একটা সময় ছিলো যখন মনে প্রাণে এই কথাটা বিশ্বাস করতাম। হয়ত তখন ছোট মানুষ ছিলাম বলেই এমন থিউরি বিশ্বাস করতে ভালো লাগতো। বর্ষা নামলেই রীতিমত চিন্তায় থাকতাম না জানি এই বর্ষার প্রথম কদম আমায় কে দেয়। আর আমিই বা কাকে দেবো!
স্কুল পাশ করে কলেজে ওঠার সাথে সাথে গোলাগের প্রতি একটা নেশা ধরে গেলো! সবাই জন্মদিনে, ফ্রেন্ডশিপ ডে, এই শিপ ডে, সেই শিপ ডে বিভিন্ন দিনে গোলাপ দেওয়া শুরু করলো! সেই সাথে পড়া লেখার চাপে কদম নামক হলুদ সাদা ফুলটার স্মৃতি ফিকে হতে শুরু করলো!
দেখতে দেখতে কলেজ পাশ করে অনার্সে ভর্তি হয়ে গেলাম। এই সময়ের একমাত্র চিন্তা মাথায় ছিলো রেজাল্ট ভালো করতে হবে। মানে পড়তে হবে। যখন অনার্স লেভেলে একটা মোটামুটি ফ্রেন্ড সার্কেল হয়ে গেলো তখন প্রায় দিন সবাই মিলে এখানে সেখানে ঘুরতে বের হতাম। চা, ফুচকা, চটপটি মুড়িমাখা এই ধরনের ছোট ছোট খাবার গুলোর উপর এক্সপেরিমেন্ট চলতো! বিভিন্ন কারনে আর সময়ের ব্যবধানে কদম নামক ফুলটার কথা একেবারেই ভুলে গেলাম এই সময়। সেই সাথে ভুলে গেলাম কদম থিউরি।
এবার যখন বাড়ি গেলাম তখন আমার ছোট বোন আমায় এক ধাক্কা দিয়ে কদম থিউরির সময়ে ফেরত নিয়ে গেলো! ওর সাথে আমার কিছু কথোপকথন :
সে: আপু? এই বর্ষায় কদম দেখছিস!?
আমি: নাহ!
সে: তোর কি সেই কথাটা মনে আছে?
আমি: কোনটা? ( আমি বুঝতেছি, তাও)
সে: ওই যে “বর্ষার প্রথম কদম তোমাকে যে দিবে সেই সারাবছর তোমায়…….”
আমি: হুম মনে আছে
সে: তোকে এবার কেউ কদম দেয় নি?
আমি : না……..!
সে: ভালো হইছে।
আমি চোখ গরম করে তার দিকে তাকাতে গিয়ে দেখি সে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেছে অনেক আগেই।
পরের দিন সকাল বেলা ঘুমের মধ্যে কিসের যেনো গন্ধ পেয়ে চোখ মেললাম। চোখ ঘষে বোঝার চেষ্টা করলাম কিসের গন্ধ! পারলাম না! রুমের আলো জ্বালিয়ে আমি আশ্চর্য হয়ে গেছি! রুমের পড়ার টেবিলের এক পাশে অনেক গুলা “কদম ফুল”। গন্ধটা কদম ফুলের! এতো সুন্দর সদ্য গাছ থেকে নামানো কিছু ফুল! আমি এক সময় এই অদামীফুল গুলো অনেক পছন্দ করতাম! এখন ও করি সেটা ঠিক বুঝতেছিলাম না! ফুল গুলো দেখার পর সেটা আবার মনে হয়েছে! এখন আমার ভাবতেই ভালো লাগছে। কেউ যদি আমায় প্রশ্ন করে “তোমার পছন্দের ফুল কি”? আমি বলতে পারবো! কোন দোটানা থাকবে না। আমি বলতেই পারবো আমার পছন্দের ফুল “কদম”। 🙂
রাস্তার পাশে ফুটে থাকা ফুল গুলোও “ফুল ” হয়! সব ফুলের নাম থাকে না, দামও থাকে না! কিন্তু প্রত্যেক ফুলেরই একটা গন্ধ থাকে। সেই গন্ধ দিয়েই ভালোবাসার তীব্রতা প্রকাশ করা যায়।
৩৭টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
খুব টের পাচ্ছি, আপনি আর পিচ্চি নেই।
গন্ধ দিয়ে চেনা যায়
সেটাই হয় দায়;
ভালোবাসার ভালোবাসায়,
এমন লিখলে আমরা দেরি করতে রাজি, রাজি,
মেহেরী তাজ
এর পরের পোষ্টে দেখা যাবে আপনিই আবার আমায় পিচ্চি ডাকলেন!
