বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শহর ও আভিজাত্য এলাকা বানানীর পোস্ট অফিসের পিছনের গলি অর্থাৎ পার্কের লাইন। আমি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের কাজ সেরে অফিস অভিমুখে আমার যাত্রা। পার্কের কাছাকাছি আসতে না আসতে হঠাৎ একটি অটোরিক্সা দাড়ার। আমার কাছ থেকে জানতে চায়, এখন সময় কত?” আমি স্বভাবত সময় বললাম। চারটি বাজতে দশ মিনিট দেরী আছে। তখন সিএন জির ড্রাইভার আমাকে বলে সোনালী ব্যাংকে এই সময়ের মধ্যে জেতে পারব কিনা? আমি তাঁকে বললাম বনানী কাকলীর ফুট ওভার ব্রীজের কাছে আছে সোনালী ব্যাংক দ্বতালায় দেখেন পাইতে পারেন কিনা। তখন তিনি বলেন এটা এটা কি ওমানের টাকা টাকা আমি দেখে বললাম লেখা যখন ওমান তখন ওমানের। আমাকে বললেন, এক ফরেনার উঠেছিল দিয়েছে”। আমি বললাম যান ভাংগান আর না পেলে মানি এক্স চেঞ্জে জেতে পারেন এখানে পোস্ট অফিসের পাশে বা বনানী সুপার মার্কেটে। তখন ড্রাইভার বলে , ” আমার কাছে টাকা নাই আপনি একটি নেন,” আমি বললাম আমি এর রেট জানিনা তাছাড়া আমি এই ব্যাবসা করিও না। আপনি বনানী মার্কেটে যান, বিক্রী করে টাকা পাবেন। এই মুহূর্তে এক ভদ্র লোক এসে ১০০ অমানি টাকা কিনে নিলেন ১্০০০/= বারো হাজার টাকায়। তখন মনে ঘটক া লাগল কেন কিনল দাম যখন ২০,০০০/= বলল তখন মানলাম ব্যাবসায়ী বা লাভের জন্য কিনল। কিন্তু সি এন জি ড্রাইভার তারপরও বলে ১০,০০০/= হলে বাকী গুল বেঁচে দিবে। যে ভদ্র লোক কিনেছে আমি তাঁর পিছনে গিয়ে চোখ টিপে নিষেধ করলাম বিক্রী করবেন না। কিন্তু তিনি তাঁর গতি আরও বাড়িয়ে দিল। আবার একজন আস লো তিনি জানল এবং কোথায় বা কোন মানি এক্স চেঞ্জে ফন করে নিতে আগ্রহি হল। প্রথন জনের নিকট ড্রাইভার জানতে চাইল আসল নকল কেম্ নে চেনা যায়। তখন একজন বলল রাজার ছবির পাশে জল ছাপ ওটাই প্রমান। সি এন জি ড্রাইভার আরও জানাল এক পুলিশ আমার কাছে কিনতে চেয়েছিল দিই নাই। আমি চলে আসতে শুরু করলাম তখন সি এন জি ড্রাইভার আবার আমার পিছু এসে বলল স্যার আপনি একটি নেন। আমি বললাম আমার পয়সার প্রতি লোভ নায়, আপনি পেয়েছেন আপনি বিক্রী করুন , আর আপনি যদি জানেন এটা বেশি দামি তবে কমে বিক্রী করছেন কেন? তিনি উত্তরে জানালেন, ” আমি কোথায় বিক্রী করতে হয় জানিনা।” তখন আমার সন্দেহে বড় ঘটক া লাগল বেটা ঢাকায় অটো চালাও আর তুমি যায়গা জেননা। মনে মনে বলতেছি আর ভাবতেছি এত ভণ্ড এখানে।
যারা কিঞ্ছে তারা আমাকে অফার দিচ্ছে ভাই টাকা থাকলে কেনেন জিতবেন, আমি বললাম আমার কাছে টাকা নাই। আমি দেখলাম এখানে থাকলে অবস্থা কোন দিকে যাবে জানিনা, কেটে পরায় উততিপ। তখন কিন্তু আমার পকেটে ৪০,০০০/= হাজার টাকা। মনে মনে ভাব্লাম কখন আবার আক্রমন না করে, তাই যত দ্রত সম্ভব চলে আসলাম।
সে গুল নকল নোট ছিল। আমি আমার অফিসের পথে রওনা দিলাম।
১৫টি মন্তব্য
আদিব আদ্নান
লোভে তাতী নষ্ট হতই ।
এমন প্রতারণা এখন সাধারণ ।
সবাইকেই সাবধানী হতে হয় ।
তন্দ্রা
ধন্যবাদ আদিব ভাই। এটা আমার বাস্তব গত ৭ নভেম্বর ২০১৩।
মা মাটি দেশ
এরা সবাই প্রতারক।খুব ভালো লিখেছেন।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ জানানোর জন্য । জানতামনা আগে।
আমার ধারনা ওই মুহুর্তের ক্রেতা বিক্রেতা একই গ্রুপ এর ।
তন্দ্রা
ধন্যবাদ, মা মাটি দেশকে।
রকিব লিখন
জিশান ভাইয়ের সাথে আমি একমত।। শর্ত বার্তা পেলাম।। ধন্যবাদ
তন্দ্রা
আমরা সমাজে যারা প্রতি নিয়ত চলি এরকম সামাজিক সমস্যার কথা গুল সবায় সেয়ার করি জাতে সবাই উপক্রিত হব।
খসড়া
এখানে আপনি ছাড়া যারা ছিল সব প্রতারক। আপনি যে তাড়াতাড়ি সরে পরেছেন এটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
তন্দ্রা
ধন্যবাদ খসড়া সাব পরামর্শের জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি সঠিক কাজ ই করেছেন সময়মত সরে এসে ।
পথে- ঘাটে সতর্কতা অনেক প্রয়োজনীয় ।
প্রিন্স মাহমুদ
dhonnobad লেখার জন্য
ইখতামিন
ফাঁদে পড়েননি শুনে ভালো লাগলো
শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
তন্দ্রা
সবাইকে ধন্যবাদ।
বনলতা সেন
একবারে সবাইকে ধন্যবাদ দিলে তো হবে না ।
প্রত্যেককে আলাদা আলাদা বলা উচিৎ ।।
তন্দ্রা
ঠিক হায় দিদি আলাদা আলাদা দিব এর পর।