প্রলাপের গুচ্ছরণ

ছাইরাছ হেলাল ৩ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার, ১০:৪৭:০৭অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৭১ মন্তব্য

ডুব সমুদ্দুরেও থাকে স্তূপাকার দেয়াল
নূতন/পুরোন ইট/পাথরের সৌন্দর্যে/বিভীষিকায়,
মাথা কুটি মরি ঢেউয়ের ঢেউয়ে পাথরের ইটে,
সোনা-জল গড়ায় না, রক্ত কপালে।
কুড়িয়ে পাওয়া নিরন্ন জীবন, এই-ই সই!

*************************************************

ধূলি উড়ে ধূলি ঝরে
ধুলোর ঝড় ওঠে, বিস্তীর্ণ পথ জুড়ে,
কুড়িয়ে পাওয়া, হাওয়ার ফেলে যাওয়া
কবিতা-রাশি সোনা-রঙে জ্বলে ওঠে না।

*******************************************************

শৈশব-নদী বয়ে গেছে
সুদূরে, সেই কবে, দুপুরের রাত্রিতে,
কত্ত ডাকি ফিরে আয় ফিরে আয়, আয় ফিরে,
একবার এই বুকে,
প্রেমে/কান্নায়/অবহেলায়/যুদ্ধে, কবিতায়।

************************************************************

অরণ্যে আছে ছোট্ট নীড়, অরণ্যের ও আছে,
শেষের শেষ আশ্রয়ের,
আষাঢ় এলেই শান দিয়ে বৃষ্টি নামে,
পিছল-পথে পা চলে-না, কলম-ও না;
কসম, অ-সত্যি বলছি না।

***********************************************************

দম্ভ সমুদ্র, দম্ভের সমুদ্র জেগে থাকে
উথাল ঢেউ তুলে, উচ্ছ্বসিত নৃত্যে,
প্রতিশ্রুতির তোয়াক্কা না করে,
সেই যে একা ফেলে গেলে
মুক্তো-মালা দেবে বলে, শিশিরের ভাঁজে
কবিতার কবিতা নিয়ে, আর ফিরে আসে-না।

***********************************************************

নিশি-সমুদ্র শুয়ে আছে সার বেঁধে
চোখ লাল করে, লাল চোখে,
গিলে খেয়ে শান্তি পাবে/দেবে,
নিত্যের এ জীবনে লাল কালিতে লেখা
কবিতা গুলো হা করে গিলতে আসে,
গিলে খায়, খাক; উগড়ে-ও দেয়, দিক।

**********************************************************

নিস্তেজ লাঙল বসে আছে একাকী
ফলা উঁচিয়ে,
এবারে বর্শা আসেনি/আসেনা এখনও,
চাষের ফসল ভাবে, কী উঠবে জানিনা,
জানি তুমি অনুর্বর নও।
এখন ও তো কবিতাতে-ই লেখো,
কবিতায় ঝড় তোল।

************************************************************

আকাশ বসে আছে দিব্যি দিয়ে,
রেগে টং, গাল ফুলিয়ে লাল করে
দু’পা ছড়িয়ে,
কিছুতেই মেঘদের দেবে-না পোয়াতি হতে,
মেঘেরা যে আকাশের-ই রঙ-ডানা
ঘুরে-ফেরে-উড়ে, আকাশকে-ই বেঁধে রাখে।

*********************************************************

আমাজনে নাকি লিলি ফুল ফোটে, ফুটুক;
দেখ, একদিন ঠিক-ই লিখে দেব
টেনে দু’লাইন, তোমাকে-ই।

*********************************************************

১০

হতে পারে চুড়ান্ত নিভে যাওয়ার আগে
জ্বল-জ্বল করে জ্বলে ওঠা, শেষ বারে মত (হোক না),
তবুতো জ্বলানোকে জ্বালানো গেল
আচ্ছা-করে/ইচ্ছে মত;

****************************************

১১

দেখা হয়েছিল সেই একবার-ই, সন্ধ্যা-সায়াহ্নের লাজ-রক্তিমে,
তারপর কেটে গেছে দীর্ঘতম এক যুগ, যুগান্তরের পথে;
ঘোর বৈরি বিষণ্ণ বাতাসে, রোদপোয়ানোর সাহসী-ঋজু ভঙ্গিতে,
বিদ্ধ হৃদয় উন্মুক্ত করে, রক্ত-জবার হাতে, নিঃশ্বাসের হাত-ছোঁয়া
দূরত্বে,  দেখছি আবার;

*****************************************************

১২

সে এক বিদগ্ধ কবি, ভাবে নিজেকে,
মূলে কিন্তু কিচ্ছু না, লেখে/টেখে মাঝে মাঝে, সাঁজের বেলায়-ও,
তবে লিখতে পারে হুটুর/হাটুর, কিন্তু সে লিখবে না বলে করেছে পণ;
পণ ভেঙ্গে দিয়েছে এমুন লম্ফ, পিঠ বিষ,
কোমর বিষ, এখন সে দগ্ধ-প্রাণ যন্ত্রণা কাতর।

১১৯৯জন ৭৯৪জন
0 Shares

৭১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