আপনি কি ফেসবুক ব্যবহার করছেন? কী করছেন? এ-তে কী দেখতে পাচ্ছেন? কী শিখতে পারছেন? আমি কিন্তু ফেসবুক থেকে অনেককিছু শিখতে পারছি! আমি ফেসবুক ব্যবহার করছি, ২০১২ সাল থেকে। সেই থেকে এপর্যন্ত আমি অনেককিছু শিখেছি এবং দেখতেও পাচ্ছি!
১। ফেসবুক হলো অহংকারী ব্যক্তিদের চেনার একটা মেশিন। এসব অহংকারী ব্যক্তিরা আপনার আমার খুবই কাছের মানুষ এবং খুবই শিক্ষিত ব্যক্তি। আমি মনে করি যত শিক্ষা, তত অহংকার! অল্পশিক্ষিত মানুষের হিংসা অহংকার যা-ই থাকুক, শিক্ষিত লোকের অহংকার তার চেয়ে চারগুণ বেশি! আপনি ফেসবুকে খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন এর সঠিক ফলাফল। ধরুন আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে কয়েকজন শিক্ষিত লোক অ্যাক্টিভ আছে। তাঁদের যেকোনো পোস্টে আপনি নিয়মিত লাইক/কমেন্ট দিয়ে আসছেন। কিন্তু আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা শিক্ষিত লোকগুলো আপনার কোনও পোস্টে লাইক/কমেন্ট তো দূরের কথা, আপনার পোস্টের দিকে একটিবারও ফিরে তাকাচ্ছে না। এর কারণ হলো, এতে নাকি শিক্ষিত লোকদের মান-ইজ্জতের ব্যাপার-স্যাপার হয়ে দাঁড়ায়!
আবার আছে কিছু বিত্তবান প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ! হতে পারে ওইসব ব্যক্তিরা আপনার এলাকার, নাহয় বাইরের কেউ। তা যেখানকারই হোক, তাঁরাও ফেসবুকে কারোর গুরুত্তপূর্ণ কোনও পোস্টে ভুলেও লাইক করবে না, উল্টো ঐ পোস্টের কমেন্ট বক্সে মন্তব্যে সমালোচনার প্রতিযোগিতা আসর জমাবে। তাই বলে কি ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে তাঁদের আনফ্রেন্ড করছি বা করবেন? না, একেবারেই না! আমি তাঁদের স্ব-সম্মানে বহালতবিয়তেই লিস্টে রেখেছি। কারণ, তাঁদের কাছে আমার আপনার অনেককিছুই শেখার আছে, তাই। তাঁদের করা কিছু শিক্ষনীয় পোস্ট থেকে কিছু শিখে নিতে পারি। তাঁরা কেমন ধরনের পোস্ট করে, তা দেখে নিজেও তাঁদের মত করার চেষ্টা করি।
২। আমি শিখেছি কীভাবে মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে প্রচার করতে হয়। আর কীভাবে নিজের ভুল নিজে শোধরানো যায়। এমনও দেখা যায় কাগজ ✑ কলমে কিছুই লিখতে পড়তে পারে না! অথচ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে বাংলা কীবোর্ডে টাচ করে একজন একজন পন্ডিতের চেয়েও অনেক ভালো কিছু লিখে ফেলছে। এঁরাই অনেকসময় ভুল করে শোনা কথায় নিজে কিছু বানিয়ে লিখে ফেসবুকে পোস্ট করে। সেসব পোস্ট কপালগুনে সময় সময় ভাইরাল হয়ে গুজবে পরিণত হয়। তখনই গেলে যায় হুলুস্থুল! শুরু হয় ধরপাকড়! অনেকসময় তাঁদের সেসব পোস্ট দেখি! অবাক হই! কিছু শিখেও নেই! আবার এ থেকে নিজেও সতর্ক হই!
