ছবিটির মুল্য তারাই বুঝবেনা যারা বাংলিশ। উদাহরণ চান? এক বাংলিশরে প্রশ্ন করলাম – সে গেলোতো গেলো এমন ভাবে গেলো আর ফিরে এলোনা এর ইংরেজিতে অনুবাদ কি হবে বলতো?
তার উত্তর ছিলো – He is gone gona gone gone, emon vabe gone, has not come.
তাদের কাছে ইংরেজিতে কথা বলা স্মার্টনেস। বাংলা ভাষায় তারা অস্বস্তি অনুভব করে। এসব দেখলে রাগে আমার শরীর কাঁপে, হাসি পায়; রাগের হাসি।
বলতে পারেন শহীদ মিনারে তিনটি স্তম্ভ কেন? কতটি লোহার শিক ব্যবহৃত হয়? ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান কাদের? সালাম, রফিক, জব্বার এদের চেনেন এ প্রজন্মের কতজন?আমরা তাদের নাম জানি, কিন্তু তাদের শহীদ হবার প্রেক্ষাপট জানি কতজন? প্রথম ভাষাশহীদ কে বলুনতো? ক খ গ থেকে চন্দ্রবিন্দু পর্যন্ত আমরা কতজন বলতে পারবো এই মুহুর্তে? চেষ্টা করবেন নাকি একবার?
মাতৃভাষাকে জানুন, আপনার সন্তানদের জানান। ২১ কে ভালোবাসুন, মন থেকে বুকে ধারন করুন। আপনি আমি বাঙালি বলে অন্য ভাষাভাষী মানুষ আমাদের হিংসে করে। কেন জানেন? কারন ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাবে পালিত হয়। এটা আমাদের গর্ব, এটা আমাদের গৌরব। এসব ভাবলে আমার শরীরে শিহরণ জাগে, পুলকিত হই।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত কিন্তু ইংরেজিতে সাহিত্য রচনায় ফেল মেরে সাগরদাঁড়িতে ফিরে এসেছিলেন। অথচ তিনি নিজে অনর্গল ইংরেজি বলতে লিখতে পারতেন। তার বাংলায় রচিত সাহিত্য বিশ্বের নামকরা সব বিশ্ববিদ্যলয়ে পঠিত হয়।
আসুননা সবাই শুদ্ধ বাংলায় কথা বলার চর্চা করি। বাংলায় শুদ্ধভাবে কথা বলে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানাই। এটা তাদের পাওনা, তাদের অধিকার। এ অধিকার বঞ্চিত করার ক্ষমতা আপনার আমার কারোরেই যে নেই!
১৪টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
বাংলিশে কথা বলা ও লেখা এখন জনপ্রিয় একটি বিষয় ভাই। বিশেষ করে সোস্যাল মিডিয়ায় অনেকেই ইচ্ছে করে বাংলিশে কথাবার্তা বলেন নিজের স্মার্টনেস জাহির করার জন্যে।
ভাষার জন্যে প্রান দেয়া জাতি হয়েও যদি আমরা আমাদের ভাষা ইচ্চে করেই বিকৃত করি এটা আসলে লজ্জাজনক।
ভালো লিখেছেন ভাই। শুভ কামনা।
তৌহিদ
আপু ইংরেজির প্রয়োজন আছে মানি। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে আমাদের। তাই বলে বিকৃত ভাবে যারা বলে তাদের মেনে নিতে পারিনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
ভাষা ইংরেজি বা বাংলায় যেভাবেই বলা হোক ভাষার বিকৃতি কাম্য নয়। আর আমরা নিজেরা নিজের দেশের মানুষের সাথে যখন কথা বলি তখন বিদেশি ভাষায় কথা বলা খুব জরুরী মনে করিনা ভাই। বাংলিশের প্রতি চরম অনিহা আছে আমার।
তৌহিদ
সুন্দর বলেছেন আপু,ধন্যবাদ।
মাহমুদ আল মেহেদী
ভাষা নিয়ে খুব সুন্দর একটা লেখা লিখছেন ভাই । অস্বাধারন
তৌহিদ
ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
এইসব ইংরেজ প্রেমিকদের আমার থাব্রাইতে মন চায়,
এরা নিজেদের ফকীর ভাবে বলেই ইংরেজীর প্রতি এত প্রেম।
তৌহিদ
অজায়গায় ইংরেজি বললেতো মাথা গরম হবেই দাদা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
দারুণ লেখা।ছবিটাও হৃদয় ছোয়া।আমাদের মনে ছবির মতই ২১ ফেব্রুয়ারী ছিল।শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে রাত ভর আলপনা একেঁছি এ ভাবে ফুল দিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে ফুলওয়ালার কত মাইর বকা যে খেয়েছি।তবুও শ্রদ্ধা জানাতে একটুও মনে দ্বিধা আসেনি।আর এখনকার ছেলে মেয়েরা হিন্দী ইংলিশে পড়ে আছে।অনেকে মার্তৃ ভাষা সম্পর্কে কিছুই জানে না।আমরা মা বাবারা এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
তৌহিদ
সহমত ভাই, পারিবারিক শিক্ষাই বাচ্চাকে উদ্বুদ্ধ করে সবচেয়ে বেশি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
যেকোন ভাষায় বিকৃতি অপছন্দ । তবে এখন সবাই তাল্গোল হারিয়ে ফেলেছে। এই ডিজিটালের জন্যে। হইতো কেউ একমত হতেও পারেন আবার নাও পারেন। অটো চলে এলেই মনে করি ঠিক, কিন্তু তাঁর মাঝে সঠিক্টা বাচাহাই করিনা, করতে চাইনা, না পারিনা , তা জানিনা।
সুন্দর পোস্ট।
তৌহিদ
জানিনা এটাকেই সময়ের সাথে তাল মিলানো বলে কিনা? আমিও এর পক্ষে নই ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
যে নিজের ভাষাটি জানে না সে অন্যের ভাষাটি জানতে পারে তবে
তাতে ভালোবাসা থাকে কী না তা জানি না।
মায়ের ভাষাটি মায়া মমতায়-ই রাখতে চাই সুন্দর করে।
তৌহিদ
সহমত ভাই, সুন্দর বলেছেন। মায়ের ভাষার মত আর কিছুই হতে পারেনা।