মনের বারবিকিউ করে চিবিয়ে সন্ধ্যা এনে
ফরেষ্ট ক্যাম্পে একটা ক্লাউনের নি:সঙ্গতা।
কামড়ে নেয়া এডাল্ট চিকেনের সাথে ককটেলের জোয়ারে ডুবে যাওয়া
এলকোহলে চুমুক দিলেই সত্যি নাকি সব বাক্য?
অথচ মিথ্যের উচ্চারণে মিথ্যেবাদী একজন বারবিলাসিনী সেজে বসে থাকে নিশ্চুপ।
আহা বন্ধুত্ত্বের কি অনিন্দ্যসুন্দরতা দেখছি এবং দেখাচ্ছি আমি!
নি:শ্বাসের সুতোয় সেলাই করে চলে একটি জীবন—
ক্লাউন নয়,
আসলে একজন সুবিধাবাদী সাজায় চারপাশ
এদিকে বারবিকিউ আর নি:সঙ্গতা পাশাপাশি অবস্থান।
ক্লাউনের একটা হৃদয় কেবল ঝুলতে থাকে শ্রাবণী ঝুলনে~
এলকোহলিক নারীর চুম্বনে।
সমকামিতার অনন্য উদাহরণে হেরে যায় বন্ধুতা;
প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ঘেণ্ণা।
পরাজিত করার জন্যে কতো আবেগেরও বারবিকিউ হয়;
ক্লাউন সেজে একটি সন্ধ্যে থেকে রাত পুড়তে থাকে সময়
আধ-কাটা চাঁদের মতো হাসিতে।
হ্যামিল্টন, কানাডা
১৪ আগষ্ট, ২০১৫ ইং।
**প্রতিদিনই আমাদের চোখের সামনে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে যায়। অনেক মানুষ-জনের সাথে দেখা-পরিচয়-পার্টি-হুল্লোড়-আনন্দ-মজা-স্ফূর্তি কতোকিছুই না ঘটে। আনন্দ নিয়ে লেখাটা শুরু করতে গিয়ে মনে হলো এমন করে যদি ভাবি, অনেকেই আছে পার্টিতে হাসি রেখে মনের ভেতর বোঝা যায়না। আর হলো বেশ রঙ নিয়ে আজকাল হৈ-হুল্লোড়। পার্টিতে আমরা মেয়েরা সবাই মিলে আড্ডা দেই, আর পুরুষরা আলাদা। তাই সমকামী শব্দটি নিয়ে আসা। যাক আজ একটু পর একটা পার্টিতে যাচ্ছি, আর আমার আনন্দ নিয়েই। 😀
**নীতেশদা ব্র্যান্ডের নাম জানিনা। ককটেল বলে চালিয়ে দিয়েছি দাদা। এখন আপনি মেশাবেন। যদি জানা থাকে। :p
৩৩টি মন্তব্য
নীতেশ বড়ুয়া
হয়তো বা। হয়তো বা নয় বরং এটাই যে সেই বারবিকিউ করার মশলা কিন্তু একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের,
হৈ হুল্লোর আর হাসি ঠাট্টা কিংবা নীরবতার ঢালে যে আবেগের বারবিকিউ হচ্ছে রোজ সে আবেগের গোড়ায় এইটুক মাত্র মশলা লাগে।
সামাজিকতা? স্ট্যাটাস? লাম্পট্যের শিকার খোঁজা নাকি ‘আরো চাই’ খুঁজে পেতে জড়িয়ে পড়া এইসব বারবিকিউর পার্টিতে!
মদির চাহনি, ইশারায় হাতছানি, আর? সমভাবের ভিন্নকামীরা বারবিকিউ করে-
নিজের আর সমকামীদের।
পূর্ণিমার রাত, বারবিকিউ হচ্ছে কিসের তবে?
চোখের নাকি চোখের আবেগের?
আচ্ছা চোখের আবেগ নীল হয় কেন?
