কেউ যখন আমাকে জিজ্ঞেস করতো, কেমন আছো? আমি হেসে বলতাম, আমার আছে ঘরের মধ্যে ঘর, কার সাধ্য আমাকে খারাপ রাখে? নেহায়েত দুস্টুমি করে বলা নয়, এটা আমার বিশ্বাস। ব্যাক্তিগত প্রসঙ্গ গুলো এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করি লেখায়, তবুও হয়তো এসেই যায়। কথায় কথায় অনেককেই বলতে শুনেছি, দুজনের পছন্দের মিল না হলেও সমস্যা নেই, মনের মিল হলেই যথেষ্ট। আমার মাথায় আসেনা সব পছন্দের অমিল হলে মনের মিল কি করে সম্ভব?
বাবা – মা পরিবারের কাছে আমাদের চাওয়া গুলো একটু ভিন্ন হয়। নিজের ইচ্ছের ডালপালা গুলো সবচাইতে কাছের মানুষটির কাছেই দুহাত মেলে প্রসারিত করে ধরি আমরা। ওই যে আমি আমাকেই ভালোবাসি, তাই আমাকে খুঁজে পেতেই তোমার কাছে এসেছি, এমনটাই। আমরা আসলে নিজেকেই খুঁজে বেড়াই।
ঘুরে বেড়ানোর নেশা ছিলো, ঠিক নেশা বললে মনে হবে অনেক ঘুরতাম। আসলে তা নয়। সুযোগ পেতাম না তেমন। তবে ইচ্ছের পাহাড় সাগর নদী আকাশ ছুঁই ছুঁই ছিলো। ইচ্ছেগুলো যেখানেই যতটুকু ছুঁক, বাস্তবটা যেন ভিন্ন হতে পারলেই বেঁচে যায়। হলোও তাই। পছন্দ অপছন্দের অমিলে নিজেকে বন্দী করে ফেলতে হয়েছে একটা দৃশ্যমান ঘরে। চাইলেই অনেক কিছু পারি আমরা। করে তো আজকাল অনেকেই। মিলের অমিল হলেই ছেড়ে যাওয়া। এরপর? একাকী নিজেকে সুখী করতে পারবো? যদি না পারি? অন্য আরেকজনে আবার ফের খুঁজে ফেরা নিজেকে? হবে তার সাথে আবারো শতভাগ মিল? ভীরুরা হয়তো নিজেকে এভাবেই প্রবোধ দেয়, আমিও তেমনি। খুঁজে নিলাম এঁদোকাঁদার মধ্যে আমার নিজের ঘর। আমার প্রিয় মানুষটি একদিন আমাকে বললো, নিজের জন্য একটা বারান্দা রেখো, যদি মনে করো সেখানে আমাকে যেতে দেবেনা, তাহলেও সমস্যা নেই, তবু একটা বারান্দা রেখো। আমার ঘরের মধ্যে ঘর আর তার লাগোয়া এক বারান্দা নিয়ে গড়ে তুলেছি শুন্যালয়। আমি সুখী, খুব সুখী।
বারান্দা থেকে তোলা কিছু ছবি নিয়েই এই পোস্ট—————-
ঘুম ভেংগে আমার ভোর আমাকে কোথায় যেন নিয়ে যায়। এ বারান্দা থেকে দূরে বহুদূরে। এ আলো মেঘের কুয়োয় টুপটুপ করে ভেঙ্গে পড়তে থাকে টুকরো পাথর …
আগুন আঁচে পুড়ানো আঙ্গুল চেপে ধরি শিশিরের গায়ে। জল গড়িয়ে গড়িয়ে নেমে যায়। শিশির আর জলে তখন কি তফাৎ?
দুটি চুপচাপ ঘুঘু শুধু গলায় স্বর তুলে কি যেন বলে আমায়।
আমি কি বেজোড়? নাহ, আমার দুটি চোখ, দুটি ঠোঁট। দুইটা হৃদয়।বৃষ্টি নামলেই আমি ভিজি ফুলের মতই। লিটন সেতুর উপর ভেজা পায়ের দাগগুলো মিশে গেছে কি অসংখ্য দাগের ভিড়ে?
রংধনূ সরল এক ফোঁটা বৃষ্টিকণার মাঝে যেন সাতটি জটিলতা। অথবা যা দেখতে পাই, তার ভেতর খুঁড়ে দেখতে পাওয়া সাত গুনিতক।
সাদা ভাবছে, ইশ কি টুকটুকে লাল আর লাল ভাবছে, আহ্ কি শুভ্র সাদা! আর আমি ভাবছি বিপরীত আর তুলনা বলে কিছু না থাকলেই ভালো ছিল। আমি আমার মতো।
এক শহর থেকে আরেক শহর দেখিনা। দেখিনা এদেশ থেকে ওদেশ। লক্ষ্য কোটি দূরের চাঁদের গায়ে পাহাড় দেখে ভাবি, দূরত্বও এক রহস্য! কাছের মানুষ দূরে ওই চাঁদের মতো, আর সে? যেন চাঁদের অই দাগপাহাড়।
———————-নিজেকে সুখী করা সহজ, অসুখী করে রাখবার চাইতেও।
৭৫টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আপনার বারান্দাখানি দেখছি বড়ই মনোহর, আর এথেকেই আপনার পাল্লা বোঝা যাচ্ছে।
লেখায় বারান্দায় দেখা দৃশ্যগুলো গলে গলে পড়ছে।
তবে রং এর ব্যাপারটা দারুণ!! ইস আপনি এমন হলে দুনিয়া হতো কতি না আনন্দ ময়।
ছবি দেখে মাথা আউলা।
পরে আবার আসছি।
শুন্য শুন্যালয়
বারান্দা থেকে তোলা অনেক ছবি জমেছে, হুম পাল্লা ভারিই হয়ে যাচ্ছে। চাপানোর জন্য আপনাদের কাঁধের কথা মনে পড়লো 🙂
আবারো সেই পঁচা কথা? মাথা ঠিক ঠাক করে আসুন।
ছাইরাছ হেলাল
চরি, আর নয় ও যাত্রা!!
