একটি চড়ুই;
ফুড়ুৎ,
দুইটি চড়ুই;
ফুড়ুৎ,
পাঁচটি চড়ুই;
(ছটাস…ছটাস ছটাস)
পিছন থেকে শাপলা শালুকে ডাঁট দিয়ে চটাস করে উত্তম মধ্যমে ঠের পেলাম কেউ একজন আমায় কিলিয়ে কাঁঠাল নয় কিন্তু তক্তাতে পেরেক ঠোকার কাজ সারছে! ঘুরে দেখি ইনি আর কেউ নন আমাদের নীলা’দি!
-হতচ্ছাড়া, পাজি, নচ্ছাড় বদমাশ!
এক, দুই এরপর পাঁচ আসে কি করতে? বাকি ২ কি তুই মেরে দিলি (তিন ও চার) :@
এমন আচানক ফুলেল বেদম প্রহারে দিশা ভুলে জবাব দেই
-বাহ্রে! ফুড়ুৎ বললাম না! একটির পরে অন্য চড়ুই উড়ে গেলো, দুইটির পরেও তাই! সব মিলিয়ে চার আর তাই পাঁচটি চড়ুই গুনে নিলাম! চড়ুই কি আর ময়না শালিক নাকি যে গুনলে কাছে এসে শোনাবে! শুধু শুধু মারলে!
অগ্নিমূর্তি নিয়ে বাক্যবাণ ছুটে এলো
তবে রে! বাঁদরামো হচ্ছে ফুড়ুৎ ফাড়ুৎ নিয়ে! কাছে আয়!!
আর কি থাকা যায়! দিল দৌঁড়, আর যেতে যেতে শুনিয়ে দিলাম
-সারাক্ষণ তো আকাশ দেখো, বাতাস বলো, তবে শুনোঃ
মেঘ ও মেঘবালিকার উজান-ভাটি
উজানের বাতাস ধেয়ে আসছে, ভাটির চরে ফেলে রাখা ঘর বসতি। চর হতে চরাচরে
এ যেন মেঘ বালিকা খেলা ঘটি-বাটি,
নৌকোডুবির রাসলীলা ভেঙ্গে যায় হারানোর বাতাসে। মেঘ যায় মেঘ আসে তবু
মেঘ বালিকা খেলা থামে না!
সোনা ঝরানো সবুজ চিৎকার করে, উজানের প্রেমে ডুবে মরে। তবুও থাকে না কোন নিঃসঙ্গ উভচরী,
মেঘের মেদ জমে ধীরে ধীরে। ক্লেদ হয়ে হয়ে ধরা গড়াতে থাকে আবারো ভাটির টানে,
মেঘবালিকা প্রসন্ন হয়!শান্ত হয়!! থকথকে আশীর্বাদের ভীড়ে নবজাতক সবুজের কান্না
উৎসবের বাণ নিয়ে হানা দেয় আবারো। নম্র ইস্পাতরঙার তুন আহ্বান জানায় আবারো, পিলপিল করে ছুটে আসে রক্তের হোলি।
রঞ্জিত হয়, উর্বর হয়, লোভ হয়! আসর বসে যায় জমজমাট, ভুলে যায়, নবজাতকের ঘুনে ধরা অনুর্বর স্মৃতি নিয়ে উজান ভাঙ্গে ভাটিতে আর ভাটি গর্ভবতী হয় উজানে!
কি অদ্ভুত এই মেঘ ও মেঘবালিকার উজান-ভাটি!
