জীবনেও বাঁশ, মরনেও বাঁশ। বাঁশ গ্রামীণ মানুষের নিত্য দিনের সঙ্গী। মানুষের জীবনের শেষ যাত্রার শেষ উপকরণটির নাম হল বাঁশ। একসময় মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে ধাইয়েরা নবজাতকের নাড়ি কাটতেন ব্লেডের পরিবর্তে বাঁশের সিলকা দিয়ে তারপর শিশুকে বাঁশের দোলনায় শুয়ানো হয়। সেই দোলনা থেকে মরণ কালে লাশ কবরে রাখার পর, দুনিয়ার জীবনের শেষ ছাদখানা নির্মিত হয় বাঁশ দিয়ে। চিতায় লাশ জ্বালানোর সময়, তাড়াতাড়ি ছহি সালামতে লাশকে ছাই বানাতে বাঁশের বিকল্প নাই। বেওয়ারিশ ও দুর্ঘটনায় লাশের শেষ বস্ত্র হয় বাঁশের তৈরি চাটাই। মানুষের জীবনে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বাঁশ প্রয়োজন। পুরুষ শিশুকে খাতনা করাতেও বাঁশের ব্যবহার করা হয়। হাজামরা বাঁশের ছিলকা দিয়েই লিঙ্গের অনাবশ্যক ত্বক কর্তন করেন। দালান-কোঠা, যেখানেই মারা যান না কেন, শেষ আশ্রয় বাঁশের ঘরে। বাঁশের খাটে করেই মৃত লাশকে গোরস্তানে নেয়া হয়। তারপর কবরে লাশ শুইয়ে মাটি চাপা দেওয়ার আগে বাঁশের টুকরা আড়াআড়ি করে দেওয়া হয়। তার ওপর বিছানো হয় চাটাই। সেটা চাটাইও বাঁশের তৈরি। তারপর যে কোদাল দিয়ে মাটি চাপা দেয়া হয় সেটাও বাঁশের তৈরি। এখানেই শেষ নয়। লাশ নিয়ে যাতে শিয়াল টানাটানি করতে না পারে সে জন্য দেয়া হয় বাঁশের বেড়া।
বাঁশের ব্যবহার বিস্তৃতি লাভ করেছে। এ বিরাট এক আনন্দের খবর। নাহলে এই বাঁশ কোথায় ব্যবহার করতাম আমরা?
আমরা গর্বিত জাতী যে বাঁশের এমন বহুমুখী ব্যবহার শুধুমাত্র আমরাই করতে পেরেছি।
১৬টি মন্তব্য
আমির ইশতিয়াক
জীবনেও বাঁশ, মরনেও বাঁশ। বাঁশ গ্রামীণ মানুষের নিত্য দিনের সঙ্গী। মানুষের জীবনের শেষ যাত্রার শেষ উপকরণটির নাম হল বাঁশ। একসময় মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে ধাইয়েরা নবজাতকের নাড়ি কাটতেন ব্লেডের পরিবর্তে বাঁশের সিলকা দিয়ে তারপর শিশুকে বাঁশের দোলনায় শুয়ানো হয়। সেই দোলনা থেকে মরণ কালে লাশ কবরে রাখার পর, দুনিয়ার জীবনের শেষ ছাদখানা নির্মিত হয় বাঁশ দিয়ে। চিতায় লাশ জ্বালানোর সময়, তাড়াতাড়ি ছহি সালামতে লাশকে ছাই বানাতে বাঁশের বিকল্প নাই। বেওয়ারিশ ও দুর্ঘটনায় লাশের শেষ বস্ত্র হয় বাঁশের তৈরি চাটাই। মানুষের জীবনে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বাঁশ প্রয়োজন। পুরুষ শিশুকে খাতনা করাতেও বাঁশের ব্যবহার করা হয়। হাজামরা বাঁশের ছিলকা দিয়েই লিঙ্গের অনাবশ্যক ত্বক কর্তন করেন। দালান-কোঠা, যেখানেই মারা যান না কেন, শেষ আশ্রয় বাঁশের ঘরে। বাঁশের খাটে করেই মৃত লাশকে গোরস্তানে নেয়া হয়। তারপর কবরে লাশ শুইয়ে মাটি চাপা দেওয়ার আগে বাঁশের টুকরা আড়াআড়ি করে দেওয়া হয়। তার ওপর বিছানো হয় চাটাই। সেটা চাটাইও বাঁশের তৈরি। তারপর যে কোদাল দিয়ে মাটি চাপা দেয়া হয় সেটাও বাঁশের তৈরি। এখানেই শেষ নয়। লাশ নিয়ে যাতে শিয়াল টানাটানি করতে না পারে সে জন্য দেয়া হয় বাঁশের বেড়া।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
বাঁশের উপর রচনা ভালো হয়েছে।
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন। -{@
নীরা সাদীয়া
হাহাহাঃ খুব মজা পেলাম। বাঁশ নিয়ে মজার রম্য রচনা।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ছবিটা দেখেও আপনার হাসি পাচ্ছে!! :=
নীলাঞ্জনা নীলা
ছন্দপতন না হলে আরোও বেশী ভালো লাগতো বলে মনে হয়।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আমার কিন্তু ছন্দপতন মনে হচ্ছে না।
ধন্যবাদ আপনাকে। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনে না হলে কি আর করা!
ধন্যবাদ আপনাকেও।
নীহারিকা
বাঁশের ব্যবহার বিস্তৃতি লাভ করেছে। এ বিরাট এক আনন্দের খবর। নাহলে এই বাঁশ কোথায় ব্যবহার করতাম আমরা?
আমরা গর্বিত জাতী যে বাঁশের এমন বহুমুখী ব্যবহার শুধুমাত্র আমরাই করতে পেরেছি।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
বাঁশের অনেক গুণ
তারচে বেশী গুণী হচ্ছে বাঁশের এই বহুমুখী ব্যবহার কারীরা
আমাদের দেশটা গুণীতে গুণীতে ভরপুর।
ধন্যবাদ আপনাকে। -{@
জিসান শা ইকরাম
বাঁশের বহুবিধ ব্যবহার। আরো কত কি আছে কে জানে।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
বেঁচে থাকলে আরো দেখবেন নিশ্চয়। প্রস্তুত থাকবেন আরকি!
ধন্যবাদ আপনাকে। -{@
মোঃ মজিবর রহমান
মানুষের হুশ হইছে
বাঁশের ব্যাবহার বুঝছে।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
মানুষের হুশ হইছে….
আরো আগে এই হুশ হইলে আপনি আমিও উপকৃত হতাম হয়তো। (y)
মোঃ মজিবর রহমান
হুম! তা ঠিক বলেছেন।
প্রহেলিকা
অনলি বাঁশ ইজ রিয়েল
চাটিগাঁ থেকে বাহার
রিয়েল বলেই ওরা এভাবে কাজে লাগাতে পারছে।
ওদের ব্রেনটা আরো রিয়েল বলতে হবে। ;?