তিনি কেনো নেই, এর কোন ব্যাখ্যা কি হতে পারে ?
একজন মহামানবের চলে যাওয়া আর বিক্ষত হৃদয়ের প্রবল অশ্রুপাত ..
থমকে যাওয়া প্রচন্ড কল্পানুভূতি।
জোছনায় লীন হতে গিয়েই ভাবি প্রিয় লেখকের কথা,
বৃষ্টি ভেজা দিনের শুরুতেই হোক নয়তো সমুদ্রের পানিতে
নামাই হোক, আপনার কথা মনে পড়বেই।
এতোটা অসাধারণভাবে আমাদের কল্পনার জগতটা তৈরী করেছিলেন, ভাবতাম শুধু ..
ভাবতেই ভালো লাগতো।
প্রতিটা গল্প পড়েই টিস্যু বক্স নিয়ে কাঁদতে বসতাম, এইভাবে বুঝি কেউ তার পাঠকদের কাঁদায় ?
লেখার পরতে পরতে প্রচণ্ড মায়া জড়ানো থাকতো, সেই মায়াটুকু কবে যে হৃদয়ে ছড়িয়ে যেতো তা যেনো বুঝতেই পারতাম না।
গল্প পড়া শেষ হতো কিন্তু রেশটুকু রয়ে যেতো বহুক্ষন।
এখনো জোৎস্না ও জননীর গল্প পড়লে রাতে চোখের জলে বালিশ ভিজে যায়,
হিমুর অভাব এতোটা তীব্রভাবে মিস্ করি,
কারন, আপনি তো শেষ করে যান নি..
অতঃপর হিমু ও রূপা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগলো, এই টুকুর জন্যও কেনো যে অপেক্ষায় থাকি ।
ভূল করে ভেবে নিই, প্রিয় লেখকের কলম আবারও জেগে উঠবে , চোখের জলে একাকার হয়ে আমরা আবারও পড়ছি তার লিখা ।
আপনার চলে যাওয়া একটি হাহাকারের নাম।
নক্ষত্রের বুঝি মৃত্যু নেই..
আপনি আপনার লিখাতেই বেঁচে থাকবেন আজীবন, জানেন স্যার আমি আমার সন্তানদের বাংলা শিখাই শুধু আপনার সব লিখাগুলো তাদেরকে পড়াতে চাই ।
ভিনদেশে বসে তারাও জানুক একজন হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন আমাদের ..
একজন লেখক ছিলেন সবার,
যিনি তার লিখায় সবার হৃদয়টাকে ছুঁয়েছিলেন।
শুভ জন্মদিবস স্যার…
ওপারে ভালো থাকুন ।
৩টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
শুভ জন্বদিন স্যার
জিসান শা ইকরাম
স্যারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা সহ শ্রদ্ধাঞ্জলী।
বাংলা সাহিত্যে স্যারের বিকল্প হবে না কখনোই।
মায়াবতী
যার লেখা পড়ে পড়ে সাহিত্য কে বুঝতে শিখেছি সেই মানুষ টার শুণ্যস্থান কি প্রকৃতি পুরণ করতে পারবে কখনওই!
শুভেচ্ছার থেকে ও আরো কিছু যদি এই মহা মানবের জন্য কামনায় আনতে পারতাম সে টা কেমন হতো বলো তো?