হারাধনের সাকুল্যে একটির মত আমারও একটিই প্রাণবঁধু।শয়নে স্বপনে জাগরণে আড্ডায় মজমায় কান্নায় হারামিপনায়ও ওই একটি ই।এই আক্রায়ও বেশ আটঘাট বেঁধে বিস্তর চা টা খেয়ে মহা পরিকল্পনার অনুকল্প পরিপত্র তৈরি হল।অভিযান বই মেলা।
কর্ম পরিকল্পনায় থাকছে – ক্লান্তিময় চষে ফেলা,চেটেপুটে চরম ঝাল ফুচকা খেয়ে কান্না কান্না অবস্থায় পড়া,ভাব ধরে বক্তৃতাবাজী শোনার ভান করা ও নেড়েচেড়ে নূতন বই দেখার ছলে বইয়ের গন্ধ নেয়া।শেষে এসে পত্রিকা সহ বেশ কিছু বই কেনা,ভুরি বাগানো সাদা বা রঙ্গিন পোশাকের হনুদের অটোগ্রাফ এড়িয়ে।অবশ্য ধুলো এড়াতে নাকে রুমাল বাঁধা হবে কী হবেনা বা হলেও রুমালের রং কী হবে,নিজেদের হাতে তোলা কোন নকশা থাকবে কী থাকবেনা বা নকশার বিষয় বস্তু কী,এমনকি নকশায় সুতোর রং কী হবে তার বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি নেহায়েৎ অতি মেধাশূন্যতার কারণে।এতদসত্ত্বেও বই মেলা নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে মিলনের জায়গায় পরিণত হল।
আলোচনা শোনার ভান করে বেশ একটু নাদুস নুদুস ভাব নিয়ে বসে বসে অপেক্ষা করছি নাছরিনের জন্য।সময় যায়,যায় দিন,রাত্রি,সপ্তাহ মাস বছর,অপেক্ষায়।বিরক্তিতে উষ্ণতার পারদ চড়তে শুরু করছে,ইচ্ছে করেই ফোন দিচ্ছি না,দিচ্ছেও না।একটু পরে ও ই আমাকে ফোন করে দেরির কারণ বলল,আরও বলল এই সময়টুকুতে একটু ঘুরে ফিরে মেলা দেখতে,এসে আমাকে ফোন দেবে।আগুনে মস্ত বরফ ফেলে রাস্তা পেরিয়ে মেলায়।ভিড় ও ধুলো আমাকে সাদরে গ্রহণ করে নিল।আমিও সপে দিলাম নিজেকে মিলনের বইসমুদ্দুরে।
ভিড়ে অভিড়ে বইয়ের গুচ্ছে নাড়াচাড়,কতশত বই,জানা অজানা লেখকের।মনের আনন্দে উল্টাচ্ছি পাল্টাচ্ছি দেখছি পড়ছি ভাবছি – কী কী কিনে নেব বা নেব না,পছন্দের বই নিতে ট্রাক ভাড়া করতে হবে কিনা,হলে ক’চাকার ট্রাক,কী ই বা রং,ল্যার ল্যারে নাকি ঝাঁ চকচকে,চাকায় ঠিকঠাক হাওয়া আছে কী নেই,মাকুন্দ ড্রাইভার ট্যারা চোখে ত্যাছড়া করে চোখ মেড়ে দিয়ে ভাড়া নিয়ে মুলামুলি করলে তখন কী হবে ? ভালো লাগছে বেশ,কিশোর কিশোরী তরুণ তরুণী যুবক যুবতী মা ও শিশু বৃদ্ধ বৃদ্ধা,কলির কেষ্ট-বিষ্টু,ঝকানো টি-শার্টে পুষ্ট মুষ্টামুষ্টিকারী,চোরা চোখের চোট্টা মেশিন ম্যান,কিছু মেনি মুখো চিবুক ঝুলে পড়া মাজুর হাঁড়িমুখো স্বামী,চিকন বেত হাতে রাগী পণ্ডিতের মত পূর্বকালের অমরাবতী নিবাসিনী মনোরঞ্জিনী স্ত্রীর চোখা নজরদারীতে বিরস বদনে।
চকিতে শরীরে স্পর্শকাতর জায়গায় আলতো হাতের স্পর্শ । ফিরে তাকাতেই স্যাৎ করে এঁকেবেঁকে ভিড়ের গভীরে চলে গেল পূর্ণ হিজাবে ঢাকা নারী মূর্তি।”ও কিছু না” মনকে এমন প্রবোধ দিয়ে আবারও বই রাজ্যে। বেশ মনযোগ দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের বাদশাহ নামদার বইটি দেখছিলাম । হঠাৎ আবারও ঘটলো বাজে ঘটনাটি,এবারে বেশ করেই হাতিয়ে দিল।আকস্মিকতায় ও ঘৃণায় শরীর রি রি করে উঠল,হায় খোদা শেষমেশ আমি লাফাংগি ল্যাজোছের (লেসবিয়ন) পাল্লায় পড়লাম । এবারে নিমিষে সটকে পড়ল লম্বাপায়ে বেশ দূরে,একই নারী। মাথায় রক্ত উঠে গেছে,কী করব বুঝতে পারছি না।এক সময় দুষ্টেরা আমার নামে বদনাম তুলেছিল আমার ব্যাগে নাকি বড় ছুরি থাকে।থাক সে কথা । ফোন দিলাম নাছরিনকে উদ্বেগ চেপে।ও বলল এই দোয়েলে একটু আটকেছে, এসে পরবে এখনই।দাঁত কিড়মিড়িয়ে নবম দশম ইন্দ্রিয়কে স্ট্যান্ডবাই করে মাথার পেছনেও চোখ খুলে রেখে প্রস্তুতি নিলাম সম্মুখ যুদ্ধের,কেন যেন মনে হচ্ছিল আবার আসবে। নিজেই ইচ্ছে করে বেশি বেশি ভিড়ের মধ্যে গেলাম আর অপেক্ষায় রইলাম।
