বাংলাদেশ সমবায় শিল্প সংস্থা (সী:) হলো বাংলার সোনালি আঁশ পাট আমদানি ও রপ্তানিকারক একটি প্রতিষ্ঠানের নাম। এটি নারায়ণগঞ্জ সিটি ১০ নং ওয়ার্ড গোদনাইল এলাকায় অবস্থিত। গোদনাইল এলাকাটি নারায়ণগঞ্জ সিটি থেকে ৪.৪ কিমি: উত্তরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন । বর্তমানে এই গোদনাইলে গড়ে উঠেছে যত্রতত্র বহু শিল্প প্রতিষ্ঠান । এসবের মধ্যে রয়েছে রপ্তানিমুখী নীট গার্মেন্ট, ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ, রি-রোলিং মিলস্ । কোনোএক সময় এই নারায়ণগঞ্জে এশিয়া মহাদেশের বিখ্যাত চার-পাঁচটি টেক্সটাইল মিলস্ও ছিল। এখন আর সেসব টেক্সটাইল মিল নেই। আছে কিছু পাট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। তাও হাতেগোনা কয়েকটি মাত্র। এই পাট আর শীতলক্ষ্যা নদীর স্বচ্ছ পানিই একসময় নারায়ণগঞ্জকে এনে দিয়েছিল প্রাচ্যের ডান্ডি উপাধি।
আগে নারায়ণগঞ্জে যেখানে-সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যেত বিশাল বিশাল পাটের গোডাউন। দেখা যেত পাটকে বেল করার মতো জুটপ্রেস। সেসব জুটপ্রেসের মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশ সমবায় শিল্প সংস্থা (সী:)। এই জুটপ্রেসের সাথে আমার সম্পৃক্ততা অনেক বছর থেকে। যা এখনো আছে। আজ এই বাংলাদেশ সমবায় শিল্প সংস্থার ভেতরে পাট শ্রমিকরা কীভাবে দেশীয় কাঁচা পাট বেল করে দেশ-বিদেশে রপ্তানি করে থাকে, তা ছবির মাধ্যমে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। আশা করি সবাই থাকবেন।
বাংলাদেশ সমবায় শিল্প সংস্থার প্রধান গেইট। এই গেইট দিয়েই সংস্থার ভেতরে প্রবেশ করতে হয়।
গেইটের ভেতরে কর্তব্যরত গেইট প্রহরী-সহ আরও কয়েকজন প্রহরী বা দারোয়ান একসাথে দাড়িয়ে আছে।
প্রধান গেইট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই চোখে পরবে পাট শ্রমিকদের কোয়ার্টার। সামনেই রাস্তা। আগে এই রাস্তায় রেললাইন ছিল। এখন রেললাইন নেই, আছি উপচে পড়া লোহার লম্বা এঙ্গেলের মতো বাতিল লাইনগুলো। এই লাইনের পর বসেই পাট শ্রমিকরা সময়তে অবসর সময় কাটায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দুইজন পাট শ্রমিক দুপুরের খাবার সেরে লাইনের পর বসে সিগারেট ফুঁকছে। একটু পরই কর্মের ঘণ্টা বেজে উঠবে। তারপর ছুটবে জীবিকার যুদ্ধে।
সংস্থার ভেতরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে এই বিশাল দুইকোণা বিশিষ্ট পুকুরটি।
এই পুকুরে মাছ চাষ করা হয়। প্রতিবছর টিকেটে বরশী দিয়ে মাছ শিকার প্রতিযোগিতা হয়। পাট শ্রমিকেরাও এই পুকুরে ধোয়ামোছার-সহ গোসল করে থাকে।
সংস্থার ভেতরে থাকা পাট শ্রমিকদের ছেলে-পেলেরা মাছ চাষিদের নৌকা নিয়ে খেলায় মেতে উঠে সময় সময়।
পুকুরের ডানপাশেই সারিবদ্ধ পাটের গোডাউন।
পেছন ফিরে তাকালে দেখা যাবে প্রধান গেইটের উপরে বহুতল বিশিষ্ট রপ্তানিমুখী নীট গার্মেন্টস।
সামনে সরু রাস্তা চলে গেছে সোজা সংস্থার জুটপ্রেসে। পাশে পাটের গোডাউন।