এমন সুন্দর ছবি জমিয়ে রাখা ঠিক হয়নি।
শিশির আর জলের পার্থক্য অবশ্যই আছে, সকালসূর্যে শিশির হাসে হীরক সাজে।
জল গড়ায় আপন মনে ঢালু পথে। এটি ই আমার পছন্দের ছবি।
তিলক ঘুঘুটি কী করে নিলেন !! খুব সুন্দর। ওটাও।
সহজে সহজ করে লেখাই আমার কাছে কঠিন মনে হয়। সুন্দর ভাবে কত সুন্দর করে
ছবির সমন্বয় করে লিখলেন, আমি কিন্তু পারি ই না।
ভ্রমণ কাহিনী লিখতে গেলেও কী সব জানি লিখে ফেলি, কিছুই শেখালেন না।
শুন্য শুন্যালয়
আমার বারান্দার সাথের গাছটিতেই ঘুঘুর বাসা, তিলক ঘুঘু বুঝি? সুন্দর তো নামটা। ছবিটি আপনাদের ৭০ কিবাইটের ধাক্কায় ঝলসে গেছে, নইলে একটু হাসি দিতে পারতো। শিশির যখন জল হয়ে গড়িয়ে পড়ে তখন মিলেমিশে যায়, তবু পার্থক্য থেকেই যায়।
আপনার কাছে সহজ লেখা তো কঠিন মনে হবেই, ও যে ঘুরতি পথে বাড়ি ফেরে, হি হি। আমিও তো সেই একই কথা কই, কিছুই শেখালেন না। ছবি দিয়ে দিয়েই চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। 🙁
আপনি যাই-ই লিখুন, সে ছাইরাছ ভাইয়ার মতই হবে, অন্যরকম চাইওনা আমাদের।
ছাইরাছ হেলাল
একেই যদি চালিয়ে নেয়া বলে তাহলে আমরা তো স্থানু,
উদ্ধার করুন আমাদের।
আপনার ছবির হাতটি সত্যি চমৎকার, তা আবার স্বীকার করলাম।
শুন্য শুন্যালয়
যতই চমৎকার বলুন, আপনার নখ কাঁটার যন্ত্র নিয়ে সেই পেয়ারা বাগানের মত কিছুই নয়, যেমন সুন্দর সব ছবি, তেমনি সেই লেখাটা, যেটার কথা বলেছিলাম কএকদিন আগে। শিরোনাম কি ছিল ভুলে গেছি। 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
“আমরা আসলে নিজেকেই খুঁজে বেড়াই।”-এই কথার চাইতে বড় সত্য আজকের পৃথিবীতেও নেই, আর তাই তো মানুষ নিজেকে খুঁজতেই শূন্যপানে ছুটে চলেছে শুরুর খোঁজে।
“আগুন আঁচে পুড়ানো আঙ্গুল চেপে ধরি শিশিরের গায়ে,
জল গড়িয়ে গড়িয়ে নেমে যায়।
শিশির আর জলে তখন কি তফাৎ?”-এ যেন কোন এক কবি মনের কথা… এতো অদ্ভুত করে বলা ‘আগুন আঁচে পুড়ানো আঙ্গুল’!…
“এক শহর থেকে আরেক শহর দেখিনা। দেখিনা এদেশ থেকে ওদেশ। লক্ষ্য কোটি দূরের চাঁদের গায়ে পাহাড় দেখে ভাবি, দূরত্বও এক রহস্য! কাছের মানুষ দূরে ওই চাঁদের মতো, আর সে? যেন চাঁদের অই দাগপাহাড়।”- দূরত্ব যত বাড়ে মানুষের তা ততোই নিকটে আসে। এই কথাটি হচ্ছে ‘”আমরা আসলে নিজেকেই খুঁজে বেড়াই।”‘ সত্যের পর আরো একটি সত্য। আর তাই তো আমরা নিজের খুব কাছে থাকা নিজের মনকেই চিনতেই পারি না! চিনতে চেষ্টা করি সাধ ও সাধ্যের বাইরে থাকা অন্যের মন! কবে কখন শূন্য হতে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি বা ঈশ্বর হতে শূন্যের সৃষ্টি তা আজও অধরা অথচ সেই ঈশ্বর বা শূন্যকে ছুঁতেই ছুটে যাই, যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। অথচ নিজেকে চিনি কি?
ভাবতে খুবই অবাক লাগে আমরা আমাদের চারপাশে থাকা ক্ষমতার সীমা নিয়ে লেগে আছি অথচ সীমিত ক্ষমতার মানুষের সীমানা কোথায় তাও মানুষ আজ অব্দি ঠের পায়নি! মানুষ নাকি তাঁর মগজের মাত্র ৫% ব্যবহার করতে পারে সর্বোচ্চ আর আইনস্টাইন ব্যবহার করতে পেরেছিলেন ৭% তাঁর মগজের এবং তাতেই তিনি যা করেছেন!