কিংবা আমি সব কিছু গুছিয়ে নিলাম আর নন্দিনী আপু এসে আবার কিছু অকাট্য যুক্তি দিয়ে আমায় পিচ্চি বানায়ে দিলো! তার চেয়ে বাবা এই পিচ্চিই ভালো!
ভাইয়া ভালোবাসায় কোন দায় থাকে কি?
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, আপনি বড় পিচ্চি এবার থেকে,
অবশ্যই ভালোবাসার অনেক দায়,
শুনুন, যেতে যেতে একটি ফুল পছন্দ করলেন, দূর থেকে ভালবাসলেন, এ পর্যন্ত ঠিক আছে,
কিন্তু যখনই তুলে নিয়ে কাছে টানলেন তখন এর দায়টুকুও নিলেন, এ দায়ে আছে বিঘৎ আনন্দ ও বেদনা।
আনন্দের বেদনা, বেদনার আনন্দও, যা সবটুকুই আপনার, একান্তই আপনার।
তবে ভালোবাসা ভালোলাগায় হিসাব-নিকাশ থাকে না। হিসাব করে হয়ও না।
ভালোবাসা ভাল না কিন্তু!!
মেহেরী তাজ
হা হা হা হা হা :D) পিচ্চি আবার কেমনে বড় হয়? হয় পিচ্চি নয় বড় দুটার যেকোনো একটা বলতে হবে!
আচ্ছা সব দায় যদি ভালোবাসার জন্য হয় তাহলে সে দায় নিতে রাজি আছি!
যাক বাবা হিসেব-নিকাশ ব্যাপারে ক্লিয়ার হওয়া গেলো!
ভালোবাসা ভালো না হলেও ভালোবাসা ভালোবাসা…..
শুন্য শুন্যালয়
এই থিউরী আমি কেন কোনদিন শুনিনি, তাইতো আমারে কেউ কোনদিন কদম দিলোনা, ভালোও বাসলোনা 🙁
কি সুন্দর করে লিখেছিস, গন্ধের তীব্রতা দিয়ে ভালোবাসা বোঝা যায়, তবে কী হাসনাহেনা কিংবা গন্ধরাজ জিতে যাবে? না, আলাদা সুগন্ধে আলাদা ভালোবাসা। রজনীগন্ধার একরকম, গোলাপের একরকম, কাঠগোলাপের আরেকরকম।
এতো ভালো লিখেও পার পাওয়া যাবেনা, যদিনা আমাকে তুই কদম দিস, মনে থাকে যেন। (3 -{@
বাই দ্যা ওয়ে, আসলেই তোর লেখায় কে বলবে তুই পিচ্চি?
মেহেরী তাজ
এমন থিউরী শুনেন নাই? আচ্ছা পরের বার আমি বলে বলে শুনায়ে দিবো! কেমন?? :p কদম না দিলেই বুঝি কেউ ভালোবাসে না? 🙁 আপু সব সময় তীব্র গন্ধের ফুল ই জিতে যাবে তা কিন্তু নয়। একেক সময় একেক টা জিতবে!
আপু কদম ত দেওয়া যাচ্ছে না। আপনি সেই সাত সুমুদ্দুর তেরো নদীর ওপারে থাকেন। তাই বাতাসকে বলে দিলাম এই কদম গুলোর যে গন্ধ গুলো ওদের কাছে আছে তা যেনো আপনাকে পৌঁছে দেয়। হবে না???? 🙂
বাই দ্যা ওয়ে আপনি এখন ও আমায় পিচ্চি বলতেই আছেন!!!!!!!!! ;?