৩। ফেসবুকে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশকিছু লোক আছে। তাঁরা তাঁদের মধ্যে কেউ অনেক শিক্ষিত, কেউ অল্পশিক্ষিত, কেউ অশিক্ষিত। তা যা-ই থাকুক, এঁরা ফেসবুকে হিন্দু ধর্ম প্রচার করতেই বিশ্ববিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ্যাকাউন্ট খুলেছে বলে মনে হয়! এঁরা সময় সময় যখন কিছু অশিক্ষিত হিন্দু ফেসবুকার জেনে-না-জেনে নিজেদের ধর্ম প্রচারের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দিয়ে থাকে, তখনই শুরু হয় পোস্টদাতার নিজ এলাকায় হুলুস্থুল। মুহূর্তেই ঘটে যায় লঙ্কাকাণ্ড। এঁদের ওইসব ছোট্ট একটা পোস্টের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেক নিরীহ অনেক হিন্দু পরিবার। তাঁদের থেকেও আমি কিছু শিখছি! তাঁদের কাছ থেকে একটু দুরে থাকার চেষ্টা করছি। কারণ ঝামেলা বাড়ানোর চেয়ে এড়িয়ে চলা অনেক ভালো, তাই।
৪। প্রতিদিন ফেসবুকে লগইন করে দেখি ধর্মীয় বানী লিখে বা ছাপা অক্ষরের পোস্ট। সেই পোস্টে লাইক দিয়ে থাকি। পারলে মন্তব্য দেই, না পারলে আর দেই না। দেখি অনেক অনেক ছবি পোস্ট। কারোর নিজের। কারোর পরিবার পরিজনদের। কারোর প্রেমিক প্রেমিকার। কারোর মা-বাবার। সেসব পোস্টেও লাইক/কমেন্ট করি। আবার ভাবি! এঁরা কেন নিজের মা-বাবা, ভাই-বোনদের অনলাইনে থাকা একটা সামাজিক যোগাযোগম সাইটে লক্ষলক্ষ মানুষের সাথে পরিচয় করে দিচ্ছে? এতে পোস্টদাতার ভালোটা-ই-বা কী? আমি নিজে আজ পর্যন্ত নিজের সহধর্মিণীর ছবি তো দূরের কথা, আমার আদরের দুটো নাতিনের ছবিও ফেসবুকে পোস্ট করিনি। এতে কি আমার কোনও ক্ষতি হচ্ছে? এসব নিয়ে অনেকসময় নিজে নিজেই ভাবতে থাকি এবং এসব প্রিয় বন্ধুদের কাছ থেকেও প্রতিদিন কিছু-না-কিছু শিখছি!
ছবি ইন্টারনেট থেকে।
৩৪টি মন্তব্য
সঞ্জয় মালাকার
দাদা আমি ফেসবুক ব্যবহার করছি ২০০৮ সাল থেকে। সেই থেকে এপর্যন্ত আমি অনেককিছু শিখেছি এবং দেখতেও পাচ্ছি! আর দাদা আমিও হাতে কলমে কিছু লিখতে পারিনা, আর দাদা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে বাংলা কীবোর্ডের সাহায্য পন্ডিত হইছি। ধন্যবাদ দাদা দারুণ তথ্যবহুল লেখা একদম সত্য কথা।।
শুভ কামনা দাদা 🌹🌹
নিতাই বাবু
হ্যাঁ দাদা, ফেসবুক অনেক সময় ভাবিয়ে তুলে! সময় সময় লক্ষ্য করি, কিছু ফেসবুকার সকাল রাত অবধি একের-পর-এক পোস্ট করতেই থাকে, করতেই থাকে। হয়তো নিজের ছবি বা কোনও আত্মীয়স্বজনের ছবি নাহয় কোনও সাইটের লিংক। হায়রে পোস্ট! ভাগ্য ভালো আমাদের! ফেসবুকে পোস্ট প্রকাশ করার জন্য মার্ক জাকারবার্গ কোনও মোডারেট নিয়োগ করে রাখেনি। যদি অন্যান্য ব্লগ সাইটের মতো ফেসবুকেও মোডারেট দ্বারা পোস্ট প্রকাশ হতো, তাহলে বোঝা যেতো কত পোস্টে কত কৈফিয়ত! তাই বলছি, আমাদের ভাগ্য ভালো।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রিয় দাদা।
ফয়জুল মহী
আদান প্রদানের দুনিয়া।
নিতাই বাবু
হ্যাঁ শ্রদ্ধেয় দাদা, বর্তমানে ফেসবুক তা-ই!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
রেহানা বীথি
আপনার কিছু কথা অপ্রিয় হলেও সত্যি দাদা। নাক উঁচু আছেন কেউ কেউ, কারও পোস্টে লাইক দিতে তারা পছন্দ করেন না, কখনও কোনও প্রশংসা বাক্যও বর্ষিত হয় না তাদের কাছ থেকে। কিন্তু সমালোচনা করতে তারা আবার উঠে পড়ে লাগেন।
সুন্দর পোস্ট দাদা।
নিতাই বাবু
ওঁদের ঐরূপ আচরণ দেখেই ওঁদের আর চিনতে অসুবিধে হয় না, শ্রদ্ধেয় দিদিব। তাই ওঁদের কাছ থেকেও প্রতিনিয়ত কিছু-না-কিছু শিখছি!
