বলে এসো
আবারও আসবে ফিরে
শিশিরের পা ফেলে ফেলে
মায়াবী ভোরের বেশে,ভোর হয়ে
এই মেঠো পথের আল বেয়ে।
বলে এসো
বু’র কাঁধে মাথা রেখে,
হাত ধরে চোখে চোখ ছুঁয়ে,
এই তো আবার
ফিরে এলে বলে সবুজের ভরা জ্যোৎস্নায়;
ফিরে ফিরে আসবে অনাদিকাল ধরে
অতীত ভবিষ্যতের বাধ ভেঙ্গে,
সহজ নৈপুণ্যের আঁটি বাঁধা ভালবাসার
নৈবদ্য নিয়ে।
বলে এসো আসবে ফিরে,
স্বপ্নের মত স্বপ্নে কাটানো দিনের কাছে
হৈ চৈ ভালোবাসার আঁচলে বিছানো পথ ধরে।
দেখে নিও
স্কুল পালানো বালক বেশে
পড়া ছেড়ে পড়া মাড়িয়ে পড়া ফেলে,
খেলব আবার খুনসুটি ঝুমানন্দে।
বলে এসো
আবার ইচ্ছে হলে দেখতে—
গলায় রক্ত তুলে চেঁচিয়ে হাপিত্যেশ করোনা যেন,
লক্ষী হয়ে,শুধু একটিবার— একটিবার শুধু
কড়া নেড়ো মনফাগুনের রূপোলি দরজায়
আয়না চোখে,চোখ বুজে বুঁদ হয়ে,
চোখ মেললেই দেখতে পাবে
বসে আছি লুকিয়ে,তোমার ই আঁচলে,
তোমারই হৃৎস্পন্দনে ভালোবাসার ঘনারণ্যে।
৫৮টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
এতগুলো সংবাদ একসাথে বলে আসতে বললে ভুলে যাবে নিশ্চিত, কতটুকুই আর মনে রাখা যায় বলা কথা যদি না গাঁথে মনে। মনে রাখতে পারুক আর না পারুক ভুল সংবাদ যাতে না বলে আসে তাহলে দু’কুল হারাবে। তবে সংবাদবাহকটা কে? এতো কিছু বিশ্বাস করে যাকে বলে দিলেন সে না আবার ফাঁস করে দেয়! সই আর কাছ থেকে কুংফু ক্যারাতে শিখে সংবাদবাহককে ভয় দেখাননি’তো আবার?
***মনফাগুনের রূপোলি দরজায়**বাহ বাহ কি চমৎকার কথা বলে ফেললেন। সামনেই আসছে ফাগুন আর ওই ফাগুনেই লাগবে আগুন।
আশার ব্যাপার এই যে আপনি লিখতে পেরেছেন কঠিন গিলে সরল পদার্থে এ জন্য অতিরিক্ত ধন্যবাদ। ঘনারণ্য দেখার যন্ত্র আপনার কাছেই থাকা স্বাভাবিক, আপনাকেই মানায় সাহসী বাত।
বনলতা সেন
এক সাথে এতকিছু বলে দিচ্ছে এই জন্য যে দু’একটা ভুলে গেলেও যা পৌছুবে তাতেই যেন সব বলা হয়ে যায়। সংবাদ বাহক ‘ভোর’,ফিরে যাওয়ার আগে যা যা বলতে হবে তাই বলতে বলা হচ্ছে।
আসছে ফাগুনের কথা মনে রেখেই বলতে চেয়েছি।কঠিন আর কই গিলতে পারলাম। সবই সহজ।
প্রহেলিকা
এবার তাহলে ভাবুন আপনি যে একেকটি বলা কথার মূল্য কতটুকু যে সব ভুলে গিয়ে যদি একটুও পৌঁছে তাহলেই সব বলা হয়ে যাবে। মানে দাড়ালো প্রতিটি বাক্যের মাঝেই রয়েছে সমশক্তি বাহ বাহ! একা একা আর কতো আমরাও গুরুর ভক্তি জানি একবার শিষ্য বানিয়ে দেখতে পারেন। এমনে লিখতে পারলে আর কি লাগে?
