জাঁক করে বলছিনা একটুও, মা-কালীর দিব্বি!!
পায়ে গতি-জুড়ে যাচ্ছিলাম বৃষ্টি-গাছের নীচ দিয়ে জাঁকানো বৃষ্টির যুবুথুবু হাত থেকে বাঁচতে! আচমকা ডাক শুনে পিক করা স্পিডে থমকালাম, দাঁড়ালামও, ইতিউতি করে খুঁজলাম, পেলাম পেল্লায় সাইজের লাল চোখা ঘাস ফড়িংটিকে, সে ও দাঁড়িয়ে আছে বৃষ্টি-মেখে ।
সে অনেক অনেক দিন আগের কথা, চিন-পরিচয়ের সূত্র ধরে হয়েছিল জানাশোনা, সে এক মজার দিনকালের কথা…………………
রাতের গভীরে, প্রথমে সামান্য ফর ফর শব্দ থেকে ঝুপ করে পড়ার টেবিলে নেমে এলো এক সবুজ অতিকায় ঘাস ফড়িং, কটমটে লাল চটুল-চঞ্চল চোখে, বলছিনা বা ফাঁদছিনা অলীক গাজা-গপ্পো, এটিই সেই, সেই ঘাস ফড়িংটি। তবে এও বলছিনা এটিকে দেখে নস্টালজিক হইনি। তাকাতাকি করছি সমানে, আর ভাবনার পালে বাতাসি আওয়াজ তুলছি! এও হয়! এমন কেন হয় অতি সাধারণ আটপৌরে গভীরের নির্জন-সুনসানতার এই রাতে! এ সময়ে!
সামান্য নড়েচড়ে হেটে-হুটে শেষমেশ আস্তে আস্তে হাত পেড়িয়ে কাঁধে উঠে দিব্বি বসে আছে, নট নড়ন চড়ন নট কিচ্ছু।
প্রচণ্ড শিকারি হুলো বেড়ালটি উপর থেকে গোত্তা খেতে খেতে নীচে এসে হাজির এ অসময়ে, ওর সব কথা বুঝতে পারি না, আমার মেয়ের ন্যাওটা
এই বিড়াল মহাশয়, মেয়ে এই বিড়ালের সব কথা বুঝতে পারে, হাসি, কান্না ক্ষুধা, অসুখ সব সব। কখন বাইরে যাবে, কখন তার গলা চুল্কে দিতে হবে তাও, একবার তো বিড়ালের দাঁতে মাছের কাটা আটকে গেলে ওর মুখ হা করিয়ে সেই কাটা তুলেছে, টু শব্দ করেনি সেই বিড়াল, আমরা তো ভয়ে অস্থির
কামড়ে-টামড়ে দেয় কী না! ওহ! যাক যা বলছিলাম
বিড়ালটি এসে রুমের এ মাথা ও মাথা এক চক্কর কেটে কি সব বলে-টলে লাফ দিয়ে টেবিলের উপর উঠে হান্টিং মোডে (মুডে না কিন্তু) গেল, চোখ তার আমার কাঁধে বসা ফড়িংয়ে, প্রমাদ গুনলাম, নাহ তেমন কিছু না, কী সব মিউ-ফিউ করে টেবিল থেকে নেমে লেজ উঁচিয়ে চেয়ারের আশে-পাশে ঘুরে পায়ের কাছে থিতু হয়ে বসল, হাফ ছেঁড়ে শান্ত হলাম।
ফড়িংটি চলে গেছে
বিড়ালটিও,
ফিরে আসেনি কেউ
ফেরে না;
১৮টি মন্তব্য
রিতু জাহান
আবারো বেড়াল! ইশ ব্লগ ছেড়ে পালাব নাকি 🙁 তাও আবার হা করে তার মুখ থেকে কাঁটা তোলা হচ্ছে। মেয়ের কাছে যেতে হবে আমার বিড়াল ভীতি কমাতে।
হুম, চলে যায় সবাই। চলেই যায়। পড়ে থাকে কিছু অভাগারা। লেখাটা বেশ লাগলো আমার। লেখা চুরি হইলে দুষ নাই কিন্তু।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন নবীজির বিড়াল ছিল, অতএব বিড়াল সখ্যতা তৈরি করুন।
ডাকাতি করে ধন্য করুন!
রিতু জাহান
আমার খুব বিড়াল ভিতি। আসলে কেনো তাও আমি জানি।
ডাকাতি তো শুরু হয়েই গেছে।
ছাইরাছ হেলাল
দস্যু রানী!
স্বাগতম এ রাজ্যে।
মাহমুদ আল মেহেদী
আমারও যে লেখাটা ভাল লাগিল। যাক এই ভালো লাগার রোগে সবসময় আক্রান্ত থাকতে চাই।
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মিত পড়ছেন এটিই অনেক আনন্দের।
মোঃ মজিবর রহমান
হাফ ছেঁড়ে শান্ত হলাম। আমিও পড়ে হাফ ছাড়লাম। দারুন।
ছাইরাছ হেলাল
যাক নিশ্চিন্ত হলাম এবারে।
মায়াবতী
ও মা কি টান টান উত্তেজনা ! এ কি গদ্যের পদ্য নাকি পদ্যের গদ্য ! ;?
ছাইরাছ হেলাল
ধুর কী না কী কন!
শিখছি মাত্র, আপনি তো অনেক ভাল লেখেন।
মায়াবতী
কি শিখছেন ! শিখতে শিখতে শিকারী হচ্ছেন না তো কবি সাহেব ??? :p
ছাইরাছ হেলাল
সবার সব কিছু কপালে থাকে না, ম্যাম।
চাইলেই কী আর সব কিছু শিখতে পারি!
জিসান শা ইকরাম
ফড়িং নামা ভাল লাগছে।
ফেরেনা কেউ, কিছুই ফেরেনা
ছাইরাছ হেলাল
তাই তো দেখছি,
ফেরা-ফেরি কেউ-ই করেনি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ফেরে না কেউ, ইহাই চরম সত্য।
এই লেখাটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা!!
যাক, এত্তদিনে লেখার একটা গতি হলো দেখতে পাচ্ছি।
কৈ যে থাহেন!
কেউ-ই ফেরে না,
নীলাঞ্জনা নীলা
ফেরে পড়েন নাই কখনো? ফিরাফিরির কথা কিছুই কমুনা এখন।
ছাইরাছ হেলাল
হ, সবাই মজা লয়, টাইম মত!!