কি আছে আমাদের? পঞ্চ ইন্দ্রিয় আর তার জোড়া জোড়া কিছু অংশ, শরীরের ৯০ ভাগ জল আর সেই বাকি দশভাগের এক কোণায় সবার উপরে আছে মগজ! যার রহস্য না পারছি ছুঁতে আর না পারছি ফুসফুসের ধুকপুকানিকে মন মেনে নিয়ে সেটাকে অগ্রাহ্য করে ভুলে থাকতে! কি অদ্ভুদ আমরা। নিজের ঘরের ভেতরেই ঘর অথচ?…
শুন্য শুন্যালয়
ও দাদাভাই, কি মন্তব্য লিখলি? প্রতি মন্তব্য কি লিখবো, তাই বসে ভাবছি, এক হাত গালে।
আমরা নিজেকেই খুঁজে বেড়াই, হুম মাথার মশ্যে জেঁকে বসেছে বেশ কিছুদিন। আরো ভাবছিই, নারী পুরুষ আসলে নিজের ছায়াই খোঁজে অন্যের মাঝে, তার মত করে পেতে চায়।
শরীরের এই রহস্য খুঁজতে গেলে নিজেকে কেমন পাগল পাগল লাগে। কি অদ্ভূত সব সমন্বয়। ডেকস্ট্রোকার্ডিয়ার মানুষদের সবকিছু উলটা পজিশনে থাকে, অর্থাৎ হার্ট ডানপাশে তো লিভার বাম পাশে। অথচ কোন গরমিল নয়, সবকিছু জাস্ট অপোজিট, কি করে সম্ভব এমন? ভাবতে গেলে পাগল হলেও অন্যরকম একটা ভালো লাগা কিন্তু কাজ করে।
তুই অনেক ভাবিস দাদাভাই, সুন্দর করে পজিটিভলি ভাবিস। দুরত্ব আর আমি আসলে একই, একই সুর। সব শুন্য, শুন্যই জীবন :p
নীতেশ বড়ুয়া
মানুষ যা দিয়ে দেখে, শুনে আর শোঁকে সবই জোড়ায় অথচ একে অন্যের অন্যের না ছোঁয়ার দূরত্বে, কেন?
মানুষের অন্য এক এক ইন্দ্রিয় স্বাদ যা জিভে অথচ এতেই সবাই কুপোকাত, কেন?
এই জন্যেই কি যাতে বাকি সব ছন্নছাড়া না হতেই একে অন্যের দূরে বা উল্টোভাবে? এই অপোজিটের জন্যেই কি তবে চুম্বকের উত্তর আর দক্ষিণ মেরু পরস্পরের আকর্ষণে থাকে যেমন নর আর নারী? অথচ উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরু দু গোলার্ধে থাকলেও কিছুতেই একে অপরকে আকর্ষণ করে না!
সবই শূন্য, শূন্যতায় ভরছি নিজেদের খেয়াল খুশীতে। বলা উচিত শূন্যালয়েই জীবন এবং এটাই বিজ্ঞান।
অবাক ব্যাপার যার নিজের মান নেই, সীমানা নেই, কাছে কিঙ্গা দূরত্ব বলে কিছুই নেই সেই শূন্য বা শূন্যতাকেই অসীম দূরত্বে ভেবে ছুটছি… প্রাণের সব ভাল কি উল্টো বলেই? কি জানি!
আগেও বলেছি, আবারো বলছি- ভাবতে গেলে ভাবনার খোরাক লাগে। অতএব, আমার ভাবনার খোরাকের যোগান তোমরাই। 😀
শুন্য শুন্যালয়
শোন দাদাভাই, আমি বলবো, আপেল গাছ থেকে কেন মাটিতে পড়ে আর তুই ভাববি, তরমুজ কেন গাছে ধরেনা?
মস্তিস্কের পারসেন্টেজ গোনার মেশিন আমাদেরও দরকার ছিল, আইজকা তোরটা মেপেই ছাড়তাম :p
বড় সুন্দর করে বললি, নিজেরে কেমন ভারী ভারী লাগতেছে, হা হা হা 😀
নীতেশ বড়ুয়া
তরমুজ গাছে ধরে না কারণ তরমুজের ভারে গাছ ভেঙ্গে পড়বে তাই 😀
আমার মস্তিস্কে মাপার মতো কিছু থাকলেই তো মেশিন থাকবে, নাকি! :p
তুমি এম্নিতেই ভারী… গোল্গাপ্পা গাব্দুগুব্দু কার্টুন মায়ের মতো :D)
শুন্য শুন্যালয়
তোর মস্তিস্ক তাইলে শুন্য। তুই-ই না কইলি, সবকিছু শুন্য থেকে শুরু করতে হয়, অতএব মেশি লাগপেই 😛
আমি আসলেই মটু ;(
নীতেশ বড়ুয়া
আমিও মোটা ^:^
আমার মস্তিষ্ক মাপার মতো কিছু নাই বলেছি, শুন্য বলি নাই ^:^ চুল কখানা আছে গোনার মতো :D)