শুন্য শুন্যালয়
থিউরী তো তাই-ই বলে 🙂
তবে কথা সত্য কিনা তা কদম পেয়ে বলতে পারবো। 🙂
এভাবে গন্ধ পাঠানো যায় বুঝি? বাতাস খুবই হিংসুটে, বুঝেছিস? কার টা কাকে পাঠাবে ঠিক নেই।
সেকি আমি আবার কখন তোকে পিচ্চি বললাম পিচ্চি? পিচ্চি পিচ্চি পিচ্চি। তুই হচ্ছিস কদমের কলি 😀
মেহেরী তাজ
আপু বাতাস হিংসুটে হয় ঠিক আছে। কিন্তু এখানে উল্টাপাল্টা হবে না আমার বিশ্বাস। কারন এখানে তার নিজের ও স্বার্থ আছে……
বড় মানুষ বড় মানুষ বড় মানুষ…… আপনি হলেন উম্মম্মম্মম্মম ;?আপনি! 😀
ক্রিস্টাল শামীম
টাকা দিয়ে আমি ফুল কিনিনা, তাই আমার কদম ফুল পছন্দ ,,,,,,
কিন্তু টাকাদিয়া গাছ কিনতে ভালোলাগে। আমরা যেমন লেখা দেখলে বোঝতে পারি এটা মেহেরী তাজ ভাই। আপনিও গন্ধ শুনে ,,,,,,,,,,, লেখাটা মন ছুঁয়ে দিলো। (3
মেহেরী তাজ
টাকা দিয়ে কেনা না কেনা নয় ভাইয়া! আসলে সৌন্দর্য বিষয় টা হচ্ছে আসল!
বকুল কিনতে পাওয়া যায় কি না আমি জানি না তবে প্রত্যেক বছর আমি বকুল ফুল কেনার ব্যবস্থা করি! আমি বেলি ফুল কিনি! ছোট বোনদের কাছ থেকে!
ভাইয়া……..! লেখা মন ছুঁয়েছে শুনে ভালো লাগলো!
দোয়া করেন ভাইয়া যাতে আপনার ছোট বোন ” মেহেরী তাজ” এর চেয়েও ভালো লিখতে পারে।।।।। 🙂
ধন্যবাদ ভাইয়া…..! 🙂
মিষ্টি জিন
কদম আমার ও ভীষন পছন্দ। ভাগ্যক্রমে বরষায় দেশে এলেই চোখ খালি কদমফুল খুঁজে বেড়ায়।
আহারে আপু …
জীবনে আমাকেও কেউ কদম দেয় নাই :p
মেহেরী তাজ
আপনারও কদম পছন্দ? হুম এটা পছন্দ হওয়ারই কথা!
কেউ কোন দিন কদম দেয় নি? কি আর করবেন আপনার তো আর আমার বোনের মত ছোট বোন নাই! থাক থাক আপু আফসোস করেন না!
সব পেলে নষ্ট জীবন……. 😀
হাবিব শুভ
সুন্দর হয়েছে 🙂
মেহেরী তাজ
ধন্যবাদ আপনাকে! 🙂
মৌনতা রিতু
বরষায় অনেক কদম ফোটে নিচে পড়ে ঝরে যায়। এতো সুন্দর সাদা বাদামী ফুলটি বাদুরের প্রিয় খাবার।
যাইহোক, সে অন্য কথা। তা ননদীনি ঘুম থেকে উঠে গেলে কদমের গন্ধেই ! বাহ! তুমি কি জান ? এই কদম, কাশ, কৃষ্ণচূড়া আমার প্রিয় ফুল। পথের পাশে হাঁটার পথে ঐ যে ছোট ছোট সাদক ফুল আমার খুব পছন্দের।
যে ফুল দিয়েছে সে হাতে ফুল নিতে চাইনি, যে হাত ফুল দিতে কার্পন্য করেছে সেই ফুল দেখার অপেক্ষায় কেটে গেল অনেকটা পথ।
ভাল হয়েছে।
মেহেরী তাজ
ভাবী এতো সুন্দর সুন্দর সব পাখি যদি মানুষের খাবার হতে পারে তাহলে একটা ফুল কেনো পাখিদের প্রিয় খাবার হতে পারে না?
সে যাক ভাবীজান। কে কি দিলো না দিলো! কে কার্পণ্য করলো কেন করলো, কেন পথ কেটে রাস্তা হয়ে গেলো সব বাদ! আপনার ননদিনী আপনাকে সম্ভাব্য সব ফুল দেখাবে। আপনি রেডি তো? 🙂
জিসান শা ইকরাম
ছোট সুন্দর একটি লেখা,
অযথা লেখাটি টেনে বড় করার কোন চেষ্টা নেই,
বিষয়বস্তু, ভাবনা প্রকাশে যতটুকু শব্দ বাক্য প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই ব্যবহার করা হয়েছে।
এমন পোষ্টকেই তাজীয় পোষ্ট বলে 🙂
এই পোষ্টে তো কদম ফুলের ঘ্রানে মৌ মৌ করছে……
গন্ধ দিয়েও তাহলে বুঝতে পারা যায়?
