রাজনৈতিক অঙ্গনে হিংস্রতার মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে।প্রতিকারে কারো কোন সমঝোতার লক্ষন নেই,আকাশে বাতাসে লাশের পুড়া গন্ধ যেন ভারী হয়ে বর্ষণে রূপ নিচ্ছে ক্রমশতঃ।সেই পুরোন রাজনিতী, ক্ষমতার সিংহাসন দখলে আর আকড়ে রাখার প্রবনতার পূণরাবৃত্তির আর্বিভাব।সন্ত্রাসী বিরোধীদলের দাবী মধ্যবর্তী নির্বাচনে আলোচনা আর ক্ষমতাশীল দল বলছেন কার সাথে আলোচনায় বসব খুনির সাথে! এমন পরিস্হিতিতে ভুক্ত ভোগী কেবল সাধারণ আমজনতা।
এ সময়ের মধ্যে সারা দেশে মোট ১১শ’ যান বাহনে আগুন ও ভাংচুর হয়েছে,১০ দফায় রেলে নাশকতা হয়েছে। নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের। এসব ঘটনায় দলের ৩৫ হাজার নেতা কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ হাজারের বেশি নেতা কর্মীকে আটক করা হয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে বলা হচ্ছে এই সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। ৩০ দিনের অবরোধ সহিংসতায় বেশি মানুষ মারা গেছেন যে সব জেলায় সেগুলো হল- কুমিল্লা, রংপুর, ঢাকা, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম, যশোর, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া।
এমন পরিস্হিতিতে সূর্য্য তাদের সূর্য্য সেনা ক্লাবে বিশেষ জরুরী সভা আয়োজন করেন।সন্ধ্যা সাতটায় আলোচনা শুরু হয়, বর্তমান রাজনৈতিক হিংস্রতাকে ঘৃণা জানানো হয় সভার স্বাগতিক বক্তব্যের মাধ্যমে। এর পর শুরু হয় মূল আলোচনা বা মত বিনিময়।আলোচনায়, এক আলোচকের প্রশ্নের জবাবে উত্তর দেন ক্লাবের কার্যকরী সদস্য অভি।
– হিংস্রতার ৩০দিনের বেশী সময় অতিবাহিত হচ্ছে,এমন হিংস্রতা আমরা এর আগে কখনও দেখিনি অথচ আমার এক ভাই অতি সহজে এটাকে রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বাভাবিক ঘটনা বলছেন।আমাদের ভাবার সময় এসেছে ,এখনই সময় যে কোন মূল্যে রাজনৈতিক কর্ম কান্ড নামে এ সব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।
আরো একটি বিষয় আমাকে খুব পীড়া দেয় জানি না আপনাদের মতামত কি তবে আমার মতে আমাদের শিক্ষা জীবনে বছরের শেষ কিংবা শুরুর দিকে বিভিন্ন পরীক্ষা থাকে বিশেষ করে এস এস সি পরীক্ষা যার উপর প্রজন্মের ভাগ্য নির্ধারন করে নির্ভর করে দেশের উত্তম নাগরিক গঠনে ঠিক সেই মুহুর্তে পরীক্ষা দিতে কোন বাধা সৃষ্টি হওয়া কারোই কাম্য নয়।তাই আমার অনুরোধ দেশের রাজনৈতিক দল গুলোর প্রতি,হয় আপনাদের রাজনৈতিক কর্মসূচীর দিন ক্ষণ পরিবর্তন করুন নতুবা পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার সময় সূচী নির্দিষ্ট করে আইন পাস করুন ঐ সময় কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী থাকবে না।ধন্যবাদ আপনাদের।