https://youtu.be/0xHVgcGUUqQ
(চলবে)
৫৩টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
নীতেশ বাবু দেখছি পুরাই ধরা।
ব্যাপার না,
মেঘ, মেঘ বালিকা হয়ে ভেসে বেড়াবে
উজান-ভাটি আমাদের নিত্যি সহচর।
নীতেশ বড়ুয়া
ধরা মানে! এ তো শুরু, দৌঁড়ে কোথায় গেলান শুনতে হবে গুরু ;(
নীতেশ বড়ুয়া
ধরা মানে! এ তো শুরু, দৌঁড়ে কোথায় গেলাম শুনতে হবে গুরু ;(
নাসির সারওয়ার
স্মৃতির উজানে আসবেনা ভাটা
দৌঁড় থামবেনা থাকলেও কাঁটা।
অনেক ভাল লাগলো।
নীতেশ বড়ুয়া
এভাবে তো চলে মেঘের সাথে উজান ভাটির খেলা 😀
আপনার কবিতার অপেক্ষায় রইলাম -{@
অরুনি মায়া
মেঘ বালিকা মেঘলা বরণ মেঘলা অবয়ব
স্বপ্নে আসে স্বপ্নে ভাসে স্বপ্নে করে রব,,,,,, 🙂
বেঁচে গেলেন লেখা দিয়ে। নইলে,,,,
থাক তা আর না বলি,,,,,
নীতেশ বড়ুয়া
চলবে চলবে, আপনার পালাও আসছে। প্লট রেডি, পোস্টানোর বাকি…
😀 \|/
অরুনি মায়া
ওরে বাবা আমি পালাই। আগামী সাত দিন তাইলে আমি এই মুখ আর কাউরে দেখাবই না 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
পালাবেন কোথায়??? একেবারে ঘরে হতে তাড়িয়ে এখানে আনবো আবার \|/
অরুনি মায়া
ঘরে দুয়ার দিব আমি 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
দুয়া দিলে তো কি! জানালাও তো খোলা, আর তাই তো শ্রীকান্ত গেয়েছেনঃ
https://youtu.be/YgEuDZfsLZ4
অরুনি মায়া
জানালা ইট দিয়ে গেঁথে দিব
নীতেশ বড়ুয়া
শুনেন তবেঃ https://youtu.be/-EfKqIMW2RI?list=PLdxThRSuEjpreTfbx-anP0kGNNzoYpDLJ
অরুনি মায়া
আমার অনেক পছন্দের একটা গান। অনেক ধন্যবাদ 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
😀
তাহলে পালানো হচ্ছেই না \|/
লীলাবতী
নীতেশ ভাইয়া খোলস ভেঙ্গে বেড় হয়ে আসছেন মনে হচ্ছে? 🙂 খোলস ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাক।অতিব উত্তম পোষ্ট (y) -{@
নীতেশ বড়ুয়া
এখনো পুরনো লেখা দিয়েই সারছি, সাথে ঘটনা জোরা দিয়ে পুরনো কবিতাকে নতুন করে নিজেই চিনে নিচ্ছি। আপনার পালাও আসবে এই চলমান দৌঁড়ের সাথে… উয়েট লীলাপু… \|/
তবে আপনার খব্র আছে। অনেক বেশী চুপচাপ হয়ে আছেন! এমন লীলাবতী কি আমরা চেয়েছিলাম!>?
লীলাবতী
আপনার কাছে যা পুরানো আমাদের কাছে তা নতুন ঝকঝকে ভাইয়া।আপনার লেখা সব কবিতা চাই।আমি আবার কোথায় চুপচাপ।সরবই তো আছি,নেচে গেয়ে বেড়াই \|/
নীতেশ বড়ুয়া
অনেক গম্ভীর সব মন্তব্য অরেন 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
এই ছেলে আমি কি শুধু পেটাই? আর বকি? :@ :@
তবে এসব না করলে এই লেখাটা কি পেতাম?
দুষ্টু-নচ্ছার-বদমায়েশ-উল্লুক-পাজি-শয়তান-হতচ্ছাড়া শব্দগুলোর কাছে আজ কৃতজ্ঞ। ওদেরকে নেমন্তন্ন দেবো। 😀 :D)
দাদা গো উইথ লটস অফ লাভ। -{@ (3
কতো ভালো লিখেছেন দেখুন তো। আরোও বকবো লেখা না দিলে। সপ্তাহে অন্তত ২ টি। মনে থাকে যেনো :@
নীতেশ বড়ুয়া
এইটা বছর খানেক আগের লেখা :p
পুরনো লেখাগুলোকে নতুন ঘটনায় নতুন করে উপস্থাপন করবো এই কয়দিন। যে কয়জন আমার পিছে লেগেছে সবগুলোকে ধরবো ওগুলো দিয়ে। \|/
আমি কিন্তু আপনার কথোপকথন মিস করি। সেই দুইজনের!!!
আবার কবে লিখছেন?
