১
ডুব সমুদ্দুরেও থাকে স্তূপাকার দেয়াল
নূতন/পুরোন ইট/পাথরের সৌন্দর্যে/বিভীষিকায়,
মাথা কুটি মরি ঢেউয়ের ঢেউয়ে পাথরের ইটে,
সোনা-জল গড়ায় না, রক্ত কপালে।
কুড়িয়ে পাওয়া নিরন্ন জীবন, এই-ই সই!
*************************************************
২
ধূলি উড়ে ধূলি ঝরে
ধুলোর ঝড় ওঠে, বিস্তীর্ণ পথ জুড়ে,
কুড়িয়ে পাওয়া, হাওয়ার ফেলে যাওয়া
কবিতা-রাশি সোনা-রঙে জ্বলে ওঠে না।
*******************************************************
৩
শৈশব-নদী বয়ে গেছে
সুদূরে, সেই কবে, দুপুরের রাত্রিতে,
কত্ত ডাকি ফিরে আয় ফিরে আয়, আয় ফিরে,
একবার এই বুকে,
প্রেমে/কান্নায়/অবহেলায়/যুদ্ধে, কবিতায়।
************************************************************
৪
অরণ্যে আছে ছোট্ট নীড়, অরণ্যের ও আছে,
শেষের শেষ আশ্রয়ের,
আষাঢ় এলেই শান দিয়ে বৃষ্টি নামে,
পিছল-পথে পা চলে-না, কলম-ও না;
কসম, অ-সত্যি বলছি না।
***********************************************************
৫
দম্ভ সমুদ্র, দম্ভের সমুদ্র জেগে থাকে
উথাল ঢেউ তুলে, উচ্ছ্বসিত নৃত্যে,
প্রতিশ্রুতির তোয়াক্কা না করে,
সেই যে একা ফেলে গেলে
মুক্তো-মালা দেবে বলে, শিশিরের ভাঁজে
কবিতার কবিতা নিয়ে, আর ফিরে আসে-না।
***********************************************************
৬
নিশি-সমুদ্র শুয়ে আছে সার বেঁধে
চোখ লাল করে, লাল চোখে,
গিলে খেয়ে শান্তি পাবে/দেবে,
নিত্যের এ জীবনে লাল কালিতে লেখা
কবিতা গুলো হা করে গিলতে আসে,
গিলে খায়, খাক; উগড়ে-ও দেয়, দিক।
**********************************************************
৭
নিস্তেজ লাঙল বসে আছে একাকী
ফলা উঁচিয়ে,
এবারে বর্শা আসেনি/আসেনা এখনও,
চাষের ফসল ভাবে, কী উঠবে জানিনা,
জানি তুমি অনুর্বর নও।
এখন ও তো কবিতাতে-ই লেখো,
কবিতায় ঝড় তোল।
************************************************************
৮
আকাশ বসে আছে দিব্যি দিয়ে,
রেগে টং, গাল ফুলিয়ে লাল করে
দু’পা ছড়িয়ে,
কিছুতেই মেঘদের দেবে-না পোয়াতি হতে,
মেঘেরা যে আকাশের-ই রঙ-ডানা
ঘুরে-ফেরে-উড়ে, আকাশকে-ই বেঁধে রাখে।
*********************************************************
৯
আমাজনে নাকি লিলি ফুল ফোটে, ফুটুক;
দেখ, একদিন ঠিক-ই লিখে দেব
টেনে দু’লাইন, তোমাকে-ই।
*********************************************************
১০
হতে পারে চুড়ান্ত নিভে যাওয়ার আগে
জ্বল-জ্বল করে জ্বলে ওঠা, শেষ বারে মত (হোক না),
তবুতো জ্বলানোকে জ্বালানো গেল
আচ্ছা-করে/ইচ্ছে মত;
****************************************
১১
দেখা হয়েছিল সেই একবার-ই, সন্ধ্যা-সায়াহ্নের লাজ-রক্তিমে,