দুইপাশে পাটের গোডাউন, মাঝখান দিয়ে রাস্তা। রাস্তার শেষপ্রান্তে শীতলক্ষ্যা নদী।
এমন আরও অনেক গোডাউন এখানে সারিবদ্ধভাবে সাজানো আছে।
বাংলাদেশ সমবায় শিল্প সংস্থার সীমানা। এরপর শীতলক্ষ্যা নদীর সীমানা পিলার। এখানেই রয়েছে সংস্থার জেটি বা ঘাট।
একসময় এখানেই ছিল সংস্থার জেটি। এই জেটি দিয়েই জাহাজ আর নৌকা থেকে পাট উঠানামা করা হতো। এখন আর জেটি নেই। শীতলক্ষ্যা নদীর সীমানা পিলার স্থাপনের পর জেটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় ঘেঁষা ঘাটে পাট ভর্তি নৌকা।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নৌপথে এখানে পাট আসে। শুধু নৌপথেই না, আসে স্থলপথেও। উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে নৌকা থেকে আমদানি শ্রমিকরা পাট মাথায় বহন করে নিয়ে যাচ্ছে।
নৌকা থেকে পাট মাথায় করে গোডাউনে নিয়ে যাচ্ছে একজন মহিলা আমদানি শ্রমিক।
পাট আমদানি শ্রমিকরা নৌকা নাহয় ট্রাক থেকে পাট নিয়ে রাখে এসব গোডাউনে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে কোম্পানির একজন কর্মচারী কাঠি হাতে দাড়িয়ে আছে। পাটের হিসাব রাখার জন্য পাট আমদানি শ্রমিককে একটি বোজায় একটি কাঠি বুঝিয়ে দিচ্ছে।
পাটের বোজা জমা করে রাখা হচ্ছে গোডাউনে।
পাটের চিকন চিকন ১৪টা দড়ি একসাথে করে এই ছোট মেশিনে পাক দিয়ে মোটা করা হয়। তারপর দড়িগুলো চলে যায় পাটের বেল বাধার জন্য।
গোডাউনে পাট নানাভাবে যাচাই-বাছাই করে পাটকে রপ্তানিমুখি করা হয়।
এরপর এভাবেই গোডাউনে কাঁচা পাট মজুদ করে রাখা হয়।
কোম্পানির ভাড়া করা গোডাউন থেকে পাটের বেল বাধার জন্য মোটা দড়ির দরকার হয়। এখানে দড়ি শ্রমিকরা পাটের দড়ি তৈরি করছে। এসব দড়ি চলে যাবে জুটপ্রেসে।
জুটপ্রেসে উঠার সিঁড়ি। এই সিঁড়ি বেয়েই বোজা শ্রমিকরা পাটের বোজা মাথায় করে জুটপ্রেসে উঠে।
জুটপ্রেস মেশিন। এই মেশিনটি অনেক পুরনো। তা মনে হয় ব্রিটিশ আমলের তৈরি।
জুটপ্রেস চালকের বসার স্থান। এখান থেকেই গিয়ারের সাহায্যে জুটপ্রেস মেশি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই মেশিনে কাজ করার সময় প্রেস শ্রমিকদের খুবই সাবধানে কাজ করতে হয়। অনেক সময় অসাবধানতার কারণে অনেক শ্রমিকের অঙ্গহানি হয়। কারোর হাতের আঙুল-সহ হাতের কব্জিও কেটে যায়। তবুও জীবন জীবিকার তাগিদে ওঁরা পাট শ্রমিকরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে কাজ করে যাচ্ছে।
দুপুর ১২টায় দুপুরের খাবারের সময় নির্ধারণ করা। তাই প্রেস বন্ধ! প্রেসে দেখা যাচ্ছে আধা তৈরি করা পাটের বেল। এই বেলটাকে বলে কাঁচা বেল। মানে অর্ধেক টাইট হয়েছে কেবল।পুরোপুরিভাবে টাইট হতে হলে পাক্কা বেল-এর জায়গায় টাইট দিতে হবে।
এখানে পাট ওজন করা হয়। প্রতিটি বেল ১৮০কেজি করে তৈরি করা হয়।বাংলা হিসাবে (৫ মন)।
এখানেও ওজন করা হয়। এক জায়গায় ওজন করে সামাল দিতে পারে না বলেই দুই জায়গায় একই সাথে দুইজনে ওজন করে সাপ্লাই করে থাকে।
