আপনারা যারা ফেসবুক কর্মী মানে কামলা খাটেন, তারাতো প্রতিমাসে জুকার অফিস থেকে বেতন পান নিশ্চই। কিন্তু আমরা যারা নিজেরা বছরের পর বছর ধরে টাকা ইনভেস্ট করে মেগাবাইট কিনে ফেসবুক চালাচ্ছি এতদিন হয়ে গেলো, বিনিময়ে ফেসবুক আমাদেরকে এমন কি দিয়েছে ভার্চুয়াল কিছু বন্ধু ছাড়া? আমাদের লেখা, ছবি, বিভিন্ন পোষ্ট অন্যরাও দেখছেন ফেসবুকে। আসলে আপনাদের ফেসবুকতো ফ্রীতে ব্যবসা করছে আমাদের সাথে। যত খরচা খাটুনি সব আমাদের আর বিলিয়ন ডলার ইনকাম হচ্ছে ফেসবুকের।
অন্যদিকে আপনাদের সহযোগীতা নিয়ে যারা ফেসবুকে নিজেদের ব্যবসা খুলে বসেছেন আর দুই পয়সা রোজগার করছেন তাদের কথা বাদ দিলাম কিন্তু আমাদের মতন সাধারণ ইউজাররা আসলেই কি লাভবান হচ্ছেন ফেসবুক চালিয়ে? কারও হলে বা কোন পদ্ধতি থাকলে বলুন, আমরাও সেই পন্থা অবলম্বন করতে চাই।
আমাদের লিখতে সময় ব্যয় হয়, মস্তিষ্কের পুষ্টির জন্য খাবার কিনে খেতে হয় সেখানে খরচের একটা বিষয় আছে। অনেক্ষন স্ক্রীনে তাকিয়ে থেকে থেকে চশমা লেগেছে চোখে, এই ক্ষতিপূরণ কে দেবে? ফেসবুকে সবচেয়ে বেশী লাইক কমেন্ট আসে ছবিতে। তাহলে বোঝাই যায় ছবি থেকে ফেসবুকের উপার্জনটাও কিন্তু সেইরকম মোটাসোটা।
একটি ছবি তুলতে গেলে টাকা খরচ করে ভালো মোবাইল, ভালো ক্যামেরা কিনতে হয়। পোজ দেবার জন্য টাকা খরচ করে জামাকাপড় কিনতে হয়, কিনতে যাবার জন্য গাড়িভাড়া খরচ আছে। আবার যেখানে ছবি তুলতে যাবো সেখানে যাবার খরচ, মাঝপথে ক্ষুধা লাগলে নাস্তাপানির খরচ আরও কত কি!
যারা ফেসবুকে Work করেন তাদের বলছি- আপনারা হয়তো এখন সাময়িক কিছু সুবিধা পাচ্ছেন কিন্তু মনে রাখবেন এমন একটা সময় হয়তো আসবে যখন জুকার অফিস আমাদের ভাতা দেবে সিনিয়রিটি মেইনটেইন করে!! যেমন ৫০০ শত টাকা করে প্রতি মাসে ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করলে ৮.১০% হারে ৫ বছর পরে পাওয়া যায় ৩৬,৭৯৫ টাকা। ঠিক তেমন আরকি!! যে যত টাকার এমবি ফেসবুক বাবদ খরচ করবে তাকে তত টাকার হিসেবে ভাতা দেবে। বুড়া বয়সে কাম নাই কাজ নাই জুকারের দেয়া ভাতার টাকায় এমবি কিনবো আর ফেসবুক চালাবো।
কি হিংসে হচ্ছে এসব শুনে? হবেইতো। সময় থাকতে থাকতে নিজের প্রোফাইলের Work’s at Facebook পাল্টিয়ে কাজের লাইন চেঞ্জ করেন ভাইলোক। পৃথিবীর সকল সফল আন্দোলন কিন্তু সাধারণ মানুষের হাত ধরেই হয়েছে। যারা সুবিধাভোগী তারা নিষ্পেষিত হয়েছে বারবার। আপনারা যারা ফেসবুকে work করে কিঞ্চিত পরিমান সুবিধা নিচ্ছেন তারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন অচিরেই। আইডি ডিজেবল হয়ে যায় নাকি সেটাই মুখ্য বিষয়।
এতক্ষন কষ্টকরে ধৈর্য্য সহকারে মনোযোগ দিয়ে এই লেখাটি পড়ার পর যারা এতটুকু আশান্বিত হলেন তারা চলুন আমার সাথে। সেই আশায় বসে থেকে থেকে লেবেনচুষ খাই। এই লেবেনচুষ কেনা বাবদ টাকার খরচের হিসেবটাও টুকে রাখবেন কিন্তু। বলা যায়না হয়তো জুকারের দয়া পরবশ হলে সেটারও ভাতা পেতে পারি আমরা। কষ্টের ফল অলওয়েজ মিঠা। ☺☺
৩৩টি মন্তব্য
ইঞ্জা
হক কথা কইছেন ভাইসা, ফেইসবুকে যারা ওয়ার্ক করে তারা কি ভাতা পায় তা জানতে মুঞ্চায়।
দারুণ লিখেছেন, সাথে বাঁশটাও মোটাসোটা ছিলো। 😂
তৌহিদ
ওহহো!! দাদা বাঁশে ত্যাল দিতে ভুইল্যা গেছি। সুরেশ খাঁটি সরষের তেল হবে নাকি কিছুটা। ধার দেন, বাঁশ পিছলা করুম। 😛
ইঞ্জা
এই সেরেছে 😠
তৌহিদ
বুঝনেইতো মোটা বাঁশ 😜😜
শবনম মোস্তারী
ভালো বলেছো।
works at facebook এর work টা আবার আমার জানার খুব ইচ্ছা 😁
তৌহিদ
জ্বী ধন্যবাদ, তারা আপনাকে বিস্তারিত জানালে আমাকেও জানাবেন কিন্তু!! ☺☺
আরজু মুক্তা
কামলা, ফেসবুকের কামলা! হা হা! এরা যে কি বুঝে আর কি বুঝাতে চায়!!