অপেক্ষা অপেক্ষা কিন্তু ওটাকেতো দেখছি না এমুড়ো-ওমুড়ো,হাওয়ায় মিলিয়ে গেল!নাছরিন শালীটাও আটকে পড়ার সময় পেলনা আর।শরীরে হাত পরার সাথে সাথে ঝট্ করে হাতটা ধরে উল্টো করে দিলাম মোচড়,বাবাগো বলে বিকট চিৎকার।আমার মাথায় যেন আস্ত বাজ পড়ল,হাল্কা ভিড় মুখ চাওয়া চাওয়ি। কিং কর্তব্য।হে ঈশ্বর এ আমি কী করলাম!হাতটি ভেঙ্গে ফেললাম নাকি!কী জবাব দেব সবাইকে!চোখে পানি নিয়ে বুকে জড়ালাম।হতে ব্যথা পেয়েছে প্রচণ্ড,তবে ওর তা সহ্য হবে।কথা বিহীন কথা হল কিছুক্ষণ।তার পর হিহি হিহি ……….হিজাব খুলে ব্যাগে পোড়া হয়ে গেছে ইতিমধ্যে এক ফাঁকে।
এবার এক্সপেডিশন ঝাল ফুস্কা।আমার ঘোর কাটেনি আমি চুপচাপ বসে আছি।শয়তানটি আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ব্যথা হাতখানা ডলছে আর বলছে হাতটি এযাত্রা নাকি বেঁচে গেছে তার।এলো দু’প্লেট ফুচকা,খেতে শুরু করলাম আস্তে আস্তে নিঃস্বর হয়ে, ও শুরু করল আরও ঝাল চাই,আরও ঝাল চাই,এই বলে।যতক্ষণ পর্যন্ত কান থেকে ধোয়া আর চোখ-নাক থেকে দরদর করে পানি বেরুতে না থাকবে ততক্ষণ আরও ঝাল চাই।এক কথায় দু’কথায় দোকা্নির সাথে গেল লেগে,আর যায় কোথায়,লাথি মেরে চেয়ার ফেলে টেবিল উল্টিয়ে হু হু হা হা করে লাফ দিয়ে কাউন্টারের কাছে,এ দোকানটায় ভিড় কম,তাও লোকের ইতিউতি।কায়কষ্টে কোন রকম থামাতে পারলাম খামাখা এই হাংগামা,এতটার কোনই দরকার ছিল না।একটু পরেই আবার হিহি,আরও এক প্লেট ফুসকা।তেমন কিছু না একটু নাকি ভয় পাইয়ে দিয়েছে দোকানদার কে।সত্যি সে ভয় পেয়েছিল।এমন রণরঙ্গিণী ও বেচারা ইহজীবনে দেখেনি।
এবারে বই কেনা পর্ব,কিন্তু আমার কিছুই ভাল লাগছিল না পর পর দুটো ঘটনায়,প্রথমটার গিল্টি ফিলিংস মনে বাসা বেঁধে গেছে।এদিকে ওর কিছুই হয়নি,সব কিছু ভুলে সুন্দর করে হেসে হেসে দোকানদার কে আত্মীয় বানিয়ে আবার আসার দাওয়াত নিচ্ছে । আবার ঢুকলাম মেলায় কিছু কেনাকাটা করলাম আমি,ও ও কিনল,ওর কেনা বইয়ের নাম ধাম নিয়ে এখন সত্যিই কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।ও কয়েকটি বই কিনলে সেলসম্যান সাদা পোষাকে প্রায় সাদা চুলের দগ্ধ জনকে দেখিয়ে অটোগ্রাফ নিতে বলল,সেলস ম্যানের কানের কাছে মুখ এগিয়ে গোপন কথা বলার মত করে কিন্তু শোনানোর মত করে ওর অটোগ্রাফ লাগলে যেন উনি নিয়ে রাখতে পারেন এমন প্রস্তাব দিল।গোল চোখ তাকালেন নিরুত্তরে,নির্ঘাত শুনেছেন।আমার জিভে কামড়,হ্যাঁচকা টানে সরিয়ে আনলাম।
এবারে যে যার ডেরায় ফেরার পালা,হু হু প্রাণে।
ঠিক হল এরপর একদিন আমরা পুরোনো ঢাকার সেই আমাদের প্রিয় দোকানে বাকরখানি খেয়ে পরীবিবির মাজারে যাব।
কাজের বুয়ার দরজা ধাক্কানো্র শব্দে জেগে উঠলাম,ধাতস্থ হতে একটু সময় লাগল।আমার জন্মান্তরের সই নাছরিনের স্বপ্ন ছিল নান হয়ে ধর্ম প্রচারের,তা হয়নি,পারেনি সে।মনের দুঃখে বছর খানেক আগে আত্মহত্যা করেছে।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ সংযুক্তিঃ বেপথু ফেককের নির্লজ্জ প্রচেষ্টার প্রশস্ত উদাহরণ।
(মন চাইলে কেউ আমার প্রতীক্ষা(৩)অখাদ্যটি পড়ে দেখতে পারেন।)
৪৯টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
porni ekhono. Na porei montobbo korchi.onek onek onek onek valo hoyeche. Shuveccha janben. Ebar kaj hocche pora r jokhon porte boshbo tokhon hoyto kichu sikhar jonno besto thakbo montobbo korar somoy nao pete pari. sikhar por jodi somoy pai tahole banglate type kore montobbo jaanabo.dhonnobad.