নীল না হলে যখন এই আবেগের বারবিকিউ করি তখন সব পুড়ে কালো হয়ে ভেসে উঠে-
সমাজের কাছে, সমাজের সাথে, আর মনের মাঝে-সেই বারবিকিউ মশলার স্বাদে।
হ্যাঁ, আজ বারবিকিউ হবে।
আধ-কাটা চাঁদের নয় তবে চোখের আবেগের-
বারবিকিউ শেষে পূর্ণিমাটাও চোখে কালো লাগবে…
নীলাঞ্জনা নীলা
আজ পার্টিতে গানের বারবিকিউ হলো। এতো সুস্বাদু বারবিকিউ রোজ একবেলা খেতে পারতাম যদি, ইস! অনেক বিরল কিছু গান শুনলাম, যা শুনেছিলাম সেই স্কুল জীবনে। অদ্ভূতভাবে শুনতেই কথাগুলো যেনো ঠোঁটে চলে এলো। মিশ্রদা যিনি গান গাইছিলেন অবাক হলেন। এসব গান এখন সহজে কেউ করেনা। অসাধারণ একটি সন্ধ্যে কাটালাম। রাত একটায় ফিরলাম তাও মন ভরেনি।
নীতেশদা এ আপনি কি লিখলেন? আপনার বারবিকিউ তো দারুণ সুস্বাদু। বেশ চেটেপুটে খেলাম। এমনিতেই পার্টিতে গিয়েছি সবার পরে, চিকেন বারবিকিউ পাইনি। 🙁 তবে আপনার এই বারবিকিউ পেয়ে আহহহহ পেট নয় শুধু মনও ভরে গেছে। (y)
নীতেশ বড়ুয়া
যা লিখে দিলেন তাতে নিজের ভাবনার বারবিকিউ হয়ে চেটেপুটে খেতে শুরু করবো ভাবছি, তাও নতুন করে।
চিকেন মনে হয় চিকন ছিলো তাই বারবিকিউ হলেও পাওয়া যায়নি :p
আপনি গান শুনেছেন আর আমি মাঝে মাঝে শুদ্ধ বাংলা শুনি আর অবাক হই যে অনেক শব্দ ছোট্টবেলায় শুনেছিলাম এখন আবার সেই সব শুনে বেশ অবাক লাগে… বাংলা শব্দের বারবিকিউ করে খাই আমরা এখন 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
বেশ বলেছেন নীতেশদা। বাংলা শব্দের বারবিকিউ।
আরে মানুষ কিসের বারবিকিউ করেনা, বলতে পারেন?
আরে আমি চিকেনের মুখই দেখিনি। চিকন নাকি মোটা কি করে বলবো? :D) :D)
নীতেশ বড়ুয়া
মানুষ বারবিকিউ করে না প্রেমের। হোক না সে একদিনের বা একমুহুর্তের। ক্ষণিকের রাগে বা ক্ষোভে অথবা হতাশায় অস্বীকার বা ভুলে যায় বা যেতে পারে বটে কিন্তু আদতে পারে না কিছুতেই।
কারণ মানুষ কোনদিনই কোনকিছুই শতভাগ নিখুঁত নয় তাই সব বারবিকিউ করতে পারলে বললেও সম্ভব নয় সব কিছু 😀
আপনার জন্য -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
নীতেশদা এতো সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন!
ফুল তো নিলাম, কিন্তু গন্ধ নেই কেন? 😀 আপনার ধুম-ধাড়াক্কা হাসিও দেখিনা। ;? ঘটনা কি! ;?
শুন্য শুন্যালয়
এলকোহলে চুমুক দিলেই নাকি সত্যি বেড়িয়ে আসে?
নি:শ্বাসের সুতোয় সেলাই করে চলে একটি জীবন -ফিরে এলো সেই সে নীলা। আপু মুখোশটাকেই আমার মাঝে মাঝে সত্যি মনে হয়। ভেতর টাকে মিথ্যা। ভেতর যদি আমি হই, বাহিরটাও আমি।
আবেগের বারবিকিউ হবে না, হবেনা সই। উনুনে পড়েছে শেষ রাতে জমে থাকা গাছের পাতায় বৃষ্টি।
আমি তোমাকে পরাজিত করলে সেটাই আমার সবচেয়ে বড় পরাজয়। আমার দুদিকেই পরাজয়। তাই তোকে জয়ী দেখতে চাই। কেউ বলেছে আমায়, কিছু বুঝলে?
