বিরহী ঘুঘুর ডাক খামচে ধরে বুকের ভেতরে –
থেমে আসা কোলাহল, জমে থাকা হিম
থমকে যাওয়া সময়ের নীল বিষের পেয়ালা,
মিলেমিশে মুচড়ে ওঠে পরানের অতল গভীরে।
শহর জুড়ে বৃষ্টি নামে –
বৃষ্টি নামে অন্ধকারের শরীর জুড়ে,
কবেকার দুঃখ ভিজে যায় কোন জলে।
বেপথু মাতাল হাওয়া দীর্ঘ রাত্তির শেষে
চেনা দীর্ঘশ্বাসের বারান্দা ছুঁয়ে যায়
ভেজা বাতাসে পুরনো দুঃখ ঘ্রাণ
অনিঃশেষ একাকিত্ব ভিজিয়ে দিয়ে যায় জলচুর্ন ;
অন্ধকারের শরীর জুড়ে বৃষ্টি নামে
বৃষ্টি নামে শহর জুড়ে –
একা একা, একা একা অন্ধবৃত্তে ঘুরে ঘুরে।
রাত নেমে এলে পথের সাথে কথা বলি,
রাত নেমে এলে কথা বলি নিজের সাথেও।
রাত নেমে এলে মনে পড়ে আর মনে পড়ে
টবের মৃত গাছ, ছেড়া কবিতার বই, উপচে পরা ছাইদানী
শুন্য বারান্দায় দোল খাওয়া আলো ;
রাত নেমে এলে মনে পড়ে একদিন, এই বুকে
আকাশের ঘ্রাণ খুজেঁ পেয়ে কেউ বেসেছিল ভালো।
সময়ের ফ্রেমে আটকে আছে ছেরাখোরা ঘুড়ি
অভিমানী নীল জল থিরথির
কেপেঁ ওঠে হঠাৎ হাওয়ায়। ভাবে,
এইবুঝি নেমে এলো জলের পাখিটি
আকাশ ভুলে যার খাঁচার মাপের ওড়াউড়ি।
অস্থির জলের বুক ছুঁয়েছিলো পাখি –
স্থিরতার শিকড় নেমেছে জলে,
জলজঘ্রানের স্থিরতার ভেতরটা তোলপাড়
মহীরূহছায়াঘন পথজুড়ে নেই নেই হাহাকার।
লোনাজল এসে স্থিরতার অপেক্ষার জলে মেশে
ভালোবাসা ভালোবাসা, সে নির্বান হয় কোন বিষে?
– বোধিবৃক্ষ তলে নির্বান্ধব জল অপেক্ষা নির্বানের।
১৮টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
আপনার কবিতা পড়লে বুকের ভেতর হু হু করে 🙁
আগুন রঙের শিমুল
তুমিও আমার মতো লুকিয়ে মনের ক্ষত
হাটছো কি একই পথে সমান্তরাল
স্বপ্ন নীলা
প্রতিটি প্যারা অসাধারণ — পড়তে এক ধরণের অতি তৃপ্তি পেলাম, সারাটা কবিতায় মুগ্ধতা রেখে গেলাম
আগুন রঙের শিমুল
সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ স্বপ্ন নীলা
খেয়ালী মেয়ে
দারুন লিখেছেন…একবার নয়, কয়েকবার পড়েছি…..
রাত নেমে এলে পথের সাথে কথা বলি,
রাত নেমে এলে কথা বলি নিজের সাথেও।
রাত নেমে এলে মনে পড়ে আর মনে পড়ে
টবের মৃত গাছ, ছেড়া কবিতার বই, উপচে পরা ছাইদানী
শুন্য বারান্দায় দোল খাওয়া আলো ;
রাত নেমে এলে মনে পড়ে একদিন, এই বুকে
আকাশের ঘ্রাণ খুজেঁ পেয়ে কেউ বেসেছিল ভালো……………………একেবারে মন ছুঁয়ে গেলো…
আগুন রঙের শিমুল
খেয়ালীর মন ছোঁয়া দুরূহ কাজ 🙂
জিসান শা ইকরাম
বাউড়ী বাতাসকে মিস করেছি এতদিন খুব
বাওয়াল,বাওয়ালী হতে চায় সোনেলার সবাই 🙂
শুন্য শুন্যালয়
মন্তব্যে লাইক দিলাম (Y)
শুন্য শুন্যালয়
মনু, ইমোতে ক্লিকাইলে আসেনা কিল্লাই? ঠিক করেন দেহি জলদি @জিসান ভাই
জিসান শা ইকরাম
আমি ঠিক করুম কেমনে? আমি কি মডু নাকি?
বাতাসে গুঞ্জন শুন্য শুন্যালয় মডু 🙂
ইমোকে ক্লিকে কাজ করেনা, দিয়ে দিতে হবে মন্তব্যে তাহলেই হবে।
আগুন রঙের শিমুল
হ আসলেই প্রব্লেম ইমু আসেনা জিসানদা
আগুন রঙের শিমুল
দাদা বাউরি হয়ে বেরাই ঘুরে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
জলের পাখি জল ছাড়া বেঁচে রয় ঠিক,
জলও থাকে বেশ,
দিগ্বিদিক ডুবে থাকা জলে নেমে বৃষ্টি ভাবে
এ কোন পরদেশী?
দুই জলে থেকেই যায় যোজন বিভেদ,
যতই থাকুক নিয়ম না মানার অভ্যেস।
……………………………বাওয়াল ভাবনা ৪ জানি কি ছিলো!!! এত্তোদিন পরে লিখলে কেমনে মনে রাখি? অনেক সুন্দর।
আগুন রঙের শিমুল
আহ, কি চমৎকার লিখলেন শুন্য 🙂
জলের মেঘ , মেঘেই জল
কাজকাম নিয়া ঝামেলায় আছি
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের ও যে ভিজিয়ে দিলেন!!!
ভাল লেখার মাঝেও জ্বলে জ্বলে এ লেখাটি।
আগুন রঙের শিমুল
পড়ার জন্য সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ হেলাল ভাই
কৃন্তনিকা
লাইনগুলো বেশ বিষণ্ণ রকমের সুন্দর… ;(
বারবার মন খারাপ না করালে কি হয় না???
আগুন রঙের শিমুল
আমিতো সত্যিকারের সাহিত্যিক নই , যখন যা মনে আসে তাই লিখি – মন ভালো থাকলে ভালো লাগার লিখা খারাপ থাকলে খারাপ। সত্যিকারের সাহিত্যিকরা অসম্ভব মন খারাপের মধ্যেও মন ভালো করে দেওয়া লেখা লিখতে পারেন , আমি পারিনা 🙂