শুন্য শুন্যালয়
কয়খান চুল, গুনে বল 😀
নীতেশ বড়ুয়া
এই মুহুর্তে ১৩৮ খানার সাথে সোয়া তিনখানা। বাকিগুলো কঠায় উড়ে গেলো খুঁজে দেখতে হবে :p :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু ছবিগুলো থেকে চোখ সরানোই যাচ্ছে না। আগে ভালো করে দেখে নিই। তারপর তোমার বারান্দার গল্প শুনবো। এবং বলবোও।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু যাদের আমরা প্রিয় বলি, তারা নিজেদের সুবিধার্থেই বলে বারান্দা রাখতে। ঘর যতোই বৈরী হোক, তবু ছায়া দেয়, রোদ্দুর দেয়, আশ্রয় দেয়। আর তার বিনিময়ে নিজস্বতা কিছু হারালেও ক্ষতি কি! বাবা-মায়ের কাছে কি কোনোকিছুই হারাইনি আমি? নাহ বেশী বলে ফেলছি।
পোষ্ট অনেক ভালো লেগেছে। তোমার পোষ্ট বলে কথা। অনেক ভালোবাসা শুন্য আপু। সবসময় মন ভালো রেখো। সুখ বলে কিছু আছে কিনা জানা নেই, তবে স্বস্তি আছে। তোমায় স্বস্তিটুকু ছুঁয়ে থাকুক। -{@ (3
সেই একই আমি। যার আবেগের বদল হলোনা আজও।
শুন্য শুন্যালয়
প্রিয় মানুষ নিজেদের সুবিধার্থেই বারান্দা রাখতে বলে? পজিটিভলি বলো নীলাপু, এতে কতটা ভালোবাসা আছে সেটা ভাবো। বারান্দা প্রত্যেকের ভেতরেই একটা গোপন আস্তানার মত। সেটা একটা ঘরেরই অংশ। বলার উদ্দ্যেশ্যটা অন্যরকম। আমাদের ভেতরে নিজের একটা একান্ত জায়গা রাখা উচিত, সেটা ওপেন করা উচিত না কারো কাছেই, একান্ত মানুষটির কাছেও নয়। নিজের কাছে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। স্বার্থপর হলে এভাবে ভাবতো না সে।
সুখ আর স্বস্তির পার্থক্যই যে বুঝিনা 🙁 মজার ব্যাপার হলো, লেখার প্রথম লাইনটা এমন লিখেছিলাম, আমরা কি চাই? সুখ না স্বস্তি? পরে বাদ দিলাম 🙂
আবেগের বদল করোনা কখনো। ভালো থেকো। -{@
শুন্য শুন্যালয়
ছবিগুলো এতদিন অবহেলা করেই রেখে দিয়েছিলাম। ভালো লেগেছে শুনে ভাল্লাগছে 🙂
অন্তরা মিতু
দিদিইইই… তুমি, তোমার আবেগ এবং তোমার লেখা-এর কোনো পরিবর্তন কখনো চাই না. অনেক আদর….
(কতদিন পরে তোমারে দেখতেসি \|/ )
জিসান শা ইকরাম
নিজের একান্ত বারান্দার কথা প্রকাশ করে দিচ্ছেন?
কেউ কি জানতে চেয়েছে আপনার বারান্দায় কি আছে?
নিজকেই বলছেন আপনি,কথা বলছেন নিজের সাথেই
শুন্যালয়ের দরজা খুলে দিচ্ছেন মনে হচ্ছে 🙂
আচ্ছা আপনার দুটি হৃদয়!
চিকিৎসা বিজ্ঞানে আপনি তাহলে দুটি হৃদয়ের প্রথম মানুষ।
প্রতিটি ছবির সাথে লেখা আপনার কথাগুলো আপনাকে চিনিয়ে দিচ্ছে।
লেখাটি এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলার মত,কোন লাইন বা শব্দে পাঠককে থেমে যেতে বাধ্য করেননি
ছবি এবং কথায় অনবদ্য পোষ্ট।
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
নিজের সাথে নিজের কথা বলা, শুন্যালয়ের দরজা খুলে দেয়া। আমিতো ছায়া ছায়ায় রেখে দিয়েছিলাম, আপনি যে একেবারে গুমড় ফাঁশ করে দিচ্ছেন। হুম, এভাবে আগে বলেছি কিনা বুঝতে পারছিনা, আপনি যে আমাকে বুঝতে পেরেছেন, তাতে শভাগ ধন্যবাদ। যদিও কেউ জানতে চায়নি, তাই কি?