বনলতা সেন
সুন্দর করে যত কথা যেভাবেই বলুন না কেন শিষ্য হওয়ার সিস্টেম নাই।উহা গুরুমুখী বিদ্যা নহে।
প্রহেলিকা
পোষ্ট প্রকাশ ০৭:০৫,
দৃষ্টিগোচর হওয়া: ০৭:১০
মন্তব্য প্রকাশ-০৭:১৯।
মাঝখানে ৯ মিনিটে পড়ে, বুঝে, ভেবে, মন্তব্য লেখা দুঃসাধ্য বটে, তাও পেরেছি কারণ সহজ করে লিখলে না পারার কি আছে। সহজ লেখা চাই না।
বনলতা সেন
আপনার তো দেখছি বিদ্যুৎ গতি। এই গতিময়তা একটু আমরা পেলে কাজ হতো।কোন দিকে যে যাই,কঠিনের অপবাদ থেকে বাঁচতে সহজ হয়ে গিয়েও রক্ষা পাচ্ছি না।এখন দেখছি কঠিন করে লেখাই ভাল।
প্রহেলিকা
অপবাদ না অপবাদ না, কঠিন লিখলে একেবারে কঠিন আর সহজ লিখলে একেবারে সহজ, কঠিন হলে বুঝতে না পারলেও নিজের মনে হয় লেখাটিকে কারণ নিজের মতো করে ভাবতে পারি। এবার ঠিক আছে কঠিন করেই লেখায় ভালো, তবে কঠিন লিখলেও কিন্তু বলবো, কঠিন লেখা ঠিক না।
বনলতা সেন
নদীর একুল কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস
ঐ কুলে বুঝি সব হিং টিং হাঁসফাঁস।
শুন্য শুন্যালয়
নিয়ে যাচ্ছে? কে নিয়ে যাচ্ছে? জোর করে নিয়ে যাচ্ছে? দেখি এইবার কাকে বেছে নেয় ভোর?
এভাবে শিখিয়ে পরিয়ে নিয়ে যাওয়া এই সবকুমন্ত্রনায় একদম কান দিওনা ভোর।
ও দেবী রূপি পেত্নী। ঠিক ঘাড়ে উঠে যাবে।
বনলতা সেন
এখানে তো কোন জোরাজুরি হচ্ছে না। বেড়াতে এসেছে এদিকের কান্নাকাটি দেখে,বলে কয়ে আবার যাচ্ছে।
আবার আসবে। শত্রু না হলে এই অপবাদ কেউ কাঊকে দেয়?
শুন্য শুন্যালয়
আমিতো জানি কেউ জোর করছেনা, কিন্তু এতো আদর আহ্লাদ ফেলে যখন চলেই যাচ্ছে সে, তখন স্বান্তনা তো একটাই। তবে জোর করে নিয়ে যাবার গুণ সবার থাকেনা এই আপনার মতো। আমি আপনার বন্ধু ছিলাম কবে? :p শত্রু শত্রু চরম শত্রু। সতীন কাভি দোস্ত নেহি হো সাকতা।
বনলতা সেন
আমিও আপনাকে শত্রু বলেই জানি ।তাই এবারে এই পদ্ধতিতে নিলাম।ফের যদি কাঁদতে দেখি খবর আছে কিন্তু। যাক গুন স্বীকার করছেন দেখে আহ্লাদিত হচ্ছি।
শুন্য শুন্যালয়
আমি কাঁদি কই, কাঁদিয়ে ছাড়ি। এমন গায়েব হবো ভোর নিয়ে,
”চোখ মেললেই দেখতে পাবে
বসে রয়েছ লুকিয়ে, নিজেরই চোখ মুছে আঁচলে,
ভালোবাসার ঘন্যারণ্যে হারিয়ে গেলো নিজেরই হৃদস্পন্দন।”
“ফাঁদ ফেলেছ কেড়ে নেবার
মন্ত্র জপেছ মুখে,
নিজের ফাঁদেই যে পা পরে যায়
কাঁদানো কে রোখে?”