বেল বাধার জন্য তৈরিকৃত দড়ি। যা উপরের ছবিতে দেখানো হয়েছে।
দড়ির গাট্টি। একেক কোম্পানির দড়ি আলাদা আলাদা।
দুপুরের খাবারে পর অলস সময় ঘুমিয়ে পাড় করছে প্রেস শ্রমিকরা। কিছুক্ষণ পরই আবার শুরু হবে কর্ম যদ্ধ।
পাটের বোজার উপরেও একজনকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
শুরু হয়ে গেল কর্ম যদ্ধ! চলছে পাট ওজন করা। ওজন করার পর পাট নিয়ে ঢেলে দেওয়া হয় প্রেস মেশিনের সুড়ঙ্গে।
ভলছে পাট বেল করার কারিগরি প্রস্তুতি। মেশিনের চারদিকেই চলছে প্রেস শ্রমিকদের কারিগরি।
এসব পাটের বেলগুলো তেলের সাহায্যে প্রেসার দিয়ে টাইট বা মজবুত করা হয়। দেখা যাচ্ছে মেশিনের দুই পাশের কাঁচা পাকা প্রেস। বেল হয়ে গেলে প্রেস শ্রমিকরা ধাক্কা দিয়ে ডোঙায় ফেলে দেয়। ডোঙা দিয়ে পাটের বেল চলে যায় নিচে।
এ হলো জুটপ্রেসের ডোঙা। এই ডোঙা দিয়েই ১৮০ কেজি ওজনের বেল চলে যায় নিচে। নিচে প্রস্তুতি নিয়ে রয়েছে রপ্তানি শ্রমিক। রপ্তানি শ্রমিকরা শুধু পাটের বেল প্রেস থেকে নামার পর বেলগুলো গোডাউনে, নাহয় ট্রাকে, নাহয় নৌকায় ডেলিভারি দিয়ে থাকে। তারপর বাংলার পাট চলে যায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায়।
প্রেসের নিচে থাকা ডোঙার বারান্দা। এখানেই রেডি আছে রপ্তানি শ্রমিকরা।
নিচে থাকা ডোঙার মুখ বা সুড়ঙ্গপথ। যেই পথ দিয়ে পাটের তৈরিকৃত বেল নিচে নেমে আসে।
ডোঙার সামনে রেডি করা আছে ট্রলিগাড়ি। ট্রলিগাড়ি দিয়ে পাটের বেল নেয়ে যাওয়া হয় গোডাউনে। নাহয় ট্রাকে অথবা নৌকায়। এখনো পাটের বেল তৈরি হয়ে নিচে আসেনি। তাই এই সুযোগে আমরা একটু জুটপ্রেসের নিচের মেশিনপত্রগুলো দেখে নিতে পারি।
জুটপ্রেসের নিচে থাকা পাম্পঘর ও ওয়ার্কশপ।
মেশিনের ভোঙা। যা দেখতে হুবহু কুয়োর মতো। মাটি থেকে অনেক উচুতে। এই ভোঙার উপরে প্রেস শ্রমিকরা ১৮০ কেজি পাট মেপে ঢেলে দেয়। তারপর তেলের প্রেসারে মাটির নিচ থেকে দুইটি মোটা লোহার পিলারের (খুটি বা জাহাজের মাস্তুলের মতো) সাহায্যে আস্তে আস্তে উপরে প্রেসার দিতে থাকে। আর পাটা গুলো বেল আকারে তৈরি হতে থাকে।
এই সংস্থায় দুটি প্রেস মেশিন আছে। এটিও আরেকটি প্রেস মেশিন। একটি নষ্ট বা অকেজো হয়ে গেলে সাথে সাথে আরেকটি চালু করে দেয়। তাতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকে।
তেলের বিশালাকার ট্যাংক। এই টাংকিতে সবসময় অন্তত ৪০ বেরেল মবিল তেল মজুত থাকে। মেশিন ঘর অন্ধকার! তাই ছবিও উঠেছে অন্ধকারাচ্ছন্ন।
জুটপ্রেস মেশিন ঘরের নিচে তলা সবসময় এমন অন্ধকার থাকে। দিনের বেলাও বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালিয়ে রাখতে হয়।
জুটপ্রেসের তিনজন দক্ষ মিস্ত্রি। আমাকে দেখে ছবি তোলার জন্য আগ্রহ নিয়ে বসে আছে।
প্রেস মেশিনের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও ন্ত্রপাতি মেরামত করার ওয়ার্কশপ। এবার চলে আসি বাইরে ডোঙার সামনে।
