
জী আমি আমাদের ‘বুয়েতে আরিপেতে শোনা ‘ ব্লগে কিছুদিন লিখেছি। এখন থেকে এখানেও লিখব, আশা করছি। সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ
মারজানা ফেরদৌস রুবা
কৃতজ্ঞতা রইলো।
গল্পটি পড়ে চোখ জলে ভরে উঠেছে।
যখন বালাটি কেনা হয়, তখন স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে মেধাবী ও সৎ অফিসারের বউ নীলা বালাগুলো পেয়ে যারপর নাই খুশি হয় কিন্তু মুখে তাঁর চিন্তার রেখা ফুটে ওঠে, না জানি আবীর কতো কষ্ট করে সেগুলো কিনে এনেছে। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সমাজে নষ্ট লোকের মেলা এতো বেড়ে যায় যে, ওই ময়লা-ধরা পুরনো বালাগুলোর মধ্যে যে কি লুকিয়ে ছিলো তা তাদের উপলব্দিতেই আসেনা।
এর থেকে মুলতঃ আমার দৃষ্টিতে যে বিষয়টি ধরা পড়েছে, ১৯৭১ এ পাকবাহিনী যখন বুঝতে পারে তাদের পরাজয় প্রায় নিশ্চিত, তখন তারা এই জাতিকে মেধাহীন করার লক্ষ্যে ১৪ই ডিসেম্বর বেচেবেচে সকল বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে, যাতে করে ভবিষ্যত প্রজন্ম দিকনির্দেশনাহীন ভাবে বেড়ে ওঠে। এরপর দেশ স্বাধীন হয় ঠিকই কিন্তু ৪ বছরের মাথায় আরো একটি বড় বির্পযয় ঘটে গেলে এমন সব দিকনির্দেশকের দ্বারা জাতিটি পরিচালিত হতে থাকে, যারা জাতিকে শুধু টাকা কামানোর নেশাই ধরিয়েছে, জাতির মননে নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করতে পারেনি, মানবিকগুনাবলী সম্পন্ন জাতিতে পরিনত করতে পারেনি।
তাই গল্পটির শেষে দেখা যায় কানাঘুষারত পাত্র পক্ষের সাড়ে চারশ মানুষ বালাগুলো দেখে হেসে ওঠে।
আহমেদ পরাগ
এত ধৈর্য নিয়ে পড়ে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ব্লগার সজীব
অসাধারন লাগলো ভাই। প্রথম লেখায়ই বিজয় মাসকে সামনে নিয়ে লেখা। শ্রদ্ধা আপনি পেতেই পারেন।
আহমেদ পরাগ
ধন্যবাদ।
বনলতা সেন
এ সময়ে এই লেখাই বেশি বশি দরকার। সময় নিয়ে লিখছেন দেখে ভাল লাগল।
অভিনন্দন আপনাকে আমাদের সাথে এখানে আসার জন্য।
আহমেদ পরাগ
ধন্যবাদ। আপনাদের ব্লগটির অর্গানাইজেশন ভাল লেগেছে। সময় পেলে লিখব।
স্বপ্ন
পড়তে পড়তে বুক ভারী হয়ে উঠলো ভাইয়া।যুদ্ধে কত জীবন,পরিবার এলোমেলো হয়ে গিয়েছে।কত নীলা চরম মুল্য দিয়েছেন,কত লাবন্য হয়েছেন মা হারা, কত আবীরের চোখের জল শুকিয়েছে গালে।
আহমেদ পরাগ
ধন্যবাদ। দেশে প্রায় ১০০০ এর মত বধ্য ভুমি আছে। একবার ভাবুন সেখানে কত লোক জীবন হারিয়েছে, কত লাশ ফেলা হয়েছে।
আহমেদ পরাগ
আপনাদের ব্লগ টি বেশ ভাল লাগল।সময় পেলেই লিখব।সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
লীলাবতী
ভাইয়া প্রথম গল্পেই আপনি বুঝিয়ে দিলেন আপনি ভালো লেখক। বিজয়ের মাসে উপযুক্ত লেখা।এই বালা জোড়াই আমাদের শক্তির উৎস, আমাদের প্রেরনা।
আহমেদ পরাগ
আপনার ফিডব্যাকের জন্য ধন্যবাদ। আমাদের স্বাধীনতা এসেছে সাধারন দরিদ্র শ্রেণীর মানুশের আত্মদানে। আমাদের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মূল্যবোধ গুলো সম্পর্কে উচ্চবিত্তের খুব কমই সম্মান রয়েছে।দেশ স্বাধীন হয়েছে যাদের আত্ম ত্যাগে, আমরা প্রায় ই তাদের ভুলে যাই। আর ও বড় করে লিখার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু অনলাইন বলে সম্ভব হলনা।
মিথুন
ছলছল করে উঠলো চোখ। অসাধারণ লেখা, আর কিছু বলার নেই ———–
আহমেদ পরাগ
ধন্যবাদ উৎসাহিত করার জন্য
ছাইরাছ হেলাল
স্বাগত আপনি এখানে।
আপনার প্রথম লেখাটি দেখে ভাল লাগল এই ভেবে আপনি লিখছেন অনেক সুন্দর এবং
আরো লিখবেন তা বলছেন ।আমরা অপেক্ষা করব।
আহমেদ পরাগ
ধন্যবাদ। চেষ্টা করব, ইনশাল্লাহ।
নুসরাত মৌরিন
অসাধারন লেগেছে গল্পটি।
১৯৭১ এর সেই এক অদ্ভুত সুররিয়ালিস্টিক সময়ের গল্প এক জোড়া বালায় গেঁথে দিয়েছেন দারুন নিপুনতায়। (y)
আহমেদ পরাগ
ধন্যবাদ নুসরাত মৌরিন।