বড় ভালো লিখেছ নীলাঞ্জনা। (3
নীলাঞ্জনা নীলা
কে বলেছে আপু? যখন নাম বলোনি তার মানে আড়ালেই রেখে দিতে চাইছো। মুখোশ আমিও পড়ি, তবে কি জানো তার জন্যে ক্ষতি আমারই হয়। আমায় নিয়ে দুজন মানুষ খুব চিন্তা করে, গীতা আর কুমু আপু। ভয়ে থাকে সংসার চালিয়ে নিতে পারবো তো? বরিশালের মা(দিদিমা) বলেছিলো তার শেষ কথা কোমায় যাবার আগে, “সোনু অনেক ধাক্কা খাবি এমন সত্যির জন্যে। সংসার হলো সঙ সেজে থেকে সার(শূণ্য) পাওয়া।” বরিশালের মা চিন্তা করতো আমায় নিয়ে। নামটাও নেই, মানুষটাও নেই। থাকলে বলতাম তুমি ভুল। আপনজনদের কাছে মুখোশ পড়তে হয়না।
ভালো লিখেছি? সত্যি? খুব খুশী 😀
মেহেরী তাজ
আচ্ছা ভুল জায়গা তে এসে পরলাম না কি??? ;?
এখনে আবেগের বারবিকিউ হয়,আবার মনের ও।
কি করবো ভেবেই পাচ্ছি না। 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু আসলেই আমিও ভেবে পাচ্ছিনা কিভাবে সম্ভব!!! ;?
মাথাটা একেবারে আউলাইয়া গেছে গো আপু। ককটেল দরকার। 😀
মেহেরী তাজ
ককটেল পাচ্ছেন না??
এমন হচ্ছে কেনো???
নীলাঞ্জনা নীলা
জানিনা তো! মন খারাপ এখন কাঁদতে হবে। কিন্তু চোখে জল নেই। জল কোথায় পাই? ;( ;(
অরণ্য
“এলকোহলে চুমুক দিলেই সত্যি নাকি সব বাক্য?” ;? – আমার মনে হয় সব সময় নয়।
এক সময় ভাবতাম ‘জেনোটাইপ’টাই আসল। কিন্তু ইদানিং মনে হয় ‘ফেনোটাইপ’টাই আমাদের জন্য। কোন জেনোটাইপিক ট্রেইট যদি বেরিয়েই না আসে, তবে তার আর এত দাম কেন? কোন ভুল ফেনোটাইপিক ট্রেইট যদি প্রচন্ড উজ্জ্বলতায় প্রকাশিত হয় এবং তা স্থায়ী হয়, তবে তাই সত্যি আমার কাছে। যদি তা পজিটিভ হয় তবে তো কথাই নেই।
ঈদ মোবারক।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঘুমের বাড়ী নিমন্ত্রণ পাঠিয়েছে, ঘুম খেয়ে-দেয়ে এসে প্রতি-মন্তব্য পাবেন। চোখ বুজে আসছে। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
কি বলবো মন্তব্যে? অবশ্যই পজিটিভ। নেগেটিভ আর কষ্ট আমার অভিধানে নেই।
তবে বলতে চাই প্রতিটি মানুষ তার জীবনে একবার হলেও মাতাল হওয়ার প্রয়োজন। তাতে কি হয়, নিজেকে চেনা যায়। মাতাল শুধু এলকোহলেই হয়, মনে হয় না। আবেগ চুমুক দিয়েও মাতাল হওয়া যায়। 😀
অদ্ভূত সুন্দর মন্তব্যের জন্যে -{@
অরণ্য
“আবেগ চুমুক দিয়েও মাতাল হওয়া যায়”। (y) 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
সে আর বলতে! তা নইলে কি লিখতে পারতেন আপনি-আমি-সবাই? 😀 -{@
অলিভার
অনেক হাসি আনন্দের মাঝে অনেক মন খারাপ করা গল্প লুকিয়ে থাকে। আর আমরা সবাই মিলে সেই গল্পের বারবিকিউ তৈরি করে নেই। জীবন এখানে নিষ্ঠুর, সময় এখানে কারও আপন হয়ে ধরা দেয় না।