দুপুরের খাওয়াদাওয়ার পর পুনরায় কাজ চালু হয়ে গেছে। জুটপ্রেসের উপর থেকে ডোঙা দিয়ে তৈরি করা পাটের বেল নিচে নেমে এসেছে। একদল রপ্তানি শ্রমিকরা সেসব বেল ট্রলিগাড়িতে উঠাচ্ছে। আরেক দল অপেক্ষা করছে গাড়ি ভর্তি হবার। ট্রলিগাড়ি ভর্তি হলেই, অপেক্ষাকৃত দল গাড়ি ঠেলে নিয়ে যাবে গোডাউনের সামনে অথবা ট্রাকের সামনে, নাহয় নৌকার সামনে।
ট্রলিগাড়ি বোঝাই হবার অপেক্ষায় কয়েকজন রপ্তানি শ্রমিক।
ট্রলি গাড়িতে পাটের বেল সারি সারি করে সাজানো হচ্ছে।
একটি ভরা হয়ে গেলে আরও ট্রলিগাড়ি রেডি করা আছে।
যেই কোম্পানির পাট বেলিং হচ্ছে, সেই কোম্পানির একজন বেল হিসাবরক্ষক বসে আছে হিসাবের খাতা হাতে নিয়ে। বেল নিচে পরছে, আর খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখছে। এই কাজটাকে বলে টালি করা।
ট্রলিগাড়ি ভরা হয়ে যাবার পর সেই গাড়ি রপ্তানি শ্রমিকরা ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে গোডাউনের সামনে। সেখানেও আরেক দল রেডি হয়ে আছে। তাঁরা এই বেলগুলো ঠেলাগাড়ি করে নিয়ে যাবে গোডাউনের ভেতরে। সেখানে এই বেলগুলো খামাল দিয়ে সাজিয়ে রাখা হবে৷
বেল ভর্তি ট্রলিগাড়ি ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে গোডাউনের সামনে।
গোডাউনের সামনে ট্রলিগাড়ি থামার পর বেলগুলো ট্রলিগাড়ি থেকে নামানো হচ্ছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন রপ্তানি শ্রমিক ঠেলাগাড়ি ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এখন ছোট দুই চকার ঠেলাগাড়ি করে পাটের বেলগুলো নিয়ে যাওয়া হবে গোডাউনে। গোডাউনেও একদল রপ্তানি শ্রমিক পাটের বেলগুলো খামাল দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছে।
ঠেলাগাড়ি ঠেলে রপ্তানি শ্রমিকরা পাটের বেলগুলো নিয়ে যাচ্ছে গোডাউনে। গোডাউনের দেওয়ালের সাথে দাড় করানো আছে আরও অনেকগুলো ঠেলাগাড়ি। রপ্তানি শ্রমিকও আরও আছে। একের পর এক করে সবাই ভাগ-বাঁটোয়ার করে বেলগুলো গোডাউনে নিয়ে যাবে।
এইতো আরও দুইজন রপ্তানি শ্রমিক এসে গেছে বেলগুলো তাড়াতাড়ি করে গোডাউনে নেওয়ার জন্য।
এইতো এখানেই বেলগুলো মজুত রাখা হবে বলে মনে হয়। তাইতো সবাই এখানে অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে।
ধরাধরি করে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে খামাল দেওয়ার জন্য।
একটার পর একটা করে উপরনিচ করে বহুতল ভবনের মতো করে সাজিয়ে রাখা হবে পাটের বেলগুলো। সময়মত এগুুলো আবার গোডাউন থেকে বের করে ট্রাকে অথবা নৌকায় ডেলিভারি দেওয়া হবে।
সারি সারি সাজানো পাটের বেল। এগুলো সময়মত চলে যাবে বিভিন্ন জুট মলে, নাহয় দেশের বাইরে।
প্রতিটি গোডাউনেই এরকমভাবে মজুত করে রাখা হয় পাটের বেলগুলো। এরপর সময়মত দেওয়া হয় ডেলিভারি।
এভাবেই রপ্তানি শ্রমিকরা সম্মিলিতভাবে পাটের বেলগুলো ট্রাকে অথবা নৌকায় ডেলিভারি দিয়ে থাকে। এরপর বাংলার সোনালী আঁশ পাট চলে যায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায়। এখন আসি অন্যদৃষ্টিতে।
