লীলাবতী দি র টমেটো উৎসবের রেশ ধরে আরেকটি উৎসবে ফিরে গেলে কেমন হয়?
এবার ফুল উৎসব। পুরো নাম ফ্লোরিয়াড ফুল উৎসব। অস্ট্রেলিয়ার বসন্ত উদযাপনের সবচেয়ে বড় উৎসব এটি। প্রতিবছর মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য অক্টোবর এক মাস জুড়ে ক্যানবেরা তে অনুষ্ঠিত হয়।
২০১২ সালে ছুঃ মন্তরের মতো সুযোগ পেয়ে গেলাম ঢু দেবার। ক্যানবেরার কমনওয়েলথ পার্কে লেক বারলে গ্রিফিন এর ধার ঘেষে এতো রঙ এর ফুল দেখাটা সত্যি এক অসাধারন অনুভূতি।
ফ্লোরিয়াড ফুল উৎসবের ইতিহাসঃ অস্ট্রেলিয়ার দুইশতবর্ষ এবং ক্যানবেরার ৭৫ জন্মদিন উপলক্ষ্যে ১৯৮৮ সাল থেকে এই অনুষ্ঠানটি হয়ে আসছে প্রতিবছর। পিটার সাটন এবং তার সহকর্মী ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইনার ক্রিস ডি ব্রুনি প্রথম এই ফুল ডিসপ্লের ডিজাইনটি করেন।
প্রতি বছর প্রায় চার লাখ ভিজিটর এই সময়টিতে ক্যানবেরা কে মুখিয়ে রাখেন, এই উৎসব পালন উপলক্ষে। ছোটখাটো শহর ছেড়ে এতো মানুষকে একসাথে দেখে, নিজের দেশে ফিরে গিয়েছিলাম একদিনের জন্য। আর গাড়ি পারকিং এর জন্য এক ঘন্টা ঘুরে বেড়ানোও মন্দ লাগেনি।
এতো মনোরোমা এই ফুলের সমাহারের পেছনে কস্ট কিন্তু কম নয়, শরত থেকে বসন্ত পুরো ন’মাস জুরে চলে প্রায় এক মিলিয়ন এই ফুলের পরিচর্যা।
বসন্তের ফুলেরা সেজেছে তেমন করে…
আমি সাদা-কালো চোখে চেয়ে দেখি, জগতের সব রঙ নিয়ে বসে আছে তারা।
ফুল উৎসব হলেও এটিকে টিউলিপ উৎসব বলেই মনে হয়েছে আমার, প্রায় আশিভাগ ফুলই টিউলিপ, তবে এতো রঙ এর টিউলিপ একসাথে দেখতে পাওয়াও চমৎকার এক অনুভূতি।
ফুলের বিছানা, তবে ছুঁয়ে দেখা মানা। কিছু সৌন্দর্য না ছোঁয়াই ভালো।
ক্ষুধার্ত চোখের পরিপূর্ণ পুজো সমাপন। বেঁচে থাকো সুন্দরেরা।
সোনেলার সবাইকে সাথে নিয়ে এই ফুল উৎসব দেখতে পারলে কেমন হতো বলুন তো?
প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন থিম নিয়ে উদযাপন হয় এটি। যেই ফেরি’স হুইল টা দেখা যাচ্ছে, ওটাতে চড়লে উপর থেকে পুরো থিম টা চোখে পরে। সেবার ছিলো FLORIADE লেখা, এভাবে ফুলগুলো সাজিয়েছে তারা। তবে সময় কম থাকায় এটা আমরা মিস করেছি।
৫৯টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
এ দেখছি ফুলারেণ্য !
শুন্য শুন্যালয়
হুম, সামনের সৌন্দর্য ভয়াবহ।
ছাইরাছ হেলাল
মোবাইল কেন ?
ক্যামেরার ছবি চাই ।
শুন্য শুন্যালয়
২০১২ তে যে আমার ক্যামেরা ছিলোনা 🙁
ছাইরাছ হেলাল
দুঃখিত ।
শুন্য শুন্যালয়
আবার দুঃখিত কেনো? আমি তখন ছবির অনুরাগিও ছিলাম না।
আমরা কি কখনই অন্য কারো ছবি দেখতে পাবোনা?