তারপর কেটে গেছে দীর্ঘতম এক যুগ, যুগান্তরের পথে;
ঘোর বৈরি বিষণ্ণ বাতাসে, রোদপোয়ানোর সাহসী-ঋজু ভঙ্গিতে,
বিদ্ধ হৃদয় উন্মুক্ত করে, রক্ত-জবার হাতে, নিঃশ্বাসের হাত-ছোঁয়া
দূরত্বে, দেখছি আবার;
*****************************************************
১২
সে এক বিদগ্ধ কবি, ভাবে নিজেকে,
মূলে কিন্তু কিচ্ছু না, লেখে/টেখে মাঝে মাঝে, সাঁজের বেলায়-ও,
তবে লিখতে পারে হুটুর/হাটুর, কিন্তু সে লিখবে না বলে করেছে পণ;
পণ ভেঙ্গে দিয়েছে এমুন লম্ফ, পিঠ বিষ,
কোমর বিষ, এখন সে দগ্ধ-প্রাণ যন্ত্রণা কাতর।
৭১টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
🏅🏅🏅
ছাইরাছ হেলাল
মাত্তর তিন খান, ল্যাক্লাম তো কত্ত খান!!
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রহেলিকা একটু সাইড দিন, পেছনের সিটে বসে বোর্ডের সব লেখা পড়া যাচ্ছে না।
আমারো নোট নিতে হবে।
প্রহেলিকা
লেট লতিফা হলে পেছনের সিটেই বসতে হয়। আমরা সামনের বেঞ্চে বসার লোক পেছনে তাকাই না। প্রথমতো হইতেই পারেন না, এখন আসছে লাইন ভাঙতে।
ছাইরাছ হেলাল
@ প্রহেলিকা, আমার কী এখন ভয়ে পালিয়ে যাওয়া উচিত!!
সাবিনা ইয়াসমিন
পেছনে তাকাতে কে বলেছে!! সামনে তাকান, পাশের আসন যে আমার জন্যে খালি রেখেছেন তা আমি কাউকেই বলবো না।
আর হ্যা, পাশে বসেছি বলে আমার নোট দেখাবো সে কথা ভুলেও ভাববেন না।
প্রহেলিকা
আপ্নারা সব্বাই পোত্থম, এক্কেরে সব্বাই পোত্থম। আপনাদের এত হিংসা। আমি এখন থেকে সবার শেষেই এসে মন্তব্য করবো।
@হেলাল ভাইয়া আপনি পালালে আমারে ব্লগ থেকেই বের করবে। আপনি আছেন বলেই ভরসা পাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
@ মহারাজ, ক্লাসে প্রথম বেঞ্চ নিয়ে ঠ্যালা–ঠ্যালি হবেই, এই জন্যে ক্লাস ছেড়া টিচার পালায় না। 😂😂
সাবিনা ইয়াসমিন
@ মহারাজ, ক্লাস ছেড়ে হবে, ক্লাস ছেড়া যায় না 😁
ছাইরাছ হেলাল
জ্বি, উপস্থিত আছি সাবিনা-জি।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রহেলিকা, রাগ করেন কেন? নোট দেখাবো না বলেছি। কিন্তু টিফিনের ভাগ দিবো। আমরা কত্ত ভালো সহপাঠী !! সবাইকে জানাতে হবে না /
প্রহেলিকা
সব হিংসুইট্টা সহপাঠী। সোনেলার নারী ব্লগারদের ভয় পাই। উনারা মাঝেমাঝে কল্লা নিয়া টানাটানি করে। আমি ছোট মানুষ সেটা বুঝতেই চায় না।
ছাইরাছ হেলাল
ক্লাশে টিফিনের ভাগাভাগি হচ্ছে!! হোক হোক,
ভাগ একটি বাড়িয়ে রাখলে অধিক নম্বরের ব্যবস্থার কথা আগাম জানিয়ে দিলাম।
সাবিনা ইয়াসমিন
@ প্রহেলিকা, নারী হলো জগতের অলংকার আরা নারী ব্লগাররা হলো সোনেলার অহংকার। 😁😁
প্রহেলিকা
কোত্থেকে পড়ব? শুরু থেকে না শেষ থেকে?