এই ভবনটি হলো বাংলাদেশ সমবায় শিল্প সংস্থার অফিস ভবন। ভবনটি দোতলা। উপরে সংস্থার অফিস। নিচে পাট রপ্তানিকারক কোম্পানির কয়েকটা অফিস।
আমার একজন সুহৃদ। বড়ভাইও বলা চলে। উনি এখানকার পুরানো লেবার কন্ট্রাক্টর।
পাট শ্রমিকদের ব্যবহারের জন্য পানির ট্যাংক। পাট শ্রমিকরা কাজের ফাঁকে এখান থেকে হাত-পা ধোয়ার কাজ সেরে নেয়।
সংস্থার মসজিদ। এই মসজিদে সংস্থার পাট শ্রমিকরা নামাজ আদায় করে থাকে। সবশেেষ সাথে থাকার জন্য সাবাইকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আমি নিতাই বাবু।
২৬টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
অনেক অজানা কিছু জানলাম
আপনার সুনিপুন হস্তে লেখনী
ও ছবির মাধ্যমে . কৃতার্থ দাদা
শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
এই সংস্থার ভেতরে থাকা স্টাফ থেকে শুরু করে সব পাট শ্রমিকদের ছেলে-মেয়েদের সাথেও আমার মধুর সম্পর্ক অনেকদিনের। এখানে আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু কাজ করে। ওঁর বাসাও সংস্থার অভ্যন্তরে। তাই এখানকার যেকোনো সুসংবাদ দুঃসংবাদ সংস্থার বাইরে থাকা সকলকের আগে আমিই পেয়ে যাই। ছুটে যাই সংস্থার ভেতরে। সংস্থার বাইরে থাকা প্রায় দোকানে চা-পান আমার জন্য একরকম ফ্রী! এটি আমার বন্ধুর অর্ডার। সংস্থার সাথে এমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্যই এই সংস্থা নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছি। তবে ছবি বা ফটো পোস্ট কোথাও দেইনি। ফটো পোস্ট এই প্রাণের সোনেলা প্লাটফর্মেই প্রথম দিয়েছি। যা আপনি-সহ আপনারা সকলেই দেখলেন, মূল্যবান মন্তব্যে করলেন। আপনাদের সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যে আমি অনুপ্রাণিত হয়ে আসন্ন পৌষ সংক্রান্তির প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করি ভালো থাকবেন সবসময়।
কামাল উদ্দিন
ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছে। আমার কখনো কোন জুট মিল দেখা হয়নি, আজ আপনার ছবিব্লগের মাধ্যমে ভালোভাবেই দেখে নিলাম। এছাড়াও ছবি ব্লগ আমার খুবই প্রিয়, কিন্তু এই ব্লগে তেম খুব একটা পাওয়া যায় না………শুভ কামনা জানবেন দাদা।
নিতাই বাবু
এই সংস্থার ভেতরে থাকা স্টাফ থেকে শুরু করে সব পাট শ্রমিকদের ছেলে-মেয়েদের সাথেও আমার মধুর সম্পর্ক অনেকদিনের। এখানে আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু কাজ করে। ওঁর বাসাও সংস্থার অভ্যন্তরে। তাই এখানকার যেকোনো সুসংবাদ দুঃসংবাদ সংস্থার বাইরে থাকা সকলকের আগে আমিই পেয়ে যাই। ছুটে যাই সংস্থার ভেতরে। সংস্থার বাইরে থাকা প্রায় দোকানে চা-পান আমার জন্য একরকম ফ্রী! এটি আমার বন্ধুর অর্ডার। সংস্থার সাথে এমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্যই এই সংস্থা নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছি। তবে ছবি বা ফটো পোস্ট কোথাও দেইনি। ফটো পোস্ট এই প্রাণের সোনেলা প্লাটফর্মেই প্রথম দিয়েছি। যা আপনি-সহ আপনারা সকলেই দেখলেন, মূল্যবান মন্তব্যে করলেন। আপনাদের সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যে আমি অনুপ্রাণিত হয়ে আসন্ন পৌষ সংক্রান্তির প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করি ভালো থাকবেন সবসময়।