বনলতা সেন
এ দেখছি স্বভাব কবি হয়ে গেল।
শুন্য শুন্যালয়
ভোর ঠিক এমনি করেই থাকে জানেন? স্কুল পালানো বালক বেশে ছুটে আসে, হৈ চৈ ভালোবাসার আঁচলে বিছানা পেতে, অতীত ভবিষ্যতের বাঁধ ভেঙ্গে। কিন্তু সব যে জেনে গেছেন আপনিও, ভোর কি আমার চাইতে আপনার সাথেই এখন বেশি করে কথা বলে? নাকি এ অন্তরটান? আমার কাছে এলে দিব্যি ঘুমিয়ে পরে। নিয়ে যাওয়া চলবে না বোষ্টমী। অই আঁচলেই রেখেছি, কেমন করে পারবেন বলুন?
বুনোদির এই ভোর এতো সহজ আর কোমল বোধ করি আগে কম ছিলো। সতীনের মায়ায় না পরে যাই।
সহজ নৈপুণ্যের আঁটি বাঁধা ভালবাসার
নৈবদ্য নিয়ে… একটু আধটু জায়গা তো রাখুন কিছু প্রকাশের জন্য।
বনলতা সেন
আমি আবার কী করলাম? সহজ করে একটু প্রাণের কথাও বলতে পারব না? সেতো আপনার আঁচলের
তলায় ই আছে।থাকবেও। চোখ বুজলেই পয়ে যাবেন। এই সামান্য একটু বেড়িয়ে আসবে। ভালোবাসা বলে কথা,
যে বেশি ভালোবাসবে্ ভোর তার সাথেই বেশি কথা বলবে, তাইনা? ঠিক আছে এরপর এলে আপনার সাথে
আর একটু বেশি যেন কথা তা আমি বলে দেব। আত্মীয়ের জন্য এটুকু পরের বার হবে। চিন্তার কিছু নেই।
এবার এলে এমন মন্ত্র দেব সব ভুলে যাবে,মুছে যাবে মন থেকে। তখন যেন কেউ হাউকাউ না করে।
শুন্য শুন্যালয়
এমন মন্ত্র জানা আছে নাকি ভুলে যাবার? মন থেকে মোছার? নাহ নেই এবার আপনাকে ফেল্টুস করিয়ে দেব।
পড়া ফেলে, পড়া মারিয়ে, পড়া ছেড়ে!!! একে তো স্কুল পালিয়ে তার উপর যতটুকু শিখেছিল, বাবার নাম ভুলিয়ে দেবার মতো দেখি সব ভুলিয়ে দিচ্ছেন। নামযপ কি শুধু আপনারই নেবে?
