ফুড়ুৎ ফাড়ুৎ কবিতা

ভোরের শিশির ১৬ অক্টোবর ২০১৫, শুক্রবার, ১০:০০:৪৪অপরাহ্ন কবিতা, রম্য ৫৩ মন্তব্য

একটি চড়ুই;

ফুড়ুৎ,

দুইটি চড়ুই;

ফুড়ুৎ,

পাঁচটি চড়ুই;

(ছটাস…ছটাস ছটাস)

পিছন থেকে শাপলা শালুকে ডাঁট দিয়ে চটাস করে উত্তম মধ্যমে ঠের পেলাম কেউ একজন আমায় কিলিয়ে কাঁঠাল নয় কিন্তু তক্তাতে পেরেক ঠোকার কাজ সারছে! ঘুরে দেখি ইনি আর কেউ নন আমাদের নীলা’দি!

-হতচ্ছাড়া, পাজি, নচ্ছাড় বদমাশ!

এক, দুই এরপর পাঁচ আসে কি করতে? বাকি ২ কি তুই মেরে দিলি (তিন ও চার)  :@

 

ফুলেল প্রহার

 

এমন আচানক ফুলেল বেদম প্রহারে দিশা ভুলে জবাব দেই

-বাহ্‌রে! ফুড়ুৎ বললাম না! একটির পরে অন্য চড়ুই উড়ে গেলো, দুইটির পরেও তাই! সব মিলিয়ে চার আর তাই পাঁচটি চড়ুই গুনে নিলাম! চড়ুই কি আর ময়না শালিক নাকি যে গুনলে কাছে এসে শোনাবে! শুধু শুধু মারলে!

 

অগ্নিমূর্তি নিয়ে বাক্যবাণ ছুটে এলো

তবে রে! বাঁদরামো হচ্ছে ফুড়ুৎ ফাড়ুৎ নিয়ে! কাছে আয়!!

 

আর কি থাকা যায়! দিল দৌঁড়, আর যেতে যেতে শুনিয়ে দিলাম

-সারাক্ষণ তো আকাশ দেখো, বাতাস বলো, তবে শুনোঃ

 

মেঘ ও মেঘবালিকা উজান-ভাটি

 

উজানের বাতাস ধেয়ে আসছে, ভাটির চরে ফেলে রাখা ঘর বসতি। চর হতে চরাচরে

এ যেন মেঘ বালিকা খেলা ঘটি-বাটি,

নৌকোডুবির রাসলীলা ভেঙ্গে যায় হারানোর বাতাসে। মেঘ যায় মেঘ আসে তবু

মেঘ বালিকা খেলা থামে না!

সোনা ঝরানো সবুজ চিৎকার করে, উজানের প্রেমে ডুবে মরে। তবুও থাকে না কোন নিঃসঙ্গ উভচরী,

মেঘের মেদ জমে ধীরে ধীরে। ক্লেদ হয়ে হয়ে ধরা গড়াতে থাকে আবারো ভাটির টানে,

মেঘবালিকা প্রসন্ন হয়!শান্ত হয়!! থকথকে আশীর্বাদের ভীড়ে নবজাতক সবুজের কান্না

উৎসবের বাণ নিয়ে হানা দেয় আবারো। নম্র ইস্পাতরঙার তুন আহ্বান জানায় আবারো, পিলপিল করে ছুটে আসে রক্তের হোলি।

রঞ্জিত হয়, উর্বর হয়, লোভ হয়! আসর বসে যায় জমজমাট, ভুলে যায়, নবজাতকের ঘুনে ধরা অনুর্বর স্মৃতি নিয়ে উজান ভাঙ্গে ভাটিতে আর ভাটি গর্ভবতী হয় উজানে!

 

কি অদ্ভুত এই মেঘ ও মেঘবালিকার উজান-ভাটি!

https://youtu.be/0xHVgcGUUqQ

 

 

(চলবে)

৭৫২জন ৭৫২জন
0 Shares

৫৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