তৌহিদ
এরা নিজেরাও জানেনা সেটা, লিখতে হয় তাই লেখে।☺
নিতাই বাবু
সুন্দর একটি ভাবনার বিষয় তুলে ধরেছেন দাদা। আসলে সবাই এখন এই স্বাধের ফেসবুক নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকি। কী পাচ্ছি, আর কী হারাচ্ছি সেদিকে আমাদের কারোরই মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা শুধু ফেসবুকে হাজিরা দেওয়া। আমাদের হাজিরায় লাভবান ফেসবুক, লাভবান নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলো। আমরা হারাচ্ছি অর্থ। অযথা ব্যয় করছি সময়।
তৌহিদ
জ্বী দাদাভাই, কত সময় আর অর্থ যে নষ্ট হচ্ছে!!
শামীম চৌধুরী
তোমার বুদ্ধিমত্তার প্রশসংসা করতেই হয়। এক ঢিলে দুই পাখি মেরে দিলে। ভালই লিখেছো। তোমার অনুমতি নিয়ে খন্ড খন্ড অংশ কপি করতে চাই। সাথে আরেকটু রং ভরিয়ে।
তৌহিদ
আমার বুদ্ধিমত্তা কিছু আছে জেনে সুখী হলাম ভাই। সবাই বলে আমি বোকা। লেখা পড়েছেন বলে ধন্যবাদ।
কপি করুন ভাই, কোন সমস্যা নেই। সোনেলায় আরও লেখা আসুক এটাই কাম্য।
খুরশীদা খুশী
ভাতা পেলে মন্দ হয়না।
তৌহিদ
হ্যা আপু, নিদেনপক্ষে মেগাবাইট কেনা থেকে বেঁচে যেতাম।
জাহিদ হাসান শিশির
হে হে হে
তৌহিদ
হা হা হা 😃😃
রেহানা বীথি
হা হা, দারুণ মজাদার পোস্ট। আচ্ছামত কামলারা ধোলাই খেয়েছে 😃😃😃😄
তৌহিদ
আজ সক্কালেই একটা রিকুয়েস্ট এসেছে – work’s at facebook!!
বোঝেন অবস্থাটা!!😃😃
রেহানা বীথি
😀😀
ছাইরাছ হেলাল
এ সব কামলাদের আপনি কানপড়া দিচ্ছেন! দিন, কিন্তু কাজ হবে না।
হেভভি বেতনের কথা আপনি জানেন-ই না, তাই এ সব তুকতাক দিচ্ছেন।
ভাগ্যিস আপনার ফেসবুক নেই!
তৌহিদ
আমার ফেসবুক থাকলে কত কামলা যা আশেপাশে থাকতো!! তবে হেভভী বেতনের আশা করিনা, মাসিক মেগাবাইট দিলেই আমি খুশি কিন্তু!!
শাহরিন
ভাই ভুতের মুখে রাম নাম আরকি!! ভালো কাজে ব্যবহার করলে তো ভালো ফল পাওয়া যাবে 🙂
তৌহিদ
অনেকেই ভালো কাজে ব্যবহার করে, তবে সেটা অতি নগন্য আপু।
বন্যা লিপি
লেখা পড়ুম পরে…… আগেই নাম দেইখা, আমারো প্রশ্নখান মনো আইচ্চে….. ফেসবুক কামলারা কি কি কাম করে???
আর বেতন ভাতার পরিমান কেমন??
তৌহিদ
এখন পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করেনাই। বিস্তারিত জাইন্যা আপনেরে জানামু ☺☺
প্রদীপ চক্রবর্তী
হা হা হা..
দারুণ মজার গল্প দাদা।
ফেইসবুক কামলার অভাব নাই।
একঢিলে দু পাখি মেরে দিলেন দাদা।
.
ফেইসবুক কামলাদের ভাতার প্রয়োজন।
তৌহিদ
আমারও ভাতার প্রয়োজন দাদা, আচ্ছা জুকারের সাথে যোগাযোগের উপায় জানা আছে?
মনির হোসেন মমি
জেনে উপকৃত হলাম। কাজটাজ থাকলে দিয়েন।
তৌহিদ
আগে আমি পাইয়া লই তারপর আপ্নেরে দিমু ভাইটি ☺☺
জিসান শা ইকরাম
কেন যে অনেকেই লিখে রাখেন works at facebook বুঝিনা আসলেই।
রম্য ভালো হয়েছে।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
না বুঝেই লিখে রাখে হয়তো!!
লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই
শুভকামনা রইলো।
সুরাইয়া পারভিন
হা হা হা
এতো মিষ্টি করেও বাঁশ দেওয়া যায়!
কথা গুলো একদম সঠিক বলেছেন ভাইয়া।
দারুণ লিখেছেন 👏👏
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপু। এত পুরাতন লেখা খুঁজে নিয়ে পড়েছেন দেখে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ জানবেন।