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দিদি।
সুপায়ন বড়ুয়া
অসাধারন দাদা।
মনে হয় ফেসবুক এজন্যেই সার্থক ,
সকল অচেনা লোক গুলোই চেনা হয়ে যায়
ভিতর আর বাহির এই ফেসগুলোর মাধ্যমে।
ফেসবুক নিয়ে আমার একটা কবিতা ও ফেসবুক এ
প্রচার হয়েছিল।
শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
যদি ফেসবুকে আপনি আমার ফ্রেন্ড লিস্টে থেকে থাকেন, তো আপনার কবিতাটি পড়বো দাদা। শুভকামনা থাকলো।
সুপায়ন বড়ুয়া
তাই হোক সুপ্রিয়।
শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
জানার ও শিক্ষার কোনো শেষ নেই,
সব কিছু থেকেই শিক্ষা নেয়া যায়।
ফেইসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলেও বাংলাদেশের ফেইসবুকারদের অসামাজিক বানিয়েছে।
শুভ কামনা দাদা
নিতাই বাবু
ফেসবুকের কারণে আর আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে থাকা কিছু সনাতনী ফেসবুকারের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এদেশে আমরা হিন্দুরাই হচ্ছি। তা একে একে আর ধাপে ধাপে!
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় দাদা।
আর হ্যাঁ, আমি আবার অফিসের একটা কাজে ব্যস্ত হয়ে পরেছি। তাই ব্লগ সহ ফেসবুকেও আনাগোনা কম করছি।
তৌহিদ
আপনার কথার সাথে সহমত পোষণ করছি দাদা। আমাদের জানার শেষ নেই। আপনার লেখা থেকেও কিছু জ্ঞান উপলব্ধি হলো।
ধন্যবাদ জানবেন।
নিতাই বাবু
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় তৌহিদ দাদা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ফেসবুক সত্যি -মিথ্যা, ভালো-মন্দ সব শিখিয়েছে। ধন্যবাদ দাদা । ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে । শুভ কামনা রইলো
নিতাই বাবু
আপনার জন্যও শুভকামনা থাকলো সবসময়, শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ দাদা।
পর্তুলিকা
ফেসবুক ছাড়া দুনিয়া অচল। আমরা বাঙালিরা ফেসবুকের পূজারী। ফেসবুক ছাড়া আমাদের চলেনা।
নিতাই বাবু
হ্যাঁ, বর্তমানে প্রতিটি মানুষের জীবনের একটা চাবিকাঠি হয়ে দাড়িয়েছে এই ফেসবুক। বর্তমানে ফেসবুক ছাড়া অনেকেরই চলে না।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
ফেসবুকের সমস্যা নই সমস্যা আমাদের মন মানসকিতায়।
আমি এখন কিছু হীন মন্মানসিকতায় ভুগি। আমার মাঝে মাঝে কোন কিছুই ভাল লাগেনা। তখন দেখি হইত পড়ি কিন্তু ভাবিও না।
ফেসবুকে জানা শিখার আছে সেটা আমরা পারিনা। পারলেও নরাধম থেকে যায় আমি।
ভাল লেখা।
নিতাই বাবু
বর্তমানে ফেসবুকে অনেককিছু শেখার আছে ঠিক, কিন্তু আমাদের শেখার সময় কই? নিজের ধান্দাই তো সবসময় অস্থির হয়ে থাকি। তাই অনেককিছু থেকে বঞ্চিতও হচ্ছি দাদা।
মাহবুবুল আলম
আপনার লেখার সাথে সহমত। ভাল থাকবেন! ধন্যবাদ!
