পশ্চিম পাকিস্থান হতে রিফুজির মত দলে দলে পূর্বপাকিস্থানে পরিবার পরিজন নিয়ে লোকজন এসে বসতি গড়তে থাকে।এ ক্ষেত্রে পশ্চিম পাকিস্থান সরকার পুরো সহযোগিতা করতে থাকেন।সহায় সম্ভলহীন ভাবে এখানে এসে অল্প কয়দিনেই হয়ে উঠে ধনপতি।রাষ্ট্রের সকল সুবিদা ওরা ভোগ করতে থাকে।পূর্ব বাংলার বাংলা ভাষা ভাষিরা হারাতে থাকেন রাষ্ট্রের দেয়া যৎ সামান্য মৌলিক অধিকারগুলোও।তার মধ্যে আগত রিফুজিদের টার্গেট ছিল উর্দু ভাষাভাষি লোক সংখ্যা বাড়িয়ে বাংলা ভাষা ভাষিদেরকে সংখ্যা লঘুর কাতারে নিয়ে আসা।কিন্তু না,পরেননি বাঙ্গালীকে দমিয়ে রাখতে।

বৃটিশ আমলেই ১৯১৮ সালে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলা ভাষাকে অভিভক্ত ভারতের রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা দানের দাবি জানিয়ে ছিলেন।এর পর ১৯২১ সালে নবাব সৈয়দ নবাব আলী চৌধুরী বাংলা ভাষাকে বাংলার রাষ্ট্র ভাষা করার জন্য বৃটিশ সরকারের কাছে লিখিত প্রস্তাবও পেশ করেছিলেন।এ ছাড়া দৈনিক আজাদ ১৯৩৭ সালের ২৩ এপ্রিল ‘ভারতের রাষ্ট্র ভাষা’ শীর্ষক এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি জানানো হয়েছিল।পরবর্তীতে পাকিস্তান আন্দোলনের প্রেক্ষা পটে ১৯৪৭ সালের পূর্বেই বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্র ভাষা করার এবং লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী পূর্বাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিতব্য ‘পূর্ব পাকিস্তান’-এর রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি জানানো হয়।
১৯৪৭ সালের দেশ-বিভাগ এবং পাকিস্তান সৃষ্টির পরবর্তী ১৯৫২ সালের এইদিনে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে ১৫০ মোগলটুলির পূর্ব বঙ্গ কর্মী শিবির অফিসে সর্ব দলীয় রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।ঐ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল আন্দোলনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা যা।অলি আহাদের লেখা বইয়ের সূত্র অনুযায়ী এই সভায় সিদ্ধান্ত হয় আন্দোলনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে ১১ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা শহরে পতাকা দিবস পালন করবে।বিভিন্ন কারণে বেশি টাকা সংগ্রহ না হলেও পতাকা দিবসকে সামনে রেখে অনেক নতুন নতুন কর্মী এসে আন্দোলনে যোগ দিলেন।তখন ৫০০ পোস্টার লেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল নাদিরা বেগম ও ডাক্তার সাফিয়াকে।এই দু’জন তাদের অন্য বন্ধুদের নিয়ে পোস্টার লেখার কাজ সম্পন্ন করেন।এই দিন মাদারী পুরের প্রতিবাদী ছাত্ররা সাফল্যের সঙ্গে ধর্ম ঘট পালন করা হয়।১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত সাপ্তাহিক ইত্তেফাকে এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছিলো এবং ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় প্রাদেশিকতা শিরোনামে এক সম্পাদকীয়তে লেখা হয় বাংলাকে অন্যতম পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্ররা যে আন্দোলন করছেন তা আন্দোলনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহীতা।ডন পত্রিকা ছাড়াও পাকিস্তানের অন্যান্য পত্রিকাও এ ধরনের সংবাদ বা সম্পাদকীয় তা প্রকাশ করা হয়।সেই সময় ডন পত্রিকার সম্পাদকীয়র প্রতিবাদ করেন,মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অলি আহাদ।এভাবে ফেব্রুয়ারির দিনগুলোতে সকলে নিজ অবস্থান থেকে অবদান রেখেছেন বাংলাকে রাষ্ট্র্র্রভাষার স্বীকৃতি দেয়ার জন্য।অবশেষে বিজয় আসে ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে।