ছাইরাছ হেলাল
কবিরা খালি গুচ্ছ দেয়! আমি প্রলাপ দিলাম।
শেষ দিয়া শুরু করেন!!
প্রহেলিকা
নিজে যাকে কবি বলে কবি সে নয়,
আমায় যারা কবি বলে, কবি সে’ই হয়।
ছাইরাছ হেলাল
হাহা, আর একটু এগিয়ে যান!
প্রহেলিকা
নাহ আর না! ট্রাফিক জ্যাম লাগছে
ছাইরাছ হেলাল
সবুজ বাতির অপেক্ষা জারি থাকুক।
প্রহেলিকা
বিশালতার উপমা, সরলতার খুঁজে
ছিন্নরোদ পেরিয়ে গিয়েছি সমুদ্রের কিনারে,
দেখেছি কেবল, পাথরের ইটে মাথা ঠুকে
জলের কাছে কবিদের আত্মসমর্পণ।
=========================
পুরনো খোড়লে মুখ গুঁজে
বারবার ফিরে তাকাও কিসের খোঁজে?
সোনালী সময় আসবে না ফিরে জেনেই
ধূলোবুকে পেরিয়ে যাও ধূলোর সাম্রাজ্য
মরুভূমিতেই গড়ে তুলো শব্দ-সন্যাস।
========================
কবিদের অনেক ক্ষমতা
শত ডাকেও যখন ফিরে না শৈশব
অন্ধকারকে বানিয়ে নিয়ে সৌখিন ক্যানভাস
শব্দরঙে আঁকে ধূলোপড়া প্রহর।
ছাইরাছ হেলাল
আপনের তা ভাল অয় নাই,
এহন আবার লেকমু হেইডা মনে করিয়েন না।
প্রহেলিকা
আরে আমি তো আপনার হায় হুতাশ দেখে একটু স্বান্তনার বুলি আওড়ালাম। ওঁম শান্তই
ছাইরাছ হেলাল
আমাগোতায় কবি শুধু হুতাশন দ্যাখে!!
নিজে থাকে তপবনে!!
প্রহেলিকা
এতগুলান একসাথে দিলেন! কার উপর এত ক্ষ্যাপলেন শুনি! অবশ্য কবিরা চাইলে বেনোজলে ভাসাতেই পারে। কবিদের কোবিদের অনেক ক্ষমতা।
ছাইরাছ হেলাল
আসল কথা হল পোস্টে মন্তব্য করব বলে মাত্র বসেছি, নানা পোস্ট দেখছি, ট্যাবে!
কী না কী মনে হলো কাগজে লিখে ফেললাম! কী লিখেছি ও সব ভাবি না। জাস্ট মনে হইছে লিখছি।
প্রহেলিকা
হুটহাট লেখাগুলো ভেবেচিন্তে লেখার চেয়ে বেশি সুন্দর হয়। ইহা প্রমানিত।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার উপ্রে ক্ষেইপ্পা এই কাম করছি, খালি গুচ্ছ দিয়ে ভয় দেখান।
জোয়ার থাকেই, আপনি আর একটু বাড়িয়ে সিডর কইলে শুনতে ভালই লাগে।
প্রহেলিকা
আমি ছোট্টখাট্টো মানুষ সিডরের ভয় দেখান! ভালু না। তয় মন্তব্য লিখতে বসে ডজনখানেক যে নামাতে পারে উনাকে আর আমাদের সমাজের মনে হয় না।
বর দাও, বর দাও। কবিতা লিখতে চাই।
ছাইরাছ হেলাল
আমি ইট্টু বরের ভাগ চাই, ছিটে-ফোটায় ও আপত্তি নেই।
প্রহেলিকা
ছবি??????