বনলতা সেন
আচ্ছা অপেক্ষায় থাকব ।
হতভাগ্য কবি
কি সূক্ষ্ম বর্ণনা, ঘটনার পূর্বাভাস ও পরিনতি, রুপকে গল্পের ভাবের একটা আলাদা অবতারণা। আপনি প্রতিটি লিখায় বার বার প্রমাণ করেন আপনি জানেন, অনেক অনেক জানেন। নাছরিন সুখে থাক অন্ধকারের দেশে বার বার তার পুনর্জন্ম হোক আপনার উজ্জ্বল স্মৃতিতে ।
শুভ কামনা প্রিয় বনলতা সেন
বনলতা সেন
কিছুই জানা হয়নি এখনও , তবে জানতে চাই আরও অনেক অনেক ।
নাছরিন জাতিশ্বর হয়ে আমাদের মাঝেই ফিরে আসবে এই কামনা করি ।
ভাল থাকবেন আপনি ।
হতভাগ্য কবি
এইটা আপনার বিনয়। আপনাকেও শুভকামণা
প্রহেলিকা
porlam likhati sroddheyo. Ami noktochari manush hater kache ekhon PC nai bole ektu na poropori nijeke ovaga mone korchi. Dur theke dekhe jacchi. likhati somporke kichu bolar odommo basona cepe rekhei bujhi gumute hobe ekhon. Jak doya korben jate sondhya porjonto beche theke amnar ei likhay montobbo ba kichu bole nijeke dhonno korte pari. Ki r korbo porobashira ektu emoni hoy. dinti valo katuk apnar.
বনলতা সেন
আপনাকে ধন্যবাদ ।
এখনই মরতে হবে না । সেটা করার অনেক সময় পাওয়া যাবে ।
লেখাটি পড়ে ভাল করে বুঝিয়ে দেবেন এটি আশা করতেই পারি ।
রোজ রোজ এমন লেখা যখন লিখতে পারি না ।
ছাইরাছ হেলাল
এ লেখায় আমার বলার কিছু নেই ।
কী বলব কতটুকু বলব আমি আসলে বুঝছি না ।
এটি কী করে প্রথম লেখা হয় তা বোঝা আমার কম্ম নয় ।
আপনি কি জানেন আপনি কী লিখেছেন ?
এটি ভেবে ভাল লাগছে এখানে এমন একটি লেখা পড়ার সুযোগ পেলাম ।
‘আগুনে মস্ত বরফ ফেলে রাস্তা পেরিয়ে মেলায়’ এই সহজ সরল বাক্যটি আপনি লিখলেন কী করে ?