পৃথিবীর মানচিত্রে এই একটি মাত্র দেশ ও দেশের মানুষ যারা মার্তৃ ভাষার অধিকার রক্ষার্থে সংগ্রাম করেছিলো,দিয়েছিলো প্রানের বলিদান।কেবল মাত্র ভাষার জন্য এ  রকম রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও শহীদ হওয়া পৃবিথীর ইতিহাসে বিরল।মানুষ জন্মে মনের ভাবাবেগ প্রকাশে যে যার ভাষাতেই তৃপ্ত থাকবে এটাই স্বাভাবিক।অথচ আমাদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো উর্দুকে।স্বাভাবিক ভাবেই দেশ প্রেমিকদের মনে ক্ষোভ জন্মাবে অবশ্য ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোনের এরকম তীব্র ক্ষোভের আরো বেশ কিছু কারনও ছিলো।শুরুতেই পশ্চিম পাকিস্থানী সরকার পূর্ব পাকিস্থানের বাংলা ভাষা অধুষিত জনগনের উপর অর্থনৈতিক  ব্যাবসা বানিজ্য চাকুরী লেখা পড়া আমদানী রপ্তানী ইত্যাদি ক্ষেত্রে নাম মাত্র সুবিদা দিত।তাইতো সে সময় কবি সাহিত্যিক শিল্পীরাও চুপ থাকেননি আন্দোলন বা প্রতিবাদ করেছেন তাদের কবিতা দিয়ে,গান গেয়ে….ওরা আমার মুখের কথা (ভাষা)
কাইড়া নিতে চায়,ওরা, কথায় কথায় শিকল পরায় আমার হাতে পায়।অবশেষে  বাংলা ভাষা পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায় ১৯৫৬ সালের ২৯শে ফেব্রুয়ারি

বাংলা  মাতৃ ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রতিষ্টিত করতে যারা শহীদ হয়েছিলেন কিংবা জীবিত ছিলেন তাদের সংখ্যা অগণিত।একটি আদর্শকে বুকে লালন করে বছরের পর বছর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া মহৎ মানুষগুলোর সংখ্যা কেবলি বাড়তে থাকে।তাই এ আন্দোলনের সংখ্যা নির্ধারনে কারো পক্ষেই সম্ভব নয়।

বিভিন্ন বই ও অনলাইনে খোজঁ করে যে কয়জন মহৎ মানুষের খোজঁ পাই তাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণী সহ তাদের নামের তালিক নীচে আলোকপাত করার চেষ্টা করছি।যদি কারো কাছে কোন নাম বাদ পড়েছে মনে করেন বা জানা থাকলে বিনীত অনুরোধ রইল এই পোষ্টের কমেন্টসসে তা উল্লেখ করা।আমি তা সংযোজন করে নেব।কিছু নাম হয়তো সঠিক জেলা ভিত্তিক নাও থাকতে পারে কারন ‘৫২ ভাষা আন্দোলনের পর এ যাবৎ কাল সরকারী ভাবে সঠিক কোন ভাষা আন্দোলনের বীরদের লিষ্ট তৈরী হয়নি।তাই বাধ্য হয়ে পোষ্টের খাতিরে জানার ইচ্ছায় বিভিন্ন স্থান হতে সংগ্রহ করা হইয়েছে।সুতরাং যে কোন ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