আমার দুই হৃদয়ের কথা আপনি যেন আবার কাউকে বলে দেবেন না, লোকে আমাকে পাগল বলে খোঁয়াড়ে ঢোকাবে।
আপনার মন্তব্য আমাকে এগিয়ে নেয়। -{@
জিসান শা ইকরাম
নিজের কিছু অ-বলা কথা প্রিয়জনদের কাছে বলার তাগিদ থাকেই
এখানে আপনি শুধু কিছু নয় প্রায় সবটাই বলে দিয়েছেন
শুন্যালয়কে এখন চেনা সহজ হয়ে গিয়েছে আসলে
এটি ‘আমি কে?’ এর মতই একটি লেখা।
সিস্টেম বলে দিলে আমিও দুইটা হৃদয় রাখতাম আমার মাঝে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
এটা শুন্যের অনেকাংশের একাংশ, আমার প্রায় সবটা অন্য কোথাও। তবে এ সত্যি, এভাবে নিজের একান্ত কথা আগে প্রকাশ করিনি। হয়তো উচিৎ হয়নি, তবুও ইচ্ছের উপর আমার হাত নেই 🙂
সিস্টেম বলা মানা আছে, গুপনে যোগাযোগ করুন। অদল বদলের সিস্টেম প্রকাশ্যে বলা মানা। 🙂
জিসান শা ইকরাম
আমাদের একটি দেশ আছে, যার নাম ‘ ইচ্ছে পুরন দেশ’
যেখানে ইচ্ছে হলেই তা পুরন করা অবশ্য কর্তব্য।
আপনার বর্তমান অবস্থানকে বুঝা যাচ্ছে এখানে, যদি লেখা শুধু লেখার জন্যই না হয়।
আচ্ছা গুপনেই হোক
নীল খামের চিঠি যাচ্ছে আপনার কাছে
উত্তরও চাই নীল খামে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
লেখা শুধু লেখার জন্যই নয়, আমার মত শখের অপেশাদার লেখকের জন্য নয়ই। যা লিখি তা মনের অবস্থান থেকেই লিখি। আপনি আমায় বুঝতে পারেন। নীল খামে চিঠি আসছে নাকি? আমার উত্তর লাল খামে যাবে। লাল আমার প্রিয়। তবে সেটা না পৌঁছানোর সম্ভাবনা বেশি।। 🙁
অরুনি মায়া
আজ আমি নই একা
ঐ দেখ আমার সাথে একাকি চাঁদের জেগে থাকা
নই আমি আজ একা
তাই কবিতার প্রহরে কলমের বুকেতে চুপি চুপি হাত রাখা
আমার কবিতার এই কয়টি লাইন আজ তোমার জন্য | আরেকদিন পুরোটাই লিখে দিব 🙂
যার এত সুন্দর একটা বারান্দা আছে সে একা হতে পারেনা |
আমার আমি আছি আর আমার আছে প্রকৃতি | আর কি লাগে বল |
অসাধারণ কিছু ছবির সাথে চমৎকার কিছু ভাবনা মিলেমিশে একাকার |
অনেক সুন্দর তোমার সৃষ্টি (3
শুন্য শুন্যালয়
কবিতার প্রহরে কলমের বুকেতে চুপি চুপি হাত রাখা— মেয়েটা মুহুর্তেই কেমন সুন্দর ছন্দ এনে ফেলে। পুরোটা দিয়ে ফেলো একদিন। অপেক্ষায় থাকবো।
একটা মজার ব্যাপার শেয়ার করি। তোমার একটা লেখা একবার এলোমেলো করে দেব বলেছিলাম, মনে আছে? একদিন হঠাত নোট ঘাটতে গিয়ে দেখি সুন্দর একটা লেখা। অবাক হলাম, আরে এত সুন্দর লেখা আমি কবে লিখলাম? পরে মনে পড়লো, এটা তোমার সেই লেখারই এলোমেলো অংশ। তোমাকে দেখাবো, আজ হবেনা বোধ হয়। তুমি খুব সুন্দর লেখো মায়াপু।
প্রকৃতির ভেতরই আমি থাকে। এ তেমন কিছু নয়। ভালো থেকো। -{@ (3
অরুনি মায়া
হা হা হা তাইনাকি সব এলোমেলো করে দিয়েছ | আচ্ছা পোস্ট দিয়ে দিও | আমিও একদিন কবিতা টা লিখে ফেলব ! তুমি যে কত দুষ্টু ভাবতেই ভাল লাগে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
অর্ধেকটা করে রেখেছিলাম, শেষ করে দিয়ে দেব মায়াপু। বেশি দুষ্টু হওয়া আবার ভালো না। সবাই দুষ্টুমি নিতে পারেনা।
অরুনি মায়া
যে নিতে পারেনা সেটা তার ব্যর্থতা | আমি দুষ্টু শুন্যাপু কেই দেখতে চাই| নইলে কি করে বলব শুন্যাপু কোথাকার 🙂
শুন্য শুন্যালয়
যা খুশি বইলো আপু। দুস্টুমি কমিয়ে দেব ভেবেছিলাম, যাক তাহলে শুধু তোমার সাথেই করবো 🙂
অরুনি মায়া
ওহ তোমার দুটি হৃদয় হলেও স্পন্দন কিন্তু একটাই
শুন্য শুন্যালয়
স্পন্দন একটাই, সেই স্পন্দনে একজনের কথাই বলে, সে আমার ভোর।
অরণ্য
আমি লক্ষ্য করলাম লক্ষ লক্ষ মানুষের মন লক্ষ লক্ষ রকম। “নিজেকে সুখী করা সহজ, অসুখী করে রাখবার চাইতেও।” – এটিকেও অনেকে আলাদাকরে ভাবতেও পারে।
হৃদয়হীন বা হৃদয়হীনা শুনেছি, তাই বলে দুই হৃদয়া! “XXY” বা “XYY” দুটোই জেনেটিক ডিসঅর্ডার। কোনটা কার মধ্যে ডমিনেন্ট তা বুঝে নেয়াটা ভাল। এবং ডাক্তারদের অবশ্যই তা উচিৎ। আমাদের দুই কান একই রকম হলেও একটু করে তারা আলাদা। দ্বিমুখিতা আমার ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ নয়। আমার নামটাও তাই নেয়া ‘অন’ অর ‘নো’। এ আমার ব্যক্তিগত বোধ।
শুন্যেরা ভাল থাকবেই, এটাই স্বাভাবিক।