আমি আরও আরও বলতে পারি পাঠক হিসাবে এমন আরো । আমার বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না ।
পরে আমি আবার বলব ,আপনার অনুমতি পেলে ।
আর কোথায় লেখেন তাও জানতে চাই ।
বনলতা সেন
এই প্রশ্নগুলো আমার জন্য সত্যি কঠিন।আমিও বুঝছি না কী করে এবং কীভাবে এই সব প্রশ্নের উত্তর আমি দিব
।আমার ক্ষণস্থায়ী ফেকক জীবনে এই লেখাটি আমার কাছে আমার সব থেকে পছন্দের লেখা।ভাল বা মন্দ লেখা তাতে আমার এই লেখাটির প্রতি ভালোবাসার কোন কমতি হবে না।প্রাণের গভীরে আমি এ লেখার অনুভুতি লালন করে যাব ।স্বীকার করতে দ্বিধা নেই এই প্রথম এই লেখাটির এক জায়গায় আমি কেঁদে ফেলেছি । ভাগ্যিস কাছে কেউ ছিল না , দেখে ফেললে পাগলা ডাক্তার মাস্ট ।
আচ্ছা বলুনতো কোথায় কেঁদেছি ? থাক নিজের কথা নিজেই বলি ।
হাত মুচড়ে দিলে নাছরিন যখন বাবাগো বলে চিৎকার দিয়েছে তখন আমি সত্যি কেঁদে ফেলেছি ।
অনুমতি ফনুমতির কিছু নেই , আমি নিজ থেকে বলতে চাই না এ লেখাটি নিয়ে ।আর আপনার মত করে হয়ত বলতেও পারব না । আমি চাই ভাল বা মন্দের তোয়াক্কা না করে আপনার যা যা যেমন যেমন মনে হবে অবলীলায় একটু বলুন । আরও শিখতে সুবিধে হবে ।
কোথাও কোন শাখা নেই , আগেই বলেছি । সততা নিয়েই ।
ছাইরাছ হেলাল
পাঠক হিসেবে মতামত দিতেই পারি নিজের মত করে , তবে কী বলতে কী বলে ফেলি ,
তাছাড়া গুছিয়ে লেখাও বেশ কঠিন । কেন জানিনা আমার ভাল লেগেছে এ লেখাটি , নাছরিনকে
যেন অনুভব করতে পারছি , এক ধরনের ভালোলাগা এক রকম কষ্টও তৈরি হয়েছে ।
আমি অবশ্যই লিখব । একটু সময় নিয়েই লিখব । একটু না হয় ভুল-ভাল করেই লিখব । আশা করি
যারা দুর্বোধ্যতার কথা বলেছেন তাদের সাহায্য হলেও হতে আরে ।
স্বপ্ন
একবার পড়লাম, বুঝিনি কিছুই। আবার পড়তে হবে।
বনলতা সেন
এ ব্যর্থতা শুধুই আমার ।
এক কথায় বান্ধবীর সাথে বই মেলায় গিয়ে কী কী করেছি তার বিবরণ
দেয়ার চেষ্টা করেছি ।
ধন্যবাদ আপনাকে । চাইলে এখানকার মন্তব্য ও উত্তর পড়ে দেখতে পারেন ।
খসড়া
আমাকে দু দন্ড শান্তি দিলেন ব্লগার বনলতা সেন।
বনলতা সেন
আপনাকে অনেক মিস করি ।
শাস্তি যে দেইনি এই বেশি ।
আমাদের সময় দিচ্ছেন না ।
প্রহেলিকা
শুভ সন্ধ্যা শ্রদ্ধেয়া বনলতা সেন। লিখাটি পড়লাম বার কয়েক। আমি শ্রদ্ধেয়া নাছরিন সম্পর্কে কিছু বলছিনা, কামনা করছি সে যাতে চিরঞ্জীব হয়ে থাকে আপনার লিখনির মাঝে।
লিখাটি পড়ে তার প্রতি আপনার ভালবাসা কতটুকু গভীর তা অনুভব করা যায়। আপনার এমন লিখা পরে আসলেই খুব ভালো লাগলো। লিখাটি খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনাদের গভীর সম্পর্কটিকে। আপনার লিখার প্রকাশ ভঙ্গিটা আমার কাছে মনে হলো আপনি সার্থক হয়েছেন তার প্রতি আপনার আবেগ ও ভালবাসা ব্যক্ত করতে। খুব সূক্ষতা পেয়েছে লিখাটি। কোনো প্রসংশায় আর যাচ্ছি না। কারণ প্রসংশার নিষ্প্রয়োজন এখানে। উপরে শ্রদ্ধেয় ছাইরাছ হেলাল ভাই আপনার একটি লাইনকে কোট করে গেছেন আমিও সেই একই কথা বলছি ভেবে দেখবেন কি অসাধারণ কথা বলেছেন। লিখাটি যেই পড়ুকনা কেন তাকে সম্পূর্ণ লিখাটি উত্তেজনা সহকারে পড়তে হবে যতক্ষণ না কাজের বুয়া এসে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে দেয়। যাই হোক আমি এত গুছিয়ে কথা বলতে পারিনা আর তাছাড়া এমন লিখা পরে মন্তব্য করাটাও অনেক কঠিন। ভালো থাকুন সবসময়। আর হ্যা আপনার হাতের শক্তির কিন্তু প্রশংসা করতে হয়। রেসলিং খেলার ইচ্ছা নাইতো আবার ???? 🙂
বনলতা সেন
কষ্ট করে পড়েছেন দেখে আনন্দ হচ্ছে । তবে প্রশংসা একটু বেশি বেশিই মনে হচ্ছে আবার কমও মনে হয় ।
কেন যেন মনে হচ্ছে যা বলতে চাই তা মনে হয় মনের মত করে বলা হয়নি । বলতেই পারিনি , ব্যর্থতাও
ছুঁয়ে যাচ্ছে । আরও ভাল করে বেশি করে কী বলা যেত না ? প্রচণ্ড মানসিক অস্থিরতা ছিল এ লেখাটি লেখার
সময় । অস্থিরতা ধরা পড়ার পর্যায়ে প্রায় পৌছে গিয়েছিল । মানির মান আল্লার হাতে । রেসলিং ! কেঁদে ফেলেছি ।
ও হ্যাঁ , আমার শ্রেষ্ঠ লেখা এটি । এটি পেরিয়ে গিয়ে লিখতে পারব তা মনে হয় না ।
আপনি প্রতীক্ষা -৩ কিন্তু পড়েন নি । সময় পেলে মন চাইলে মন্তব্য সহ পড়ে দেখলেও দেখতে পারেন ।
আসলে অতি শীঘ্র আমার পক্ষে নূতন কোন লেখা সম্ভব হবে না । এ লেখাটি আমার গলা চেপে ধরে আছে ।
ধন্যবাদ ধন্যবাদ ।
জিসান শা ইকরাম
পড়লাম এযাবৎ কালের পঠিত কঠিন লেখাটি —
মনোরাজ্যে এমন কল্পনা খেলা করে আপনার ?