ঢাকা জেলা:
ড.মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ,ড.কাজী মোতাহের হোসেন,অধ্যাপক আবুল কাসেম,আবুল হাশিম,আব্দুল হক,মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী,আবুল কাশেম ফজলুল হক,আবদুল লতিফ,অলি আহাদ,শেখ মজিবর রহমান,আব্দুর রশিদখান তর্কবাগীশ,আতাউর রহমান খান,মুনীর চৌধুরী,মোহাম্মদ তোয়াহা,অধ্যাপক হালিমা খাতুন,আব্দুল মতিন,তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া,ডা.গোলাম মাওলা,অধ্যাপক সুফিয়া আহম্মেদ,অধ্যাপক হালিমা খাতুন,অধ্যাপক সাফিয়া খাতুন,মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান শেলী,সৈয়দ নজরুল ইসলাম,কাজী গোলাম মাহবুব,মনোরঞ্জন ধর,তাজউদ্দিন আহম্মেদ,শহীদুল্লাহ কায়সার,আব্দুস সামাদ আজাদ,মোহাম্মদ আকরাম খাঁ,আব্দুল মতিন খান চৌধুরী,নেয়ামাল বশির,ডা.বদরুল আলম,সৈয়দ নজরুল ইসলাম,আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী,মহিউদ্দিন আহম্মেদ,জহির রায়হান,মোজাফ্ফর আহম্মেদ,কোরবান আলী,আনোয়ারুল হক খান,মোশারফ হোসেন চৌধুরী,আমিনুল হক,ডা.সাঈদ হায়দার,বদরুদ্দিন ওমর,আমানুজ্জামান খান বেবী,ফকির শাহাবুদ্দিন,জিল্লুর রহমান আলী,কামরুজ্জামান,আমিনুল হক,আবুল কালাম শামসুদ্দিন,বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর,এস এ বারি এটি,আবুল কালাম শামসুদ্দিন,অধ্যাপক অজিত কুমার গুহ,সাইয়িত আতীকুল্লাহ,ইমদাদ হোসেন,আলতাফ মাহমুদ,মুর্তজা বশীর,আমিনুল ইসলাম।খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস কে জি মোসফা,কোরবান আলী,পিয়ারু সরদার,জুলমত আলী খান,খালেক নেওয়াজ খান,ইমাদুল্লাহ,সাদেক খান,আলী আহম্মেদ খান,এস এম নুরুল আলম,আনসার আলী,নিজামুল হক,ডা.ফরিদল হুদা,ডা.মোহাম্মদ আলী আসগর,নঈম বিশ্বাস আলী,আব্দুল মমিন,আনসার আলী,বাহাউদ্দিন চৌধুরী,মোশারফ হোসেন চৌধুরী,মীর্জা গোলাম হাফিজ,এম আর আক্তার মুকুল,আহমদ রফিক,শফিউর প্রমুখ।
সিরাজগঞ্জ:
মোতাহার হোসেন তালুকদার,সাইফুল ইসলাম,জিতেন্দ্রনাথ নিয়োগী,সাহাবুদ্দিন সরকার,আবুল কাত্তা নূরে এলাহী,মেহের নিগার নূরে এলাহী,আবুল হোসেন,কমরেড আব্দুল মতিন ,আলী আজমল,আব্দুল মোতালেব খান,মহিউদ্দিন খান প্রমুখ।
পটুয়াখালী:
খন্দকার খালেক,সৈয়দ আশ্রাফ হোসেন,ডা.কামরুন নেছা,জেবুন নেছা,এবিএম আব্দুল লতিফ,জয়নাল আবেদীন শিকদার,কেবিএম শামছুল হক,জালাল আহমেদ,আব্দুল করিম,এড.এমদাদ,আলী আশ্রাফ প্রমুখ।