শুনুন পরের মনের লেখা এভাবে লিখে দিতে নেই, পরে দৌড় দিলে কান্নাকাটি করবেন। কিভাবে এমন পড়ছেন কে জানে!! কোনদিন দেখা যাবে বলে বসবো, হাত দেখে বলুন তো আমি আগের জন্মে কি ছিলাম।
শিশিরেরও পা হয় তাহলে!!! ভোর আসলেই ভাগ্যবান আপনার মতো একজন কবি প্রেমিকা আছে তার. …
বনলতা সেন
ভোর অবশ্যই ভাগ্যবান।তা না হলে আপনাকে খুঁজে পেল কীভাবে? অথবা আপনি খুঁজে নিলেন কীভাবে।আগের জন্মে কী ছিলেন তা বলতে হাত দেখতে হবে কেন?জাতিস্মর ভুলে গেলেন? নাছরিন কে জিজ্ঞেস করলেই তো জানতে পারি।ভুত-ভবিষ্যৎ থেকে ভুতের ভবিষ্যৎ পর্যন্ত।
ভাবছেন ‘গেল কোথায়?উত্তর দেয় না কেন?’কোথায় যে যায় লেখা ফেলে,কোন চুলোয় কে জানে।’
শুন্য শুন্যালয়
নাছরিন কে না জিজ্ঞেস করেও এখন জানতে পারি। নাছরিনের ফোঁকলা দাদীমা আছেনা!!! গড়গড় করে সব বলে দিচ্ছে, হাত টাত কিছু লাগেনা, শুধু শুন্য হাওয়া হলেই যথেষ্ট।
বনলতা সেন
দেখুন এভাবে অবজ্ঞা করতে নেই,লিখতে পারিনি বলে।
মাহামুদ
বাহ! অসাধারণ!
বনলতা সেন
পড়ার জন্য শুভেচ্ছা।
অরণ্য
প্রথম পাঁচ লাইনে আমি শিশিরে ভেজা ঘাসে খালি পায়ে মেঠো পথের আল বেয়ে হাঁটার দারুন অনুভূতি পেলাম। ক’জনের ভাগ্যে এ হাঁটা জুটেছে আমি জানি না।
আমাদের মত সাধারণ পাঠকদের কাছে দারুন লাগবে লেখাটি আমরা নিতে পারব বলে। লেখার স্বার্থকতা সেটাই। (y)
বনলতা সেন
আপনি সাধারণ পাঠক তা আমি বলি না। বলব ও না।
হ্যাঁ আপনার সাথে একমত এমন হাঁটা সবার জন্য হয় না। তবে লক্ষ্য করুন শব্দটি ‘শিশিরের পা’
আমি আরও একটু বেশি করেই বলতে চেয়েছি।জানিনা পেরেছি কিনা।
সামান্যতম স্বার্থকতাও একজন সাধারণ লিখিয়ের জন্য অনেক আনন্দের। তাও ভাল অন্তত কঠিনের
অপবাদ থেকে এ যাত্রা বেঁচে গেলাম।
অরণ্য
মজার ব্যাপার আমি দুটোই ভেবেছি – ‘শিশিরে’ দিয়েও আবার ‘শিশিরের’ দিয়েও। আপনার লেখায় মাঝে মাঝে কিছু ইলুউশনও পাই। কেউ বলবে ‘অসাধারণ কল্পনা’ আবার কেউ বলবে ‘রোমান্টিসিজম’।
বনলতা সেন
না, রোমান্টিসিজম নেই। প্রায় কোন লেখাতেই।আপনি শুধু কল্পনা বলতে পারেন।
অসাধারণ নয় কোন ভাবেই।মন দিয়ে পড়েন দেখে আনন্দিত হচ্ছি।
ঘুমন্ত আমি
আহারে আবেগ!আবেগ থেকে যদি এমন সুন্দর কবিতা হয় তাহলে আবেগই ভালো 🙂
বনলতা সেন
আবেগের বিষয়ে একমত।তবে কবিতার বিষয়ে নয়।কবিতা লেখা কঠিন কাজ।
খসড়া
