জান্নাতারা বানুর বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু বাসর হলোনা। সেদিন স্বামীর সামনে থেকে লিপস্টিক মুছতে মুছতে ফোটা জলের কনা মুছতে মুছতে প্রস্থান করেছিল সে।
স্বামী ভোতা মুকছেদ সেদিন তাকে আটকিয়ে রাখতে পারেনি। ফ্যাল ফ্যাল করে স্কিনের দিকে যাষ্ট তাকিয়েছিল।
গহনা গুলো খুলে পায়ের কাছে রেখেছিল। লাল বেনারসি শাড়িটা হয়তো ইটা মেরে ফেলে দিয়েছিল পায়ের কাছে।
জান্নাতারা বানুর আর দশটা মেয়ের মতো স্বাদ আহ্লাদ ছিলো মহা ধুমধামে বিয়ে হবে তার। হাতে লাল মেহেদী আকা হাতে নিজ স্বামীকে মিষ্টি খাওয়াবে। কিন্তু বিধিবাম তার যে কপালে ছিলোনা বোকা মেয়েটা তা জানতোনা।
ভোতা মুকছেদেরও আশা ছিলো, নিজহাতে ঘোমটা খুলে বৌকে ললায়িত চুমু একে দিবেন কপালে। কিন্তু প্রবাসে থেকে তাও পারলেন না। কদিনের পরিচয়ে হুটহাট ডিসিশানে আজকে বিয়েটা হয়ে গেলো অভাগী মেয়েটার সাথে।
সবশেষে জান্নাতারা বানু পুষিয়েছিলো কিন্তু তৃপ্তি অতৃপ্তি বিষয়ের কাছে হার মেনে গেল তাদের ফুলের ছটাহীন বাসরটা। মেসেজে মুটামুটি তৃপ্তির ঢেকুর তুল্লেও ধুমধামের অভাবটা রয়েই গেলো। যাক তাদের ভাগ্যটা সেদিন সায় না দিলেও মুটামুটি তৃপ্ত ছিলেন তারা।
বানু মুখছেদের সামনের প্ল্যানিংটাতে বহু পিচ্ছিল রাস্তায় চলতে হবে। তারা চলতেও মুটামুটি রাজি আছেন। বানু কথা দিয়েছেন কখনো এমন কোনো কাজ করবেন না মুখছেদ যাতে কষ্ট পান। মুখছেদের কথায় জিবন মরন মেনে নিয়েছেন তিনি। মুখছেদও বানুকে কথা দিয়েছেন জিবনের শেষ অবধি আগলিয়ে রাখবেন।
বানু মুখছেদ সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী। সামনের সারাটা জিবন একসাথে থাকার প্রত্যয় নিয়ে যে প্রনয়ে হাত মিলিয়েছেন সেই বন্ধন যেন সারাটিকাল অটুট থাকে।
একটি মন্তব্য
হালিমা আক্তার
বানু মুখছেদ শান্তিতে জীবন যাপন করুন। এ বাঁধোন যেন বিচ্ছিন্ন না হয়। শুভ কামনা রইলো।