কিপ গোয়িং উইথ লাফটার। 😀
শুন্য শুন্যালয়
লক্ষ মানুষের মন লক্ষ হওয়াই স্বাভাবিক। তুই আমি একরকম করে ভাবলে এতো ভেরিয়েশন আসতো না পৃথিবীতে। দুই হৃদয়ের একটি Anatomical heart, আরেকটা আমাদের অবোধ্য হৃদয় যেটা আমাদের বশে থাকেনা বোঝাতে চেয়েছি, এখানে দ্বিমুখিতা কোথায় পেলি? ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা প্রকাশের জন্যই মন্তব্য, তবে পাঠক যখন লেখকের ভাবনা একটু হলেও বুঝতে পেরে মন্তব্য দেয় তখনই তাকে স্বার্থক লেখা বলা যায়। সে হিসাবে অবশ্যই এই লেখা ঝুড়িতে ফেলে দেয়া ক্যাটাগরীতে পড়ে। দ্বিমুখিতা কারোরই পছন্দ নয়, সেক্ষেত্রে তোর আমার ব্যক্তিগত পছন্দ একই। নামের মতই “অন” অর “নো” হয়ে থাক।
শুন্যেরা ভালো থাকবেই, কার সাধ্য তাদের খারাপ রাখে? ভালো থাকিস।
অরণ্য
পাঠক বোঝেনি বলেই তা ময়লার ঝুড়িতে ফেলবেন, তা কেন? তা ঠিক না এবং তা করেননি।
আসলে দ্বিমুখিতা আমাদের কারো পছন্দের নয় যখন দেখি অন্যের মাঝে; অথচ আমরা নিজেরাই থাকি দ্বিমুখিতায় বা বহুমুখিতায়।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
বাহ! সুন্দর বলেছেন তো “আমার ঘরের মধ্যে ঘর আর তার লাগোয়া এক বারান্দা নিয়ে গড়ে তুলেছি শুন্যালয়।”
ঠিক, আপনার প্রিয় মানুষটি ঠিক বলেছে। প্রতিটা মানুষেরই নিজের জন্য আলাদা একটা বারান্দা থাকা চাই।
ছবিগুলো সুন্দর ও মনোরম; ছবিকে কেন্দ্র করে অভিব্যক্তির প্রকাশ আরোও সুন্দর।
শুন্য শুন্যালয়
রুবা আপুকে নিয়মিত পেয়ে খুব ভালো লাগছে। হ্যাঁ এমন একটি প্রিয় জায়গা আমাদের সবারই থাকা উচিৎ, আছেও।
ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন।
আবু খায়ের আনিছ
কিছু কিছূ লেখা ভাবনাকে প্রসারিত করে। একটা লেখার কয়েকটি লাইন ব্যাক্তি হৃদয়কে আলোড়িত করে।
”নিজের জন্য একটা বারান্দা রেখো, যদি মনে করো সেখানে আমাকে যেতে দেবেনা, তাহলেও সমস্যা নেই, তবু একটা বারান্দা রেখো।”
ভালোবাসাকে সুখি করতে এই কথাটা কয়জন বলতে পারে। বর্তমান সময়ে ত আরো না।
শুভ কামনা শুন্য আপুর পূর্ণলয় এর জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপু তোমার জন্য।
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ এই কথাটা সবাই বলতে পারেনা। কথাটা বলতে তিনিই পারেন, যিনি তার প্রিয় মানুষকে সুখী দেখতে চায়। স্বার্থের রাজ্যে এই চাওয়া বড়ই অমূল্য। তোমার মন্তব্যে প্রাণ থাকে ভাইয়া। ভালো থেকো।
আবু খায়ের আনিছ
তোমার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি আপু।
শুন্য শুন্যালয়
তুমিও সবসময় ভালো থেকো পিচ্চি ভাইয়া। -{@
সিকদার
নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন শূন্যতার আড়ালে আসলেত তা নন। আপনি ভরা গাং এর মত দুকুল ছাপিয়ে মনের পলি দিয়ে প্রতিক্ষন যেন উর্বর করে তুলছেন সোনেলাকে । আর শীতল নদের পানি দিয়ে যেন পিয়াস মিটিয়ে দিচ্ছেন আমাদের । আসলে আমাদের চারপাশে অনেক আছে , কিন্তু আমাদের দেখার চোখ নাই, নাই অনুভব করার উপলদ্ধি করার মত মন , স্পর্শ করার মত আবেগ । আপনি তাই দেখিয়েছেন আসল [b]”সত্য আমার ঘরের মধ্যে ঘর আর তার লাগোয়া এক বারান্দা নিয়ে গড়ে তুলেছি শুন্যালয়। আমি সুখী, খুব সুখী।”[/b]
শুন্য শুন্যালয়
সোনেলা কে আমি উর্বর করে দেবার মত কিছু রাখিনি ভাইয়া, বরং এই সোনেলাই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে, শ্বাস দিয়েছে।
যেটুকু পাই, তাতেই নিজেকে সুখী করবার চেষ্টা করাই ভালো। আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রানিত করলো। ভালো থাকবেন।
অপার্থিব
ছবিগুলো দারুন তুলেছেন। ছবি এবং অভিব্যক্তির প্রকাশ দুটোই খুবই ভাল ছিল। চমৎকার পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ অপার্থিব সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
তানজির খান
এক শহর থেকে আরেক শহর দেখিনা। দেখিনা এদেশ থেকে ওদেশ। লক্ষ্য কোটি দূরের চাঁদের গায়ে পাহাড় দেখে ভাবি, দূরত্বও এক রহস্য! কাছের মানুষ দূরে ওই চাঁদের মতো, আর সে?