আবার আসিব ফিরে ধন সিঁড়িটির তীরে
হয়ত মানুষ নয় হয়ত শণ্খচিল শালিকের বেশে
বনলতা সেন
আমি বলি……আবার আসিব ফিরে বারে বারে এই সোনেলাতেই।
অনেক ভালোলেগেছে,আপনি পড়ছেন অ-নে-ক দিন পরে হলেও।
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
চমতকার গঠন, শক্তিশালী হতে পারতো হয়তো, তবে কিছু শব্দে ছেলেমানুষি আবেগ পেলাম।
বনলতা সেন
অনুগ্রহ করে আরও একটু বলুন,যাতে লেখাটি বুঝতে পারি।
বনলতা সেন
শুধু চমৎকার গঠন বললে হবে না।
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
ক্যামনে বলি, মোবাইলে টাইপ করা যন্ত্রনার। কাঠামোর ব্যস্পারে না যাই, কেবল বলি প্রতিটা প্যারার পর দৃশ্যপট চেঞ্জ হচ্ছিলো, যেটা ভাল্লাগছিল। শক্তিশালীর ব্যাক্যা দেয়ার কস্ট করতে ইচ্ছে করছেনা, তবে হতে পারতো আরো বেশি কিছু। পাঞ্চ লাইনের মত কিছু, যা ছুয়ে যায়। আর মায়াবী অথবা আবেগী ধব্দমালস কোঙ্গুলা আপনিই ভালো জানেন, কবিরাই মায়া দিয়ে ল্রখে, আমরা জাস্ট আসল অনুভুইয়িটা বুঝতে চেস্টা করি। তবু বলি, বুর কাধে, ঝুমানন্দে, মনফাগুনে এসব কিছু শব্দ ছেলেমানুষী আবেগ নিয়ে আসে। ঠিক যেমন রুপোলি শব্দটা ব্যবহার করেছেন হয়তো অন্যকারনে, রুপালির জায়গায়…
রুপোলি আমিও ব্যবহার করেছি একটায়, কিছুটা অতিপ্রাকৃত আবহ আনার জন্য। যেমন,
ভালোবাসলেই নদীগুলো এলোমেলো,
রুপোলী আস্তাবলে একদল ঘোড়া,
লাফিয়ে নামে জোছনার পুকুরে…
এখানে জোছোনা না বলে জোছনা লেখার কারনও একই রকম।
উফ! হয়ররান হয়ে গেছি। জীবনে আর কবিতা নিয়া কোন কমেন্ট না…
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
ক্যামনে বলি, মোবাইলে টাইপ করা যন্ত্রনার। কাঠামোর ব্যাপারে না যাই, কেবল বলি প্রতিটা প্যারার পর দৃশ্যপট চেঞ্জ হচ্ছিলো, যেটা ভাল্লাগছিল। শক্তিশালীর ব্যাখ্যা দেয়ার কস্ট করতে ইচ্ছে করছেনা, তবে হতে পারতো আরো বেশি কিছু। পাঞ্চ লাইনের মত কিছু, যা ছুয়ে যায়। আর মায়াবী অথবা আবেগী শব্দমালা ক্যনগুলো তা আপনিই ভালো জানেন, কবিরাই মায়া দিয়ে লেখে, আমরা জাস্ট আসল অনুভুতিটা বুঝতে চেস্টা করি। তবু বলি, বুর কাধে, ঝুমানন্দে, মনফাগুনে এসব কিছু শব্দ ছেলেমানুষী আবেগ নিয়ে আসে। ঠিক যেমন রুপোলি শব্দটা ব্যবহার করেছেন হয়তো অন্যকারনে, রুপালির জায়গায়…
রুপোলি আমিও ব্যবহার করেছি একটায়, কিছুটা অতিপ্রাকৃত আবহ আনার জন্য। যেমন,