আসলে লেখাটি পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি –
আরো পড়তে হবে –
আর একটু সহজ করে লিখলে পারতেন 🙂
বনলতা সেন
এখানে কঠিন বিষয়টি আলাদা । মনযোগ দিয়ে পড়লে কোন কঠিন কিছু নেই ।
বই মেলায় গিয়ে কী কী হয় তেমন বর্ণনা । সবাই আলোচনা করছে , আরও বলবে সময় নিয়ে
আর একবার পড়লে সব বোঝা যাবে ।
তাও শুভেচ্ছা পড়ার জন্য ।
পেন্সিলে আঁকা পরী
অসাধারন একটি লেখা।এর আগে আপনার লেখা কেন পড়িনি ভেবে আফসোস হচ্ছে এখন।প্রতিটি বাক্যে সুন্দর করে টুইস্ট করে লেখাটা খুবই পরিনত।খুব ভালো লেগেছে এবং ভবিষ্যতে এরকম লেখা আরো পাব আশা করছি। 🙂
নাছরিনের আত্মার শান্তি কামনা করি।
বনলতা সেন
আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগল খুব ।
আমি নিয়মিত লেখক নই । এখানে ও একটু অনিয়মিত ।
লিখি যখন যা মনে এসে যায় ।
আমিও চাই এমন নাছরিনেরা যেন ভাল থাকে ।
অনেকদিন কিন্তু আপনি লিখছেন না ।
ভাল থাকবেন আপনি ।
আদিব আদ্নান
যে টুকু বুঝতে পারলাম ।
বন্ধুটি সত্যিই আপনার প্রাণের বন্ধু ।
এই অসম্ভব আন্তরিকতাকে যে ভাবে যে ভাষায় বর্ণনা করেছেন তা যে কারও হৃদয় স্পর্শ করে যাবে ।
আমি একটু আলোচনা চাই ।
বনলতা সেন
হ্যাঁ , প্রাণ আছে তা বুঝতে পারছি ও বোঝাতেও পেরেছি দেখে ভাল লাগল । এবারে আমি আলোচনায় যেতে চাই না নিজে ।একজনকে বলেছি , তাঁর আলোচনার জন্য অপেক্ষা করবো ।আপনিও দেখবেন কিন্তু । ভাল থাকুন ।
প্রহেলিকা
shovo sokal sroddheya bonolota sen ami porechi likhati tobe amar mone hoy ei likhatir ceye protikkha-3 ta beshi somriddho. montobbo korini ekhono karon kichuta manoshik chape pore gechi asole apnar ei likhati pore jar karone montobbo korini sekhane emonki ei likhate je montobbo ami korechi setao amar moner moto hoye utheni. Apnar ei likha r protikkha-3 ta pore asolei ekto manushik chape achi.chape keno porlam seta ojanai thak.tobe ami ki jeno bolte ceyechilam ei likhatite tobe keno jani bolte parlam na amar montobber proti ami nijei sontosto hote parini ty protikkha-3 tite ar gotokal montobbo korlam na.mathar upor bojha hoye ache kichu ekta r tay amar udashi dongka baje dhoroni juriya setao r na likhar sidhanto niyechi.
Apni ekta kotha bollen je eta amnar srestho likha er besi naki apni likhte parben na. Ami bissash kori ssodo etai je srestho likhar ekti matro likha eta aro asbe,astei hobe. Mathar traffic jamta khule gele dekha hobe valo thakun.