কি কপাল আমাদের 🙁
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই দেখতে পাবেন ,একটু অপেক্ষা মাত্র ।
শুন্য শুন্যালয়
অপেক্ষার ফল আসলেই মিঠা হয় 🙂
প্রজন্ম ৭১
এত্ত ফুলের সমাহার ? সোনেলাকে ফুল দিয়ে চাঁপা দিয়ে দিচ্ছেন দেখি 🙂
শুন্য শুন্যালয়
হুম অনেক ফুল নিয়ে এসেছি 🙂
ব্লগার সজীব
পোষ্ট দেখে মন উথাল পাতাল। এত ফুল দেখে উদাস হয়ে গেলাম। বিয়ের পরে স্ত্রীকে নিয়ে দেখে আসবো ইনশয়াল্লাহ। আপাতত আপনার চোখ দিয়ে দেখে নিলাম 🙂
শুন্য শুন্যালয়
জ্বি নিশ্চয়ই নিয়ে যাবেন। তা ভাইয়া, আমরা বিয়ের দাওয়াত পাবো তো?
ব্লগার সজীব
পাবেন পাবেন, কিন্তু দাওয়াত কি সোনেলায় দিয়ে দেবো ? 🙂
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ দিয়ে দিন। পুরো সোনেলা টিম নিয়ে হাজির হবো আপনার বিবাহে।
স্বপ্ন নীলা
এ যে ফুলের রা্জ্য !! যে রাজ্যে ফুলকুমারী আছে আর সেই সাথে ফুল কুমার — এক দিন তাদের মধ্যে প্রেম হলো — অনেক বিপত্তিও হলো !! অবশেয়ে বিয়ে হলো !! এখন তারা সুখে শান্তিতে বাস করতে লাগলো — এখনো ফুল ফোটে– পাখি গান গায় ——
তোমাকে এত্ত এত্ত ধন্যবাদ আপুনি !! অনেক বিষয় জানা হলো —— এমনি করে দাও আরো অনেক অজানা কাহিনী ——
শুন্য শুন্যালয়
কি সুন্দর করে বলে আপুনিটা। ফুলকুমার আর ফুলকুমারী সুখে শান্তিতে বসবাস করে এখনও এই রাজ্যে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও আপু।
বন্দনা কবীর
আপনি একা কেনো গেলেন এত ফুলের মাঝে, আমাকে কষ্ট করে একটু নক করতেন, আমিও যেতাম 🙂 ফুলের ছবি গুলো দেখে মন আরো ভালো হয়ে গেলো। আপনি ছবি ভালো তুলেন। ক্যামেরার ফটোর ছবি ব্লগ চাই শুন্য।
শুন্য শুন্যালয়
এরপর নক করলে আসতেই হবে কিন্তু। ফুল দেখলে আরো মন ভালো হতো নিশ্চিত। ছবি তুললে দিতে একদমই দেরি করিনা। 🙂
মরুভূমির জলদস্যু
আহা প্রানটা জুড়িয়ে গেলো -{@
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
এই ফ্লোরিয়াড ফুল উৎসব এর কথা জানতাম না।
কত কিছুই যে অজানা থেকে গেলো।
চমৎকার বর্ননা আর সুন্দর ফুল গুলো দেখানোর জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ফুল দেখে আমার তোলা ক্যাম্রেরায় কিছু ফুলের কথা মনে পরে গেলো।
উত্তর কোরিয়ায় তুলেছিলাম।
বর্নময় লীলাবতীর পোষ্টের পরে আপনার এত রঙ্গিন ফুলের পোষ্টই কেবল মানায়।
লীলাবতী, শুন্য শুন্যালয় দুজনেই সুন্দর।
শুন্য শুন্যালয়
ছবি তুলে বাক্সবন্দি করে রাখলে হবে? আমাদের বুঝি দেখতে ইচ্ছে করেনা?
আপনি তো কতো দেশ ঘুরেছেন, চাইলে কতো কিছু শেয়ার করতে পারেন, কিন্তু সবাই আসলে কেপ্পন।
লীলাবতী দি অবশ্যই সুন্দর, মন দেখা যায় তার।
অজানা থেকে এবার আমাদের জন্য কিছু ছাড়ুন।
জিসান শা ইকরাম
ফুল দেখে ফুলের কথা মনে পরলো।
একই রকমের ফুল সব।
ফুলের পোষ্ট দেবো অবশ্যই ।
লেখার ইচ্ছে আছে আমারো, সময় করে উঠতে পারিনা।
দেখি ভ্রমণ লেখা শুরু করা যায় কিনা ?
