সেকেন্ড চলবে সেকেন্ডের মতোই, কিন্তু কি করে কয়েকটি ঘন্টা সেকেন্ডের মতো কেটে গেলো সে এক বিস্ময় । খাতাকলমে লিখে রাখতে ভুলে গিয়েছিলাম, কতো কি যে ভেবেছিলাম জিজ্ঞেস করবো সব ভুলে গিয়েছি। পুরুষের সমাজে যেখানে বখাটে ছিনতাইকারীদের তাণ্ডব, সেখানে মেয়ে ছিনতাইকারীর মতো আমাকেই বারবার তার হাতটি দখল করতে হয়েছে। আমাকে দেখে পাথর হয়ে গিয়েছে নাকি পাথরের মধ্যে আমি ঢুকতে চাইছি এই চিন্তাও কিছুক্ষন ছিলো, ক্ষিদে সেতো পালানোরই কথা। বোকার মতো কিছুক্ষন শুধু একজন আরেকজনকে দেখে একটু একটু হেসেছি, কথাও পালিয়েছে গাট্টি বোঁচকা বেঁধে ।
অনেক ইচ্ছে থাকলেও দেয়া হয়নি তোমাকে, গুনিজনেরা আগেই বলে গিয়েছে, সাধ আর সাধ্যের মধ্যে অনেক নাকি তফাৎ। সোয়েটার দেয়ার ইচ্ছে কিন্তু অনেকটা সেরকমই ছিলো, তোমাকে জড়িয়ে রাখবার, তাই বলে গরমের মধ্যেও পড়ে দেখবে? তুমি অসুস্থ হবার দায়ভার আমার উপর চাপাতে চাও বুঝি? এমন করবেনা আর এই বকুনি দিলাম কিন্তু।
একা একা চা খাবার গল্প পরে জানতে হয়েছে ( চা কিন্তু দেখতে বেশ হয়েছে ), তবে কফি কিন্তু একসাথেই খেয়েছিলাম। এক কফি মগে নাকি দুই মগে তা কিন্তু বলা যাবেনা 🙂 দেখাটা হলো সন্ধ্যের দিকে। চারপাশে শহরের ঝকঝকে নানা রঙের আলোয় হেঁটে বেড়াচ্ছিলাম দুজন, এই সময় কোথাও সূর্য টা অদ্ভুত এক আলোয় অপেক্ষা করে আছে আমাদের জন্য হয়তো। দেখা হবে নিশ্চয়ই একদিন। ছোট ব্যাগ বইবার কস্ট নিতে চাচ্ছিলে বারবার কিন্তু দেবো কেনো? বেশি কস্ট বহনের জন্য তোমাকে রেডি করছি, ফিরে যে আসতে হবে স্বপ্ন।
চলে আসবার সময় আমার ভেতরের কান্না স্বপ্নের চোখে ছলছল হয়ে ডুবে ছিলো।
২১টি মন্তব্য
পুষ্পবতী
খুব রোমান্টিকতা প্রকাশ পেয়েছে। ভালো লাগলো।
মিথুন
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ছাইরাছ হেলাল
মেয়ে ছিনতাইকারী হলেও প্রাণটুকু প্রাণের মতই উচ্ছল উজ্জল ।
কথাদের কিছুতেই পালিয়ে যেতে দেয়া যাবে ।
পাথর ও গলে যাবে একটু পরেই ।
বাহ্ ,দারুণ ।
মিথুন
মন্তব্যেও যেনো প্রাণের ছোঁয়া পেলাম।
পাথর কে গলতেই হবে যে 🙂
বনলতা সেন
বেশ চমৎকার স্মৃতিময়তা । তা স্মৃতি এখন কই অবস্থায় আছে জানতে চাই ।
সত্যিই সুন্দর ছিনতাইকারী ।
মিথুন
স্মৃতি আমাদের দুজনের মাঝে বেশ তরতাজাই আছে। আর আছে সোনেলায়। 🙂
হ্যাঁ চমৎকার এই স্মৃতি নিয়েই অনেকটা দূর যেতে পারবো মনে হয়। ধন্যবাদ আপু।
শুন্য শুন্যালয়
আপনাদের গল্প পড়ে আমারও একটা প্রেম করতে খুব ইচ্ছে করছে, হা হা।
সুন্দর আবেগী লেখা, আপনাদের দুজনের জন্য অনেক শুভকামনা।
মিথুন
প্রেম করেন না বলছেন? 🙂
লেখা পড়েছেন তাতেই খুশি আমি, ধন্যবাদ আপু।
আদিব আদ্নান
এমন একটি স্মৃতি চাই না ।
বস্তবতা চাই ।
মিথুন
এটি কিন্তু বাস্তব ভাইয়া, দিনটি চলে গেছে তাই স্মৃতির ঘরে, তবে আমাদের কাছে সবসময়ই অম্লান।
মিথুন
মিথুন তো লেখে, স্বপ্ন অনেক ফাঁকিবাজ 🙂
ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ পান ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
ছোট ছোট ঘটনা গুলোর চমৎকার উপস্থাপনা ।
সামান্য ঘটনাগুলোও যে অসামান্য হয়ে যায় উপস্থাপনার গুনে , এই লেখা তার উদহারন।
দীর্ঘ্য প্রতিক্ষার পরে দুজনের প্রথম দেখা ,
প্রতিটি মুহুর্ত ছিলো আপনাদের আবেগাপ্লুত
তা লেখায় প্রকাশ করেছেন সফল ভাবেই ।
এমন ভালোবাসায় ডুবে থাকুন দুজন এই কামনা করি ।
মিথুন
এমন মন্তব্য পড়লে মন ভালো না হয়ে পারে? হ্যাঁ অনেক আবেগের মধ্যে ছিলাম দুজন। আমাদের জন্য দোয়া করবেন আ, আপনিও ভালো থাকবেন।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
আপনাদের জুটির উপর দুর্বল হয়ে পরছি দিন দিন । একটা অপেক্ষা কাজ করে , কবে আপনাদের লেখা পাবো আবার । শুধু দুজনকে নিয়ে লেখা এত ভালো হতে পারে , এই প্রথম দেখলাম। শুধু ব্যাগ নয় , জীবনের ভড় টা চাপিয়ে দিন স্বপ্নের কাছে (3
মিথুন
সত্যি বলতে কি আমিও আপনার জন্য অপেক্ষা করতে শুরু করেছি। আপনার মন্তব্যে লেখা স্বার্থকতা পায় যেনো। ভর টা চাপিয়ে দিয়েছি আপু অপেক্ষা শুধু দস্তখতের। অনেক ভালো থাকুন আপনি।
খসড়া
কবিতা বড় জটিল।:)
মিথুন
ধন্যবাদ ভাইয়া কিন্তু কবিতা? 😮
অজানা এক পথে চলা
টুকরো টুকরো ভালোবাসার স্মৃতি । সত্যি এটি ? নাকি গল্প ? মন ভালো হয়ে যায় এমন ভালোবাসা দেখলে।
মিথুন
এটি সত্যি আপু। পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমার আছে নীল
লেখাটি পড়ে কেন জানি স্বপ্নে ভেসে বেড়ালাম। এমনি কোন সন্ধ্যা হয়ত আসবে কারো জীবনে।
মিথুন
পড়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার নিকটা কেমন কস্ট দেয় ।