এর পর শুরু হয় মুক্ত আলোচনা এবং করণীয়।আলোচনায় সূর্য্য তার অভিব্যাক্তি প্রকাশ করেন।
-১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধে অবরুদ্ধ ঢাকা নগরের যে চিত্র পাওয়া যায় উপন্যাস, স্মৃতিকথা ও চলচ্চিত্রে, অনেকটা তেমনই কি হয়ে যাচ্ছে না! হরতাল, বিশেষ করে সাম্প্রতিক অবরোধের দিনগুলো? দোকান পাট বন্ধ, রাস্তায় অল্প কিছু গাড়ি চলে কি চলে না, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেই, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ খানিক সময়ের জন্য হয়তো আসেন ক্যাম্পাসে। তবে সবাই সবাইকে সাবধানে থাকার কথা বলে তাড়া তাড়ি বাড়ি ফিরে যান। খবর পাই কোথায় ককটেল ফুটল, কোথায় পেট্রল বোমা। কোনো আন্দোলন নয়, সহিংসতার কাছে নতজানু আমরা। এক অবরোধ শেষে ফের অবরোধের, হরতাল শেষে ফের হরতালের আতঙ্কে মানুষ।
অনেকে হয়তো এসব ঘটনাকে দেশের চিরাচরিত রাজনৈতিক ঘটনা ভাবছেন আমি বলব ভূল ভাবছেন,এসব ঘটনার সাথে জড়িত যুদ্ধাপরাধীর বিচার বানচালের একটি দূরভিসন্ধির ইঙ্গিত।আর কত অপেক্ষা করবেন আর কত পুড়ে যাওয়ার লাসের ছবি দেখবেন এখনও সময় আছে রুখে দাড়ান ঐ সব পেট্রোল বোমাবাজদের বিরুদ্ধে।একটি সমীক্ষা দিচ্ছি তার পর আপনার দেশপ্রেমই বলবে আপনাকে এখন কি করতে হবে।
(y) লাগাতার ৩০ দিনের হরতাল অবরোধ, ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় ৪১৩০ ঘণ্টার হরতালে সারা দেশে সহিংসতা, নাশকতা এবং পেট্রল বোমা সহ বিভিন্ন ভাবে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু পেট্রল বোমায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন প্রায় ৩২ জন। পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে কথিত (ক্রসফায়ার) বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছেন ১০ জন। সংঘর্ষ ও হামলায় মারা গেছেন ১০ জন। পুলিশ ও পিকেটারদের দু’পক্ষের গোলা গুলিতে মারা গেছেন প্রায় ১২ জন। অন্যান্য ভাবে মারা গেছেন ৭ জন। নিহতদের মধ্যে যান বাহন শ্রমিকের সংখ্যা ১৯ জন। মোট নিহতের মধ্যে ১৫ জনই রাজনৈতিক নেতা কর্মী। বাকি ৪৪ জনই সাধারণ ও নিরীহ মানুষ। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন দুই শতাধিক মানুষ। শুধু ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন ১১১ জনের উপরে।
আর এসব সন্ত্রাস দমনে দেশের চারটি সংস্হা চেয়েছেন ৮৯ কোটি টাকা এ সব টাকা সরকার পাবে কোথায় থেকে এই আপনার আমার রক্ত পানি করা উপার্জনের অংশ।সংকট সমাধানে বিদেশীরা হস্তক্ষেপ করছেন কিন্তু কেনো আমরা মানে বাঙ্গালী জাতি কি তাহলে অসভ্য জাতি?