বগুড়া:
এইচ এম মতিয়ার রহমান,নূরুল হোসেন মোল্লা,গোলাম মহিউদ্দিন,মুখলেছুর রহমান,জালাল উদ্দিন আকবর,দুর্গাপদ মুখার্জী,মোশারফ হোসেন মন্ডল,শেখ মহিউদ্দিন,শেখ হারুনুর রশীদ,ছমির উদ্দিন মণ্ডল,এ.কে মজিবুর রহমান,কবিরাজ শেখ আবুদল আজিজ,সিরাজুল ইসলাম,আবদুস শহীদ, মোটর শ্রমিক নেতা সুবোধ লাহিড়ী,আবদুর রহিম সওদাগর মতিন,বিড়ি শ্রমিক নেতা শাহ আহমেদ হোসেন,রিকশা শ্রমিক নেতা মোখলেসুর রহমান, কৃষক নেতা ফজলুর রহমান,তমদ্দুন মজলিসের কবি-সাহিত্যিক খোন্দকার রোস্তম আলী কর্ণপুরি,লুৎফর রহমান সরকার,কৃষক প্রজাপার্টির নেতা কবিরাজ মোফাজ্জল বারী প্রমুখ।
বিড়ি শ্রমিকদের মধ্যে মরহুম আকবর হোসেন আকন্দ,মরহুম আলিম মোখতার,মরহুম ডাঃ ইসহাক উদ্দিন,মরহুম সৈয়দ নবাব আলী চৌধুরী, মরহুম নজিবর রহমান,মরহুম সিরাজ উদ্দীন (আটাপাড়া),মরহুম সমির উদ্দীন মণ্ডল,মরহুম নসির উদ্দীন মণ্ডল, ডাঃ ননী গোপাল দেবদাস, ডাঃ আশুতোষ দত্ত, মরহুম ফজলার রহমান সরকার (ফুলবাড়ী),কবিরাজ আবদুল আজিজ,সুবোধ লাহিড়ী, মরহুম আবদুল লতিফ সরকার,আবদুস শহীদ (বৃন্দাবন  পাড়া),কবি আতাউর রহমান,মরহুম সৈয়দ কোব্বাদ হোসেন,শাহ আলম,গাজীউল হক,আবু মোহাম্মদ,মোজহারুল ইসলাম,প্রণব চৌধুরী,ইকবাল হোসেন,মোশাররফ হোসেন মণ্ডল,মোখলেসুর রহমান,হারুনর রশীদ,শ্যামাপদ সেন,পিযূষ রায় প্রমুখ।
বরিশাল:
মিহির লাল দত্ত,সামছুল আলম চৌধুরী,মোশারফ হোসেন মোচন,কাজী বাহাউদ্দিন আহম্মেদ,আবুল হাসেম,এ কে এম আমির উদ্দিন,মিসেস হামিদ উদ্দিন,রানী ভট্রার্য্য,হোসনে আরা নিরু,মঞ্জুশ্রী সেন,শাহেনুর বেগম,আহবায়ক কাজী গোলাম মাহবুব,বিচারপতি আঃ রহমান,আখতার উদ্দিন আহমেদ,এম ডব্লিউ কিতুল্লাহ,অনিলদাশ চৌধুরী,শেখ নূর মোহাম্মদ,আজহার উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়াও ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানের রচয়িতা তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের ছাত্র আবদুল গাফফার চৌধুরী,প্রথম সুরকার আবদুল লতিফ,পরবর্তী ও বর্তমান সুরকার আলতাফ মাহমুদ সবাই ছিলেন বরিশালের কৃতি সন্তান।এছাড়াও আবদুল লতিফের ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়-কিংবা কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘মাগো ওরা বলে’… ।তখন এ সব গানগুলো আন্দোলনকে আরো বেগবান করে তুলত।