বনলতা সেন
লক্ষ্য করুণ , প্রতীক্ষা -৩ এ শেষ হয়েছিল আবার যদি নাছরিনের সাথে দেখা হয় … তখন কি হবে এই ভাবনায় ।
এবারে দেখা হয়েছে জনারণ্যে , সেখানে নানা ঘটনা । এখানে নাছরিন শুধু আমার প্রাণের কাছাকাছিই না আমার
দেহের কাছাকাছি । এটি এই মুহুর্তে উত্তরণ ।- ৩ এর ওখানে একটু বেশি মাথার উপ্রে দিয়ে নিয়েছি , এখানে নাছরিন নিশ্বাস ছুঁয়ে যাওয়া দূরত্বে । কেন জানিনা আমার হাতের ব্যাথা কমছে না । নাছরিন আমার উপর আছর করে আছে । তাই আমার কাছে এই লেখাটি ই এই মুহুর্তে সব থেকে ভালো লাগা লেখা ।
আমি কিন্তু ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে পারিনা । আপনার শেষ লেখাটি কিন্তু আপনার সাথে যায় না , এটি হতেই পারে ।
একটু গুছিয়ে আবার শুরু করুণ । এটি নিয়ে মন খারাপের কিছু নেই ।
আমি এখন ভয়ে আছি আপনারা কীভাবে এ লেখাটি ব্যাখ্যা করবেন এই ভেবে ।
আমি অপেক্ষা করব চুল ছেড়া নয় চুলচেরা বিশ্লেষণের ।
ছাইরাছ হেলাল
এটি একটি শতভাগ খাঁটি বন্ধুত্বের গল্প ।
সাধারণ শব্দের আন্তরিক সুনিপুণ ব্যবহারে মনে হয় কেউ বুঝি মুখোমুখি বসে গল্প বলছে ।
আমি মাত্র দু’টি বাক্য দেখাব –
‘ইচ্ছে করেই ফোন দিচ্ছি না, দিচ্ছেও না’ ও
‘আগুনে মস্ত বরফ ফেলে রাস্তা পেরিয়ে মেলায়’,
এমন আরও আছে ।
ব্যাক্তিগত পছন্দের একাত্মতা বোঝাতে বলা হচ্ছে
‘এমনকি নকশায় সুতোর রং কী হবে ‘ ।
চোর পুলিশের টেনশনে হালকা ১৮ + কিন্তু শালীনতা ছুঁয়ে । যদিও নাছরিনকে নান বলে উপস্থাপন করে এটি ভীষণ ভাবে সামলে নিয়েছেন । ইভ টিজিংয়ের ইঙ্গিত দিয়ে। বই সমুদ্রে এসে দিক হারায়নি , বরং সে এই বই সমুদ্রে ঠিক কোন জিনিষটি তার প্রয়োজন (সুক্ষ্ম নির্বাচনী সক্ষমতা) তা তার জানা বোঝাতে
‘পছন্দের বই নিতে ট্রাক ভাড়া করতে হবে কিনা …………মুলামুলি করলে তখন কী হবে ?’
বলেছে ।
‘কিশোর কিশোরী তরুণ তরুণী যুবক যুবতী মা ও শিশু বৃদ্ধ বৃদ্ধা,কলির কেষ্ট-বিষ্টু,ঝকানো টি-শার্টে পুষ্ট মুষ্টামুষ্টিকারী,চোরা চোখের চোট্টা মেশিন ম্যান,কিছু মেনি মুখো চিবুক ঝুলে পড়া মাজুর হাঁড়িমুখো স্বামী,চিকন বেত হাতে রাগী পণ্ডিতের মত পূর্বকালের অমরাবতী নিবাসিনী মনোরঞ্জিনী স্ত্রীর চোখা নজরদারীতে বিরস বদনে।’
সে হয়ত সমগ্র জীবনের প্রতিচ্ছবি মিলিয়ে নিচ্ছে ।
হাতে ব্যাথা দিয়ে লেখক যন্ত্রণাবিদ্ধ হয়ে চুড়ান্ত আন্তরিকতা দেখিয়েছেন এবং নিজে নীরব হয়ে লেখাটিকে সম্পূর্ণ নাছরিন মুখি করেছেন । লক্ষ্য করুণ এর পর থেকে লেখক কিন্তু অনুপস্থিত । চমৎকার ভারসাম্যের হস্তান্তর । এক্সিলেন্ট । লেখাটিতে প্রচুর মেটাফর ব্যবহার করেছেন সযত্নে ।
আবার , শুরুতেই দু’টি শব্দ ম্যালা ও প্রাণবঁধু শব্দ ব্যবহার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মনে হয় । শব্দটি মেলা ,সেটি হয়ত আরও বিস্তৃত বা আরও অন্যকিছু বোঝাতে কথ্য ভাষার মত বলা হয়েছে আবার প্রাণবঁধু অর্থ প্রিয় বন্ধু । মনে হবে যেন স্ত্রী বোঝাচ্ছে । স্রেফ মজা করা ছাড়া আর কিছু বোধগম্য হচ্ছে না ।
লেখকের প্রধান দু’টি দিক একটি লেখক সত্তা আর একটি লেখক মানস ।লেখক সত্তা হল লেখক যা তাই (লেখকের নিজস্ব চিন্তা চেতনা ) আর লেখকের মানস হল লেখক যা হওয়ার বা করার স্বপ্ন দেখে । নাছরিন লেখকের মানস , লেখক নিজেকে যেখানে দেখতে চায় বা যা সে হতে চায় ।
আমাদের ভাবতে হবে কতখানি আন্তরিক হলে একটি চরিত্রের সাথে একাত্ম হয়ে চরিত্রের সুখ বা দুঃখ বাস্তবে অনুভব করা যায় ।