ভালোবাসলেই নদীগুলো এলোমেলো,
রুপোলী আস্তাবলে একদল ঘোড়া,
লাফিয়ে নামে জোছনার পুকুরে…
এখানে জোছোনা না বলে জোছনা লেখার কারনও একই রকম।
উফ! হয়ররান হয়ে গেছি। জীবনে আর কবিতা নিয়া কোন কমেন্ট না…
বনলতা সেন
আপনাকে সত্যি বিড়ম্বনায় ফেলেছি দেখে দুঃখ পাচ্ছি লজ্জা নিয়েই। আবার পাচ্ছি ও না। কারণ আই-ফোন দিয়েই এখানে এক দিদি লেখা থেকে মন্তব্য সবই করেন,তা আমরা জেনেছি। সে পারলে আপনি…….! আপনিও পারবেন ঝামেলাপূর্ণ বিরক্তি ছাড়াই।আপনি ঠিকই বলেছেন,ছেলেমানুষি আবেগ অবশ্যই আছে। যার সাথে কথা হচ্ছে সে যে শিশু,যে আঁচলে লুকোতে পারে। তাই অমন করে বলার চেষ্টা।
প্রহেলিকা
দূর থেকে বিশ্লেষণ দেখতে ভালোই লাগে, এভাবেই শিখতে পারি আমরা শিষ্যরা। আপনাকে পেয়ে আমাদের ভালোই হলো নূতন অনেক কিছু জানতে পারছি।
“বু-কাঁধে” শব্দটির পিছনে একটি গল্প আছে তাই স্কিপ করে যাই।
“ঝুমানন্দ, মনফাগুন” এই শব্দবন্ধ দুটো বেশ ভালো লেগেছে, লেখিকার নিজ সৃষ্টি এমনকি গুগল মামার কাছে খুঁজলেও লেখিকার নাম অকপটে বলে দিবে।
বনলতা সেন
টোল চালু হল কখন? না জানিয়ে এ সব করা ঠিক না। আমরাও শিখতে চাই।
দক্ষিণার রেট সহ নিয়মকানুন জানান,দেখি ভর্তির হওয়ার আওতায় পড়ি কীনা।
স্কিপ করে আবার বলে নাকি কেউ স্কিপ করলাম? ওটি সময়ানুযায়ী নিঃশব্দে
করতে হয়।
‘ঝুমানন্দ’ লিখে ফেলেছি হুট করে নিজেই, এমন ভুল-ভাল শব্দ লিখি।তবে ‘মনফাগুন’শব্দটি কবিতায় প্রচলিত,দেখেছি।
প্রহেলিকা
ভর্তির আওতা?? ধান ভানতে এসে শিবের গী!! এ কথা আর কেউ শুনলে এই জগতে আর ঠাই পাবো না।
না আজকাল বলে কয়েই করি, টাইপ করতে কষ্ট হয় না আবার আমার, তাই বলার সময় দুই একটা অক্ষর বাড়িয়েই বলি।
এ এমন বড় কিছু না আপনাদের জন্য, আপনি চাইলেই এমন কড়ি কড়ি শব্দ বানাতে পারেন তা জানি বলেই বলছি।
বনলতা সেন
এখনই গাছের মাথায় তুলে দিলে পরে কীভাবে কী বলবেন।
খেয়ালী মেয়ে
চমৎকার (y)
এতো সুন্দর করে বলে গেলে মনে হয় অপেক্ষা করতে কষ্ট হয় না, হারিয়ে গেলেও হয়তো আশার প্রদীপ নিভে না 🙂
বলে এসো আসবে ফিরে,
স্বপ্নের মত স্বপ্নে কাটানো দিনের কাছে -{@
বনলতা সেন
না বলে যাওয়া যাবে না। তাই ভাল করে বলেই যেতে হচ্ছে।
শুভেচ্ছা।
জিসান শা ইকরাম
এমন লেখায় মন্তব্য করা কঠিন
এত মায়া লেখায়!
