আমি আমার মতো, নিরিবিলি একাকী;
মৃত্যুর সময়েও লিখে যাওয়া এক কলমে,
আমি ক্ষুধার্ত বাল্মীকি।
কস্তুরী, অহল্যা, নন্দী এক একটি প্যারাগ্রাফ
তাদের মিশে যাওয়া ছাইয়ে
বদলাবে লেখক, বদলাবে স্বভাব ।
সূর্য ওঠেনি সেদিন, তাই বলে চোখই খুললোনা!!
বৃষ্টি এলো, ধুলো ঝরলো গায়ে তার
অথচ কী অনঢ়, পণ করলো খুলবেনা চোখ,
আলোয় গড়লো চব্বিশ ঘন্টার অন্ধকার।
একবার ভুল করে ছুঁয়ে দিতেই হুড়মূড়িয়ে ভাঙ্গন
আজীবন জ্বালানো বুকপকেটের জোনাকি,
অভিশাপে ছাই হয়ে উড়ে গিয়ে চোখে পড়ো কারো,
ভুলেও গড়িও না আর জল হয়ে।
একদিন আকাশ নামে ডাকবো তোমায়; বিস্তৃত, উদার
অথচ আড়ালে ঠোঁট টিপে হাসবে ‘দূরত্ব’।
মুহূর্তে ঠিক এমনি করে থাকে অছিন্ন বন্ধন, অথচ স্বল্পমেয়াদী…
উৎসর্গঃ তাকে। তুমুল মেঘলা দিনেও যার জন্য ক্যামেরা হাতে ছুটেছিলাম। বলেছিল, তার মেঘ চাই। আমি বলেছিলাম, আমি তোমাকে এক মুঠো বসন্তের রঙ এনে দেবো।
২১টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
একটা বিষয় আমি ভাবতে ছিলাম ছবিগুলো দেখার সময়। আমি এই শহরে থাকি বলেই কি আমার কাছে সৌন্দর্য্য ধরা পড়ে না, নাকি অনলাইনে সৌর্ন্দয্য দেখে আর শহুরে বাস্তবতায় নোংরা দেখে আমার মন ত্যাক্ত হয়ে গেছে? এই সৌন্দর্য্য বা অনলাইনে দেখা সৌন্দয্য কি আমাদের দেশে নাই? নাকি আমার মন শুধু মানুষ দেখতে দেখতেই ক্লান্ত হয়ে শুধু ভাবে এই দেশটা মানুষে ভরে গেছে, সব জায়ঘায় শুধু মানুষ আর মানুষ, কোথাও একটু নিরবতা নেই, অন্ধকার নেই।
ফুলগুলো আমার ভাবনাকে বিস্তৃত করেছে শুধু, আর কি হল কে জানে।
শুন্য শুন্যালয়
সত্যিই তাই, আর যে কী হলো, তা আমি নিজেই জানিনা। আমাদের দেশের সৌন্দর্য্য তো আরো বেশি আনিছ ভাইয়া, শুধু একটু খুঁজে নেয়া। ক্লান্তি এলে সেই খোঁজাটাই বা কিভাবে করবে? ক্লান্ত যাতে না হই, তাইই এসব বেছে নেয়া। বাঁচতে তো হবে। মানুষের মাঝেই না হয় সৌন্দর্য্য খুঁজে নাও। তবে ঢাকা শহরে কিভাবে তা খুঁজে পাওয়া যাবে, জানিনা। ভালো থেকো সারাক্ষন আনিছ ভাইয়া, এইসবের মধ্যেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি আবার ফিরে আসবো।
অবশ্য কতোদূর যেতে পারবো, তা জানা নেই
আদৌ যাওয়া হবে কী কোথাও!
দেখা যাক—
মুগ্ধতাকে আরেকটু তৃষ্ণার্ত রেখে লোভী করে তুলবো,
এ প্রত্যাশা নিয়েই বলছি
তোমার জন্যই আমি আবার ফিরে আসবো গোলাপ, পাঁপড়ি, জল, ফুল, দূরত্ব।
আসবোই…
আপু আমি মুগ্ধ। আর কিচ্ছু বলার নেই।
অনেক ভালো থেকো। -{@
শুন্য শুন্যালয়
বাপ্রে একবারে এতো নাম দিয়ে দিলে! কী সুন্দর করেই না লিখে ফেলো লাইন একদম ফুৎকারে। বলেছো অনেক কিছুই বলার মতো করেই।
অনেকদিন পরে একসাথে হলাম মনেহয়। তুমিও ভালো থেকো সবসময়। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু লাইনগুলো মনের ভেতর ছিলো সেই সন্ধ্যে থেকেই। কিন্তু পারছিলাম না মেলাতে। তোমার তোলা ছবিগুলো কীভাবে মিলিয়ে দিলো!