ভালোবেসে এ লেখাটি বুক পকেটে পুরে রাখতে পারলে বেশ হত । স্বল্প পরিসরে লেখালেখিতে কেউ আগ্রহী হতে চাইলে এটি অবজ্ঞাভরে হলেও পড়া উচিৎ ।
আপনার প্রাণের হাত ব্যাথার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি ।
অনুরোধঃ নাছরিনকে জাতিশ্বর রূপে দেখতে চাই । এবং আপনার পক্ষেই তা সম্ভব ।
বিদ্রঃ যারা লেখে তারা লেখক । আমার কাছে লেখিকা বলে কিছু নেই ।
আমি আসলে যা লিখতে চাইলাম তা লিখতে পারলাম না , এ দায় ও আপনারই ।
এত্ত এত্ত ভাল লেখার কী দরকার ।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, বর্ণনা লেখায় যেনো ঈদের পোশাক পড়িয়ে দিলো … -{@
ছাইরাছ হেলাল
আমি ভাই ঘোরের মধ্যে আছি ,
যা লেখা উচিৎ তা লিখতে পারিনি ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
বনলতা সেন
হাঁটে হাড়ি প্রায় ভেঙ্গেই ফেলেছেন দেখছি । আমি লিখলেও এমন সুন্দর করে লিখতে পারতাম কিনা কে জানে ।
অনেক কষ্ট করে এতখানি লিখেছেন দেখে কৃতজ্ঞতা জানাতেও সমীহ হচ্ছে । ঠিক আছে আপনার সহৃদ্যতার কথা
নাছরিনকেও জানিয়ে দেব , দেখবেন আবার যেন ‘না’ বলে দিয়েন না ।
আমার মত সামান্যজন কে অনুরোধের কিচ্ছু নেই , যদিও আমার সাধ্যের বাইরে তবুও আমার মত নয়-ছয় করে
নাছরিনকে জাতিশ্বর করে আনব , দেখবেন ভাল হলে আনন্দ একান্তই আমার ,যদি পচা হয় সে কৃতিত্ব কিন্তু আপনাদের ।
আপনারা আজকাল দেখছি বড্ড বানিয়ে- ছানিয়ে প্রশংসা করেন , এটা কিন্তু ঠিক না । নাছরিন কিন্তু রাগ করলেও
করতে পারে । আপনারা কি এই ঝুঁকি নেবেন বা নেয়া ঠিক হবে ?
আমি কিন্তু আপনাদের সত্যি সত্যি ধন্যবাদ দিচ্ছি ।
হে আল্লাহ্ আমাকে ঢেঁকি গিলতে সামান্য সাহায্য করুণ । অন্তত একটু পানি সহযোগে হলেও । ।
আমিন আমিন ,ছুম্মা আমিন ।
অপরাজিতা সারাহ
বাই ওয়ান গেট ওয়ানের মতই যেন।অসাধারন এক লেখার সাথে অসাধারন এক বিশ্লেষন।ছাইরাস হেলাল,আপনি যা বলেছেন তা প্রতিটি কথাই সঠিক।চমতকার লেখনী।আর একেকটা বাক্যে প্রায় চমকে উঠছিলাম পড়তে পড়তে আর মনে মনে শুধু ‘অসাধারন’ ‘অসাধারন’ বলে নিজেই নিজেকে শোনাচ্ছিলাম। আপনার ঢেঁকি গেলার অপেক্ষায় রইলাম। 😉
বনলতা সেন
ভাই, তালে তালে ঢেঁকি গিলতে বসে আমার ত্রাহি মধুসূধন অবস্থা ।
আমার সাধ্যের বাইরে চলে এসেছি ।
আমার দিকে একটু খেয়াল রাখবেন ।
অশেষ ধন্যবাদ আবারও ।
জিসান শা ইকরাম
এমন বন্ধুত্ব আছে এখনো ?
নাছরিনের মুভমেন্ট আমার পরিচিত একজনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে ।
নাছরিনকে মেরে ফেলার কি কোন প্রয়োজন ছিল ?
বনলতা সেন
অবশ্যই আছে আমি মনে করি ।
অবাক , এমন মানুষ হয় নাকি ?
না মরে তার আর উপায় ছিল না ।
সে এখন জাতিস্মর হবে ।
আবারও পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
জিসান শা ইকরাম
হয়ে যাক জাতিস্মর । -{@ (y)
প্রহেলিকা
উপরে শ্রদ্ধেয় হেলাল ভাই সুন্দর করে বলে গেছেন , এর চেয়ে ভালো বিশ্লেষণ আর কেউ করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। লিখাটি হয়ত অনেকে মূল্যায়ন করতে পারবে না যদি না শেষ লাইনটুকু পর্যন্ত পড়ে। হেলাল ভাই যেভাবে বিশ্লেষন করে গেলেন আমার মনে হয় না তার উপর আর কিছু বলা যায় না। আপনার লিখাটি মনের ভিতর গেথে গেছে বেশি মনযোগ দিয়ে কোনো লিখা পড়লে যেমন হয় আরকি।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ছাইরাছ হেলাল ভাই এত সুন্দর করে লিখাটির ভাবার্থ সবার সামনে প্রকাশ করার জন্য যেটা আপনারই দায়িত্ব ছিল। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আবারও।
ছাইরাছ হেলাল
লক্ষ্য করে দেখুন.