ছাইরাছ হেলাল
ছবি সাথে লেখা যায় নি, তাই বলবেন নাকি!
চোরা ছবি না,
প্রহেলিকা
তাতো জানি চোরা ছবি না। ছবির তরজমা কইলেন না যে।
ছাইরাছ হেলাল
তরজমা করলে কবেন হিব্রু হইছে, বাংলায় করেন, সেটি করলে কইবেন খাঁটি বাংলায় করেন,
ভাগ্য ভাল বলেন নাই প্রমিত মাস্ট!!
কবিদের নিয়ে এই এক সমস্যা, খালি বাউলি কাটে!!
প্রহেলিকা
সরকারের কাছে আবদারের শেষ যেমন আমজনতার নাই তেমনি কবিদের কাছেও আমাদের আবদারের শেষ নাই। কবিদের কাশি হলেও কবিতা বের হয় সেখানে, আমাদের আবদার রক্ষা করাই কবিদের কাজ। আই মিন দায়িত্ব।
ছাইরাছ হেলাল
ভালুতো, আপনারা কাশিতে কাশিতে লেখকের ফাঁসি দাবি করা সময়ের
ব্যাপার মাত্র।
মাহমুদ আল মেহেদী
শৈশব নদীকে সবাই ডাকে, কিন্তু ফেরে না সে। পিছল পথে পা চলে না কলমও না। আবার স্বীকার করা সত্যি না। অসাধারন? আমরা চাই কলম চলুক অবিরত।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ,
কলমকে আপনার কথা পৌছে দেয়া হবে।
তৌহিদ
ভাবাবেগের কত রুপ! একেক সময় একেকরকম।
আমি কবে যে এরকমভাবে লিখতে পারবো!
ছাইরাছ হেলাল
এমন লিখবেন কেন!!
আপনি এর থেকে ভাল, আরও ভাল, অনেক ভাল লিখবেন।
আমরা তো নানা রূপেই বিরাজ করি।
তৌহিদ
আমার শব্দভাণ্ডার সীমিত ভাই। পাশে থেকে সমালোচনা করবেন, নিশ্চয় অনেক কিছু শিখতে পারবো।
ছাইরাছ হেলাল
শব্দের দৌড় সীমিত, কাজেই চিন্তার কিছু নেই।
শুন্য শুন্যালয়
কেউ কারো জন্যেই থেমে থাকেনা।
প্রত্যেকটি পড়লাম মন দিয়ে, মনে নিয়ে। মন্তব্যও মন-প্রাণ দিয়েই করতে চাই, দেখা যাক কতোটা দৌড়ে পারি, একা একাই।
কিছু ভুল শোধরাতে হবে, এলেখায় ভুল হলে চলবে না। লিখবো সময় সুযোগ করে।
নাম্বার পাঁচ, একা ফেলে গেলে, অতএব আসো-নি হবে।
জ্বলানোকে জ্বালানো গিয়েছে ভালোভাবেই, তাই বলে সবাইকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেবেন নাকি! এক একটি কবিতা যে ইলেকট্রিক ওভেন।
ছাইরাছ হেলাল
একটু পরে উত্তর দিচ্ছি! আরও একটি আছে, দেইনি।
সেটি আর আড়াল করে লাভ কী!!
প্রহেলিকা
খালি একটা ক্যান, সাথে আরও একটা দিয়া, ডজন পুরা করেন।
ছাইরাছ হেলাল
@ প্রহেলিকা…… আপনার কল্লা কিন্তু থাকপে না, হু
ছাইরাছ হেলাল
কেউ কেউ থামে, হতে পারে ক্ষণিকের, ছবিতে ভালোবেসেই থেমেছে।
আপনার একায় মাফ নেই, আবার একা কেন! ভুয়া ছাত্র/টাত্র নাই!!