কামাল উদ্দিন
বুঝছি আপনার সাথে একদিন আমাকে যেতে হবে ওখানে।
নিতাই বাবু
অবশ্যই আসবেন শ্রদ্ধেয় কামাল দাদা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাপরে! পুরো প্রসেসিং টাই দেখিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর করে সাজিয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
নিতাই বাবু
শ্রদ্ধেয় দিদি, এই সংস্থার ভেতরে থাকা স্টাফ থেকে শুরু করে সব পাট শ্রমিকদের ছেলে-মেয়েদের সাথেও আমার মধুর সম্পর্ক অনেকদিনের। এখানে আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু কাজ করে। ওঁর বাসাও সংস্থার অভ্যন্তরে। তাই এখানকার যেকোনো সুসংবাদ দুঃসংবাদ সংস্থার বাইরে থাকা সকলকের আগে আমিই পেয়ে যাই। ছুটে যাই সংস্থার ভেতরে। সংস্থার বাইরে থাকা প্রায় দোকানে চা-পান আমার জন্য একরকম ফ্রী! এটি আমার বন্ধুর অর্ডার। সংস্থার সাথে এমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্যই এই সংস্থা নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছি। তবে ছবি বা ফটো পোস্ট কোথাও দেইনি। ফটো পোস্ট এই প্রাণের সোনেলা প্লাটফর্মেই প্রথম দিয়েছি। যা আপনি-সহ আপনারা সকলেই দেখলেন, মূল্যবান মন্তব্যে করলেন। আপনাদের সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যে আমি অনুপ্রাণিত হয়ে আসন্ন পৌষ সংক্রান্তির প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করি ভালো থাকবেন সবসময়।
ইকবাল কবীর
বাহ!! ছবি গুলা দেখে ভালো লাগলো। আমি অফিসিয়াল কাজে আপনাদের নারায়ণগঞ্জের মিথিলা ডায়িং ফ্যাক্টোরিতে (মিথিলা গ্রুপ) যাই মাঝে মাঝে দেখি একদিন সময় করে আসবো আপনাদের এই দিকে পাটকল ফ্যাক্ট্রোরিতে। আসলে আমাদের দেশের পাট শিল্প কিছু মানুষের অযত্ন, অবহেলা আর কিছু দেশ বিরোধী অমানুষরা নষ্ট করে ফেলছে। পাটের বহুবিধ ব্যবহারের মাঝে টেক্সটাইল অন্যতম। বর্তমানে পাটের তৈরী সুতা দিয়ে খুব দামী ফেব্রিক তৈরি করা হয়। কিন্তু কেন জানি আমাদের দেশের এই শিল্পের প্রসার নিয়ে কতৃপক্ষ নীরব ঘাতকের ভূমিকা পালন করছে।অথচ ভারত সারা বিশ্বে এখন পাট রপ্তানী করে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করছে।
নিতাই বাবু
সত্যি দাদা, এই সংস্থার পাট শ্রমিকরাও নীরবে সকল কষ্ট সয়ে দিনাতিপাত করে যাচ্ছে। তাঁদের দুঃখকষ্ট কেউ দেখেও দেখে না।