….(.ও কয়েকটি বই কিনলে সেলসম্যান সাদা পোষাকে প্রায় সাদা চুলের দগ্ধ জনকে দেখিয়ে অটোগ্রাফ নিতেবলল,সেলস ম্যানের কানের কাছে মুখ এগিয়ে গোপন কথা বলার মত করে কিন্তু শোনানোর মত করে ওর অটোগ্রাফ লাগলে যেনউনি নিয়ে রাখতে পারেন এমন প্রস্তাব দিল।গোল চোখ তাকালেন নিরুত্তরে,নির্ঘাত শুনেছেন)
এখানে সেলিব্রেটি লেখককে চ্যালেঞ্জ করছে অহংকারে করে নয় নিজ আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে ।
আমি বিস্ময়াবিভূত ।
বনলতা সেন
কিছুই আর রাখঢাক রাখলেন না ।
আপনাদের ভোগ আছে দেখছি ।
বনলতা সেন
আপনারা আমাকে সত্যি সত্যি লজ্জা দিয়ে ফেলছেন ।
এতখানি প্রশংসা আমার প্রাপ্য না । অবশ্য আপনাদের আন্তরিকতা আমাকেও ছুঁয়ে যাচ্ছে ।
দেখবেন গাছে তুলে নিয়ে যেন আবার মইটি কেড়ে নেবেন না যেন । আপনাদের কে বিশ্বাস করার ঝক্কি প্রচুর ।
অবশ্য নাছরিনকে আমরা আন্তরিক ভাবে আস্থায় নিতে পারি ।
ধন্যবাদ বলছি আপনাকে ।
নাছরিন এবার জাতিশ্বর । আপনারাই নজরে রাখবেন , থাকবেন ও ।
কবে যে আপনাদের মত সুন্দর কবিতা লিখব । কিছুই শেখালেন না । ভাবছি নালিশ দেব আপনার নামে নাছরিনের
কাছে । তখন বুঝবেন কেমন ল্যাঠ্যা ।
শুন্য শুন্যালয়
প্রত্যেকটি লাইন পড়েছি অনেকটা বানান করে পড়ার মতো…
আপনার চিন্তার গভীরতা অনেক আগে থেকেই পরিচিত, যেদিন প্রতীক্ষা (৩) পড়েছিলাম; শুধু ভাবনা একটাই কেমন করে এমন লিখতে পারেন? প্রত্যেকটি শব্দের ব্যবহার মুগ্ধতা মুগ্ধতা, মনে হয় আমি আসলে মন্তব্যকারী হিসেবে ঠিক মানানসই নই…
এখন তো এমন পড়ার পিপাসা বাড়িয়ে দিলেন, মেটানোর দায়িত্ব আপনার… হুম
বনলতা সেন
আমি আসলে মনে মনে আপনাকেই খুঁজছিলাম ।
আপনার পোস্টে গিয়ে ডেকে পড়তে বলতে লজ্জা লাগছিল ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
ধুর , কি যে বলেন , শেষ পর্যন্ত আপনিও…………
কথা দিয়েছি লেখার চেষ্টা করব আবারও নাছরিনকে নিয়ে ।
চোখে চোখে রাখবেন এই কামনা আপনার কাছেই ।
অনেকদিন আপনার লেখা পড়িনা ।
যাহোক যেমন করে হোক লিখতে শুরু করে দিন ।
ব্লগার রাজু
খুব ভালো লিখেছেন। (y) (y) (y) (y) (y)
বনলতা সেন
এতগুলো ইমো কেন ?
ঠিক করে বলুনতো পড়েছেন ?
ব্লগার রাজু
খুব ভালো লিখেছেন। (y) (y)
বনলতা সেন
তাই বুঝি ?
এই অখাদ্য লেখাটি কেন ভাল তা যদি একটু অনুগ্রহ করে বলে দিতেন ।
ধন্যবাদ , এখানে এসে পড়ার জন্য ।
ছাইরাছ হেলাল
কোথায় গেলেন ভাই ?
নাছরিন কে রেখে আমাদের দিকেও একটু দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন ।
বনলতা সেন
স্যার আছিতো ।
ঢেঁকি তো গিলিয়ে দিয়েছেন , প্রায় জোর করেই ।
আমারও যে গেলার ইচ্ছে ছিল না তা হলফ করে বলতে পারি না ।
এবার কেউ আমাকে বাঁচাতে পারবেনা , নাছরিন এবং নাছরিন ।
দুঃখিত দেরিতে উত্তর দেয়ার জন্য ।
ছাইরাছ হেলাল
সরস্বতীও দেখছি আজকাল এক চোখা , মন্তব্যের উত্তরেও সুরের লহর বইয়ে দিচ্ছেন ।
কবে কখন ঢেঁকি উগরে দিবেন সেই অপেক্ষায় আছি , তর সইছে না ।
এখানে কোন স্যার-ফ্যার নেই ম্যাডাম ।
বনলতা সেন
আমি মূখ্য-সূখ্য অতি নগণ্য আপনাদের ভীড়ে ।
সিনথিয়া খোন্দকার
কেমন যেন কল্পনায় দেখতে পাচ্ছি আপনার বন্ধুটিকে। মনে হল তিনি আপনার লেখায় ভর করে একবার ফিরে এসেছেন মর্ত্যে।
বনলতা সেন
এই প্রথম এমন দীর্ঘ লেখা পড়ছেন আপনি তা দেখে আনন্দ বোধ করছি ।
তবে আমার বন্ধুটি এখন জাতিস্মর , আপনি চাইলে সময় নষ্ট করে পড়ে দেখতে পারেন ।
আপনার জন্য শুভকামনা ।