অবশ্যই ভুল গুলো শোধরাতে চাই, আর তা যদি হয় আপনার হাতে, মাভৈ মাভৌ।
“নাম্বার পাঁচ, একা ফেলে গেলে, অতএব আসো-নি হবে।”
আপনি ঠিক বলেছেন, তবে আমি বলতে চেয়েছি সাবর্জনীনতা দিয়ে, ওয়ান টু ওয়ান না, যদিও লেখায় একজন আর একজনের প্রতি কথা বলছে।
চিরায়ত ভাব যেটি, বলে ফিরবে, কিন্তু ফিরে আসে না।
তাহলে শব্দটি দার করাতে হয় ‘আসে-না’ , তাতে আমার কাছে কোথায় যেন তালের বিভ্রাট মনে হয়, তাই ‘আসে-নি’ লিখেছি।
আপনি বলুন, ‘আসে-না’ কি ব্যাবহার করব।
বাপ্রে,……………চৌউক!!
অবশ্য আমি এমুন ই চাই।
দেইখ্যেন আপনি আবার এখানে ‘আসে-না’ অইয়েন না, অভ্যাস তো আছেই, প্রমানিত।
প্রহেলিকা
পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা বিশদ হোক, শেখার কোনো বয়স না। ধর্ণায় বসলাম।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও আপনার পাশে বসেই অপেক্ষা করছি,
সবুরের মেওয়া কিরাম যদি দেখতে পাই!!
শুন্য শুন্যালয়
সেক্ষেত্রে আসে-না হলেও মন্দ নয়। আসে-নি অনেকটা যেন অপেক্ষার শেষ হয়ে গেলো ফিল ফিল হয়, আর আসে-না সার্বজনীন। বাকি আপ কি মর্জি।
নাম্বার সাতেও ঠিক এমনটা বোধ হলো। জানি তুমি অনুর্বর নয়, নাকি নও হবে?
সবগুলো কবিতাই এতো ভালো লেগেছে, আলাদা করে বলা মুশকিল। আমাজনেরটা বেস্ট লেগেছে আমার কাছে।
আমি একটা পোস্ট দেবার তিনটা লাইনও খুঁজে পাচ্ছিনা, আর আপনি বারোটা পোস্টের লেখা এক পোস্টে দিলেন! আপনাকে আমার সত্যি হিংসে হয়, খুবই হিংসে।
ছাইরাছ হেলাল
আসে-না জয়ুক্ত হলো, নয় না নও ই হবে, ওটি ভুলে হয়েছে,
আপনাকে হিংসে করি আপনার………. চোখের জন্য, কুটোটি গলানোর উপায় নেই।
আরে আপনাকে কষ্ট করে লিখতে হবে কেন, আমরা আছি না,
কোনটা লিখতে হবে শুধু বলে দিন।
প্রহেলিকা
এইবার ঠিক আছে, ডজনখানেক একসাথে না দিলে কেমনে হয়? এই নাহলে কবির শক্তি!
এই ডজন কবিতার স্মরণীয় পোস্ট লটকাইয়া রাখা হোক।
ছাইরাছ হেলাল
এখন দেখি কবি আবার অন্য কথা কয়!