শ্রদ্ধেয় দাদা, মিথিলা গ্রুপ নারায়ণগঞ্জের কোথায় অবস্থিত? আমি গোদনাইল চৌধুরীবাড়ি এলাকায় বসবাস-সহ কর্মও করে যাচ্ছি। যদি কখনো চৌধুরীবাড়ি আসেন, তো চৌধুরীবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে নেমে যেকোনো দোকানে নিতাই বাবু বললেই আমার ঠিকানা বলে দিবে আশা করি। আমি লক্ষ্মীনারায়ণ বাজারের মাল্টিপারপাস সমিতির একজন কালেক্টর। যদি আসেন তো ভালো হবে দেখা হবে। সবশেষে আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো।
ইকবাল কবীর
মিথিলা গ্রুপ নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় কানপাড়া, ধুবতারা গ্রামে অবস্থিত। বাংলাদেশের একমাত্র প্লাটিনাম সার্টিফাইড গ্রীণ ফ্যাক্টোরি। ধন্যবাদ
নিতাই বাবু
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
মনির হোসেন মমি
আহা এক সময় কত ঝাকজমক ছিলো এ অঞ্চলটি। আজ কেবলি স্মৃতি। লেখাটি খুব ভাল হয়েছে।খুব সুন্দর উপস্থাপনা।
নিতাই বাবু
দাদা, এই সংস্থার ভেতরে থাকা স্টাফ থেকে শুরু করে সব পাট শ্রমিকদের ছেলে-মেয়েদের সাথেও আমার মধুর সম্পর্ক অনেকদিনের। এখানে আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু কাজ করে। ওঁর বাসাও সংস্থার অভ্যন্তরে। তাই এখানকার যেকোনো সুসংবাদ দুঃসংবাদ সংস্থার বাইরে থাকা সকলকের আগে আমিই পেয়ে যাই। ছুটে যাই সংস্থার ভেতরে। সংস্থার বাইরে থাকা প্রায় দোকানে চা-পান আমার জন্য একরকম ফ্রী! এটি আমার বন্ধুর অর্ডার। সংস্থার সাথে এমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্যই এই সংস্থা নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছি। তবে ছবি বা ফটো পোস্ট কোথাও দেইনি। ফটো পোস্ট এই প্রাণের সোনেলা প্লাটফর্মেই প্রথম দিয়েছি। যা আপনি-সহ আপনারা সকলেই দেখলেন, মূল্যবান মন্তব্যে করলেন। আপনাদের সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যে আমি অনুপ্রাণিত হয়ে আসন্ন পৌষ সংক্রান্তির প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করি ভালো থাকবেন সবসময়।
জিসান শা ইকরাম
পড়লাম, দেখলাম, জানলাম অনেক কিছু।
এমন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
মেশিন গুলোর অবস্থা তো খুবই করুন।
নিতাই বাবু
শ্রদ্ধেয় দাদা, এই সংস্থার ভেতরে থাকা স্টাফ থেকে শুরু করে সব পাট শ্রমিকদের ছেলে-মেয়েদের সাথেও আমার মধুর সম্পর্ক অনেকদিনের। এখানে আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু কাজ করে। ওঁর বাসাও সংস্থার অভ্যন্তরে। তাই এখানকার যেকোনো সুসংবাদ দুঃসংবাদ সংস্থার বাইরে থাকা সকলকের আগে আমিই পেয়ে যাই। ছুটে যাই সংস্থার ভেতরে। সংস্থার বাইরে থাকা প্রায় দোকানে চা-পান আমার জন্য একরকম ফ্রী! এটি আমার বন্ধুর অর্ডার। সংস্থার সাথে এমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্যই এই সংস্থা নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছি। তবে ছবি বা ফটো পোস্ট কোথাও দেইনি। ফটো পোস্ট এই প্রাণের সোনেলা প্লাটফর্মেই প্রথম দিয়েছি। যা আপনি-সহ আপনারা সকলেই দেখলেন, মূল্যবান মন্তব্যে করলেন। আপনাদের সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যে আমি অনুপ্রাণিত হয়ে আসন্ন পৌষ সংক্রান্তির প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করি ভালো থাকবেন সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
