-আচ্ছা নীলা আমাদের সম্পর্কের বয়স কত হৈল?
– ১ বছর! হটাৎ এই প্রশ্ন কেন?
– না, এম্নিই!
– আমি তোমায় ভালো করেই জানি! তুমি এম্নি এম্নি এমন কথা জিজ্ঞেস করো নাই! বলো কি হইছে?
– আমাদের সম্পর্কটা কেমন যেন! কোন বাঁধা নাই বিঘ্ন নাই। আমি প্রপোজ করছি তুমি রাজি হয়ে গেছ! পরিবার থেকেও কেউ কিছু বলে নাই। সবকিছু কেমন যেন! সহজলভ্য!
– এটা কেমন কথা! তুমি কি চাও আমি দুর্লব হই? কোন ঝড় এসে আমাকে তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে নিয়ে যাক? কিংবা অন্য কারো সাথে রিলেশন করি? তুমি তাকে মাইর ধর করে আমাকে ছিনাইয়া আনো! আমাকে জয় করো।
– ( শুভ মুছকি হাসে! সেই হাসির অর্থ নীলা ঠিকই বুঝে! ) এমন কিছু না আসলে! দেখো তুমি তো জানো আমি অন্যরকম! না চাইতেই যেটা পাওয়া যায় ঐ জিনিসের কোন মূল্য থাকে না!
– এসব কি বলছো শুভ! তুমি আমাকে চাও না? ভালোবাসো না? এত নিষ্ঠুরের মত কথা বলো কেন?
– আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি নীলা! কিন্তু এইভাবে পেতে চাই না! আমি তোমাকে জয় করে পেতে চাই!
– তো বলো! তোমার পরিকল্পনা কি?
– ঐ যে দূরে বেলুন ফুটানো হচ্ছে দেখছো না! ঐখানে চলো। ঐখানে যে কোন একটা বেলুন দেখাবে আমি তিন বারে ফুটাবো!
– আর যদি না পারো? সবকিছু শেষ! আমার তোমার ভালোবাসার মৃত্যু ঘটবে? আমি পারবো না শুভ!
– তুমি পারবে নীলা! চলো!
কি অদ্ভুত ভালোবাসা! ভালোবাসা ও জয় করতে হয়! অর্জন করতে হয়! নীলা ভাবে এতই বুঝি সস্তা তার ভালোবাসা! যে বেলুন ফুটালে দিতে হবে! না হলে জীবন থেকে হারিয়ে যেতে হবে!
– বলো নীলা কোন রংয়ের টা ফুটাবো!
-( নীলার চোখে জল! কি বলবে বুঝতে পারছে না! তবুও বলবে! তাকে বলতে হবে! তার ভালোবাসা সস্তা না।) শুনো শুভ তুমি যদি না পারো তাহলে কিন্তু সব শেষ! মাঝের লাল রংয়ের টা ফুটাও!
– হু! আমি জানি সব শেষ!
শুভ ট্রিগার এ চাপ দিলো! শব্দ হলো! সেই শব্দ বিদ্যুৎ চমকানোর মতোই মনে হলো নীলার কাছে! চারদিক কেমন অন্ধকার হয়ে আছে!
নীলা দেখলো লাল বেলুন টা আগের জায়গায় আছে! শুভর হাত কাঁপছে! তার ঠোঁঠ সাদা বর্ণ ধারন করেছে! চোখ লাল হয়ে আছে!
আর মাত্র দুইটা চান্স! দ্বিতীয় বার বুলেট ভরে বন্দুক দিলো শুভর হাতে! লোকটা বললো মন স্থির করেন ভাই! তবেই পারবেন! মনই সবকিছু!
নীলা ভাবে শুভ এ কোন খেলায় মেতেছে!! দ্বিতীয় বারেও ব্যর্থ হলো শুভ! নীলার চোখ দিয়ে জল পড়ছে! শুভকে বললো …
– শুভ বাদ দাও, চলো
– হু! পালিয়ে যেতে বলছো?
– না! সবকিছু নিয়ে প্রতিযোগীতা করতে হয় না! তুমি চলো এখান থেকে!
– না নীলা! চলে গেলে হয় না! তোমার মনের মাঝে থাকবে আমি কাপুরুষ! মাঝপথে পালিয়ে গেছি! এ হয় না!
– আমি এসব বলবো না শুভ!
শুভ রক্ত বর্ণ হাসি দেয়! শুভ তীক্ষ্ণভাবে তাকিয়ে আছে লাল বেলুনের দিকে! আজ না পারলে নীলাকে হারাতে হবে চিরতরে! শুভ নিজের মনকে স্থির করলো! ট্রিগার চাপলো!
বিকট শব্দে যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো! নীলা চোখ বন্ধ করে আছে! লোকটি বললো এইতো পারছেন! বলেছিলাম না মন স্থির করতে!
– নীলা চোখ খোল! বেলুন ফুটছে!
– যাহ্! সত্যি?
– হু
নীলা চোখ খুললো! আকাশ টা কত পরিষ্কার! লাল বেলুন টা চুপসে আছে! চারপাশ কত সুন্দর লাগছে তারকাছে!
কান্না ভরা কন্ঠে শুভকে বললো তুমি এত নিষ্ঠুর কেন!