মডুদের কাছে জোর আওয়াজ দিন, দ্যাখেন নির্দয় মডুর মুনে গালা লাগানো যায় কি না।
প্রহেলিকা
শুনেছি জানাশুনা আছে আপনার ভালোই। একটু তদবির করলেও তো পারেন তাই না? নির্দয়তা কবির স্বভাবের সাথে যায় না। অগ্রিম প্রণাম কবিকে।
ছাইরাছ হেলাল
গুজব সব গুজব,
আমার এখন বেইল নাই। আপনি সাহস থাকলে ট্রাই করতে পারেন।
মোঃ মজিবর রহমান
বাবা প্রথম বেঞ্চে বস্তে চাইনা। পড়া মুখস্ত হয়নি এখন।
পালায়।
ছাইরাছ হেলাল
প্রথম বেঞ্চ বলে কিচ্ছু নেই,
ধীরে সুস্থে পরলেই হবে।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা আছি ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
গুড বয়।
মোঃ মজিবর রহমান
সে এক বিদগ্ধ কবি, ভাবে নিজেকে,
মূলে কিন্তু কিচ্ছু না, লেখে/টেখে মাঝে মাঝে, সাঁজের বেলায়-ও,
তবে লিখতে পারে হুটুর/হাটুর, কিন্তু সে লিখবে না বলে করেছে পণ;
পণ ভেঙ্গে দিয়েছে এমুন লম্ফ, পিঠ বিষ,
কোমর বিষ, এখন সে দগ্ধ-প্রাণ যন্ত্রণা কাতর। এ যে বিশাল মাথার উপরে যাই বুঝতে মুখ থুপ্লে পড়েছি কবি ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আরে এতো আমার আমাদের সোনেলার প্রিয় কবি প্রহেলিকাকে বলেছি।
ইদানিং সে বহুত হ্যাং-ত্যাং করে বেড়াচ্ছে।
মোঃ মজিবর রহমান
করার খ্যামতা থাকলেই তো করবে। হাক ডাক কি আর যে কেউ দিতে পারে!
চলুক আমরা আনন্দ করি।
ছাইরাছ হেলাল
আপনিও সেই কবির পক্ষ নিলেন!!
সাবিনা ইয়াসমিন
★ অথৈ সমুদ্রে চোরাবালি হাতরে
ডুবুরির কাটে ব্যস্ত প্রহর,
ঝিনুক–মুক্তো আগলে, দিবা–রাত্রি নিঃশেষে
গড়ে নেয় নিরেট প্রবাল প্রাচীর।
★ জলদস্যুর বিষ নিঃশ্বাসে
সমুদ্র কৃষ্ণ সাগর লোনা হলো
আহত ডুবুরির নীল রক্তে…
★ ধুলোমাখা কবিতারা অপেক্ষায় থাকে
দৈব জল–স্নানে জ্বলে উঠবে বিদ্যুৎ-সম উজ্জ্বলতায়।
★ নদীর পথে নদী হারায়,
ছুটে চলা শৈশব নদী ধেয়ে যায়
তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে সমুদ্র–পানে,
সমুদ্রে তার পরাজয়—পরাজয়েই জয়!
★ শিশিরে মুক্তো মালার খোঁজে
কুয়াশায় সেজেছে চৈত্র–দুপুর,
জ্বলে উঠে গলে যায় মোম–মুক্তো
শীতার্ত হৃদয় উষ্ণ থেকে উষ্ণতার কামনায়
গায়ে দেয় চৈতালি চাঁদর।
★ আদি জমি লাঙল চেনে না,
কী ফলাবে তাও জানে না,
শুরুর শুরু থেকে আদি আর অন্তে
সবুজে ভরে থাকা ধরণীতে,
দেখতে থাকে সোনালী অক্ষরের টর্নেডো
কবিতার ঝড়ে অ–কবিতা কেবলই হাওয়ায় উড়ে..
ছাইরাছ হেলাল
Salute.
এক্ষণ এটি আপনি পোস্টে দিন।
সাবিনা ইয়াসমিন
পোস্ট তো এটাই, কমেন্ট আর আলাদা পোস্টে খুব বেশি পার্থক্য নেই মহারাজ।
সবই টাইপ করেই লিখতে হয় 😂😂
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, টাইপ ছাড়াও লেখা যায়, জানলাম।
জিসান শা ইকরাম
এখন যৌবন যার,
প্রলাপ বকার সময় তার।
চলুক, ভাল্লাগছে।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক ধরেছেন,
প্রলাপ বকা কঠিন একটি কাজ, যা যৌবনেই সম্ভব।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি সবার শেষে…
ছাইরাছ হেলাল
আপনি সবার আগে।