এই বুড়ো বয়সে এটি শেখা অবশ্য বাকী ছিল
জানার কোনো শেষ নাই।
মডুদের প্রতি আবেদন, মন্তব্যের নীচের ইমোতে গোলাপের পরিবর্তে কদম ফুল দেয়া হোক 🙂
শুভ কামনা।
মেহেরী তাজ
তাহলে আমার পোষ্ট হচ্ছে তাজীয় পোষ্ট? আচ্ছা ঠিকাছে! 😀
দাদা অনেক জিনিস শেখা বাঁকি! তাই বলা হয় “জানার কোন শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই”। 😀
হুম দাদার দাবি মানতে হবে গোলাপের জায়গায় কদম ফুল দিতে হবে…. 🙂 \|/
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ তজীয় পোষ্ট, এ বিষয়ে সবাই একমত হবেন আশাকরি।
গোলাপের চেয়ে কদম ফুল দেখতে ভাল লাগে আমার কাছে।
কিন্তু মডুরা আমাদের মত সাধারন ব্লগারের কথা শুনবে বলে মনে হয় না।
আবু খায়ের আনিছ
ফ্রিতে পাওয়া যায় তো তাই মনে হয় মূল্য কম। যাইহোক, বর্ষায় কদম না দেখলে বর্ষাকে বর্ষা মনে হয় না।
আমার বাড়িতে পুকুর পাড়ে কদম গাছ আছে, বাড়িতে গেলে ঐ জায়গায় বসে আমি জোছনা দেখবই দেখব।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া প্রত্যেকটা জিনিসের একটা এক্সপায়ার ডেট থাকে! কদমের সেই ডেট খুব তাড়াতাড়ি আসে! হাতে নিয়ে দেখতে কদম যতটা সুন্দর গাছের গোড়ায় পড়ে থাকা পঁচা কদম ঠিক ততটায় বিচ্ছিরি।
কদম গাছের গোড়ায় গিয়ে চাঁদ দেখার চিন্তাটা বাদ দেন! তা না হলে চাঁদ দেখার শখ আর কদমের প্রতি ভালোবাসা দুটোই উবে যাবে!
খেয়ালী মেয়ে
বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল,
সেটা তোমার ভুল নাকি আমার ভুল…?
বর্ষার প্রথম কদম ফুল যে দিবে সে তোমায় সারা বছর ভালোবাসবে-এই কথাটা আগে কখনো শুনিনি,,,যাক ভালোই হয়েছে তা না হলে আফসোস থেকে যেতো যে কেউ আমায় দিলো না প্রথম কদম,,,,
তবে এই ছোট্ট জীবনে আমি আমার স্টুডেন্টদের কাছ থেকে অনেক ফুল পেয়েছি, যার ভিতর কদম ফুলটাই বেশী ছিলো– 🙂 😀
ভালো লাগলো লেখাটা, শেষের অংশটা একটু বেশিই ভালো লাগলো (y)
মেহেরী তাজ
তাইলে কদম থিওরি আপনার না শোনায় ভালো হইছে!
আগে কদম পান নাই ত কি হইছে? পরে পেয়ে পোষায়ে নিয়েছেন! 🙂
পরী আপু লেখা দেন, অনেক ছুটি খাওয়া হইছে!
খেয়ালী মেয়ে
দিবো, তবে আরো যে কিছুদিন ছুটি দরকার
নীলাঞ্জনা নীলা
কে এই মেহরী তাজ! ;?
উনায় কেন পিচ্চি বলে ডাকা হয়?
এতো পরিপক্ক লেখার লেখক পিচ্চি, বিশ্বাস হচ্ছেনা।
এ জীবনে কদম নিজেই নিজেকে দিয়েছি। তার মানে আমি আমায় সবচেয়ে বেশী ভালোবাসি। :p
২০১০ সালে কদমের মুখ দেখি, তারপর আর না। কিন্তু বর্ষা এলেই ঘ্রাণ পাই কদম ফুলের। গোলাপ জানিনা কেন কোনোকালেই পছন্দ করিনি। খুব প্রিয় বেলী ফুলের গাছটা, গন্ধরাজ মারা গেলো হাসপাতালে থাকার সময়।
পিচ্চি আপু ছোট বোনের থেকে আরোও ফুল যেনো জীবনে জোটে, এই আশাই করি। ভালো থাকুন। -{@
মেহেরী তাজ
দিনের ভিতর নিজেরা হাজার বার পিচ্চি পিচ্চি করে কান পচায়ে ফেলবে আবার লেখা দেখে বলবে এটা পিচ্চির লেখা না বড় মানুষের লেখা! হুম ^:^
নিজেকে ভালোবাসা মহৎ কাজ! 😀
৬ বছর হয়ে গেলো আপনি কদম দেখেন নাই!?? 😮 আচ্ছা আপু চোখ বন্ধ করে ফিল করেন কদম দেখতেছেন তাইলেই হবে….