শুভ হাসে! বলে ভয় নেই আর নীলা! জনম জনমের জন্য তুমি আমার!
–
হ্যাপি রিডিং!
২১টি মন্তব্য
অনিকেত নন্দিনী
আহা! কী শুনাইলেন ভাইজান? অহন আমারো বেলুন ফুটাইতে মুঞ্চাইতাছে। ;(
গল্প পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো শুভ বুঝি বেলুন ফুটাতে পারবেনা। তৃতীয় বারের মাথায় বেলুন ফুটিয়ে ফেলেছে দেখে মনে হলো শুভ যদি বেলুন ফুটাতে না পারতো তাহলে কী হতো? ;?
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
আপনার জন্য বাড়াইড়া দিলাম।
– আচ্ছা নীলা আমি যদি তৃতীয় বারেও ব্যর্থ হইতাম! কি করতে তুমি? চলে যেতে আমাকে ফেলে? আর পেতাম না তোমার দেখা!!
– আমি তোমার মতো নিষ্ঠুর না! তুমি না পারলে আমি ফুটাইতাম! ভালো তো আমিও বাসি।
– যদি তুমিও না পারতে?
– তাহলে আমার চুলের ক্লিপ দিয়া গুতা মাইরা ফুটাইতাম! তুমি শুধুই আমার।
– আহ্! নীলা! শুভ্রর চোখে জল! তোমার থেকে বেশি আর কেউ কখনো আমাকে ভালোবাসা দিতে পারবে না।
:p
আমার গল্পে নীলা চিরসুখী। তার কোন দুঃখ নাই। 😀
অনিকেত নন্দিনী
:D) :D) :D)
হতভাগ্য কবি
নিষ্ঠুরতা অনেক সময় ভালবাসায় নতুন প্রাণ দেয়, খুব ভালো লাগলো পড়ে, ধন্যবাদ, আপনার জীবন আনন্দময় হোক 🙂
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ!
হতভাগ্য কবি
🙂
অরুনি মায়া
অনেক আগে একটা নাটক নির্মিত হয়েছিল এমন গল্প নিয়ে | অবিকল তাই | নাটক টির কথা মনে পড়ে গেল আবারো |
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
অবিকল হৈলে তো আমার টা কপি। 🙁
কিন্তু আপনার দেখা নাটক তো আমি কখনোই দেখি নাই!
খোদা উঠায়া নাও
অরুনি মায়া
ওটা একটা হাসির নাটক ছিল | যাই হোক আপনি না দেখলে নাই, এরজন্য দুনিয়া থেক উঠে যাবার প্রয়োজন নেই | আমি ব্লগার মৃত্যুর দায় ঘাড়ে নিতে পারব না |
:p
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
😀
কয়দিন আগে একটা বেলুন ফুটানো প্রতিযোগিতা করছিলাম মামুর সাথে।
সেখান থেকেই আইডিয়া।
আর দায় আইবো কেমতে!!!
বাঙালী গোয়েন্দারা কি এত বুদ্ধিমান হয়! :p
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে উঠিয়ে নিলে বেলুনগল্প আমরা কৈ পাব।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
নাটকে :p
কচু পোড়া ;(
অপার্থিব
ভাল লেগেছে গল্পটি।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
জেনে খুশি হইলাম।
জিসান শা ইকরাম
ভিন্ন ধরনের গল্প
ভালো লেগেছে।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
হুম।
ভালোবাসাকে জয় করার জন্য মানুষ বন্দুকের সামনে দাঁড়াতো পূর্বে।
অতীত ইজ অতীত!
এখন ভালোবাসাকে দাঁড় করানো হবে বন্দুকের সামনে! 😀
জিসান শা ইকরাম
যুগ পাল্টায়ে গেছে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
গল্পটা খুবই ভাল লেগেছে, একটু ছেলেমানুষি হলেও। আমারও খুব ইচ্ছে করছে বন্দুক হাতে বেলুনের পিছনে ছুটতে। 🙂
হ্যাপ্পি জনম জনম দুজনার। মিলনাত্মক গল্পই আমার পছন্দের। 🙂
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
ইচ্ছা করলে তো হবে না। বাস্তবায়ন করতে হবে।
আর আমার সাথে আপনার ভালো মিল আছে।
আমিও অতি বিরহ নিতে পারি না। মুড অফ হইয়া যায়!
সেটা সিনেমা হোক আর বইতে।
একবার আশিকি ২ দেইখ্যা আমার মুড পাঁচ দিন পর্যন্ত অফ ছিলো ;(
ড্রথি চৌধুরী
ফুটাফুটি প্রেম হুউউ, নাফুটলে?? নীলা কি বেলুনের সুতা দিয়ে আত্মহুতি দিত? ;?
আমি তো শিরোনাম পড়ে ভেবেছিলাম বাংলা চিনেয়া :p
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
আপনার উত্তর এক নাম্বার কমেন্ট এ।
প্রেম. তো কত রকমই হয়।
হরেক রকমের মানুষ।
হরেক রকমের চিন্তা, আবেগ, অনুভূতি।
বাংলা ছিঃনেমা লিখলে ভাবটাই হবে অন্যরকম 😀