জানি না কতটুকু বুঝেছি, তবে আপনার শক্ত লেখুনি অনেক গল্পই বলেছে এতটুকু বুঝতে পেরেছি।
শুভ কামনা -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
খুবই ভালো বুঝেছেন। আর আপনার বোঝাটা ১০০% ঠিক। -{@
মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে সেজে-ফেজে খুব একটা সুবিধা হয় না। মুখোশ নৈমত্তিক হলেও খুব সাময়িক।
সাজ বা মুখোশের সাধ্য নেই সত্যের সামনে দাঁড়ানোর।
নিঃসঙ্গতাকে বারবিকিউ করে বন্ধুত্বার প্রাসাদ গড়ি।
পার্টি করুণ গভীর আনন্দে রাত ভর, ভালো থেকে, এ চাই ই।
নীলাঞ্জনা নীলা
তা ঠিক। আর বন্ধুত্ত্বের প্রাসাদ বানানো অনেক কঠিন। যা সহজে তৈরী করা যায়না।
ভালো থাকুন। হুম আরোও পার্টি আছে। সামনের শনিবার। আনন্দ করবো।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। -{@
ব্লগার সজীব
একটি কথাকে কত ভাবে বলা যায়,আপনার লেখা পড়ে তাই ভাবছি আর ভাবছি।নীলাদি অনেক ভালো হয়েছে লেখা। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
সজীব ভাইয়া ভালোবাসেন বলেই ভালো লাগে। নয়তো কি যে সব ছাইপাশ লিখি, সে তো জানি আমি।
অফুরান ভালোবাসা রইলো। -{@ (3
লীলাবতী
‘মনের বারবিকিউ করে চিবিয়ে……… দিদি কেমন করে এমন লেখা লেখেন আপনি?আপনার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি কিন্তু :p (3
নীলাঞ্জনা নীলা
“প্রেম বড়ো মধুর
কভু কাছে কভু সুদূর!” ও দিদি ওই ভুল করবেন না। তাহলেই আমার আসল চেহারা বেড়িয়ে পড়বে। :p
https://www.youtube.com/watch?v=tOyIPMEtrYk ;( 🙁
অরুনি মায়া
মন আবেগ সব কিছুর বারবিকিউ বানিয়ে ফেললে আপু!!!! ঠিক ই করেছ পৃথিবীতে এগুলোর উতপত্তি ঈ হয়েছে বারবিকিউ হবার জন্যে।
আচ্ছা পার্টি কর আনন্দ কর আপু (3
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু রে পুড়ে পুড়েই তো খাঁটি সোনা হয়। বারবিকিউ তো হচ্ছি নিজের দোষেই। ;( ;(
এ কোষ্ট কেউ বুঝলোনা।
অরুনি মায়া
সোনা আর হইছে আপু। পুড়ে সব কয়লা হয়ে গেল। এরপর হবে ছাই। এবং সেই ছাই উড়াইলেও কোন রত্ন মিলবেনা,,,, 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
কয়লার দাম কিন্তু অনেক। জানো তো আপু? 😀
রিমি রুম্মান
পরাজিত করার জন্যে কতো আবেগেরও বারবিকিউ হয়__ সুন্দর লাইন।
নীলাঞ্জনা নীলা
রিমি আপু কত্তোদিন পর!
কোথায় থাকেন আপনি?
আপনাকে মিস করি, আপনার লেখাকেও। -{@
জিসান শা ইকরাম
বাপ্রে, কি লিখছো আজকাল তুমি!
নীচে ব্যাখ্যা না দিলে তো ধরা খাইছিলা 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা এইবার থেকে বুঝবে সব। সহজ-সরল প্রেমের লেখা নিয়ে আসবো। ঠিক আছে? 😀
পাখী হয়ে উড়ে যাবো, কেমন লাইনটা?
গান শোনো। -{@ (3
https://www.youtube.com/watch?v=RQIfpDiS_Cw