বনলতা সেন
লীলাবতী কে তো এখনও দেখতে পেলাম না ।
এত ফুলের রাজ্যে নিজেকে ভাবতে ইচ্ছে করে । ত এই ফুলে গন্ধ কেমন ?
এক এক ফুলে এক এক রকম ?
শুন্য শুন্যালয়
লীলাবতী দি অনেক ব্যস্ত মানুষ, তাকে আবার ইনবক্স ও সামলাতে হয় 🙂
এমন ফুলের রাজ্যে সবাই মিলে যাবার অনুভূতি অন্যরকম ই হতো আসলে।
ফুলের গন্ধ একই রকম, বেশির ভাগই গন্ধবিহিন। রূপের কাছে বাকি সব ফেল মেরেছে।
বনলতা সেন
কাগুজে ফুল ! যতই সৌন্দর্য দেখাক আমার গন্ধ পাগল মানুষ।
আপনি সব ফুলে অতিদ্রুত গন্ধ ছড়িয়ে দিন। সোনেলায় বসে যেন বুক ভরে টেনে নিতে পারি ।
শুন্য শুন্যালয়
বনলতা দির মতো বুনো বুনো গন্ধ আমি কেমন করে ছড়াই? 🙁
বনলতা সেন
উহ, কী যে বলেন !
ফুলের পরিচয় রূপে নয় গন্ধে ।
পুষ্পবতী
এইতো দেখছি ফুলের মেলা।প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো আপু। -{@
শুন্য শুন্যালয়
পুষ্পবতীর তো ফুল দেখে প্রাণ জুড়াবেই 🙂
পুষ্পবতী
হাহাহা 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে
আমার সোনালি ব্লগ এভাবেই প্রফুল্ল হক সব মন।
সুন্দর খুব সুন্দর।
শুন্য শুন্যালয়
আমাদের ছোট সোনেলা এভাবেই রঙে রঙে ভরে থাকবে।
অনেক ধন্যবাদ মজিবর ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম আপনার পোষ্টে,
প্রথম পাতায় আপোনার এই পোষ্টের সমস্ত লেখা গুলো একসাথে পড়া যায়।
পোষ্টে গেলে প্রতিটি ছবির সাথে আলাদা আলাদ।
দারুন — (y)
কিভাবে করলেন এটি ?
শুন্য শুন্যালয়
হুম হুম বলা যাবেনা :p
জিসান শা ইকরাম
চেষ্টা করেও পারলাম না
থাক এটি আপনার একারই।
সবাই এভাবে করলে হয়ত ভালো লাগবেনা
এটা আপনার নিজস্ব ইস্টাইল হয়ে যাক ।
শুন্য শুন্যালয়
হুম এইটা শুন্য স্টাইল 😀
খসড়া
বর্ননা ছবি দুই ই মনমুগ্ধকর।
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ ভাইয়া। -{@
নুসরাত মৌরিন
এত সুন্দর…এত সুন্দর!!
এটা স্বর্গ নয় পৃথিবীতেই…!! কি অবাক কান্ড!!
আপনি না বললে তো জানাই হতো না…অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দরের সমাহার কে এখানে নিয়ে এসেছেন বলে… 🙂
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু। ছবির চেয়ে সামনাসামনি সৌন্দর্য আরো সুন্দর।
আগুন রঙের শিমুল
অনেক অনেক সুন্দর হইছে শুন্য 😀
ইয়ে একলাই গেছিলেন ;?
