বাবা আর মায়ের ঝগড়ার বিষয়টা বোঝার বয়স না হলেও সেলফোনে মায়ের উত্তপ্ত বাক্য আমার মনে ভয় ঢুকিয়ে দেয় । ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকি আমি মায়ের সেলফোনটার দিকে চোখেমুখে দারুন একটা ভীতি নিয়ে । মায়ের কথা শুনতে পাই, বাবু অর্থাৎ আমার উপর নাকি আমার বাবার কোন টান নাই । পৃথিবীতে আরো বাবা-মাযেরা কী আমার বাবা-মায়ের মতো এরকম ঝগড়ায় মত্তো হয় কমপক্ষে আজকের এই দিনেও! বাবারা মায়েরা কেন এরকম ঝগড়া করে, আমার তা বোঝার মতো বয়স এখনও হয়নি, কারন আমি মাত্র নয় মাসের, এটাই আমার প্রথম বাবা দিবস । বাবা কী তা-ই জানিনা আমি । জানি শুধু বাবা একটা ভালবাসা-শ্রদ্ধা-ভক্তি-বন্ধুসম একেবারেই অতূলনীয় এক অস্তিত্বের নাম । আধো বোলে শুধু আব্বু আব্বু করে তাই ডেকে চলি আমি ।
বন্ধুরা, দু:খ কোরনা আমার জন্য, কেঁদোওনা । আমার মতো অভাগার জন্য কেঁদে তোমাদের বাবাদিবস নষ্ট কোরনা । আগামী একবছর এদিবস আর আসবেনা যে ।
ইতি-
তোমাদের “আরভী”।
৮টি মন্তব্য
সঞ্জয় কুমার
লেখা চালিয়ে যান ভালো হয়েছে
আজিম
আপনাকে ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
দুর্ভাগা হলে হয়তো সারাজীবন এমন দেখতে হতে পারে, দেখতে হয় অনেককেই 🙁
ভালো লিখেছেন ।
আজিম
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
জিসান শা ইকরাম
সব বাবাদের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা ।
বাবারা ভালো থাকুক ।
আজিম
হাঁ জিসান ভাই, সব বাবাদের প্রতি আমারও রইলো শ্রদ্ধা আর ভালবাসা । এমনকি এ জগতের মায়াজাল ছিন্ন করে চলে গেলেও যেন তাঁরা ভাল থাকেন ।
ধন্যবাদ ।
মশাই
খুব সংক্ষিপ্ত করে ফেললেন শ্রদ্ধেয় বিস্তারিত হলে মনে হয় ভালো হত।ছোট লেখাটিতে অনেককৌতূহল রয়ে গেলো কিন্তু।আমার যেটা মনে হয় তা হলো একটি সংসারে ঝগড়া-বিবাদ থাকবেই তবে সেই ঝগড়া যেন সন্তানের প্রতি কোনো প্রভাব না ফেলে কারণ সন্তান তার বাবা মা কে অনুসরণ করবে সেটাই স্বাভাবিক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আর পৃথিবীর সকল বাবার প্রতি রইলো শ্রদ্ধা।
আজিম
এটা কোন কৌতুহলের বিষয় নয় শ্রদ্ধেয় মশাই । ছোট্ট লেখায় সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।।