জামালপুর:
সৈয়দ আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আব্দুস সোবহান,মরহুম তৈয়ব আলী আহমেদ,মরহুম আলী আসাদ (কালা খোকা),মরহুম তাছির উদ্দীন মুক্তার,মরহুম হাসান হাফিজুর রহমান,মরহুম হায়দর মল্লিক,মরহুম দিদারুল আলম খুররম,মরহুম মোখলেসুর রহমান ফকির,আক্তারুজ্জামান মতি মিয়া,আব্দুল ওয়াহাব,আব্দুল আওয়াল,মরহুম উস্তাদ ফজলুল হক,কয়েস উদ্দীন আহমেদ,মরহুম সৈয়দ ইমামুর রশীদ,নারায়ন চন্দ্র ভৌমিক,মরহুম ফজলুর রহমান আনছারী,অধ্যক্ষ সুজায়াত আলী,সিরাজুল ইসলাম কালু মিয়া,আঃ ওয়াদুদ,কল্যান চৌধরী,আশরাফ ফারুকী,জর্জিজ আহমেদ খান,আঃ গনি চিশতি
আব্দুর রউফ,মহিউদ্দিন আহমদ প্রমুখ। সূত্র:বাংলাদেশ তথ্য বাতায়ন জামালপুর।
নেত্রকোনা:
ওয়াজেদ আলী,ফজলুর রহমান খান,আব্দুল আলী, এ কে এম ফজলুল কাদের,আছিম উদ্দিন আহম্মেদ,চিকিৎসক এম এ হামিদ খান,আব্দুল আজিজ তালুকদার,ফুলে হুসেন প্রমুখ।
পাবনা:
ফকরুল ইসলাম,রনেশ মৈত্র,সেলিনা বানু,শওকতজান চৌধুরী,কমরেড প্রসাদ রায়,আমজাদ হোসেন,আনোয়ারুল হক,এড.গৌরচন্দ্র সরকার,নঈমুদ্দিন,শাহজাহান মোহাম্মদ,মাওলানা কসিমুদ্দিন আহমেদ  প্রমুখ।
সৈয়দ পুর:
মতিউর রহমান প্রমুখ।
দিনাজপুর:
হাজী মোহাম্মদ দানেশ প্রমুখ।
কিশোরগঞ্জ:
হেদায়েত হোসেন,জগদীশ পন্ডিত,আশ্রাফ উদ্দিন মাষ্টার,আবু তাহের খান পাঠান,মিসিরউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
রংপুর:
আফতাবুর নাহার,নূরুল ইসলাম,মাকসুদ হোসেন,শংকর বসু,মনিকৃষ্ণ সেন,নাজাতুল আলম জেবিন,হাবিবুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
রাজশাহী:
অধ্যাপক মোঃ একরামুল হক,মনোয়ারা বেগম,ক্যাপ্টেন শামছুল হক,মাদার বখস,মমতাজ উদ্দিন,ড.এস এম আব্দুল গাফ্ফার,এম আতাউর রহমান,আবুল কাশেম চৌধুরী,কসিমুদ্দিন আহমেদ,মহসীন প্রমানীক,সাঈদ উদ্দিন আহমেদ,আব্দুস সাত্তার,কাজী আব্দুল মান্নান,মোহসেনা বেগম,বিচারপতি আনসার আলী,হাফিজা বেগম টুকু,ডা.আজিজুল বারী চৌধুরী,এড.আবুল কালাম চৌধুরী,প্রমুখ।
শেরপুর:
রবি নিয়োগী,আহছান উল্লাহ,শামছুল হুদা,নিজাম উদ্দিন,অমুল্য রতন সিংহ,ডা.সাদেকুর রহমান, প্রমুখ।
গোপালগঞ্জ
আবুল হোসেন ভূইয়া,এস এম ফজলুর রহমান,পরেশ চন্দ্র বিশ্বাস,আব্দুস সাত্তার মোল্লা প্রমুখ।
মাগুরা
আব্দুর রশিদ,আব্দুস সালাম,এ কে এম হামিদুজ্জামান,মির্জা শওকত হোসেন,নাসিরুল ইসলাম,আলী আহমেদ,প্রমুখ।
ময়মনসিংহ
শামছুল হক,এম এ মতিন,মহাদেব স্যানাল,হাতেম আলী তালুকদার,রফিক উদ্দিন ভূইয়া হোসেন প্রমুখ।
হবিগঞ্জ:
আফসার আহমেদ,সৈয়দ আফরোজ বখত,শহীদ,মাহবুবুল বারী,চৌধুরী আব্দুল হাই,ফজলুল হক,প্রমুখ
মাদারীপুর:
সরদার আবুল ফজল,মতিয়ার রহমান,মিয়া আব্দুল ওহাব প্রমুখ।
সিলেট:
মোঃ নাসির আহমেদ চৌধুরী,পীর হাবিবুর রহমান,নূরুল হক,সিরাজ উদ্দিন আহমেদ,দেওয়ান মোঃ আজরফ,দেওয়ান ফরিদ গাজী,হাজেরা মাহমুদ,সৈয়দ মোতাহীর আলী,আবু সায়ীদ মাহমুদ,আসদ্দর আলী,মোঃ মুসলিম চৌধুরী,বাহাউদ্দিন আহমেদ,মসউদ খান,সাফাত আহমেদ চৌধুরী,সাদত খান,তসদ্দুদ আহমেদ,মতিন উদ্দিন আহমেদ,মাহমুদ আলী, প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ/বন্দর:

মুস্তফা সারোয়ার,মোস্তফা মনোয়ার,সিরাজুল হক,নিবেদিতা নাগ প্রমুখ সহ বন্দরে মাহমুদ নগর এলাকার মফিজুল ইসলাম,সোনা কান্দা মৃধা বাড়ী এলাকার শফিউল্যাহ মৃধা,আহসান উল্যাহ মৃধা,আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাসান,আলহাজ্ব এমএ আসগর,নবীগঞ্জ কদম রসুল এলাকার আসেক আলী মৃধা,খান বাড়ী এলাকার মরহুম ইউনুছ খান,মরহুম ফুল মিয়া চৌধুরী ও আলাউদ্দিন মিয়া প্রমুখ।

চট্রোগ্রাম:
মাহবুুবুল আলম চৌধুরী,আব্দুল্লাহ আল হারুন,চৌধুরী হারুনুর রশিদ,এম এ আজিজ,জহুর আহমেদ চৌধুরী,রফিকউদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী,আজিজুর রহমান,কৃষ্ণ গোপাল সেন,কলিম শরাফী, প্রমুখ।
মানিকগঞ্জ:
প্রমথ নন্দী,রেহাজ উদ্দিন,ওয়াজউদ্দিন মাষ্টার,সহারা খাতুন,খন্দকার দেলোয়ার হোসেন,রফিক প্রমুখ।
ফরিদপুর:
এস এম নুরুন্নবী,ইমাম উদ্দিন আহমেদ,মনোয়ারা হোসেন,এম এ লতিফ,লিয়াকত হোসেন,মহিউদ্দিন,ননী গোপাল সাহা,শেখ মহিউদ্দিন প্রমুখ।
নরসিংদী:
আবুল হাসিম মিয়া,এস এম চান মিয়া,আব্দুল করিম মিয়া,রমিজ উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ।
মুন্সিগঞ্জ:
ডা. এম এ কাদের,মোঃ আব্দুস বাসেত প্রমুখ।
টাঙ্গাইল:
বদিউজ্জামান খান,সৈয়দ নূরুল হুদা,আলী আকবর খান খোকা,আলতাফ হোসেন,রোকেয়া রহমান প্রমুখ।
শরীয়তপুর:
মোঃ নূরুল ইসলাম,রবীন্দ্রনাথ ঘটক, প্রমুখ।
কুমিল্লা:
সালাউদ্দিন,আব্দুল জলিল,ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রমুখ।
নোয়াখালী:
রইস উদ্দিন,কামাল উদ্দিন,তারকবন্ধুনাথ,আহসান উল্লাহ,সহিদ উদ্দিন ইসকান্দর,প্রমুখ।
ব্রাহ্মনবাড়িয়া:
মোঃ মুসা,লুৎফর রহমান,মালেক মিয়া প্রমুখ।
খুলনা:
শেখ রাজ্জাক আলী
যশোহর:
হামিদা রহমান,আফসার আহমেদ সিদ্দিকী,আলমগীর সিদ্দিকী,মশিউর রহমান,মোঃ একরামুল হক,ঈমান আলী মাষ্টার,এম এইচ জিন্নাহ প্রমুখ।
ঝিনাইদহ:
জাহিদ হোসেন,এম এনামুল হক,গুলজার হোসেন,মনোয়ারা বেগম,আমির হোসেন মালিতা প্রমুখ
কুষ্টিয়া:
এড.মোঃ মহসিন,সৈয়দ আলতাফ হোসেন,নজম উদ্দিন আহমেদ,ব্যারিষ্টার এম আমির-উল-ইসলাম,সাংবাদিক ওয়ালিউল বারী চৌধুরী,অধ্যাপক সুদিন কুমার লাহড়ী,শিল্পী আব্দুল হামিদ রায়হায়,খলিলুর রহমান আব্দুর রউফ চৌধুরী,এড.ফজলুর রহমান,নূর এ আলম জিকু,নূরুজ্জামান,গিয়াস উদ্দিন,আবুল কালাম শামসুদ্দিন,আঃ সাত্তার,মিজানুর রহমান মজনু,আঃ হক,জুলফিকার হায়দার প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা:
মোঃ শাহজাহান,আবুল হাসেম,আজিজুল হক,ডা.আসহাবুল হক,আছগর আলী মোল্লা,আবু সালেহ জোয়ার্দার প্রমুখ।
মাদারীপুর:
সরদার আবুল ফজল,মতিয়ার রহমান,মিয়া আব্দুল ওহাব প্রমুখ।
ফেনী:
খাজা আহমেদ,এম এম হুদা,বিচারপতি কাজী এবাদুল হক,ডা.শরিফা খাতুন,সাংবাদিক অদুদ,শামছুল হুদা,আব্দুস সালাম প্রমুখ।