নীলাঞ্জনা নীলা
অহম-তিরি?
অহম- জানিস গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে এখানে? বেশ হাওয়া আর ঠান্ডা। তোর স্বপ্নের নায়কের মতো ওভারকোট পড়ে হাঁটছি কাজ শেষ করে। আর তোকে তাই ফোন দিলাম। তোর বৃষ্টি এটি রে ছাগলী।
তিরি – দেখ প্রথম কথা আমি ছাগলী নই। আর আমার স্বপ্নের নায়ক কলার উঠিয়ে একটা টি-শার্ট পড়ে এলোমেলো চুলে হাঁটবে। ওভারকোট! ওয়াক।
অহম – বাহ শার্লক হোমস তোর বয়ফ্রেন্ড বলতি না?
তিরি – এখন শার্লক হোমস না। আমার সুইট হোম আছে। একটা পঁচা-দুষ্টু-আহ্লাদী-অভিমানী প্রিয় আছে। আর আছে একটা আজীবনের জন্য গৃহপালিত বন্ধু।
অহম – যা রাখলাম ফোন।
তিরি – আর যদি রাতে প্যানপ্যান করে ফোন দিস, খবরই আছে।
শুন্য শুন্যালয়
ওরে অহম এই পেত্নীকে ছেড়ে ভাগ, মে হু না?
নীলাঞ্জনা নীলা
ও শুন্য আপু পেত্নীটা কে? ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
আসবে আসবে। সবুরে মেওয়া ফলে। যদিও জানিনা কেমন ভাবে আসবে আর সবার মনকে ছুঁতে পারবে।
ও দাদা কোথায় জানি দেখলাম আপনি ব্যস্ত হয়ে পড়বেন কেউ আসছে। শুনুন অমন করেনা। কতো দৌঁড়ে থাকি, এই দেখুননা বাসে বসে সোনেলায় এসেছি। আপনি আছেন মেতে উঠছে সোনেলার উঠোন।
এই তৈলে কাজ না হইলে কহিবেন কোন তৈল পাঠাইবো। 😀 :D) \|/ -{@ (3
নীতেশ বড়ুয়া
বাজারের এক নং খাঁটি গাওয়া ঘিতে হবে না, হবে তিলের তেলে আবার ঘরের সর্ষে ভাঙ্গা তেলেও হবে না।
হবে শুধু মাত্র অহম-তিরিকে নিয়ে কথোপকথন চালু করলে। 😀
নীতেশ বড়ুয়া
এভাবে দিলে তো হবে না! অহম-তিরিকে নিয়ে আলাদা পোস্ট চাইইইইইই চাই। -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
:D) আপনি মহা বান্দর একটা ছেলে। ফুরুৎ ফারুৎ বলে নীলাপুর মাথা গুলিয়ে দেয়া হচ্ছে? পালাবেন কোথায়? ললিতা আপনার ভয়ে আগেই গ্রাম ছেড়ে দেশান্তরী হয়েছে 🙂
মেঘবালিকা খেলা থামেনা!! আহা। বড় সুন্দর কবিতাগো দাদা ভাই। পুরনো বলে বলে আমাদের কান ঝালাপালা কেন করছো? সব এনে হাজির করো। প্রত্যেকটি কবিতা চাই এখানে।
নীতেশ বড়ুয়া
ললিতা কি ভত্তাবউ? ;?