শুন্য শুন্যালয়
না, হ্যান্ডেল বাক্সপেটরা সব সহ গেছিলাম 😀
কৃন্তনিকা
অতি মনোরম… (y)
সোনেলাকে পুষ্পবৃষ্টিতে স্নাত করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার জন্য রইল -{@ -{@ -{@
শুন্য শুন্যালয়
আপনি তো গোলাপ বৃস্টিস্নাত করলেন 🙂 অনেক ধন্যবাদ।
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
ফুলের উৎসব হয় জানা ছিলনা। জানলাম অনেক কিছু আপনার পোষ্ট থেকে। ছবিতেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। বাস্তবে কেমন তা কল্পনাতেও আনতে পারিনি। ‘ কিছু সৌন্দর্য না ছোঁয়াই ভালো। ‘ আপু আপনি ঠিক বলেছেন।
শুন্য শুন্যালয়
বাস্তবে অনেক সুন্দর আসলে আপু। শুনেছি এরকম ফুলের উৎসব অনেক দেশেই হয়। তবে আমি প্রথম দেখেছি, অন্যরকম অনুভূতি আসলেই।
মিসু
অসাধারন উপস্থাপনা, ফুলের রাজ্য হতে এত সুন্দর ফুল এনে আমাদের দেখানো আর অজানা ফুল উতসবের তথ্য জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।
লীলাবতী
এই পোষ্ট আমাকে উপহার দেয়া হয়েছে ? এত ফুল পেয়ে আমি তো আনন্দে মরে যাবো আপু। লেখার শুরুতে আমি শেষেও আমি 🙂 এতটা যোগ্য আমি নই আপু। আপনি অনেক অনেক সুন্দর।
ফুল দেখে ধেই ধেই করে নাচতে ইচ্ছে করছে। দারুন উপস্থাপনা আর ফুলের ছবিতে ফুল উৎসবের টেষ্ট পেলাম। জানা হলো একটি নতুন উৎসবের কথা।
আপনার পোষ্ট আর আমার পোষ্টের পার্থক্য হচ্ছে, ছবি গুলো সব আপনার তোলা। আমার সব নেট কালেকটেড। অতএব ইউ আর গ্রেট 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ছবিগুলো নেট থেকে নিলেও পোস্টে উৎসবের আমেজ আনা কিন্তু কঠিন কাজ, লীলাবতী দির জন্য অবশ্য সহজ। আপনার দেরি দেখে ভাবলাম বিয়ে টিয়ে নিয়ে ব্যস্ত কিনা। 🙂
পোস্টটা আপনাকে দেখেই অনুপ্রানিত। অনেক ভালো থাকুন, হাসি আনন্দে মাতিয়ে রাখুন সবাইকে।
মিথুন
এই উৎসবের কথা আগে জানতামই না আপু। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন, ফটোর ফুলগুলো একদম জীবন্ত। ইচ্ছে করে ছুয়ে দেই। আপনি, লীলাবতী দি দুহনেই সুন্দর। আমার জন্য নাকি কি এক উপহার আছে, কথাটি আপনাকে মনে করিয়ে দেবো না :p
শুন্য শুন্যালয়
উপহারের কথা মনে করিয়ে দিতে নেই 😛 আপনিও খুব সুন্দর।
আশা জাগানিয়া
ইশরে আপু নিজে কত সুন্দর ফুলের বাগান দেখেছেন।কবে যে এমন ফুলের সমাহার দেখবো 🙁
শুন্য শুন্যালয়
চলে আসুন আমার এখানে। আবার একসাথে দেখে আসি। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু কি সুন্দর ফুল!
জানো আমি হল্যান্ডে টিউলিপ গার্ডেন দেখতে গিয়েছিলাম! উফ কি যে সুন্দর! ঠিক এমন।
শুন্য শুন্যালয়
হুম সেই ছবিগুলো কি করছো? দেখিয়ো আমাদের। এখানকার লেকটাও খুব সুন্দর। লেকের পাড়ে ফুলগুলো অন্যরকম ভিউ ছিল। মোবাইলে বেশি তুলতে পারিনি।
ছবি দিও আপু। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ছবিগুলো আছে ফেসবুকে। তবে কাষ্টমাইজ করে রেখেছি। আচ্ছা পোষ্ট দেবো কখনো।
জানিনা কখনো অষ্ট্রেলিয়া যাওয়া হবে কিনা! যাবার খুব ইচ্ছে! কিন্তু ইচ্ছে আর স্বপ্ন দুটোই শুধু ভ্যাংচি কাটে। 🙁
শুন্য শুন্যালয়
চলে আসোনা আপু!! এসে ভেংচিদের ভেংচি কেটে দাও। ছবি অবশ্যই দেবে। অপেক্ষায় রইলাম।