বনলতা সেন
আমাদের মায়া মমতা একটু বেশিই।
আগুন রঙের শিমুল
বসে আছি লুকিয়ে,তোমার ই আঁচলে,
তোমারই হৃৎস্পন্দনে ভালোবাসার ঘনারণ্যে। 🙂
ছিলাম তা কখনো – আজ আর নাই
বনলতা সেন
আবার একটি আঁচলের ব্যবস্থা করে নিলেই ঝামেলা শেষ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সব কিছুই বলে আসতে হবে এ কেমন কথা…বলার মাঝে কিছু ভূলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তখন উপায়?সুন্দর অনুভূতি দিদি। -{@
বনলতা সেন
কিছু ভুলে গেলে সমস্যা নেই।সব ভুলে না গেলেই হয়। চলে আসার সময় ভাল করে বলে আসতেই হয়।
ছাইরাছ হেলাল
শিশুর বেশে ভোর ফিরে যাবে বেড়ানো শেষে তাতে কী বলে বিদায় নিতে হবে
তা শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ ভোর তো দেখছি মহা ভাগ্যবান দু’আত্মীয় মাঝে।
বনলতা সেন
এমন ভোর ভাগ্য সবার জন্য নয়।
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
আমার অনেক কিছুই ছিলনা,
এই যেমন সবার থাকে,
উড়বার মত একটা বিশাল আকাশ,
একটা অথৈ সমুদ্র কিংবা একটা সুউচ্চ পাহাড়
নিদেন পক্ষে একটা রঙ্গিন ঘুড়ি।
আমার শুধু একটা তুই ছিলি
তোকে ঘিরে ছিল ক্রোধ
ছিল হিংসা ঈর্ষা
ছিল অভিমানী শব্দগুচ্ছের এলোমেলো ছুটোছুটি।
এলোমেলো শব্দগুলোকে সাজাব বলেই নতুন করে ব্যাকরণ বই খুলি
ব্যাকরণ রীতিনীতি উপমান উপমিত কর্মধারয় সমাস আয়ত্ত্ব করা শিখি
অপরিণত হাতে ছেলেমানুষি উল্লাসে শব্দগুলোকে সাজানোর বৃথা চেষ্টা করি।
তোকে সূর্যের সাথে
আগুনের সাথে
বজ্রপাতের সাথে
তুলনা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি।
Eta onek age pora akjoner lekha kobita. Apnar sathe kothay jano mil pai. Those were days to remember somewhere else…
বনলতা সেন
মিল এলে তা নেহাৎ কাকতাল বৈ অন্য কিছু নয়। আপনি কবি মানুষ বলেই সুন্দর করে ভাবেন,বলেন।আবার কষ্ট করে লিখছেন দেখে ভালই লাগছে। শুভেচ্ছা আপনাকে।আমার লেখাটি কিন্তু কবিতা নয়।তা লিখতে পারিনি এখন ও। শুধু ভং ধরে কবিতার ঢং দেয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র। আর এ লেখাটি আগের লেখার সাথে সম্পর্কিত। নষ্ট করার মত সময় হাতে থাকলে দু’একটি পড়ে দেখতে পারেন।
এলোমেলো শব্দগুলোকে সাজাতে পারব না বলেই নতুন করে ব্যাকরণ বই খুলি না
ব্যাকরণ রীতিনীতি উপমান উপমিত কর্মধারায় সমাস আয়ত্ত করা সে আমার হবে না
অপরিণত হাতে ছেলেমানুষি উল্লাসে শব্দগুলোকে সাজানোর বৃথা চেষ্টা করি জেনেশুনেই।
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
ভং ধরে কবিতার ঢং? চমতকার ব্যাপারতো। বু কাধের গল্পটা জানবো, দেখেছি, পড়া হয়নি। আমি অতিরিক্ত অলস মানুষ।
বনলতা সেন
আপনার সময় নষ্ট করে সেই লেখা পড়লে আনন্দিত হওয়ার আগাম ঘোষণা দিচ্ছি।
অলস সবাই হতে পারে না।চাইলেও।
রাইসুল জজ্
কাকে বলে আসবো ? ;?
বনলতা সেন
লেখা আছে। পড়েছেন মন্তব্য সহ!
ব্লগার সজীব
মন্তব্যের কোন জায়গা নেই,এত আদরের ভোরকে হিংসে করি।
বনলতা সেন
হিংসুটে হওয়া ভাল না।