নিতাই বাবু
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার অনুসন্ধিৎসা যথার্থ, প্রমাণিত (আমি ফেসবুকার নই)।
শিক্ষার শেষ নেই, তবে কী শিখছি সেটি ভাবার বিষয়।
নিতাই বাবু
স্বীকার করি! সত্যি ফেসবুক থেকে নিজেই অনেককিছু শিখেছি শ্রদ্ধেয় কবি ছাইরাছ দাদা। তাই ফেসবুকে ধন্যবাদ-সহ মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ইসিয়াক
দারুণ তথ্যবহুল লেখায় ভালো লাগা জানবেন প্রিয় দাদা।
নিতাই বাবু
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
সাবিনা ইয়াসমিন
যে শিখতে চায় তার শিক্ষাক্ষেত্র সব স্থানে ছড়িয়ে থাকে। দেড় বছর হলো ফেসবুকে আইডি করেছি, শিখতেই আছি। এখনো শেখা কম্পিলিট হলো না 🙁
** দেখা যায় কাগজ ✑ কলমে কিছুই লিখতে পড়তে পারে না! অথচ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে বাংলা কীবোর্ডে টাচ করে একজন একজন পন্ডিতের চেয়েও অনেক ভালো কিছু লিখে ফেলছে। এঁরাই অনেকসময় ভুল করে শোনা কথায় নিজে কিছু বানিয়ে লিখে ফেসবুকে পোস্ট করে। সেসব পোস্ট কপালগুনে সময় সময় ভাইরাল হয়ে গুজবে পরিণত হয়। তখনই গেলে যায় হুলুস্থুল **
সম্পূর্ণ সহমত দিলাম দাদা।
শুভ কামনা 🌹🌹
নিতাই বাবু
ফেসবুক অনেক সময় আমাকে ভাবিয়ে তুলে! সময় সময় লক্ষ্য করি, কিছু ফেসবুকার সকাল রাত অবধি একের-পর-এক পোস্ট করতেই থাকে, করতেই থাকে। হয়তো নিজের ছবি বা কোনও আত্মীয়স্বজনের ছবি নাহয় কোনও সাইটের লিংক। হায়রে পোস্ট! ভাগ্য ভালো আমাদের! ফেসবুকে পোস্ট প্রকাশ করার জন্য মার্ক জাকারবার্গ কোনও মোডারেট নিয়োগ করে রাখেনি। যদি অন্যান্য ব্লগ সাইটের মতো ফেসবুকেও মোডারেট দ্বারা পোস্ট প্রকাশ হতো, তাহলে বোঝা যেতো কত পোস্টে কত কৈফিয়ত! তাই বলছি, আমাদের ভাগ্য ভালো।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রিয় সাবিনা দিদি।
অনন্য অর্ণব
আমি মনে করি যত শিক্ষা, তত অহংকার! অল্পশিক্ষিত মানুষের হিংসা অহংকার যা-ই থাকুক, শিক্ষিত লোকের অহংকার তার চেয়ে চারগুণ বেশি! এটাই বোধহয় সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষা ছিলো। আরেকটা কথা দাদাভাই- ফেসবুক আসলেই একটা নেশা। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের তরুণ যুবারা যখন কর্মময় জীবনে ব্যস্ত থাকার কথা যখন যুব সমাজ নিজ নিজ কর্মদক্ষতা উন্নয়নে উদ্দীপ্ত হওয়ার কথা ঠিক তখনই এই ভার্চুয়াল রূপালী জগত আমাদের যুব সম্প্রদায়ের ঘাড় নুইয়ে দেয় একদম বিনা পরিশ্রমে। অথচ আমাদের ছেলেমেয়েরা যখন অজানাকে জানার জন্য রিসার্চ করার সময় তখন পশ্চিমা প্রযুক্তি একেকটা জাদু যন্ত্র বাজারে নিয়ে আসে এতে করে ওদের পায়দা ষোল আনা। ওরা তাদের প্রযুক্তি বাজারজাত করে পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে, আবার আমাদের বাচ্চাদেরকে মস্তিষ্কের কিউরিওসিটি ডিমোটিভেট করে দিচ্ছে। ভেরি স্যাড 😭😭
নিতাই বাবু
একদম ঠিক বলেছেন শ্রদ্ধেয় দাদা। তারপরও বর্তমান যুগের ছেলে মেয়েদের কিছুতেই বোঝানো যায় না। ওঁরা ফেসবুক ছাড়া আর কিছুই বোঝে না। ফেসবুকই যেন দুনিয়ায় সবকিছু!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় দাদা।
দেবজ্যোতি কাজল
ফেসবুকে আমি আমার প্রতিবাদ প্রকাশ করি
নিতাই বাবু
ফেসবুকে প্রতিবাদী পোস্ট করতে গেলেও অনেকসময় বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। নিজ এলাকায় অথবা ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা অনেকের কাছে তুচ্ছতাচ্ছিল্য হতে হয়। তাই আমি ফেসবুকে ওইসব থেকেও বিরত থাকি, দাদা।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দেবজ্যোতি কাজল
শুনুন কে কি মনে করল ,তাই ভেবে নিজের ভাললাগার কথা বলবেন না ,তাই হয় । আমরা সেদিক থেকে গর্বিত যে , ভারত বাক্ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ।
নিতাই বাবু
আমি আমার দেশের কথা বলছি, শ্রদ্ধেয় দাদা। এদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে প্রতিবাদকারীর উপর দিয়েই সেই ঝড় বয়ে যায়! অনেক প্রতিবাদকারী আহত নিহত হয়। বেঁচে যায় প্রতিবাদের আড়ালে থাকা মানুষগুলো।