সবকিছু রহস্য…লেখার মেজাজ দারুণ লেগেছ, ভাবনা আর কল্পনার জাল বোনায় পাঠক চিত্তে। ছবিগুলো দারুণ ছিল।শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে তানজির।
তানজির খান
স্বাগতম, শুন্য
নাসির সারওয়ার
“নিজের জন্য একটা বারান্দা রেখো”।
আরেক জনের জন্য বারান্দা বানিয়ে নিজের বারান্দাটা পোক্ত করে নিলাম নাকি? বারান্দা দুটো দিনে দিনে বড়ো হয়ে ঘরটাকে আবার খেয়ে ফেলবে নাতো?
অনেক ভালো মানের ছবির সাথে ভালো লেখার মিশ্রণ। লাল সাদা টা আমি রেখে দিলাম।
শুন্য শুন্যালয়
আরে ভাইয়া আমার মনের কথা ক্যাম্নে বুঝলেন? আমিতো সাথে সাথেই তারে কইছিলাম, আমার বারান্দা থাকুক, কিন্তু তোমার ঘর বাড়ি কিচ্ছু থাকা চলবেনা 😀
নিজের জন্য আলাদা কোন ঘর বারান্দার প্রয়োজন পড়েনা যতক্ষন দুজনের বোঝাটা এক হয়।
বারান্দা দিনে দিনে বড় হয়ে গেলে ঘর একদিন আসলেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ভাইয়া।
ছবি আপনার কোনটা ভালো লাগলেই অনেক খুশি হবো। সব নিয়ে নিন সমস্যা নেই। 🙂
ভালো থাকবেন।
নাসির সারওয়ার
হুম, আমি ভবিষ্যৎ কওয়া টিয়া পাখিটা নিয়ে দ্রুতই রাস্তায় বসবো ভাবছি!
বোঝাবুঝির বস্তাটা কখনো একটু ভারী হয়ে যায়। তুলতে কষ্ট হয়, আর তক্ষনি আমরা হায় পিতাস শুরু করি। আসুন আমরা সবগুলো বারান্দাকেই নো বলে দেই।
লাল সাদা ফুল। আহা, লালটায় যদি ফোকাসটা থাকতো!
সব ছবিগুলোই কথা বলে।
নীতেশ বড়ুয়া
আর আমি ভাবছি টিয়া নিয়ে আপনার পোস্টে মন্তব্য লেখাবো নাসির ভাইয়া। যা হবে ‘কবিতা চাই’ ^:^
নাসির সারওয়ার
বীজ বুনেছি কবিতার। চাঁড়া হলেই জানাবো।
নীতেশ বড়ুয়া
^:^ (-3 ^:^
শুন্য শুন্যালয়
চারা দেখা যাবেনা ভাইয়া, আন্ডারগ্রাউন্ডে মূল গজিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে, টেনে বের করে প্রকাশ করে দিন, ইশ এত্তো বলতে হয় কেন? @নাসির ভাইয়া
শুন্য শুন্যালয়
দাদাভাই, ১৩৮ আর সোয়া ৩ খানের পর কতগুলা ছিড়ছিস খেয়াল আছে? এবার আরেকবার গোনা দে।
শুন্য শুন্যালয়
টিয়া পাখি নিয়ে রাস্তায় বসবেন? হা হা, আপনার নীজের ভূত আগে জেনে নিন তবে :p
বারান্দাকেই নো বলে দিলাম যান। 🙂
লাল ফুলটা বেশ দূরে ছিলো। সাধারনত এই সময়ে দুটো ছবি মার্জ করলে দুটোতেই ফোকাস ভালো দেখা যেত। আপনিও কি লালের ভক্ত? 🙂
ব্লগার সজীব
আপু আপনার বারান্দায় বসে আমিও দেখলাম অনেক কিছু।নিজের জন্য একটি আলাদা বারান্দা আসলেই প্রয়োজন আমাদের সবার।যেখানে অন্য কারো প্রবেশাধিকার থাকবেনা।ছবি গুলো দেখে একটিই শব্দ……… ওয়াওওওওওও 🙂
শুন্য শুন্যালয়
উহু উল্টোটা। নিজের মানুষটি খুব কাছের হলে আলাদা বারান্দা লাগেনা ভাভু বাইয়া।
আপনি কি অনেক ব্যস্ত? মনে তো হচ্ছে হারিয়ে গেছেন। আমার বারান্দা দেখলেন, এবার না হয় আপনার বারান্দা দেখান।
মরুভূমির জলদস্যু
২, ৩, আর শেষেরটা সবচেয়ে সুন্দর হয়েছে।
শুন্য শুন্যালয়
থ্যাংক্স দস্যু ভাই।
দীপংকর চন্দ
অসাধারণ সব ছবি!!!
অসম্ভব ভালো লাগা লেখায়, বক্তব্যে!!!
আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
অনেক ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চন্দ দা। আপনার জন্যেও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
লীলাবতী
প্রথম ছবির পুর্বের কথা গূলো মনে গেঁথে গেলো আপু।মনে হচ্ছে এ আমারই কথা।নিজের একান্ত একটি বারান্দা আসলেই প্রয়োজন প্রতিটি মানুষের।নারীদের জন্য তো অবশ্যই প্র্যোজন।আত্মোপলব্দির নিজস্ব একটি জগৎ।
ছবি গুলো এত সুন্দর এত সুন্দর যা প্রকাশ করতে পারবো না লিখে।ছবির সাথে কথাযে যে আপনি ভালোই লিখতে জানেন তা বহুবার প্রমান দিয়েছেন। বারান্দা থেকের ধারাবাহিক পর্ব চাই -{@
শুন্য শুন্যালয়
বারান্দার কোন প্রয়োজন পড়েনা লীলাবতী, ওটা দূরত্ব তৈরি হলে এমনিতেই তৈরি হয়ে যায়। আমি চাইনা আমার নিজের বারান্দা থাকুক, নিজের এমন কোন জায়গা থাকুক, যেখানে তার পা পড়বেনা।
বারান্দা থেকে তোলা আরো অনেক ছবি আছে আমার। দেয়া যায়, কিন্তু কি যে লিখি। 🙁
তুমি আমাকে কিছু লিখে দাওনা বাবুই, তোমার তো অনেক বুদ্ধি।
লীলাবতী
ছবি দিয়ে এই বাবুইর কথা ভাবুন,দেখবেন লেখা এসে গিয়েছে 🙂 শতভাগ গ্যারান্টি (3
শুন্য শুন্যালয়
উরে বাবা, তাই নাকি? বাবুইটা তবে একটু ফুঁ দিয়ে দিক, লেখা এবার লিখেই ছাড়বো। (3
স্বপ্ন নীলা
ওই যে আমি আমাকেই ভালোবাসি, তাই আমাকে খুঁজে পেতেই তোমার কাছে এসেছি, এমনটাই। আমরা আসলে নিজেকেই খুঁজে বেড়াই’’============= সহমত
প্রত্যেক মানুষের একটা নিজস্ব বারান্দা থাকা অতি জরুরী বিশেষ করে নারীদের জন্য অবশ্যই অতীব প্রয়োজনীয়, লেখার সাথে ছবি এবং বর্ণনা সত্যিই অসাধারণ
শুভকামনা রইল
শুন্য শুন্যালয়
আপু, বারান্দা এমনিতেই তৈরি হয়ে যায়, সে নারী হোক কিংবা পুরুষ। তবে তা প্রয়োজনীয় কিনা জানিনা, এতে দূরত্ব তৈরি হয়। আপনাকে আজকাল পাই-ই না আপু। অনেক ব্যস্ত বুঝি? ধন্যবাদ আর শুভকামনা রইলো আপনার জন্যে।
অন্তরা মিতু
“নিজের জন্য একটা বারান্দা রেখো, যদি মনে করো সেখানে আমাকে যেতে দেবেনা, তাহলেও সমস্যা নেই, তবু একটা বারান্দা রেখো। ”
এমন কথা যিনি বলেন, তার সঙ্গীর সুখের অভাব হবে না জনম জনম…… অনেক অনেক শুভকামনা শূন্য আপু….. আপনার মতো আনন্দিত মানুষের নাম হওয়া চাই “পূর্ণ পূর্ণালয়”… 🙂
ছবি(এবং ছবির নীচের লেখা) দেখে প্রমাণ হয় আপনার রুচি আর মেধা……. আপনার বর নিশ্চয়ই ধন্য আপনার মতোন একজন গুণী মানুষকে পাশে পেয়ে… 🙂
শুন্য শুন্যালয়
শুন্যালয় শব্দই তো পূর্নে ভরা। 🙂 আপনাকে কতদিন পরে দেখলাম মিতু, মনেই করতে পারছিনা।
আনন্দ, পাওয়া কিংবা ধন্য হওয়া এগুলো বড়ই জটিল বিষয়, কিসে পূর্নতা পাবে বোঝা মুশকিল। আমার বরও অনেক গুনী, আমিও ধন্য 🙂
মিতু লেখা চাই।
স্বপ্ন
আপু কি নিজকে একটু প্রকাশ করলেন? নাকি ক্ষনিকের ভাবনা বারান্দা থেকে তোলা ফটো দেয়ার জন্য? অষ্ট্রেলিয়ায় ঘুঘুও আছে! কত্ত কিউট দুটো ঘুঘু 🙂 আমি আর মিথুন,তাইনা আপু? 🙂 সহজ করে লেখাই আমার ভালো লাগে।সহজ করে সবাই লিখতে পারেনা।আর ছবি তো সবই ভালো লেগেছে, তবে লাল রঙ আমার প্রিয়,আপনি তা জানেন 🙂 বারান্দা থেকে দেখার সিরিজ চাই।
শুন্য শুন্যালয়
আমার বারান্দা থেকে হাত বাড়ালেই গাছটা, তাতে ঘুঘুর বাসা, আর বোতল ব্রাশ ফুলের যেই ছবি দিয়েছি ওটাতে চড়ুই এর বাসা। প্রতিদিন ওদের আমি রুটি দেই, কখনো না দিলে, আমার জানালার কাঁচে এসে প্রচন্ড জোরে আঘাত করে, যেন ভেতরে চলে আসবে। আমার অনেক আনন্দের অংশ এরা।
বারান্দা থেকে তোলা ছবি দেয়ার জন্যে হলেও এগুলো নিজেকে একটু প্রকাশ করার জন্যই, একবার অন্য নাম দিয়ে গল্প লেখার ছলেই লিখতে চেয়েছিলাম, পাল্টালাম ইচ্ছেটা। সহজ করে লেখা সবাই পারেনা, এটা ঠিক। তাতে আবেগ দেয়া কঠিন। আমিও পারিনা।
আপনার আর মিথুনের কথা সোনেলায় গল্পের মত, তাই আপনাদের সবকিছুই আমি জানি 🙂
বারান্দা থেকে দেখা র সিরিজ না হলেও, আরেকটা পর্ব দেবার ইচ্ছে আছে। একটা চাঁদ পেয়েছি পরশু। ভালো থাকবেন স্বপ্ন।