রাজনৈতিক দলগুলো তারা তাদের দাবী আদায়ে কর্মসূচী দিবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু কর্ম সূচীর নামে যদি থাকে আগুন ভাংচুর ককটেলের খেলা তবে এটাকে আপনি কি মনে করবেন।ক’দিন আগে আমার এক পরিচিত সে বিদেশ চলে যাবে সেও পেট্রোল বোমার আঘাতে দগ্ধ হন বিদেশ যাওয়া হলো না তার।এমন জগণ্য সহিংস রাজনিতীর কি জবাব দিবেন রাজনিতীবিদদেরা বলতে পারেন?।সূর্য্য আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন সে আর কোন কথাই বলতে পারছেন না,চোখের কোণে স্পষ্ট জলের আর্বিভাব।শুধু হঠাৎ আল্লাহ হাফেজ বলে বসে পড়ে হাতের রুমাল দিয়ে মাথা নীচু করে নীরবে প্রবাহিত চোখের জল মুছেন।
সমর তার কথার সূত্র ধরে সভাকে শেষ পর্যায় নিয়ে আসেন।
-সূধী বৃন্দ,পত্রিকায়,টিভিতে কিংবা চায়ের কাপে ঝড় উঠে রাজনৈতিক সহিংসতার বীভৎষ চিত্র যা আমাদের মহান নেতাদের ধারনার বাহিরে।বাঙ্গালী সেই ‘৫২ থেকে ‘৯০ থেমে থাকেনি কখনও, যখন যেখানে অন্যায় অত্যাচার সেখানেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ছিল এবং লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবারই দল মতের উর্ধ্বে থেকে দৃঢ় মনোবল নিয়ে ছাত্ররা আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ত ‘৯০ এর পর ছাত্রদের ভূমিকা তেমন একটা দেখতে পাইনি এবার চট্রগ্রাম বই মেলায়,শাহবাগ অগ্নিদগ্ধ হয় অথচ ছাত্ররা নিশ্চুপ এর কারনও আমরা জানিনা।
ভোটাদিকার প্রয়োগের দাবীকে কেন্দ্র করে কি ভাবে সন্ত্রাস করে যাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধীরা অথচ আফসোস একে অন্যের উপর দোষারূপ করা ছাড়া সমাধানে নিশ্চুপ বড় দুদলই।তাই তাদের উপর নির্ভর করে ক্ষতকে আর বড় করতে চাই না।আমরা আমাদের সাধ্য বুদ্ধিমত এলাকায় গড়ে তোলব সন্ত্রাস প্রতিরোধ বাহিনী যারা হবেন অরাজনিতীক দেশকে ভালবেসে নিজেদের “আত্ত্ব রক্ষার্থে ধরতে হবে,পেট্রোল বোমা বাজদের”শ্লোগানে বেড়িয়ে পড়বে পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায়।পেট্রল বোমাবাজকে আটক করে নিজকে নিজের পরিবারকে সুরক্ষা করুন।
ক্লাবের সদস্য কর্মকর্তাদের সভা শেষে থাকার অনুরোধ করছি।সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি হবে সবার সবার সহযোগিতা করবেন,মোবাইল চব্বিশ ঘন্টা খোলা রাখবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।
চলবে… -{@
কেউ যদি প্রশ্ন করে কেমন আছে আপনার স্ব-দেশ আর আমি আপনার উত্তর কি হবে জানি না তবে আমি বলব, বেশতো এই ভালো আছি,প্রত্যহ ভাঙ্গা গড়ায় জীবন গড়াচ্ছি।
অবাধে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল কার কাছে বলবেন যার কাছে নালিশ করবেন সেও জানে শুধু জানেনই না হয়তো টু পাস কামাইও করেন।
গাইবান্ধায় দগ্ধে নিহত ৪ দগ্ধ ৩০জন, চট্রগ্রামে দগ্ধ ৫জন ,অবরোধের তেইশ দিনে ঝড়ল আরো কিছু প্রান,শিশুপার্কের সামনে দগ্ধ ১৯জন ওখিলগাওয়ে দগ্ধ ৪জন,খাদ্য পরিবহনে পেট্রোল বোমা এ সব ঘটনা অজানা কারোই নয় তবুও ঘটছে।এই সব হিংস্র ঘূণে ধরা রাজনৈতিক কর্ম সূচীতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রহস্হ হচ্ছে শিক্ষা ব্যাবস্হা এবং রপ্তানী ব্যাবস্হায় যা ভবিষৎ জাতি গঠন ও দেশ সয়ংসম্পর্ণের অন্তরায় তাই এর বিরুদ্ধে ছাত্রদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। -{@