এটি না দেখলে কিছুই দেখা হতো না।
পুরো প্রক্রিয়া এই ছবিগুলোর মাঝে চলে এসেছে।
নিতাই বাবু
শ্রদ্ধেয় কবি ছাইরাছ দাদা, এই সংস্থার ভেতরে থাকা স্টাফ থেকে শুরু করে সব পাট শ্রমিকদের ছেলে-মেয়েদের সাথেও আমার মধুর সম্পর্ক অনেকদিনের। এখানে আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু কাজ করে। ওঁর বাসাও সংস্থার অভ্যন্তরে। তাই এখানকার যেকোনো সুসংবাদ দুঃসংবাদ সংস্থার বাইরে থাকা সকলকের আগে আমিই পেয়ে যাই। ছুটে যাই সংস্থার ভেতরে। সংস্থার বাইরে থাকা প্রায় দোকানে চা-পান আমার জন্য একরকম ফ্রী! এটি আমার বন্ধুর অর্ডার। সংস্থার সাথে এমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্যই এই সংস্থা নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছি। তবে ছবি বা ফটো পোস্ট কোথাও দেইনি। ফটো পোস্ট এই প্রাণের সোনেলা প্লাটফর্মেই প্রথম দিয়েছি। যা আপনি-সহ আপনারা সকলেই দেখলেন, মূল্যবান মন্তব্যে করলেন। আপনাদের সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যে আমি অনুপ্রাণিত হয়ে আসন্ন পৌষ সংক্রান্তির প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করি ভালো থাকবেন সবসময়।
তৌহিদ
আজ আপনার পোস্ট পড়ে ছবিগুলো দেখে পাট শিল্প সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। বর্তমানে পাট শিল্পের সাথে জড়িত কর্মীরা অনেক দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। সরকারের উচিত এই শিল্পকে যথাযথ প্রাপ্যতা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
এমন সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানবেন দাদা।
নিতাই বাবু
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় দাদা।
সুরাইয়া পারভীন
পুরো দুদিন ধরে পড়লাম আপনার পোস্ট দাদা। এই প্রথম পাট শিল্প ও কারখানা সম্পর্কে জানলাম। আপনি সবসময় এমন সব বিষয় নিয়ে লিখেন যা আমি আগে কখনো পড়িনি বা দেখিনি।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন দাদা।
নিতাই বাবু
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় দিদি।
সঞ্জয় মালাকার
এই প্রথা আজ আপনার পোস্ট পড়ে ছবিগুলো দেখে পাট শিল্প সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম দাদা। আপনি সবসময় এমন সব বিষয় নিয়ে লিখেন যা আমি আগে কখনো পড়িনি বা দেখিনি।
অসাধারণ লেখা ও ছবি গুলো দাদা, আপনার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা। শুভেচ্ছা জানাবেন দাদা।
নিতাই বাবু
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় সঞ্জয় দাদা।
ইসিয়াক
অনেক কিছু জানলাম । শুভকামনা রইলো প্রিয় দাদা।
নিতাই বাবু
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।