আমি কৃতজ্ঞ তোমার ছবি এবং তোমার তুমি”টার কাছে।
ভালো রেখো। -{@
শুন্য শুন্যালয়
আমি শুধু অনুঘটক ছিলাম মাত্র। নতুন লেখা কখন দিচ্ছ? দাও দেখি একটা। পড়ে তোমাকে উদ্ধার করি। 🙂
জিসান শা ইকরাম
প্যারাগ্রাফে আপনাকে নতুন করেই আবার চিনলাম।
মুগ্ধ হয়ে মুগ্ধতাকে নিয়ে কিছু লিখব ভেবেছিলাম মন্তব্যে, নীলা তা লিখে ফেললো।
আপনার তোলা ছবি কথা বলে।
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
আর কতো চিনবেন বলেন তো? 🙂
দেরি করলে অন্যে লিখে ফেলবেই, কী আর করা 🙂
আমার ছবি কী কথা বললো তা যদি একটু বলতেন। ব্যস্ততা গ্রাস করেছে সবাইকে।
শুভকামনা আপনাকেও। -{@
জিসান শা ইকরাম
হ্যা এটি সত্য এবং প্রমানিত, দেরী করলে নিজের চিন্তা ভাবনা অন্য কেউ লিখে ফেলে,
অনেক উদহারন আছে আমার এমন।
ছবি যা বলে তা তো আপনিই লিখে ফেলেছেন 🙂
ব্যস্ততার সাগরে ডুবে যাচ্ছি সবাই।
শুন্য শুন্যালয়
ব্যস্ত থাকা ভালো কিন্তু 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ছবিগুলো সত্যিই চমৎকার আর লেখ! তা তো সবারই জানা।১০০% -{@
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ মনির ভাই 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
মনের ভাবনা আর ছবি সাথে লেখা। যেমন লেখা তেমন ভাবনা। মুগ্ধ খুব সুন্দর মনবাসনায় আরো সুন্দর লেখা চাই।
এতো সুন্দর ভাবনা কখন ভাবেন আপু। কেমন চিন্তা করেন।
আমি ক্ষুধার্ত বাল্মীকি।আসলেই আপনি
শুন্য শুন্যালয়
হতে পারে আমার কথা লিখেছি, নয়তো অন্য কারো 🙂
আপনাদের ভালো লাগে বলেই তো তুলি, লেখার।চেষ্টা করি। ধন্যবাদ মজিবর ভাইয়া।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি পড়ে যায় । ভাল লাগা থেকেই।
স্বপ্ন নীলা
ছবি আর লেখাতে অসাধারণ —- মুগ্ধতা রেখে গেলাম
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ আপু। অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে।
অপার্থিব
দৃশ্য কাব্যগুলো বরাবরের মতই দারুণ। শব্দগুলোর কল্যাণে ছবিগুলো একটা স্বতন্ত্র ভঙ্গীমায় পাঠকের সামনে হাজির হয়েছে।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ অপার্থিব। আপনার ছবি দেখিনা তো অনেকদিন। তুলছেন না?
প্রহেলিকা
ক্যাপশন আর ছবির কি অপূর্ব সমন্বয়। কিছু ক্যাপশন এমন ছিলো যে ছবির দিকে তাকাতে হয়নি, ছবি ভেসে উঠেছিল। ঘুরাঘুরি শেষ করে ছবিব্লগ নিয়া আসেন।
শুন্য শুন্যালয়
ক্যাপশান একটি বিপদের নাম, নইলে কবেই ছবি দিয়ে দিয়ে ভরায় ফেলতাম ব্লগ। কেউ যে একটু উপকার করবে তাও না।
ঘোরাঘুরি আপাতত শেষ। এখন জেটল্যাগের মতো ছুটিল্যাগ চলছে 🙂