বিশ্বাস করুন- ও আর বাঁচতে চায় না
শরীরটা আগের মতো নেই
পৃথিবীর ঝড়-জলে ক্ষয়ে গেছে
ওর পৃথিবীতে ঝড় বড্ড বেশি
সে একটা হায়েনার তৃতীয় পক্ষ।
নাকফুল ছিল হয়তো কখনো
একটা লাল শাড়ীও হয়তো পেয়েছিলো
পায়নি আর কিছুই।
ও আর বাঁচতে চায় না।
শরীরটায় অপুষ্টির বিষাক্ত ছোবলে
মাংস অপর্যাপ্ত।
মাংসাশী জন্তুদের লালসার আগুন
মিইয়ে গেছে তাই।
পাকস্থলীর ভেতরে দাউ দাউ করে জ্বলে অবিরাম
লালসার চেয়ে তীব্র আগুন
তাই, মাংস চাই।
জীবনের প্রতি ঘেন্নার বিষ
মাংসাশী পশুদের প্রতি ঘেন্নার বিষ
ও শরীরে ঢোকাবে ডাক্তারের সিরিঞ্জে।
ফুলে উঠবে দেহ, ছুটে আসবে হায়েনার দল।
ওদের বন্য আদিমতায়
কৃত্রিম শীৎকারে, শারীরিক যন্ত্রণায়
মৃত্যুকে খুঁজে নেবে ও।
একটা জীবন্ত কচিমুখ
আসার কথা ছিল একসময়
পাপ-কষ্টের গহ্বরে এলো না সে
প্রতিদিন বিক্রীত দেহে
দাগটাই রয়ে গেলো শুধু
বিশ্বাস করুন- ও আর বাঁচতে চায় না
চোখের জলও ফুরিয়ে এলো যেন-
অবনত মুখে অশ্রু তাই
নাকফুল হয়ে ব্যাঙ্গ করে ওকে।
১২টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
এমন কবিতায় মন্তব্য করা কঠিন, অনেক অনেক ভালো লেগেছে।।
বারবনিতার কস্ট লেখায়, কলমে, কালিতে প্রকাশ করা যায়না,
অবনত মুখে অশ্রু তাই
নাকফুল হয়ে ব্যাঙ্গ করে ওকে।……
লাইনদুটো অনেক স্পর্শ করে গেলো…
একজন কবি
কৃতজ্ঞতা…
মিথুন
কস্টগুলো ফুটিয়েছেন অনেক ভালো করে,
বাস্তবে বারবনিতাদের কাছ থেকে দূরেই তো থাকি, তবে কেনো এতো লেখা?
একজন কবি
বাইরে সমাজের জন্য দূরে থাকি… আড়ালে ?
আদিব আদ্নান
কষ্ট তুলে ধরেছেন কঠিন ভাবে ।
একজন কবি
ধন্যবাদ
খসড়া
কবিতা কি জুড়াবে তার জঠোর জ্বালা নাকি দেবে তাদের কোন সামাজিক স্থান। আপনার দরজায় কুকুর স্বাগত তথাপি বারবনিতা কদাচিৎ নয়।
আসুন ওদের সম্মান করি। যারা ওদের ব্যাবহার করে তাদের ঘৃনা করি বিরত করি।সবাই সম্মান নিয়ে বাঁচি।
একজন কবি
সহমত
পুষ্পবতী
বারবনিতার নাকফুল -{@ কবিতার নামটা খুব ভালো লেগেছে আর কবিতাটাও।
বারবনিতাদের জীবনে কুনো সপ্ন নাই ,,তাদের জীবনটা আসলেই খুব কষ্টের।
একজন কবি
তারাও মানুষ… মানুষের কাছে মানবিকতা আশা করে…
মশাই
কবিতা ভাল হয়েছে। মুগ্ধ পাঠ।
হ্যাঁ তারাও মানুষ তবে তারা যেই মানবিকতা আশা করে তার কিন্তু বড়ই অভাব আমাদের সমাজে। এই মানবতা বোধটুকু কোনদিন আমাদর মাঝে জেগে উঠবে কিনা তাও জানি না আপাতত।
একজন কবি
-{@