আপনিও ভালো থাকুন আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি পিচ্চি তো আদর করে বলে সবাই। একটা মন খারাপ কথা বলি। আমার সবচেয়ে বড়ো ভাই, যাকে আমি দাদা বলে ডাকতাম। জ্ঞান হবার পর থেকে শুনে আসছি ও আমায় পিচ্চি বলে ডাকতো। দাদার যেদিন গায়ে হলুদ বললাম তুই বৌদির সামনে আমায় পিচ্চি ডাকিস না। এখন আমি অনার্সে পড়ি, বৌদি শুনলে ক্ষ্যাপাবে। দাদা সেদিন বলেছিলো, “পিচ্চি রে এই ডাকটা শোনার জন্য অস্থির হবি, সেদিন কিন্তু আর ডাকবোই না।” দাদা ২০১১ সালে চলে গেলো অন্য পারে।
কানাডায় একটা ফুল আছে, গন্ধটা খুব হাল্কা কিন্তু কদমের মতো গন্ধ। তবে ফুলটা দেখতে কদমের মতো না। এক্সিডেন্টের আগে অনেক হাঁটা হতো, ক্লায়েন্টদের বাসায় যেতাম। পথে কতো ধরণের যে ফুল। একবার বেলী ফুল দেখেছিলাম, কিন্তু ঘ্রাণ নেই। 🙁
মেহেরী তাজ
আপু আপনাকে একটা সিক্রেট বলি! আমার ফেসবুকের About me তে লেখা আছে ” যারা আমায় পিচ্চি ডাকে আমি আজীবন তাদের কাছে পিচ্চিই থাকতে চাই”!
“বেলী ফুলের ঘ্রাণ না থাকলে সেটা আবার কেমন বেলী”
শরীর ঠিক হয় নাই এখনও?
নাসির সারওয়ার
আহারে!! আমার দেখি জীবনটাই বৃথা। এই ফুলের এমন কেরামতি!
নাজানি কি কারিস্মা ঐ ফলের ও যা আমি এক্ষুনু দেহি নাই। তা ঐডা দেখতে কেমন!
অনেক দিন পরে আপনার লেখা পড়লাম যা আপনার মতই।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া ফুল দেখতে হলুদ সাদা কিন্তু তার ফল দেখতে কেমন তা তো জানি না। আবার একেক জনের কাছে ফল এক এক রকম ।
হুম অনেকদিন পরেই লিখেছি ভাইয়া।
গাজী বুরহান
জীবনের পরম লগ্ন হেলায় শেষ করে দিলাম। কদম ফুলের এমন কেরামতি জানলে এ দশা হতনা! 🙁
মেহেরী তাজ
এখন ত জেনে গেছেন। থিউরি কাজে লাগানোর চেষ্টা করে দেখেন। কি আছে জীবনে……
গাজী বুরহান
কি আছে গিবনে?
তবে যে থেকে নতুন করে গিবন! শুরু করেছি, আর মনে হয় ফেরা সম্ভব না।
অনিকেত নন্দিনী
কদম!
এই জিনিস নিয়ে কতো যে পাগলামি করি।
কদম নিয়ে কিছু মিথ আছে। তার মধ্যে একটা হলো কোনো ছেলে/মেয়ে যদি তার প্রেমিক/প্রেমিকাকে সাত সাতটা তাজা কদম দেয় তো তারা সাত জনমের বন্ধনে বাঁধা পড়ে যায়। এদের কেউ একজন আরেকজনকে ছেড়ে গেলে জীবদ্দশাতেই নরকযন্ত্রণা ভোগ করবে।
পিচ্চি তো পিচ্চিই। তাইতো এইগুলান জানোনা। :p
মেহেরী তাজ
খুব জানি খুউউউব জানি! সবায় যাই বলুক উনার তো পিচ্চি ডাক না ডাকলে হবেই না!
ব্যাপারস না আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি…… 😀
অনিকেত নন্দিনী
পিচ্চি বলাতে খারাপ লেগেছে? তা কিছুটা লাগারই কথা। জানো তো, কেবল পিচ্চিরাই পিচ্চি বললে ক্ষেপে। :p
মেহেরী তাজ
আমি রাগি নি! এই দেখেন হে হে করে হাসছি… 😀