ঝর্না মেয়েটা পুরো চন্ডী!
ওর পায়ে বয়ে যায় খরস্রোত নদী!
শরীরে আমার জমে ওঠে পলি -কাদা- জল!
ও আমার চেয়ে এক স্তর নীচু!
আমি উত্তর পানে চায় তো, ও দক্ষিন মেরু!
দুজনের এক জায়গায় মিল,
একটাই বুক! একটাই তল!
ছোট্ট বেলায় পুতুলের সঙ্গে পুতুলের বিয়ে হয়।ও বিন আমি বেয়ায়!বুকে আমার দুঃখ,সূর্য,রোদ,ঝড় সাজিয়ে রাখি।ওর সিন্দুক বসিয়ে রাখে!
ওর মাকে আমি মাসি বলে ডাকি,মাসি দ্বীপ বলে ডাকে।কিন্তু ও মাকে মা বলেই ডাকে!লিথোস্ফিয়ার বলতে এই টুকু…
ধমনী ,শিরা শুধু আলাদা..
কৈশোর পেরিয়ে আমি যুবক!ও উচ্চপ্রবাহে মাটি খাওয়া ঢেউ!কখনো পাড় ভাঙে,তো কখনও প্লাবন আনে!
কৃষ্নচূড়া ফুটলেই,ও বলে দ্বীপ তো আছে!কিন্তু ও কোনো কালেই বুকে মেঘ হয়ে জমেনি! গ্রীষ্মে আমি মেঘের জন্য কাঁদি, ও জানে…
খরায় ভয় কাঁটিয়ে ওকে বলি, আজ বিকেলে মেঘ আসবে।ও রেগে মুখখানি ক্লিভেজে দুই হাতে চেপে ধরে বলে,কেমন লাগে?তেড়ে ফুঁড়ে উঠি!ছেড়াঁ ছেড়াঁ ধ্বনিতে বয়ে যায় শিশুর বালিশ..
ওর বিয়ে হল!একটাই শর্তে, বাসরে আমি যেন ওর পাশে থাকি!বাসর থেকে আজও দ্বীপ ওদের মাঝখানে বসে থাকে!ওরা দুইপাশ দিয়ে মোহনায় ছাপিয়ে যায়..
৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
লেখা ভালো লেগেছে বেশ।
শিশির কনা
অনেক সুন্দর হয়েছে ।
লীলাবতী
খুব ভালো লেগেছে ।
প্রজন্ম ৭১
ভাল লেখা ।