১৭টি মন্তব্য
খসড়া
যে কোন কিছুর বিনিময়ে এই সন্ত্রাস রুখতেই হবে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সচেনতাই সন্ত্রাস নির্মূলের হাতিয়ার -{@
সীমান্ত উন্মাদ
ভাই এইটাই এই দেশের রাজনীতির ধারায় পরিনত হইছে। আমজনতা পুড়ে আচার, কয়লা হইলেও তাদের কিছুই যায় আসে না। তবে বোমা বাজদের ধরিয়ে দেওয়ার একটা প্রয়াস চলছে। কথা দিলাম সামনে পড়লে ছাড়ব না।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
নিজে সচেতন হউন অন্যকেও সচেতন করুন যে ভাবে হউক লেখায় কাটুনে কবিতায় কিংবা সমাভেসে।ধন্যবাদ ভাইয়া এবং বাসন্তীর শুভেচ্ছা। -{@
জিসান শা ইকরাম
এসব আর সহ্য হচ্ছে না
একটি সম্ভাবনাময় দেশের এমন মৃত্যু সহ্য করা কঠিন।
দেশ স্বাভাবিক হলেও,যে ক্ষতি হয়েছে,তা পুরন করা আদৌ সম্ভব বলে মনে হয় না।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
তবুও জনতা কেনো নীরব কেনো এখনও গর্জে উঠে না,হয়তো একদিন সব ঠিক হয়ে আবার নতুন কোন ষড়যন্ত্রে জেগে উঠবে সেই দিনটি যেন আর ফিরে না আসে সেই আইনের বাস্তবতা দেখতে চাই -{@ ধন্যবাদ আপনাকে
শুন্য শুন্যালয়
শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙ্গেচুরে গেছে, আরো যাবে। একটা দেশ শেষ করবার জন্য আর কিছু লাগেনা। পেট্রোল বোমা বন্ধ হবে, আজ না হয় কাল। রাজনীতিবিদ দের কি আর অস্ত্রের অভাব?
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
রাজনিতীবিদদের বুঝতে হবে এখন জনগণ অনেক সচেতন যেন তেন টপ তারা গিলবে না।আমাদের কাজ আর ঘর সংসারে নির্ভিগ্নে চলার গ্যারান্টি চাই বাস্ আর সব গোল্লায় যাক। -{@
স্বপ্ন
যাদের বিবেক জাগ্রত হবার কথা,তাদেরটা জাগ্রত হচ্ছেনা ভাইয়া 🙁
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সে জন্য বেশী বেশী দোয়া করতে হবে।ধন্যবাদ ভাইয়া -{@
খেয়ালী মেয়ে
এভাবে সবকিছু নীরবে মেনে নেওয়া সত্যি কষ্টকর–এমন পরিস্থিতিতে কিছু করতে না পারার কারণে নিজের ভিতরে একধরনের যন্ত্রনা কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে নিজেকেই…
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ খেয়ালী
সেই যন্ত্রগুলো লেখায় লিখে কিছুটা মন শান্তি পেলেও পুরোটা পাবার আশায় লেখক অপেক্ষায় আপনার আমার সচেনতায় -{@
ব্লগার সজীব
এর শেষ কোথায় মনির ভাই ? 🙁 হতাশ আমি।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
শেষটুকু জনতার হাতে -{@ আমাদের সচেনতার মাঝে।
শিশির কনা
এর কি কোন সমাধান নেই?একটি দেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে 🙁
ছাইরাছ হেলাল
এ আমরা কোথায় চলছি আমরা নিজেরাই জানিনা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সেই একই রূপ একটু ভিন্ন ক্ষমতা পাবার দেবার মাঝ পথে কিছু অসহায় জীবনের কান্না।ধন্যবাদ। -{@