অজ্ঞাত কিশোর ভাষা শহীদ অহিউল্লাহ,রিকশা চালক আবদুল আওয়াল এবং সিরাজুদ্দিন।এদের মধ্যে কিশোর ‘অহিউল্লাহ শহীদ হন ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি।তখন তার বয়স ছিল মাত্র আট বছর এবং তখন সে ছিলেন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।তারঁ বাবা ছিলেন রাজ মিস্ত্রি হাবিবুর রহমান।১৯৫২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নবাবপুর রোডে গুলি বিদ্ধ হয়ে সে শহীদ হয়।২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ তারিখের দৈনিক আজাদে তাঁর মৃত্যু সংবাদ ছাপা হয়।
সূত্র : ভাষা আন্দোলন ও ভাষা সংগ্রামী গণ, গণ প্রকাশনী, মার্চ, ২০১২, পৃ-২৬)
ভাষা আব্দুল মতিন

১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলার ধুবালীয়া গ্রামের এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুল জলিল এবং মায়ের নাম আমেনা খাতুন। তিনি ছিলেন এঁদের প্রথম সন্তান। তাঁর ডাক নাম ছিল গেদু।২০১৪ সালে মনে আক্ষেপ নিয়ে তিনি মারা যান।
ভাষা সৈনিক নিবেদিতা নাগ

১৯১৮ সালের ৪ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে নিবেদিতা নাগের জন্ম।নিবেদিতা নাগের বাবা অধ্যাপক সঞ্জীব কুমার চৌধুরী ছিলেন বিপ্লবী সূর্য সেনের সহপাঠী।তিনি নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও কমিউনিস্ট পার্টির একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন।১৯৪১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ পাশ করার পর নারায়ণগঞ্জে একটি কলেজের অধ্যক্ষার পদ গ্রহণ করেন।১৯৪৩ সাল থেকে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ওপার বাংলাতেই থেকে গিয়েছিলেন নিবেদিতা। সন্তানসম্ভবা অবস্থাতেই জড়িয়ে পড়েন পঞ্চাশের ভাষা আন্দোলনে।এই মহিয়ষী নারী ২০১৩ সালে ৫ মে মৃত্যু বরণ করেন।
শহীদ আব্দুস সালাম

গুলি বিদ্ধ হন ২১-২-১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে।হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ৭-৪-১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে বেলা ১১টায় মৃত্যুবরণ করেন।পরিচয় : ডাইরেক্টর অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অফিসে রেকর্ড কিপার পদে চাকরি করতেন।
শহীদ রফিক

শহীদ হয়েছে ২১-২-১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ।পরিচয় : মানিকগঞ্জ জেলার দেবেন্দ্রনাথ কলেজের বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয়  বর্ষের ছাত্র।
শহীদ শফিউর

শহীদ হয়েছেন ২২-২-১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ।পরিচয় : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ক্লাসের প্রাইভেট ছাত্র ও ঢাকা হাইকোর্টের কর্মচারী।বংশাল রোডের মাথায় শহীদ হন (ঢাকা)।
বরকত

শহীদ হয়েছেন ২১-২-১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ।পরিচয় : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এমএ ক্লাসের ছাত্র।
আঃ জব্বার

শহীদ হয়েছেন ২১-২-১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ, পরিচয় : সাধারণ গ্রামীণ কর্মজীবী মানুষ ছিলেন, পিতার নাম : মরহুম হাছেন আলী (১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু),
গাজীউল হক

প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম

বাচ্চু রওশন আরা

অধ্যাক মির্জা মাজহারুল

সাবির চৌধুরী

মাহবুব কাজী গোলাম

বেগম মমতাজ

আসছে মহান ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ এ আমাদের অঙ্গীকা
“সর্বত্র হোক বাংলা ভাষার ব্যাবহার”
সকল ভাষা সৈনিকদের প্রতি রইল আমার
“বিনম্ভ্র শ্রদ্ধা”

কৃতজ্ঞতায়:
তথ্য:অনলাইন বিভিন্ন মাধ্যম ও সি এম তারেক রেজা একুশ ভাষা আন্দোলনের সচিত্র ইতীহাস।
গুনিজন.কম,নারায়ণগঞ্জ মিডিয়া,উইকিপিয়া।

২০১৫জন ২০১৫জন
0 Shares

১৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