পালাতে দিলেই তো? ফুড়ুৎ করে দৌঁড় দিয়ে আবার নিয়ে আসবো :p
আপনার জন্যেও আছে স্টকে 😀
শুন্য শুন্যালয়
ললিতা ভত্তাবউ? ;? ঠাকুর ঘরে কে রে ,আমি কলা খাইনা র মতো হয়ে গেলো যে 🙂 লক্ষণ সুবিধার নয় মোটেই।
লীলাবতী আসেই তো, কিন্তু কি যেন হইছে অইটার। ধুর আপনি কোন কাজেরই না। সুড়সুড়ি দিয়ে অইটারে হাসান তো ।
নীতেশ বড়ুয়া
ল’তে ললিতা, ল’তে লীলাবতী 😀
অইটারে আমি ভুই পাই, ভূতের মতো :p
অইটার কি হইসে তা জানতে আপনাদের সম্মিলিত পোস্ট দরকার 😀
শুন্য শুন্যালয়
ল তে লাঠি, ল তে লন্ঠন। হাতে লাঠি আর লন্ঠন নিয়ে লীলাবতী কে তেড়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
টার্গেট অবশ্য আপনিই হবেন ,আপনি তারে ভূত বলেছেন, কত্তো সাহস 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
ল’তে লবডঙ্কা, ল’তে লম্পঝম্প।
লাঠি আর লন্ঠন হাতে তাকে আনেন তো জলদি 😀
লম্পঝম্প করে আপনাদের লবডঙ্কা দেখিয়ে আমি \|/ :p
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু তুমি না আসায় দেখো আমায় কতো কি বলে যাচ্ছে নীতেশদা। 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
আমি কিসসু বলি নাই। সব কে এসে যেন লিখে দিয়ে গেসে। আমি কিসসু জানি না :p
জিসান শা ইকরাম
ফুড়ুৎ ফাড়ুৎ শব্দ দুটো অনেক দিন পরে পেলাম
এমন লেখা চালু থাকুক
নীলার ফটুক আর নীতেশের মুখের হা করা ফটুক দেইখ্যা :D) :D) :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা বেশী বেড়েছো। দাঁড়াও তোমার জন্যেও আসছে। ও নীতেশদা কি আনছেন তো লেখা নানার জন্য?
একটু ধুনা দেবেন ভালো করে। 😀 :D)
নীতেশ বড়ুয়া
সবচাইতে নিরস মানুষ আপনার এই নানা। প্যাঁচালেও প্যাঁচ খুলে ঠিকই পোস্ট থেকে ছুটে চলে যান। উনাকে ধরতে ইতিহাসের সাথে পাতিহাঁস এক করে লোভ লাগাতে হবে ভাবছি ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
নীতেশদা ভালো করে চেপে ধরুন। রশি দিয়ে বেঁধে তারপর আমি দেবো ধুনা নানাকে। :D)
নীতেশ বড়ুয়া
কি রশি? পাটের নাকি নাইলনের! ;?
নীতেশ বড়ুয়া
:p
এহহ! ভং দেওয়া হচ্ছে!! ভ্রমণ কাহিনী কই জিসান ভাইয়া??? ;?
মেহেরী তাজ
তাই তো বলি পায়ের শব্দ আসে থেকে??? ;? হুম পরে বুঝলাম এটা নীতেশ দার কাজ। তাই হঠাৎ এই দৌড় ঝাপ কেনো? এমনি এমনি কি খোলস ছাড়তে পারছে না?????
নীতেশ বড়ুয়া
আপনার ভূতের দরোজা ছুঁতে এই দৌঁড়ঝাপ :p
কচ্ছপ হয়ে আছি তো 😀
মেহেরী তাজ
কচ্ছপ??! আপনি?? হাসালেন! মাস শেষে দেখা যায় আপনি রেসের ঘোড়া!!! :p : p
নীতেশ বড়ুয়া
মাস শেষে আমি ঘোড়ার পিঠে চড়া কচ্ছপই থাকি :D)
মেহেরী তাজ
আমার বিশ্বাস মাসের শেষে কচ্ছপ থাকেন আর মচ্ছপ থাকেন ঠিক তার ভেতরেই উল্কা স্পিডে দৌড়ের এনার্জি আপনার মধ্যে চলে আসে!!!
নীতেশ বড়ুয়া
;? রেসে জিতলে কি দিবেন তা আগে বলেন ;?
ব্লগার সজীব
ফুড়ুৎ করে মন্তব্য দিলাম, আর ফাড়ুৎ করে লগ আউট হলাম :D) -{@
নীতেশ বড়ুয়া
:@ হামলার ভয় পালালেন??? ছাড়ছি না কিন্তু :@
আগুন রঙের শিমুল
কি অদ্ভুত এই মেঘবালিকার উজান ভাটি
কি অদ্ভুত লেখা 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
আরশি ক্কাক্কা!!!!!!!!!!!
🙁 🙁 🙁
আগুন রঙের শিমুল
হুহু
নীতেশ বড়ুয়া
আমারে আর ডাকলাই না ;(